নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঠাহর

ঠাহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিভাবে কি হল !! বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে গ্রহ নক্ষত্রের সৃষ্টির একটি সরল বর্ণনা ……!!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

মহাবিশ্বে মহাকাল মাঝে
মানব একাকী আমি ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে………

Big bang এর অনেক বছর পর তৈরি হল হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন-এ থাকে ১টা প্রোটন ও ১টা নিউট্রন। তাই সেটা হওয়াই সবচেয়ে সহজ ও স্বাভাবিক। এভাবে অনেক হাইড্রোজেন হওয়ার পর অভিকর্ষ বলের প্রভাবে তারা একত্রিত হতে লাগলো। এভাবে একত্রিত হতে হতে যখন সেখানে অনেক হাইড্রোজেন হয়ে গেল, তখন তাদের মোট মাধ্যাকর্ষণ বলের পরিমাণও বেড়ে গেল এবং হাইড্রোজেন একসাথে জড়ো হওয়ার পরিমাণও অনেক বেড়ে গেল। ফলে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও (ঘর্ষণ) বেড়ে গেল। তাই তাদের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকলো। এখানে এখন দুটো ঘটনা একসাথে ঘটছে। এক- তাপমাত্রা বাড়ার কারনে হাইড্রোজেনগুলোর ছুটোছুটি এবং ঘর্ষণ বাড়ছে, যা তাদের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। দুই- যেহেতু মহাবিশ্বের যে স্থানে তারা আছে, সেখানে তারা একে অপরের মাধ্যাকর্ষণ বল ছাড়া আর কোন বল পাচ্ছে না, তাই সেই স্থান থেকে হাইড্রোজেনগুলো মুক্তভাবে সরেও পরতে পারছে না। তারপর সেখানে তাপমাত্রা এমন একটা পর্যায়ে আসে, যখন দুটো হাইড্রোজেন এক হয়ে একটা হিলিয়াম তৈরি করে। ৪টা হাইড্রোজেন নিউক্লি (২টা প্রোটন, ২টা ইলেক্ট্রন) যখন এক হয়ে ১টা হিলিয়াম নিউক্লিয়াস (২টা প্রোটন, ২টা নিউট্রন) তৈরি করে, তখন বিপুল পরিমান শক্তি সেখান থেকে বের হয়ে আসে, যা আমরা আলো, তাপ, বিভিন্ন প্রকার বিকিরন হিসেবে পাই। এই দুটো নিউক্লিয়াস এক হয়ে ১টা নিউক্লিয়াস-এ পরিনত হওয়াকে বলে ফিউসন বিক্রিয়া। এভাবেই নক্ষত্রের সৃষ্টি হয়। আমাদের সূর্যের সৃষ্টিও মোটামুটি একই প্রক্রিয়ায় হয়েছে। আমাদের সূর্য থেকে আমরা যে আলো ও তাপ পাই, তা এই ফিউসন বিক্রিয়ারই ফল।

আমাদের সূর্য বা যেকোনো নক্ষত্র এভাবেই জ্বলতে থাকবে, যতক্ষণ না এর সমস্ত হাইড্রোজেন হিলিয়ামে পরিনত হয়। হাইড্রোজেন শেষ হয়ে যাওয়ার পর হিলিয়ামের ফিউশন শুরু হয়। হিলিয়াম থেকে হবে কার্বন, অক্সিজেন। একটা নক্ষত্রে কতদুর পর্যন্ত ফিউশন বিক্রিয়া হবে, তা নির্ভর করে সেই নক্ষত্রের প্রাথমিক ভরের উপর। আমাদের সূর্যের শেষ পরিনতিতে কার্বন- অক্সিজেন হবে। নক্ষত্রের ভর যদি আমাদের সূর্য থেকে অনেক বেশি হয়, তবে সেখানে আরও ফিউশন বিক্রিয়া হবে। বড় বড় নক্ষত্রগুলোতে কার্বন- অক্সিজেন হওয়ার পর ধাপে ধাপে দুটো করে হিলিয়াম যুক্ত হয়ে তৈরি হয় নিয়ন, ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকন, সালফার ইত্যাদি। এভাবে ধাপে ধাপে প্রতি ধাপে দুটো প্রোটন, দুটো নিউট্রন যোগ হয়ে আয়রন পর্যন্ত হয়। আবার দুটো সিলিকন মিলেও আয়রন হতে পারে। আমরা যত মৌল সম্পর্কে জানি, তার সবই এভাবে ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে বিভিন্ন নক্ষত্র গহ্বরে সৃষ্টি হয়েছে। সেসব নক্ষত্রের বিস্ফোরণে(Super nova explosion) সময় বা পরে এসব মৌল আবার মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে গ্যাস, ধুলোবালি আকারে। আবার তারা পুঞ্জিভুত হয়ে তৈরি হয়েছে নতুন নক্ষত্র বা গ্রহ-উপগ্রহ।
লক্ষকোটি বছর আগে (হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম ছাড়া) আমাদের এই পৃথিবীর সমস্ত উপাদান তৈরি হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র গহ্বরে। আমাদের DNA-এর নাইট্রোজেন, দাঁতের ক্যালসিয়াম, রক্তের আয়রন, খাদ্যের কার্বন সবই নক্ষত্রজাত।

We are nothing but star dust……


Source: Cosmos: Carl Segan, Wikepedia.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.