আবারো সাভার ট্র্যাজেডি: বেঁচে থাকার ওই আর্তনাদ আর প্রাণে সয়না

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৯

খবরে যখন দিখি সাভাররে ওই রানা প্লাজার ভেতর থেকে মানুষগুলো বাঁচার জন্য আর্তনাদ করছে ভাই বাঁচান,আমি এই পিলারের নিচে আছি ,আমি এত তলায় আছি বাবা আমাকে বাঁচাও এমন ম্যাসেজ দিচ্ছে ,আর সহ্য হয়না ওই আর্তনাদ। অনকেই উদ্ধার কর্মীদরে দেখে ফাঁক ফোকর দিয়ে বলছেন ভাই আমার কোমর পর্যন্ত কেটে ফেলে হলেও আমাকে বাঁচান,একটি মেয়ে এক ডাক্তারকে দেখে বললেন 'জানি আমাকে বাঁচাতে পারবেন না ,তবে আমার সাথে একটু কথা বলেন' আরেকজন বলল ভাই দুইদিন ধরে আমি চাপা পড়ে আছি আমাকে একটা ছুড়ি দেন ওটা আমার বুকের মধ্যে বসিয়ে দেই আমি আর বাঁচতে চাইনা। টিভিতে এ খবর দেখার পর আর আমি লাইভ খবর দেখছিনা। আর সহ্য করতে পারছিনা এ আর্তনাদ। শুধু স্কলে দেখে খবর নিচ্ছি কতজন জীবিত উদ্ধার করছে আর উদ্ধার হচ্ছে কত লাশ।

{এ শোক প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। সাভার ট্র্যাজেডিতে যারা নিহত হয়েছে আল্লাহ তাদের বেহেশত নসিব করুক,তাদের পরিবারের সকলকে ধৈর্য্য ধারণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেক খোদা,যারা বেঁচে আছে রহমানির রাহিম তাদের দ্রুত সুস্থতা দান করুক এবং নতুন করে জীবন শুরু করার সকল ব্যবস্থা তিনিই করে দেবেন যিনি তার কুদরতি রহমত দ্বারা বাঁচিয়ে রেখেছন। ---আমিন }

একাত্তর টেলিভিশন এর বার্তা পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার এ কথাগুলো আমাদের সবার একটু চিন্তা করে দেখা প্রয়োজন=

কোনো ঘটনায়, যেখানে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠি বিশেষের অপরাধ প্রমাণিত, সেখানে শৈথিল্য বা উদাসীনতা দেখানোও এক ধরনের অপরাধ।মাত্র পাঁচমাস আগে তাজরীন ফ্যাশন্স-এ আগুন লাগার ঘটনায়, ১১২ জন মারা যায়। অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু মালিককে আজও আটক করা হয়নি।একের পর এক ঘটছে গণহত্যাকাণ্ড। শিকার দরিদ্র শ্রমিকরা। কখনো আগুনে পুড়ে, কখনো ভবন ধসে। বেশিরভাগ ঘটনার শিকার দরিদ্র নারী শ্রমিকনির্ভর তৈরি পোশাক শিল্পখাত। এমনসব অপকাণ্ডে দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠে। বিক্ষোভ করে পোশাক শিল্পখাতের শ্রমিকরা। টেলিভিশন-এ দু’একটা বেশি টক-শো করে আরো কিছু অর্থ বাগিয়ে নেন, তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা। কিন্তু শ্রমিকের কান্না, আহাজারি, তাদের আর্জি ক্ষমতার কেন্দ্রে বসে থাকা ব্যক্তিদের দফতরে কিংবা বাসভবনে পৌঁছে না।শুধু নিন্দা আর প্রতিবাদে থেমে গেলে চলবে না- মানুষ হত্যার এমন ঘটনা কেন সরকারকে ক্ষুব্ধ করে না, বরং হত্যায় লিপ্তদের প্রতি নমনীয় ও সহনশীল রাখে, তার কারণ বোঝা দরকার। দরকার তারও প্রতিবাদ করা।

০ টি +০/-০