নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিথ্যা ধ্বংস হোক।

নিবিড় এখন

আমি খুব শান্ত..

নিবিড় এখন › বিস্তারিত পোস্টঃ

না খেয়েই চলে আসলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া

০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

প্রেসিডেন্ট জিয়া খাবারের মেনু সবাইকে জানিয়ে রাখতেন। দুপুরে খাবার মেনুতে মাছ, ডাল, ভাত আর ফিরনি থাকত। রাত্রের বেলায় বঙ্গভবনে নান রুটি, গরুর মাংস, ডাল আর ফিরনি থাকত। মন্ত্রীরা কেবিনেট মিটিংয়ের পরে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে খেতেন। একমাত্র শাহ আজিজ সাহেব ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি বলতেন, স্যার, আমি এসব খেতে পারি না। বাসায় গিয়ে খাব।
জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন।

এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল আরও লিখেছেন, একবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে রংপুরে খাল কাটার প্রোগ্রামে গেলাম। আড়াইটা পর্যন্ত খাল কাটার কাজ চলল। আমাদের প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছিল। রংপুর সুগার মিলের গেস্ট হাউজে খাবারের আয়োজন করা হলো। সেখানে পোলাও মুরগি ইত্যাদিসহ ৬/৭ রকমের আইটেমের খুব ব্যয়বহুল খাবার এনে সামনে দেয়া হলো। এমন সময় বিয়ের বাড়ির মত এক বেয়ারা মুরগির রোস্ট নিয়ে এলো।

এটা দেখে প্রেসিডেন্ট সাহেব এডিসি সাহেবকে জিজ্ঞেস করলেন, এত খাবারের আয়োজন কেন করা হয়েছে, আগে খাবারের মেনু পাঠানো হয়নি কেন? এডিসি সাহেব বললেন, মিলের জেনারেল ম্যানেজার সাহেব এসব ব্যবস্থা করেছেন। পরে প্রেসিডেন্ট সাহেব জিএম সাহেবকে ডাকলেন এবং বললেন, গতবার মিলের কত টাকা লাভ হয়েছে।

জিএম সাহেব বললেন, স্যার গতবার মিলের দেড় কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সাহেব এসব দামি খাবার দেখে বললেন, এতগুলো খাবার তৈরি করা হয়েছে কার টাকায়? আপনার বাবার টাকায়? তারপর না খেয়ে প্রেসিডেন্ট সাহেব চলে আসলেন। কারও আর খাওয়া হলো না। তারপর হেলিকপ্টার থেকে নেমে হাত বুলিয়ে আমাকে বললেন, সরি মাঈদুল ইসলাম, আজকে খাওয়া হলো না। আমি বললাম, স্যার আপনি খেলেন না। আমি আর কি খাব।

মানবজমিন থেকে সংগ্রহিত

লেখাটি ভালো লাগলো তাই শেয়ার করলাম। দয়া করে খারাপ মন্তব্য করবেন না।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

গরল বলেছেন: ভাল লাগল পড়ে, এর আগেও কোথায় যেন পড়েছিলাম। শেখার আছে ওনেক কিছু কিনতু যাদের জন্য শেখার তারা এগুলো শিখবে না, শিখলে দেশের অবস্থা অনেক ভালো হত।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সামরিক শাসনের আমলে সামরিক শাসকরা নিজেদের সৎ হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার এমন কাজ বেশি করে প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ করতেন। তিনি নিজে আর্থিক দিয়ে সৎ ছিলেন এটা যেমন সত্য ঠিক তেমনি তিনি একজন রক্ত পিয়াসি জেনারেল ছিলেন সেটাও সত্য। তাঁর হাতে রঞ্জিত হয়েছিল হাজার হাজার সৈনিকের নিস্পাপ রক্তে।

০২ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

নিবিড় এখন বলেছেন: লেখাটি ভালো লাগলো তাই শেয়ার করলাম। দয়া করে খারাপ মন্তব্য করবেন না।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

