![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলোনা একটু চা খাই ৷ কতদিন টং দোকানের চা খাই না ৷
না না, আমার ভয় করে ৷ দেশের যে অবস্থা, এমনিতেই আমরা অনেক বেশি দু:সাহস দেখাচ্ছি ৷ এত রিস্ক নেয়া ঠিক হবে না ৷
ধুর, তুমি একটা ভীতুর ডিম ৷ অন্ধকার হয়ে গেছে, কে আমাদের খেয়াল করবে এত ভিড়ের মধ্যে ? তাছাড়া, চারপাশে দেখছ না কত পুলিশ... কিচ্ছু হবে না ৷ চলো তো...
আচ্ছা বাবা.... চলো....
এ দেশটাকে নিয়ে আমি খুব আশাবাদী ৷ যদিও এদেশের সমাজ- রাজনীতি এখনো ধর্মান্ধদের নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু একটা শ্রেণী, একটা জেনারেসন কিন্তু গড়ে উঠছে ঠিকই ৷ এরাই দেখবে একদিন সমাজটাকে বদলে দেবে ৷
কি জানি, হবে হয়ত....! কিন্তু ততো দিনে আরো কত মূল্য দিতে হবে কে জানে !
হঠাৎ মাথায় কিসের যেন আঘাত অনুভব করলো অভিজিত ৷ পেছন ঘুরে তাকিয়ে দেখে ২৫-২৬ বছরের দুই তরুণ কি দিয়ে যেন আঘাত করছে ৷ আত্মরক্ষার জন্য অভিজিত হাত বাড়ালো, কিন্তু লাভ হলো না ৷ ওরা আঘাত করেই যাচ্ছে ৷ মনে পড়ে গেল হুমায়ুন আজাদ স্যারের কথা ৷ আমারো তাহলে একই পরিনতি হচ্ছে ? একটা প্রশান্তি এসে বুকটা ভরে উঠলো অভিজিতের... তার মানে সমাজটা একদিন ঠিকই বদলাবে ৷ পরিবর্তনের হওয়া বইতে শুরু করেছে, এজন্যই ওরা আজ এত ভীত ৷
বন্যা ওদেরকে থামানোর চেষ্টা করছে ৷ অভিজিতের খুব বলতে ইচ্ছা করছে, বন্যা পালাও ৷ তোমাকে পাশে নিয়ে আরেকটা সূর্যোদয় দেখা হবে না, কিন্তু প্রতিটা সূর্যোদয়ে আমি তোমার পাশে থাকব ৷ ভোরের প্রথম আলো হয়ে তোমাকে স্পর্শ করব ৷ সবকিছু কেমন যেন ঝাপসা হয়ে আসছে ৷ শেষবারের মতো প্রিয় মাতৃভূমির বাতাসে বুকটা ভরে নেয়ার চেষ্টা করলো অভিজিত ৷ তারপর শুধুই নিস্তব্ধতা...
অভিজিত স্যারের শেষ সময়টা কি এরকম ছিল? কি ভাবছিলেন তিনি মৃত্যুর কলে ঢোলে পরার আগে! কি আর আসে যায় তাতে! সবইতো শেষ...! খুব ইচ্ছা ছিল একদিন অভিজিত স্যারের সাথে দেখা করব, কিছু সময় কাটাব, কিছু গল্প করব I কিন্তু হলো না !
অভিজিত স্যার, আমি জানিনা কতটা অভিমান আর হতাশা নিয়ে আপনি চলে গেছেন, কিন্তু আপনি আমাকে খুবই হতাশ এবং বঞ্চিত করলেন ৷ শুধু আমাকে বঞ্চিত করলেন বললে ভুল হবে ৷ আগামী অন্তত ১০০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে বাংলাভাষী অনেক মানুষই বঞ্চিত হবে ৷ এই ক্ষতি অপূরণীয় ৷ আপনি কেন গেলেন বই মেলায় ! যাবেনই যখন, প্রতিদিন যাওয়া লাগে...! একটু সতর্ক হলে কি এমন ক্ষতি হতো...!