নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তন্ময় হয়ে পৃথিবী দেখি...........

নিজেরে হারায়ে খুজি..... [email protected]

বহুরূপী মহাজন

ক্ষ্যাপা খুজে ফেরে পরশ পাথর

বহুরূপী মহাজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যত ভোগান্তি ব্র্যাক ব্যাংকে

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৫

এই সেদিনও আমি চিন্তা করতাম আমাদের দেশী এতগুলি প্রাইভেট ব্যাংক থাকতে মানুষ কেন বিদেশী ব্যাংকগুলোতে ব্যাংকিং করে!! আমি নিজে ব্র্যাক ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার গ্রাহক; তবে আমার ব্যাংকে যাওয়া পড়ে অল্প। ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহক হবার প্রধান কারণ এটি দেশী ব্যাংক এবং প্রথমদিকে আমার মনে হয়েছে এটি ভালই হবে। তবে এতদিন যে সার্ভিস আমি এদের কাছ থেকে পেয়েছি তা মোটেই সন্তোষ জনক নয়; এদের প্রধান কাজই হচ্ছে নানা বাহানায় সার্ভিস চার্জ কাটা। তবে আমার প্রয়োজন শুধুই ব্যাক্তিগত এবং তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হওয়ায় কিছু মনে করতাম না। "যা হোক চলে তো যাচ্ছেই, কাটলোই না হয় একটু বেশীই কাটল"- এমন একটা ভাব ছিল আমার। চার্জ বেশি কেমন, - মাঝে সাঝে আমাকে পে অর্ডার করতে হয় - বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ৫০০ টাকার নিচে। তবে এজন্য সার্ভিস চার্জ ১১৫ টাকা!! মানে আপনি যত কম টাকারই পে অর্ডার করুন না কেন, সার্ভিস চার্জ ঐ ১১৫ টাকা। তবে আমি এতে একটু বিরক্ত হই, কিন্তু এর বেশি কিছু না। তবে গত দু'সপ্তাহ ধরে তারা আমার সাথে যা করলো তাতে আমি মোটামুটি ফেডআপ।



ঘটনার শুরু মে মাসের শেষ দিকে। হঠাৎ করেই আমার ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেটের দরকার পড়লো। গেলাম একদিন। যথারীতি ব্যাংকের ভিতর মাছের বাজারের মত অবস্থা। যারা ব্র্যাক ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায় যাতায়াত করেন তার জানবেন এখনে ভীড় কি প্রচন্ড। সিরিয়াল নিয়ে ঘন্টা-দেড় ঘন্টা অপেক্ষার পরও অনেক সময় কাষ্টমার সার্ভিস থেকে ডাক আসে না। তবে সেদিন ভাগ্য কিছুটা সুপ্রসন্ন ছিল, আধঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর (কেনন ব্যাংকের ভেতরে জায়গা গ্রাহক অনুপাতে একদমই কম, সাতসকালে গেলেও অপেক্ষা করার জন্য বসার জায়গা পাওয়া যায় না এবং ৯০ ভাগ গ্রাহককে এখানে সেখানে দাড়িয়ে থাকতে হয়, গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগার মত অবস্থা) এক কাষ্টমার সার্ভিস অফিসারের সামনে গিয়ে বসলাম। জানালম কি প্রয়োজন; সে তাড়াতাড়ি একটি ফর্ম ধরিয়ে বলল ফিলআপ করে নিয়ে আসতে, কিন্তু কোথায় রেখে ফর্মে লিখবো!! কোন লেখার জায়গা খালি নাই, সেখানেও লম্বা লাইনের মত। ততক্ষণে আমাকে সরিয়ে সেই অফিসার অন্য গ্রাহককে নিয়ে বসিয়েছে। যাহোক, কোনমতে দাড়িয়ে থেকেই ফিলআপ করে জমা দিলাম ঠেলেঠুলে। বলল পরের দিন মানে ২৯ মে সার্টিফিকেট পাব।