যোগী বলেছেন:
ডার্ক ম্যানের সাথে সহমত।
গ্রম অঞ্চলের ডাকাতরা নিজেদের ইমেজ ভালো করার জন্য সমাজের কিছু গরীব দুঃখিদের দান করে থাকে।

০২ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

নিবিড় এখন বলেছেন: লেখাটি ভালো লাগলো তাই শেয়ার করলাম। দয়া করে খারাপ মন্তব্য করবেন না।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

জেকলেট বলেছেন: @ ডার্ক ম্যান এবং যোগী: এখন যদি এই কাজটা শেখ মুজিব বা আপনার ভালো লাগার রজনীতিক হতেন তাহলে কি এই সমালোচনা করতে পারতেন। জনাব জিয়া অনেক খারাপ করেছেন, ঠিক আছে কিন্ত এখানে তো একটা ভালো উদাহরন তৈরি করলেন। এইটার প্রশংসা করতে এতো খারাপ লাগছে কেনো?? আর লেখক ত বল্লেন ই এই ঘটনাটা উনার ভালো লাগছে তাই শেয়ার করলেন। আর রিকোয়েস্ট করলে কোনো খারাপ মন্তব্য না করতে।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫

বিপরীত বাক বলেছেন: ডার্কম্যান এবং যোগী:
জিয়ার সময় শত শত সৈন্যকে ফাসিঁ দেয়া হয়েছিল অভ্যুত্থান করার অপরাধে।। ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে নয়।। বা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্যে নয়।।
এটা পৃথিবীর সবখানেই আছে।। সামরিক বিদ্রোহের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড।।। তা সে যত ভালো বা দক্ষ সেনা ই হোক না কেন।
এই শতাব্দীর সেরা চারজন সমরনায়কদের একজন হলো ২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন জার্মান সেনাপ্রধান "আরউইন রোমেল"।।
১৯৪৪ সালে কর্ণেল স্টাউফেনবার্গ হিটলারকে হত্যার একটা চেষ্টা করে টেবিলের নীচে বোমা রেখে।। কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয় টেবিলের ওজনের কারণে।। পরে তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মারা হয়।। কিন্তু রোমেলের কি দোষ ছিল?? যে এত দক্ষসেনানায়ক কেও হিটলার ওরকম ক্রিটিক্যাল সময়ে মেরেছিল? মূলত রোমেলের মৃত্যুর পর দায়িত্ব নেয়া রোহেম যুদ্ধ ওভাবেসামাল দিতে পারে নি।।।
কর্ণেল বার্গ অভ্যুত্থানের আগে রোমেল কে জানিয়েছিল।
রোমেল জানিয়েছিল তোমরা যদি সফল হও তবে আমি তোমাদের সাথে থাকবো নয়তো নয়।।
শুধু এই কথাটুকুই ছিল শতাব্দীর অন্যতম সেরা সেনানায়ক র অপরাধ।। যার জন্যে তাকে প্রাণ দিতে হয়েছিল।।
এটাই নিয়ম।।। সেনাবিদ্রোহের শাস্তি মৃত্যুদন্ড।।। উদ্দেশ্য যত ভালই থাকুক।। পৃথিবীর সব সেনাবাহিনী তেই একই।।।

বেশিদুর যেতে হবে না।। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিডিআর বিদ্রোহের শাস্তি দেয়ার সময় দেখা যাচ্ছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা।
৭-৩-৫-২ বছরের কারাদন্ড নিয়ে ভজঘট অবস্থা।।
তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছেন যে পরবর্তী তে বিদ্রোহের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড।।।

সামরিকবাহিনী তে শৃঙ্খলাই সব।। নইলে দুনিয়াতে নরক নেমে আসবে।। তাই এর ব্যত্যয় ঘটলে সর্বোচ্চ শাস্তিই প্রাপ্য।।।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

বিপরীত বাক বলেছেন: জিয়াউর রহমানের আরও একটা ঘটনা মনে পড়ল। এটা বলেছিলেন জিয়ার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানকারী মেজর জেনারেল মনজুর।
তা মনজুর একদিন সকালের নাস্তা করছিলেন জিয়ার সাথে। দেখলেন জিয়াউর রহমানের নাস্তা হল চারটে লাল আটার রুটি, একটা ডিম সেদ্ধ, দুটো বেগুন ভাজি।।।
জেনারের মনজুর জিজ্ঞেস করলেন," আপনি একজন প্রেসিডেন্ট হয়ে এই নাস্তা করছেন?"
জিয়াউর রহমান বললেন, " আগে দেশের অবস্থা ভালো হোক।..........

