![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংবাদিকদের ওপর বোমা মারাই উচিত বলে মত দিয়েছেন ফরহাদ মযহার। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকরা গণবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী। এমনকি সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ফরহাদ মযহার। তিনি বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য একমাত্র সাংবাদিকরাই দায়ী। বাংলাদেশে সন্ত্রাসও শুরু করেছে গণমাধ্যম।
গত সোমবার এক বেসরকারি টেলিভিশন এর ‘একুশের রাত’ টকশোয় হাজির হয়ে সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ফরহাদ মযহার।
মনির হায়দার- আমরা কি পক্ষপাতিত্ব করছি বা নিরপেক্ষতা হারিয়েছি? মানে আমরা গণমাধ্যম কি নিরপেক্ষ নই?
কাজী ফিরোজ রশীদ- অবশ্যই .. আর না হলে কেন এই হামলা হবে? আমি এইটা বলতে চাই যে, আমি যখন দেখবো, আমি রাজনীতি করি, আমার প্রতিপক্ষে সংবাদপত্র, সংবাদকর্মী বা চ্যানেল দাঁড়িয়ে গেছে তখন ওইখানে প্রতিঘাত করার সমস্ত অধিকার কিন্তু ওই যাদের বিরুদ্ধে তারা দাঁড়ায়, প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তাদের থাকে। কারণ এরাতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামছে। একসময় বিটিভিকে বলা হতো সাহেব-বিবি-গোলামের বাক্স। উনি লিখছেন, এই ফরহাদ মাজহার সাহেব আছেন, সাহেব-বিবি-গোলামের বাক্সো। এখনতো খালি গোলামের বাক্সো হয়ে গেছে ! কি দুর্ভাগ্য !!। সাহেবও নাই, বিবিও নাই, শুধু গোলাম, হায় হায় রে বিটিভি !! কি দৈন্যদশা !!
এই যে সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত বড় বড় চোরদের দেখি, ওখানে বসে কথা বলে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত... তারা ওখানে বসে কথা বলে। কোথায় দেশের অবস্থা আজকে? তারপর অন্য চ্যানেলের কথা আমি বলবো না, কিন্তু আমি সবাইকে বলতে চাই যে, দেখেন আপনাদের.... দেশের প্রতি যেমন সবার একটি ভালোবাসা আছে, দায়িত্ববোধ আছে, আপনারা যার যার দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্বের বাইরে গেলে কিন্তু এই ধরনের ঘটনা আরো ঘটবে।
ফরহাদ মযহার- জি আমি আপনাকে ... একটা হচ্ছে প্রথমত, সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে এইটা একটা সত্য কথা যে, বাংলাদেশে এখনকার যে গণমাধ্যমগুলো তারা নিরপেক্ষতো নয়ই, একই সঙ্গে তারা গণবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যদি কাউকে দায়ী করতে হয়, মানে আমি আপনাদের থেকে ভিন্নরকম বলবো ..... আমি তাদেরকেই দায়ী করি। আপনি আজকে এই যে বিরোধী মতকে আপনি দমন করছেন এবং ক্রমাগত আপনি গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে কোন বিরোধী চিন্তাকে হাজির করতে দিচ্ছেন না। আপনি অল্প কিছু ব্যক্তিকে, যেমন টকশোতে ধরুন, অল্প কিছু ব্যক্তিকে যে ক্রমাগত পুতুলের মতো তাদেরকে আপনি দেখাচ্ছেন সারা দেশের জনগণের কাছে, সমাজে যে আরো বহু শ্রেণি এবং শক্তি আছে, এখানে যে বিরোধী দল বলে একটা আছে, তাদের যে পক্ষে কথা বলার, তাদের বক্তব্য হাজির করার আপনি কোন পরিস্থিতি রাখছেন না...... তো এটাতো স্বভাবতই, এটা শেষ হবে বোমাবাজিতে। কারণ আপনি যখন কাউকে কথা বলতে বন্ধ করে দেবেন, স্বভাবতই এটা শেষ হবে সন্ত্রাসে। কারণ আপনি তো আমার কথা বলতে ... আপনিতো সন্ত্রাস গড়ে তুলেছেন। তাহলে বাংলাদেশে সন্ত্রাস শুরু করেছে গণমাধ্যম। এটা পরিষ্কার বুঝতে হবে আমাদের।
মনির হায়দার - তাহলে আমরা কি এদেশে থাকবো না ? এটা যদি আরো ক্রমবর্ধমান হারে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে?
ফরহাদ মযহার - খুবই ভালো প্রশ্ন করেছেন। আমরা বলতে আপনি কাকে বোঝাচ্ছেন ?
মনির হায়দার - নাগরিক
ফরহাদ মযহার- না আপনি নাগরিক নন। কারণ আপনি নাগরিক হলে প্রথম আপনার উচিত ছিল দাবি করা, গণমাধ্যমে আমাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া। আজকে আমরা কথা বলছি। আজকে বাংলাদেশের একজন সংবাদপত্রের সম্পাদক জেলে। আমি যখন কথা বলছি, তখন দিগন্ত টেলিভিশন বলে একটা টেলিভিশন যেটা বিরোধী দলের কথা বলতো, সেটা বন্ধ- অন্যায়ভাবে। আমি যখন কথা বলছি, ‘আমার দেশের’ প্রেসকে আপনি বন্ধ করেছেন অন্যায়ভাবে। আমি যখন কথা বলছি ইসলামিক টিভি বন্ধ, আমি যখন কথা বলছি চ্যানেল ওয়ান বন্ধ। তো আপনি এটার কি ব্যাখ্যা করবেন ? আপনারা কারা গণমাধ্যমের লোক?