পরের দিন একটু সকালেই ব্যাংকে গিয়ে হাজির হলাম, যথারীতে অপেক্ষার পর একজন জানতে চাইল কি দরকার, বিস্তারিত জানালাম। সে বলল সার্টিফিকেট ঐ কাউন্টারে আছে। গেলাম সেখানে - হাতে একটা প্রিন্ট করা কাগজ ধরিয়ে দিল। ভাবলাম ওম শান্তি...........!! কিন্তু সার্টিফিকেটে খেয়াল করতেই দেখি আমার আর আমার বাবার নামের বানান ভুল!! যে মহিলা আমাকে সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেছিলেন তাকে গিয়ে বললাম। সে বলে আমাদের সিস্টেমে এমন বানানেই আপনার এবং আপনার বাবার নাম লেখা আছে। আমি মাথা চুলকাই, - কিভাবে সম্ভব!! আমি নিজ হাতে একাউন্ট ওপেনিং ফরম ফিলআপ করেছি, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডির ফটোকপি দিয়েছি - ভুল থাকলেতো আইডির সাথে মিলালেই ধরা পড়তো। তাছাড়া আমি নিজের নামের বানান ভুল করবো এতটা বেকুবতো এখনো হইনি।



তারপর খেয়াল করে দেখি আমার যে একাউন্ট নাম্বার সেটার পাশে ওল্ড লিখে নতুন একটা একাউন্ট নাম্বার সার্টিফিকেটে লেখা। জিজ্ঞেস করলাম ব্যাপার কি, তখন বলল যে, তারা তাদের সিস্টেম আপডেট করেছে এবং এর ফলে সব পুরাতন একাউন্ট বদল করে সেগুলোতে নতুন একাউন্ট নাম্বার দিয়েছে। বুঝলাম ব্যাপার খানা কি - কিন্তু সেই মহিলা মানতেই নারাজ। বলে আমার আর বাবার নামের বানান নাকি ওই রকমই!! এদিকে জুন মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই আমার সার্টিফিকেট দরকার। জানতে চাইলাম কি করা যায়। বলল কোন ভোটার আইডি বা পাসপোর্টের কপি দিয়ে ইন্সট্রাকশন দিয়ে দিতে, তিন ওয়ার্কিং ডের মধ্যে সেটা আপডেট করা হবে এবং পরের সপ্তাহের বুধ-বৃহঃস্পতিবারের দিকে সলভেন্সি সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে এবং এও বলল তাদের ফোন ব্যাংকিংয়ে আগে ফোন করে জেনে নিতে নামের বানান ঠিক হয়েছে কিনা। আমি আবার বাসায় গিয়ে ভোটার আইডি নিয়ে এসে সেটার কপি সহ বানান ঠিক করার জন্য ইন্সট্রাকশন দিয়ে চলে আসলাম।



পরের সপ্তাহের বুধবার ফোন ব্যাংকিংয়ে ফোন করে জানলাম সিস্টেমে নামের বানান এখনো ঠিক হয়নি। আমার তো মাথায় হাত! জুন মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আমার সার্টিফিকেট দরকার। ৪ তারিখ হয়ে গেছে, এখনো হলো না! কিন্তু কল ফোন ব্যাংকিং থেকে আমাকে জানালো সামনের সপ্তাহে অবশ্যই হবে, তবে সোম-মঙ্গল বারের দিকে আবারও ফোন করে আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে। সোম বার মঙ্গল বার ফোন দিলাম। কতক্ষণ টুটুটুটু মিউজিক শোনায় তার পর বলে "দ্যা কল ক্যান নট বি রিসিভড নাউ, প্লিজ হোল্ড।" এদিকে মোবাইলে বিলের বারটা। কিন্তু সোম-মঙ্গল কানেকশন পেলাম না। শেষে বুধবার মানে ১১ই জুন আবার ফোন লাগালাম, তবে কিছুটা রিলাক্স ছিলাম এই ভেবে যে কাজটি হয়তো হয়ে গেছে, যাস্ট ব্যাংকে যাবার আগে নিশ্চিত করে নেয়।



