নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তর মাশঊদ

সুখের পিছনে ছুটতে ছুটতে মানুষ অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। সেখানে আমি সত্যের সন্ধানে ছুটছি

অন্তর মাশঊদ

সুখের আশায় ছুটতে ছুটতে মানুষ অসুখে পড়ছে। আর আমি তখন সত্যের সন্ধানে ছুটছি।

অন্তর মাশঊদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুস্তাফিজুরকে ধাক্কা মারা নিয়ে ধোনিদের নাটক

২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬


নাটকের সূত্রপাত, বৃহস্পতিবার রাত দু’টোয়। মীরপুর স্টেডিয়াম ছেড়ে ততক্ষণে অভুক্ত অবস্থায় হোটেল ফিরে গিয়েছে টিম। আচমকাই রাত দু’টো নাগাদ ধোনিকে ডেকে পাঠান ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট। ভারত অধিনায়ক উপস্থিত হলে তাকে বলে দেয়া হয়, আম্পায়াররা তোমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা করেছেন। মুস্তাফিজুরকে তুমি ধাক্কা মেরেছ ম্যাচে। যা লেভেল টু অপরাধ। এবং তিনটে রাস্তা ফেলে দেয়া হয় ধোনির সামনে।
১) দোষ স্বীকার করে নেয়া। যা হলে ম্যাচ ফি-র পঞ্চাশ শতাংশ জরিমানা।
২) দোষ স্বীকার করে শাস্তি কমানোর আবেদন করা।
৩) অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করা। কিন্তু সেক্ষেত্রে দু’ম্যাচের নির্বাসন বা একশো শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়ার যে কোনও একটা হবে।
যা শুনে নাকি উত্তেজিত হয়ে পড়েন ধোনি। ঘনিষ্ঠদের কাছে বলতে থাকেন, তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে মোটেও এটা করেননি। দু’ভাবে ব্যাপারটা এড়ানো যেত। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে পড়তে পারতেন। কিন্তু তাতে রান আউট হতে হত। আর নইলে মুস্তাফিজুরকে বাঁচাতে গিয়ে অন্য দিক দিয়ে দৌড়তে পারতেন। সেটা হলে নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকা রায়নার সঙ্গে ধাক্কা লাগতে পারত। ধোনি নাকি আরও বলেন যে তাঁর কাঁধ, কনুইয়ের পজিশন দেখলেই বোঝা যাবে এটা ইচ্ছাকৃত নয়। তাই অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি লড়বেন। কারণ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করছেন এই মর্মে ফর্মে সই করে ম্যাচ রেফারির কাছে পাঠিয়েও দেয়া হয়।
যার পর দু’টো ঘটনা নাকি সমান্তরাল ভাবে চলতে থাকে। ম্যাচ রেফারি এবং আম্পায়াররা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ নিয়ে রাতেই বসে পড়েন। বারবার চালিয়ে দেখা হয় ভারতীয় ইনিংসের পঁচিশ নম্বর ওভার। যেখানে মুস্তাফিজুরকে সজোরে ধাক্কা মেরে রান নিতে যাচ্ছেন ধোনি। ভারতীয় শিবিরে আবার বৈঠকের পর বৈঠক চলতে থাকে। সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ ব্রেকফাস্ট টেবলে বসে পড়েন চার জন। অধিনায়ক ধোনি। টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রী। সহ অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এবং টিমের প্রশাসনিক ম্যানেজার বিশ্বরূপ দে।
শোনা গেল, ব্রেকফাস্ট টেবিলে সবচেয়ে উত্তেজিত চরিত্রের নাম ছিল বিরাট কোহলি। যিনি নাকি বলতে থাকেন, দোষ যে করল সে শাস্তি পাচ্ছে না। যে করেনি, সে পাচ্ছে। ম্যাচ রেফারির ঘরে শুনানির জন্য ঢোকার আগে পরবর্তী প্ল্যান অব অ্যাকশনও ঠিক করে ফেলা হয়। পাইক্রফটের সামনে ঘটনার অ্যাকশন রিপ্লে ধোনি করে দেখাবেন। নিজের। বোলারের। রায়নার। শাস্ত্রী তুলবেন বোলারের পজিশনের ব্যাপারটা। আর টিম ম্যানেজার আইনি প্যাঁচে ফেলবেন পাইক্রফটকে।
ছক বাঁধা পথে যা এর পর চলতে থাকে। ধোনি ঘটনার সময় নিজের কাঁধ, কনুই, মাথার পজিশন সব কিছুর পুনরাবৃত্তি করে বোঝাতে থাকেন কেন এটা ইচ্ছাকৃত নয়। শাস্ত্রী বলেন যে, বোলার কেন ডেঞ্জার জোনে ও ভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে? ফলো থ্রু অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। বলও তাঁর ধারেকাছে ছিল না। টিম ম্যানেজার বিশ্বরূপ যুক্তি দেন, কোনও গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটলে তাকে দু’ভাবে দেখা যেতে পারে। চালকের দোষে সেটা ঘটেছে। নইলে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই গাড়ির সামনে চলে এসেছে। সব সময় তাই চালকের দোষেই হবে, এমন নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নানাবিধ যুক্তিতর্কের পর ম্যাচ রেফারি সুর নরম করে নাকি বলেন যে, ধোনি এটা ইচ্ছে করে করেননি বোঝা গেল। কিন্তু আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টেই আছে যে, ম্যাচ চলাকালীন ধাক্কাধাক্কি হলে জরিমানা অবধারিত। ধোনির তাই ম্যাচ ফি-র পঁচাত্তর শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। শাস্ত্রীরা তখন বলেন যে, ধোনি দোষী হলে মুস্তাফিজুরও সম্পূর্ণ নির্দোষ নন। ভারত ঠিক করে ফেলে বাংলাদেশকে যদি না ডাকা হয়, তা হলে আইসিসির কাছে রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা হবে। কিন্তু যুদ্ধে মহানাটকীয় মোড় এনে ম্যাচ রেফারি এ বার ডেকে পাঠান মুস্তাফিজুরকে। যাঁর আম্পায়ার্স রিপোর্টে নামই ছিল না! কিন্তু ভারতের শুনানির পরে মুস্তাফিজুরকে ডেকে তারও পঞ্চাশ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেয়া হয়।
বাংলাদেশ যে সেটা খুব ভাল ভাবে নেয়নি বলাই বাহুল্য। শুনানি চুকেবুকে যাওয়ার পরে টিম হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলাদেশ বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলে দেন, এটা মাঠের ব্যাপার। তবে যা হল সেটা আমাদের পছন্দ নয়। আবহ যার পর আরও গুমোট হয়ে গেল। ভারত— তারাও গত রাতে ড্রেসিংরুমে শাস্ত্রীর মৃদু শাসনের বাইরে ময়নাতদন্ত নিয়ে এগোতে পারল না। অধিনায়কের সম্মান বাঁচাতেই গোটা দিন বেরিয়ে গেল। কিন্তু পুরো বাঁচল তো? বাংলাদেশ মিডিয়া বলল বাংলাদেশের জয়, মাশরফি মর্তুজার প্রকাশ্যে ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া, মুস্তাফিজুরের দোষ স্বীকার— এই তিনটে ফ্যাক্টর কাজ না করলে আরও বিপন্ন হতে পারত ধোনির ভাবমূর্তি। বলল, ধোনিকে আগে যুধিষ্ঠিরের সম্মানে দেখা হত। বৃহস্পতিবারের রাত থেকে যা আর সম্ভব নয়।
এমএসডি নাকি প্রমাণ করে দিয়েছেন, তিনিও রক্তমাংসের মানুষ। তার সম্মান-রথের চাকাও প্রয়োজনে মাটি ছোঁয়!

