নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল আহমেদ

একজন গাঙ্গচিল

লেখলেখি করি একটু আধটু যদিও লেখার হাত ভালো না। অবশ্য লেখালেখির চেয়ে বড় পরিচয় আমি একজন বড় পাঠক। মুক্তিযুদ্ধ আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। সবসময় স্বপ্ন দেখি একটা সুন্দর বাংলাদেশের। ইমেইল[email protected]

একজন গাঙ্গচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শৈশব ও সিগারেট

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০

সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি আমার বাবা আমার দাদুকে খুব শ্রদ্ধা এবং কিছুটা ভয় করত। ঠিক তেমনি আমিও আমার দাদুকে খুব শ্রদ্ধা করতাম।



খুব ছোটকাল থেকে আমার বাবার প্রতিটা জিনিস আমি অনুকরন করতাম। এক রকমের প্যান্ট পরতাম, সকালে উঠে বাবার সাথে হাটতে বের হওয়া, একসাথে গোসল করা খাওয়া ইত্যাদি। বাবার সিগারেট খাওয়া দেখে আমিও একদিন বাবার সিগারেটের প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে আরাম করে পায়ের উপর পা দিয়ে সিগারেট খাচ্ছিলাম, খানিক বাদেই বাবা রুমে এসে হাজির। আমার এই অবস্থা দেখে তো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। কিছু বুঝে উঠার আগে গালের উপর বসিয়ে দিলেন এক থাপ্পর। থাপ্পর খেয়ে আমিতো অবাক!!! বাবা আমাকে কেন থাপ্পর দিল-আমি বুঝতেই পারলাম না।



পরে তো কান্নাকাটি করে একেবারে বাসা মাথায় করে তুল্লাম। আব্বু খুব বোঝালো যে সিগারেট খাওয়া ভাল না। তখন আমার মাথায় প্রশ্ন চেপে বসল তাহলে-আব্বু তুমি কেন সিগারেট খাও তাহলে? প্রতিউত্তরে আব্বু হাসতে হাসতে বল্লো বয়স হলে খেতে হয়।

কিন্তু কেন জানি আমার কাছে তখন উত্তর টা গ্রহনযোগ্য মনে হলনা। তখন আব্বু সিগারেট খাচ্ছিলো, নিশ্চিত হবার জন্য তাই দাদুর কাছে গেলাম। গিয়ে বললাম দাদু তোমার ছেলে সিগারেট খাচ্ছে। দাদুতো সঙ্গে সঙ্গে বিশাল এক ধমক দিয়ে বলল ভালোই করছে তুমিও সাথে খাও। আমিতো ভাবলাম দাদুও আমাকে খেতে বলছে সিগারেট। আমি বললাম তাহলে কি আব্বুর সাথে আমিও সিগারেট খাব?



তারপর দাদু কি করলো কিংবা কি বল্লো, থাক আর নাই বলি। কিন্তু সেদিনের পর আজ পর্যন্ত কোনদিন ভুলেও সিগারেট খাইনি, কিংবা সিগারেট এর উপর বিন্দুমাত্র আসক্ত হয়নি।



এখন কোন কিছুতে একটা ভুল হলেই প্রথমে আব্বু আর দাদুর কথা খুব মনে পড়ে। ছোটবেলায় যদি তাদের কাছে আরো বেশি বেশি ভালো শিক্ষা নিতে পারতাম- এই আক্ষেপ টা এখনো আমাকে পোড়ায়।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.