কিন্তু ফোন ব্যাংকিং থেকে আমাকে জানালো আমার আর বাবার নামের বানান এখনো ঠিক হয়নি। কিন্তু ততক্ষণে বিকেল হয়ে গেছে। পরের দিন মানে আজকে ১২ তারিখ বৃহঃস্পতি বার, এর পর ব্যাংক বন্ধ দুইদিন। চোখে আন্ধার দেখে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ সকালেই ব্যাংকে হাজির হবো। গেলাম ১২ তারিখ, মানে আজ সকাল সাড়ে নয়টায়। আবার সেই লাইন। ডাক পড়ার পর কাষ্টমার সার্ভিসে গিয়ে জানালাম কি সমস্যা। সব শুনে আর এক মহিলা কাষ্টমার কেয়ার অফিসার মুখ গম্ভীর করে বলে সিস্টেমে নামের বানান ভুল থাকলে কিছু করার নাই। যখন বললাম আমি দু'সপ্তাহ আগে বানান ঠিক করার ইন্সট্রাকশন দিয়ে গেছি তখন একটু নরম হলো। মেইন অফিসে ফোন করে কাকে যেন খুজলো, তারপর বলে যে এর দায়িত্বে সে নেই- কোথায় যেন গেছে!!



ততক্ষণে আমার মাথা গরম হয়ে কান দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে। জানতে চাইলাম আমি আদৌ কাগজটি পাব কিনা? কাস্টমার সার্ভিসের সেই মেয়ে আমাকে মধুর হেসে জানালো পরের সপ্তাহ নাগাদ হয়ে যাবে! এই কথায় আমি কোনই মধু খুজে পেলাম না, এবং কথায় কিছুটা তিতা মিশিয়ে জানালাম আমি আর অপেক্ষা করতে পারবো না, আমার কাগজটা আজই দরকার এবং সে কোন মূল্যে দরকার। বেশ কিছুক্ষণ তর্ক করার পর মেয়েটা মানলো যে ভুলটা তাদের, এবং আমকে এও জানালো সে নাকি তার সাধ্যমত চেষ্টা করেছে আমাকে হেল্প করার। আমি যখন ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সাথে একটু সাক্ষাৎ করতে চাইলাম তখন সে নরম হয়ে আমাকে দুপুর তিনটার পর আসতে বলল। উপায় নেই দেখে তাই মেনে বের হয়ে এলাম।



দুপুর তিনটায় আবার ব্রাঞ্চে যেয়ে জানতে চাইলাম কাজটা হয়েছে কিনা। তখন সেই মেয়ে হেলেদুলে চেয়ার ছেড়ে উঠল। জানতে চাইলাম আর কতক্ষণ সময় লাগবে - উত্তর: প্রিন্ট করা হয়নি, প্রিন্ট করে দিচ্ছি!!



আরও প্রায় বিশ মিনিট পরে প্রিন্ট করে আমাকে সে কাগজটা ধরিয়ে দিল। আমিও হাফ ছাড়লাম।



না!! - নামের বানান ঠিক আছে, বাবার নামও ঠিক আছে। আর একটু নিচে নজর দিলাম। একি!! আমার বাসার ঠিকানাতে রোড নাম্বার মিসিং!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!



এবার কি করবো!?? আবার ওটা ঠিক করতে বলবো, না থাক। এটা ঠিক করতে আরও দু' সপ্তাহ লাগবে।



তাই ভুল ঠিকানার সার্টিফিকেট নিয়েই ওই গুদাম থেকে বের হয়ে আসলাম।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১১

মামু বলেছেন: মাইরের উপর ওছুদ নাই

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২০

বহুরূপী মহাজন বলেছেন: হক কথা

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৫

মইন বলেছেন: এল্লাই দেশি বেসরকারী ব্যাঙ্ক পছন্দ না।
দেশি হইলে সরকারী গুলিতে করেন, তাও অনেক ভালো সুবিধা পাইবেন। বেসরকারী হইলে বিদেশী ছাড়া উপায় নাই।