(সংগ্রহীত)

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ভারতীয়রা না থাকলে আমরা এখনও নিজেদের পাকিস্তানী বলে পরিচয় দিতাম। আমাদের আলাদা কোন দল থাকতোনা, তাই ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বোলার আগে নিজের দেশপ্রেম আর চেতনার ধার একটু মেপে দেখবেন আশা করি।

২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

অন্তর মাশঊদ বলেছেন: আমি আসলেই সত্যিই স্তম্ভিত আপনার কথাবার্তা শুনে। আপনার দেশপ্রেম আর চেতনাটা এতই ঠুনকো তা আপনার আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে ধারনা আপনার ভিতর লালিত করেছেন তা হতেই বুঝতে পেরেছি। আপনার সাথে তর্কে যাওয়ার আমার কোন ইচ্ছে নেই।
তবে এতটুকুই বলি। আমাদের দেশের স্বাধীনতার পিছনে ভারতের অবদান আছে তা অনস্বীকার্য। তবে এর অর্থ এইনা যে এদের সাহায্য ছাড়া আমাদের দেশ স্বাধীন হতনা।
ভালো করে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়াশুনা করেন জানতে পারবেন।
আর হ্যা! সেদিনের সেই বন্ধু রাষ্ট্র ভারত আর আজকের ভারত হাজারগুন তফাৎ।

২| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: ভারত বনাম বাংলাদেশ ভারত বনাম বাংলাদেশ ভারত বনাম বাংলাদেশ এই বিষয়টাই আর ভালোলাগেনা

৩| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ভারতীয়রা না থাকলে আমরা এখনও নিজেদের পাকিস্তানী বলে পরিচয় দিতাম। আমাদের আলাদা কোন দল থাকতোনা, তাই ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বোলার আগে নিজের দেশপ্রেম আর চেতনার ধার একটু মেপে দেখবেন আশা করি।

হাহাহা , ''নিজ দেশে বসে হিংসে বঙ্গবাণী , কোথায় তার জন্ম নির্ণয় ন জানি। '' [পুরো লাইন টি মনে নেই। ]

তোমার অবস্থা এখন এমন ''নীল আকাশ ২০১৪'' . কথা কইবা বুইজ্জা শুইনা। আমরা সারে ৭ কোটি জনগণ মিলা এই দেশ স্বাধীন করেছি , ভারতের অবদান যুদ্ধের ময়দানে খুব সামান্যই , তবে তা অস্বিকার করছি না। তাদের যুদ্ধের শেষে এসে সাহয্যের হাত বাড়ানোর পিছনে যে এজেন্ডা কাজ করেছে তা সবার ই জানা। সো , মাইপা কথা বলবা।

২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

অন্তর মাশঊদ বলেছেন: উনার কথা শুনে আসলেই তাজ্জব বনে গেলাম ভাইয়া। ভারত না থাকলে নাকি আমাদের দেশ স্বাধীন হত না।
ছিঃ! এই যদি হয় আমাদের দেশের মানুষ হয়ে উনার চিন্তাধারা।

৪| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: উপরের একজনের নীল না কি জানি নাম তার জনমের ঠিক আছে তো? প্লেয়ারটা একটা বেজন্মা দুপাইয়া অসভ্য গুন্ডা। ম্যালা টাকা বানাইসে তো দুনিয়াটারে কিছুই মনে করেনা। থাপ্পরটা খাইয়াও শরম অয় নাই!

৫| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: যমুনাগ্রুপের মালিক বিশিষ্ট ছোটলোক, অশিক্ষিত খ্যাত বাবুলের ভাষায় বলতে হয়, ধোনীকে কুমিরের লেজ দিয়ে চোদানো উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.