সেসময় ছিল রাষ্ট্রপতি প্রধান শাসন ব্যবস্থা।। তার জিয়াউর রহমানের মত দোর্দন্ড প্রতাপশালী রাষ্ট্রপতি।।।

আর এখন,,, সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার নামসর্বস্ব রাষ্ট্রপতি যখন বাঁশের সাকো হেটে পার হয়, কিংবা হঠাৎ রিক্সায় ওঠে তাতে একশ্রেণীর মিডিয়া খুশিতে বগল বাজাতে বাজাতে নিউজ কাভার করতে গিয়ে বেহুঁশ হয়ে যায়।।।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

বিপরীত বাক বলেছেন: জিয়াউর রহমানের আরও একটা ঘটনা মনে পড়ল। এটা বলেছিলেন জিয়ার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানকারী মেজর জেনারেল মনজুর।
তা মনজুর একদিন সকালের নাস্তা করছিলেন জিয়ার সাথে। দেখলেন জিয়াউর রহমানের নাস্তা হল চারটে লাল আটার রুটি, একটা ডিম সেদ্ধ, দুটো বেগুন ভাজি।।।
জেনারের মনজুর জিজ্ঞেস করলেন," আপনি একজন প্রেসিডেন্ট হয়ে এই নাস্তা করছেন?"
জিয়াউর রহমান বললেন, " আগে দেশের অবস্থা ভালো হোক।..........

সেসময় ছিল রাষ্ট্রপতি প্রধান শাসন ব্যবস্থা।। তার জিয়াউর রহমানের মত দোর্দন্ড প্রতাপশালী রাষ্ট্রপতি।।।

আর এখন,,, সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার নামসর্বস্ব রাষ্ট্রপতি যখন বাঁশের সাকো হেটে পার হয়, কিংবা হঠাৎ রিক্সায় ওঠে তাতে একশ্রেণীর মিডিয়া খুশিতে বগল বাজাতে বাজাতে নিউজ কাভার করতে গিয়ে বেহুঁশ হয়ে যায়।।।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঘটনাটা জানা ছিলো না।

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

ইমরান আশফাক বলেছেন: সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার নামসর্বস্ব রাষ্ট্রপতি যখন বাঁশের সাকো হেটে পার হয়, কিংবা হঠাৎ রিক্সায় ওঠে তাতে একশ্রেণীর মিডিয়া খুশিতে বগল বাজাতে বাজাতে নিউজ কাভার করতে গিয়ে বেহুঁশ হয়ে যায়।

ঠিক বলেছেন।

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

তাল পাখা বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ শেখ মুজিবুর রহমানকে মনে রাখে স্বাধীনতার স্থপতি হিসেবে।আর জিয়াউর রহমানকে মনে রাখে একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে।

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

নিশাত সুলতানা বলেছেন:
ডার্কম্যান @ ''সামরিক শাসনের আমলে সামরিক শাসকরা নিজেদের সৎ হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার এমন কাজ বেশি করে প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ করতেন ।'' আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না । ''জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য'' আর '' বেশি করে প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ'' করার জন্য যদি তিনি এমন কাজ করতেন , তাহলে বিষয়টা জানতে আমাদের এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল পর্যন্ত বা ২০১৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো না ।

১২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

নৈশ শিকারী বলেছেন: উনার সততার কারণেই আজো তিনি আমাদের অন্তরে জায়গা করে রয়েছেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.