নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিথ্যা ধ্বংস হোক।

নিবিড় এখন

আমি খুব শান্ত..

নিবিড় এখন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি তা-ই করি যা আমাকে সন্তুষ্ট করে

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৯

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে আমি মাসে প্রায় ৪শ’ ডলার বেতন পেয়েছি। এছাড়া আমি বিভিন্ন লেকচার ও বই থেকে যে উপার্জন করেছি তার সবই ব্যবহার করেছি ইউনূস স্টোর চালাতে। আমি খুব সাধারণ জীবনযাপন করি। আমার আর কিছুর দরকার নেই। আমার পরিবার তা জানে। আমি তা-ই করি যা আমাকে সন্তুষ্ট করে। বিলাসিতায় আমার কোনো প্রয়োজন নেই।





৯ মার্চ অনলাইন স্টার ট্রিবিউনে প্রকাশিত একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।



কিভাবে ক্ষুদ্র ঋণের প্রয়োগকে ব্যাখ্যা করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “প্রতিটি নারীই তার নিজের জীবনের সাক্ষী। কয়েক লাখ নারী আছেন যারা এখন ভাবতে পারেন তাদের এখন আর কিছু না থাকার অনুভূতি নেই। এটাই ক্ষুদ্রঋণের শক্তি।”



তিনি বলেন, “বর্তমানে ক্ষুদ্রঋণের ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রেও। সান ফ্রান্সিসকো ও নিউইয়র্কে গ্রামীণ ব্যাংক আমেরিকার রয়েছে ছয় হাজার ঋণগ্রহীতা।”





দ্রুত গ্রামীণ ব্যাংকের ধারণার বিস্তার সম্পর্কে ড. ইউনূস বলেন, “আমি কখনও ভাবিনি এ ধারণা এতটা বিস্তারলাভ করবে। আমি শুধু স্থানীয়দের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। দাদন ব্যবসায়ীরা দরিদ্রদের চুষে খাচ্ছিল। আমি ভাবলাম আমার শহরের এ সমস্যা তো আমি সমাধান করতে পারি। আমি তাই মাত্র ২৭ ডলার দিয়ে শুরু করেছিলাম। এ অর্থ আমাকে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। তারপর আমি ভাবলাম কেন এ ধারণা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো না।”



গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ ফেরত পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ শতকরা ৯৬ থেকে ৯৭ ভাগ আদায় হয়। এ বিষয়ে কোনো জামিনদাতার দরকার হয় না। আমরা ঋণ আদায়ে কোনো চাপ দিই না। নিউইয়র্ক সিটিতে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ ফেরত দেওয়ার হার শতকরা ৯৯.৬ ভাগ।”







ড. ইউনূস বলেন, “আমি গ্রামীণ ব্যাংকের শিশুদের বিষয়ে কথা বলি। এটা আমাদের জন্য খুব আনন্দের খবর যে, শিশুরা তাদের শিক্ষা সম্পন্ন করছে। শিক্ষা সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ধনী ও গরীবের শিশুর কোনো পার্থক্য নেই।”







ক্ষুদ্রঋণের সফলতা ও গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের দ্বন্দ্বে গ্রামীণ ব্যাংক তিনি অবসরে যেতে বাধ্য হন। এ সময়টাকে কিভাবে বর্ণনা করবেন এবং তাতে আপনার ওপর কি প্রভাব ফেলেছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “এটা আমার কাছে দুঃখজনক অভিজ্ঞতা। কিন্তু আমি আমার কাজের মধ্যে ডুবে আছি। বাংলাদেশ ও অন্য দেশে সামাজিক বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাজ চলছে। এখন আমার বয়স ৭২ বছর।”



এখন কিভাবে সময় ব্যয় করেন সে প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “আমি ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর ইউনূস সেন্টার শুরু করলে লোকজন আমাকে ফোন ও ই-মেইল করতে শুরু করেন। তারা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। এর সবকিছুই আমি নিজে হ্যান্ডেল করতে পারি না। তাই আমার কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মী আছেন। তারা আমাকে সহায়তা করেন।”



তিনি বলেন, “এখন আমরা জার্মানিভিত্তিক ইউনূস সামাজিক ব্যবসার মতো কর্পোরেট বাণিজ্য চালু করেছি। আগামী নভেম্বরে আমরা বাণিজ্য বিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন করতে যাচ্ছি। গত বছর আমরা ভিয়েনাতে এটা করেছি। এতে যোগ দিয়েছেন ৫শ’ অতিথি। এ বছর অনুষ্ঠিত হবে কুয়ালালামপুরে। এতে যোগ দেবেন এক হাজার অতিথি।”

সংগ্রহ: primekhobor.com

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.