মনির হায়দার - আপনাদের এই চ্যানেলগুলোতো প্রচলিত সরকারের বিরোধিতা করতো বেশি বেশি।
ফরহাদ মযহার - যাই করুকনা কেন। আজ যদি সরকারের পক্ষে নয়, আমি বিরোধিতা করবো। তাদের কথা বলার অধিকার আছে। যেই কন্ঠস্বরগুলো অন্যদেরকে রিপ্রেজেন্ট করে, অন্যদের কথা বলে। সে যেই দলেরই হোক না কেন। আপনিতো তারই গণতান্ত্রিক অধিকার মানছেন না! আপনারা গণমাধ্যমই মানেন না। অন্যদের কথা বাদ দেন। আপনার গণমাধ্যমের কর্মীরা আপনারা কখনো আজ মাহমুদুর রহমানের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন কি? দাড়ান নাই। আপনারা কি আজ দিগন্ত টিভির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন ? দাড়ান নাই। আপনারা কি ইসলামিক টিভির পক্ষে দাড়িয়েছেন? দাড়ান নাই। আপনারা চ্যানেল ওয়ানের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন ? দাড়ান নাই।
তাহলে আপনাদেরতো বোমা মারাই উচিত ....
View this link
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৪
উযায়র বলেছেন: সবকিছুই বদলে দেয় তারা!
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভিডিও এখানে -
Click This Link
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২৪
স্বাধীকার বলেছেন:
অনুষ্ঠানটি আমি দেখেছি-
হা, তার কথায় যুক্তি আছে, সংবাদপত্র বা মিডিয়ার বেশ্যাবৃত্তি জনগণকে তাদের প্রতিপক্ষ বানিয়েছে, সাদাকে কালো হিসাবে দাড় করিয়ে দেখাচ্ছে, নামাজ শিক্ষা বইকেও জিহাদি হিসাবে দেখাচ্ছে, দলীয় আদর্শের প্রচারনা চালাচ্ছে। তারপরও কোনো বেশ্যার উপর বোমা মারাকে সমর্থন করা যায়না, কোনো পতিতা যারা বুদ্ধিবৃত্তিক বেশ্যাবৃত্তিকে সাংবাদিকতা হিসাবে চালাচ্ছেন-তাদের উপর বোমা হামলা করাকে সমর্থন করা যায়না। মাহমুদুর রহমানের অন্যায় কারানিক্ষেপ, আমারদেশ পত্রিকাটির গলাটিপে হত্যা, প্রেসে তালা-এসবকে যারা গণতন্ত্রের অংশ মনে করে-তারা নেহায়েত শুয়োর বটে, তবুও প্রাণহরণ কাম্য নয়। সরকারী নিপীড়নকে যারা সেদিন হাততালি দিয়েছিলো আজ তাদের ম্যাতকার দেখে খুব মজা পাচ্ছি। সেদিন সাংবাদিক সমাজের বিবেক দলীয় চিপায় পড়ে কিংবা অতি খুশীতে বাকবাকুম করলেও সেদিন আমরা এর প্রতিবাদ করেছি, এখনো আমরা এর নিন্দা জানাই।
গরু ছাগল শুয়োর শেয়াল কুকুর কারো উপরই বোমা মারাকে সমর্থন করা যায়না। কারণ দেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন যেমন আছে, তেমনি এর সাথে জড়িত আছে জীবন রক্ষার বিষয়।
অবশ্য সাথে সাথে ফরহাদ মজহার নিজের মন্তব্যটি প্রকারন্তরে প্রত্যাহার করেছেন। তিনি যা বলেছিলেন তা সত্য বটে, কিন্তু বোমা মারাকে সমর্থন করা যায়না, যাবেনা-এটা আখেরে আমাদের দেশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে পারে।
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২২
আরমান ভাই বিরাট টেনশনে বলেছেন: স্বাধীকার, আপনি কি মনে করেন না ওই টিভি চ্যানেলগুলা প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে?মিথ্যাচার করেছে? সাংবাদিককে বোমা মারা সমর্থন করে কোন মুখে অনলাইনে ঘুরে বেড়ান?সবার আগে আপনাদের মতো দালাল রাজাকরদের ধরে বের করা উচিত।মনে রাখবেন, মিডিয়া যদি নিরপেক্ষ না হতো তবে ফরহাদ ওই একুশে টিভিতে এসে এমন বেয়াড়ার মতো কথা বলতে পারতেন না।
৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২৮
আরমান ভাই বিরাট টেনশনে বলেছেন: মিডিয়া যদি নিরপেক্ষ না হতো তবে লীগের হলমার্ক, পদ্মা সেতু, বিস্মিল্লাহ গ্রুপ, ছাত্রলীগের অসংযত আচরন, রেলের কালো বিড়াল বা সোনালী ব্যান্কের জাতে নামা সব প্রকাশ হতো না।মিডিয়ার স্বাধীনতা মানে এমন না যে, উসকানীমূলক মিথ্যাচার।যেমন আমার দেশ করেছে।দিগন্ত টিভি এই দেশের সার্বভৌমত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে…এইগুলা মানা যায় না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
অগ্রজ বলেছেন: প্রথম আলোঃ আমরা খবর তৈরি করি, আমরা খবর বদলে দেই