![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখলেখি করি একটু আধটু যদিও লেখার হাত ভালো না। অবশ্য লেখালেখির চেয়ে বড় পরিচয় আমি একজন বড় পাঠক। মুক্তিযুদ্ধ আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। সবসময় স্বপ্ন দেখি একটা সুন্দর বাংলাদেশের। ইমেইল[email protected]
মিশুক,
নামটা আমার কাছে একটা স্মৃতির পাহাড়।
সেই ডিজুইস সিম আর রাত ১২ টা অবধী মধুর অপেক্ষা, আবার ভোর হলেই ফোন করে ডেকে দেওয়া। ক্লাশে সবসময় একসাথে একই বেঞ্চে বসা, একই স্যারের কাছে পড়তে যাওয়া। পড়তে যাবার সময় বাসা থেকে আমায় ডেকে নিয়ে যাওয়া
হুটহাট সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়া, একজন প্যাডেল মারে আর দুটো সাইকেল একসাথেই চলে। কত কতবার এক্সিডেন্ট করেছি তবুও সারাটা রাস্তা এভাবেই সাইকেল চালিয়ে যেতাম। পল্লী বিদ্যুৎ এর ওখানে ফেলে রাখা বৈদ্যুতিক খুটির উপর বসে বেশিরভাগ সময় চলতো গল্প আরা আড্ডা।
মুজিবনগর, আমঝুপি, তেরোঘরিয়া বিল, বুড়িপোতার ইন্ডিয়া সীমান্তে, ঝাওবাড়ী, রাধাকান্তপুর, রাজাপুর, আলমপুর, যাদবপুর সহ কত জায়গা ঘুড়ে বেড়িয়েছি সেসময়। ভালো ক্রিকেট খেলে, তার খেলা দেখার জন্য ছুটে ছুটে যেতাম। রাগ...অভিমান...। সেই স্কুল জীবনে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গেলে একটা বই লিখতে হবে।
সেসময় এমন কোনো দিন নাই যে আমাদের দেখা হতোনা। শিক্ষা বা কর্মসুত্রে দুজন দুই জাগায় থাকি। কিন্ত এখনো দেখা হলে সেই আগের মত উচ্ছ্বাস, আনন্দে ভেসে যাওয়া, আমাকে খুশী রাখার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়া, শেয়ার করি আমাদের সুখ দুঃখবোধ, জীবন থামিয়ে দেওয়া কিছু স্মৃতির পর্দা মেলে ধরি। যাই বলি আর যাই শুনি সবকিছু ভালো লাগে। ফেলে আসা দিনগুলোর প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।
আমি মুগ্ধ হই, তার পাগলামি তে আমাকে মুগ্ধ করে। মেহেরপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছি জেনে রাত ১১ টার সময় আমার আগেই কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকা, যাবার সময় জড়িয়ে ধরা। কেও কিছু বলতে পারিনা,আমার গলা আটকে যায়। পাছে টের পেয়ে যাবে এইজন্য দ্রুত সীটে গিয়ে বসি। বাস স্টার্ট দেবার পরপরই মিশুকের টেক্সট পাই "miss u boss
©somewhere in net ltd.