তয় মামা-চাচার জোর থাকলে ওইডা বড়ই কাম দিতো।

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২০

বহুরূপী মহাজন বলেছেন: হুম, অখন বৈদেশি তে গেছি।

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৭

রাতমজুর বলেছেন: আমার এ্যাকাউন্ট এসসিবি তে, সার্ভিস কুইক পাই :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২১

বহুরূপী মহাজন বলেছেন: মোর ও অখন হেইখানে.......দেখি সামনে কি অবস্থা হয়!

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৭

নিঃসঙ্গ বলেছেন: বিরক্তিকর :|

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২১

বহুরূপী মহাজন বলেছেন: অবশ্যই....যে সয় সেই বুঝে!

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৯

আবু নাসের মোহম্মদ রেজা বলেছেন: "ব্র্যাক ব্যাংক" এর ক্রেডিট কার্ড সিস্টেমের সাথে কাজ করতে হয়েছিল কিছুদিন। সেই আলোকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি " জীবনেও ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে কোন প্রকার আর্থিক সম্পর্কে জড়াবো না এবং পরিচিত সবাইকে ব্র্যাক ব্যাংকের ফাদ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করব"।

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৪

বহুরূপী মহাজন বলেছেন: অতি মহানুভব উদ্যোগ :)

৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩০

সোহান বাশার বলেছেন: সব পুরাতন একাউন্ট বদল করে সেগুলোতে নতুন একাউন্ট নাম্বার দিয়েছে এর মানে কি?

খোলা খুলি ভাবে বলেন ভাই?

আমার এটিএম কার্ড হারানোর পর আবার এটিএম উঠাইলাম তারপর দেখলাম নতুন একাউন্ট নাম্বার । পড়ে বল্ল আমার এখন দুইটা একাউন্ট যে কোন একটা ব্যাবহার করতে পারব। বাস বাহিরে চলে আসছি।

এখন আবার সব পুরাতন একাউন্ট বদল করে সেগুলোতে নতুন একাউন্ট নাম্বার দিলে আমি শেষ।

আবার শুনলাম এটিএম এর সার্ভিস চার্জ নাকি বাড়াইছে? বর্তামানে এটিএম এর চার্জ কত জানাবেন কি?

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৩

বহুরূপী মহাজন বলেছেন: লোকমুখে শুনিয়াছি ১৫০০ টাকা করবে। আমি আর কোন খোজ নেই না। সময় করে একদিন একাউন্ট বন্ধ করে আসতে হবে।

৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫১

আসিফ বলেছেন: এইচ.এস.বি.সি.তে ১ বছরের ট্র্যানজাক্সন বের করতে ১১৫০ টাকা লাগে - তাও এক দিনে পাওয়া যায় না, কারণ ব্র‌্যানচে শুধু ৬ মাসের ট্র‌্যানজাক্সন রাখা হয়। বিদেশীগুলাও বদ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বহুরূপী মহাজন বলেছেন: সে কথা আর বলতে। অরাই তো রাস্তা দেখাইসে...

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০২

রেডসিগনাল বলেছেন: আমি ও ভাই বিপদে আছি, আমি একজন প্রবাসি সোনালী এবং কৃষিতে আমার হিসাব ছিল,টাকা সময় মত না দেয়ায় এবং তাদের ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে .ব্র্যাক ব্যাংকে হিসাব খূলে আমার বাবা কিন্তু সেখানেও একই অবস্থা

WESTERN UNION এ আমি টাকা পাঠাই কিন্তু আমার বাবাকে সাথে সাথে টাকা না দিয়ে দুই দিন পরে টাকা দেয় অনেক ঘুরার পরে,
আমার বাবা বৃদ্ধ তাই

ব্র্যাক ব্যাংকে আমার ভালো লাগে না.

১৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বহুরূপী মহাজন বলেছেন: :) এই হয়......

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৫

ওয়ার হিরো বলেছেন: ব্রাক একটা ফালতু ব্যাংক, জঘণ্য

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৬

রেডসিগনাল বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৭

মেঘ বলেছেন: ব্যাংক সব গুলাই একই রকম। এগুলার বিরুদ্ধে কেস করা দরকার। আমি নিজে ব্যাংকার কিন্তু আমার চরম খারাপ লাগে। সাউয়ারা পে অর্ডার করতে (আমার ব্যাংকে) ২৩০ টাকা চার্জ কাটে। নিজেদের বাল কাটার টাকাও কাস্টমারদের কাছ থেকে নেয়। সার্টিফিকেট দিতে ৫৭৫টাকা চার্জ কাটে। ৫০টাকা যেখানে যথেষ্ট। ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট পার মান্থ হিসেবে ২৩০টাকা, যেখানে পার পেজ ১০টাকা নেয়াও আমি অনেক বেশি মনে করি। পার্সোনাল লোনের রেট ১৮%, কেন? জানতে চান আবজাব বুঝাবে। এটিএম কার্ডের চার্জ আমার এখানে ৩৪৫টাকা। আমি আমার বসরে জিগাইসিলাম ইন্টারনেট ব্যাংকিং এ ব্যাংকের কি খরচ হয় যে ক্লায়েন্টকে আমরা ১২০০টাকা চার্জ করি?? আমতা আমতা করছে। ডাকাইতি করে, স্রেফ ডাকাইতি। সব ফকির ফকিরনীর পুত ঝি দেখবেন কোট টাই পিন্দা ভাব নিয়া বইসা আছে। নিজের রিজিক নিয়া এত কথা বললাম বলে মাইন্ড খাইয়েন না। বাংলাদেশের কোন ব্যাংক, ব্যাংকিং করে না, মারোয়াড়ি, কাবুলিওয়ালাদের মতো মানুষ ঠকায়।

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩১

হৃদয়হীনা বলেছেন: @ মেঘ জঘন্য সইত্য কতা বলার জইন্য ধইন্যবাদ।

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩১

রেডসিগনাল বলেছেন: হালারা চোর

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৫

আতিকুল হক বলেছেন: ব্যাংকে আমার এলার্জি আছে, খালি ভুগি। দেশেও ভুগছি, আমেরিকায় আইসাও ভুগি। এইচ এস বি সি তে ব্যাংক স্টেটমেন্ট তুলতে আমার এক সপ্তাহের বেশি লাগছে। কয় পাতা কাগজ প্রিন্ট করতে এত সময় কেমনে লাগে আল্লাহই জানে।

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:১৮

তিনিই সত্য বলেছেন: ব্র্যাক ব্যাংকের মত জঘন্য ব্যাংক আর নাই। আমি ৬ মাস ব্যবহার করে বুজেছি...

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:১৯

অলস ছেলে বলেছেন: সবাই মাটির মধ্যে গর্ত কইরা কলসিতে টাকা রাখেন আর লোকেশনটা নকশা এঁকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন, নিরাপত্তার দায়িত্ব লইব।
ব্র্যাক ব্যাংক নিপাত যাক। দুঃখ পাইলাম আপনার ইসলামী ব্যাংক নিয়া অভিজ্ঞতা নাই। তাইলে একটু আলাদা ফ্লেভার আসতো।
এত এত যে চার্জ কাটে ব্যাংকগুলো, কাষ্টমার রা সব জানে কি না কে জানে। আমার জানা নেই, তবে মনে হয়, এধরণের খরচের কোন লিষ্ট কাষ্টমারকে দেয়াও হয়না, কিংবা হয়তো ওয়েব সাইটেও থাকেনা। আর বাংলাদেশে ওয়েব সাইটই বা কয়জন দেখার সুযোগ পায়। তাই, সব ভাই ও বোনেরা মাটি কলসি আন্দোলন জোরদার করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.