নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোমানুষের ব্লগে স্বাগতম

© তন্ময় ফেরদৌস

তন্ময় ফেরদৌস

একি আজব কারখানা...

তন্ময় ফেরদৌস › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূরদর্শনে অদূরদর্শীতা...

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:০৭





একটা মজার ব্যাপার দিয়ে শুরু করি।



সাভার ট্রাজেডি নিয়ে টক শো দেখছিলাম একাত্তর টিভিতে।

অমিতাভ রেজা বললেন- আমার খুবি খারাপ লাগে, যখন দেখি গুরুত্বপুর্ন নিউজের মাঝে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। কি হয় সাভারের মত একটা বিষয়ে নিউজের মাঝে বিজ্ঞাপন না দিলে ?



উত্তরে উপস্থাপিকা জানালেন- আপনাদের সাথে সম্পুর্ন একমত। আমরা আপনার সাথে এই আলোচনায় আবার ফিরে আসবো ছোট্ট একটি বিজ্ঞাপন বিরতির পর.... :| :|



দেখছিলাম একাত্তরের মঞ্চ।

আজকের অতিথিরা সবাই আমার ফিল্ডের সাথে রিলেটেড বলে খুব মনযোগ দিয়ে দেখছিলাম। আমন্ত্রিত অতিথিরা হচ্ছেন, অমিতাভ রেজা (বিজ্ঞাপন নির্মাতা), এনামুল করিম নির্ঝর (চলচ্চত্র নির্মাতা), গাওসুল আলম শাওন (সিইও- গ্রে এডভার্টাইজিং), ইশতিয়াক রেজা (পরিচালক বার্তা, চ্যানেল ৭১) এবং ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন সানাউল্লাহ লাভলু।

আজকের বিষয় ছিলো সাভার ট্রাজেডিতে মিডিয়ার ভুমিকা।



প্রথমেই লাভলু সাহেব বললেন, পৃথিবীর কোন দেশে এই ধরনের ডিজাস্টারের সময় এত কাছ থেকে মিডিয়া কাভারেজ দেয় না। এতে মিডিয়াকর্মীদের ঝুকি যেমন আছে, তেমনি মিডিয়া এথিক্সের কিছু ব্যাপার ও আছে। মিডিয়াগুলোর উচিত ছিলো অনেক দূর থেকে লং শটে পুরো ব্যাপারটা কাভার করা। তিনি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং বোস্টন বোমা হামলার উদাহরন ও দেন। তাছাড়া তিনি আরো বললেন, সাধারন মানুষদের ও উদ্ধার কার্যে অংশ নিয়ার ঝুকি নিতে যাওয়া উচিত হয়নি। মিডীয়া গুলো নিউজ কাভারেজের সময়ে এক ধরনের কম্পিটিশন এর মনোভাব ও কাজ করছিলো সব মিডিয়ার মাঝে। (সাধারন মানুষ এগিয়ে না আসলে এত মানুষ উদ্ধার পেতো কিনা, সে ব্যাপারে তিনি অবশ্য কিছু বলেন নি।)



ইশতিয়াক রেজা সাহেব উত্তরে ওয়ার্ল্ড মিডিয়া পলিসির থেকে কোট করলেন, যে কোন দুর্যোগের সময়ে সকল সাংবাদিকদের কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার কথা বলা আছে। তিনি লাভ্লু সাহেবের কথার উত্তরে জানালেন, প্রথম যখন ঘটনা ঘটে, তখন আসলে মিডিয়া যতটা পারে কাছ থেকেই কাভার করে, এটা মিডীয়ার ই দায়িত্ব। ( তবে উদ্ধারের মাঝখানে কাওকে তার অনুভুতি জিজ্ঞেস করাটা উচিত নয়। দিলো নি মুন্নি সাহাকে একটা খোচা, তবে এড়িয়ে গেলেন একাত্তরের নেয়া ইন্টারভিউগুলো)



অমিতাভ রেজা বলেন, একজন দর্শক হিসেবে মানুষ আসলে বিভৎসতার খবর জানতে চায়, বিভৎসতা দেখতে চায় না। কাজেই শুধু খবর জানানোই যথেষ্ট ছিলো। তবে এই মার্মান্তিক ঘটনা দেখানোর ফলে মানুষের যে হার্ট টাচ করেছে এবং সহায়তা করার জন্য একটা স্পিরিট তৈরি হয়েছে, সেইটা তিনি অস্বীকার করেন নি। তবে ভায়োলেন্স যেন না দেখানো হয়, তা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বললেন তিনি।



রেজা সাহেব জবাবে বললেন, প্রাথমিকভাবে ভায়োলন্স না দেখালে কি এই সাড়া টা মিলতো ?



গাওসুল আলম শাওন এটাকে ডিফেন্ড করেছেন ভিজুয়াল ল্যাঙ্গোয়েজের উদাহরন দিয়ে। দর্শক কি দেখতে চায় এবং কি দেখালে তারা মটিভেটেড হবে, এই ব্যাপারে তিনি জোর দিতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু খবর জানানো যথেষ্ট না, সেই সাথে দর্শকদের কমিউনিকেট করার ও একটা ব্যাপার থাকে।





এনামুল করিম নির্ঝর অবশ্য কিছুটা স্ট্রেইট কথা বলেছেন। তিনি বললেন, ইনফরমেশন এবং সেনসেশন এক জিনিস নয়। কাজেই দর্শকদের কতটুকু ইনফো শেয়ার করা যাবে এবং কতটুকু সেনশেসন দেয়া যাবে, সেইটা আগে থেকেই নির্ধারন করতে হবে।





মাঝখানে দুজন দর্শক ও ফোন দিয়েছিলেন। একঝন জানালেন, এখন টেলিভিশনের পুরো টিয়ারপি নিউজে, প্রগ্রামে টিআরপি নেই বললেই চলে। কাজেই টেলিভিশন সারাক্ষন বাপারটা কাভার করছে। টেলিভশন ও যেহেতু বিজনেস, দর্শক যা দেখাবে, তাই তো দেখানো হবে। এটাই স্বাভাবিক।

অন্য দর্শক জানালেন, টেলিভিশন মিডীয়াকে অবশ্যই এডিটোরিয়াল জাজমেন্টের ভিতর দিয়ে যেতে হবে।





আমার অপিনিয়ন হচ্ছে, মিডিয়া তার ল এবং এথিক্স মেনে একটা ডিজাস্টার কাভার করবে, ভিউয়ারস দের মধ্যে পজেটিভ একটা ম্যাসেজ থ্রো করার চেষ্টা করবে। সেই সাথে তাদের কিছু ম্যাচিউরিটিও দেখাতে হবে। শুধু মাত্র নিউজ না দেখিয়ে তারা ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্ট করতে পারে। এই বিল্ডিং এর মেকিং থেকে ইন্সপেকশনের সাথে কারা কারা জড়িত তা খুজে বের করতে পারে। এইখানে মিডিয়ার ভুমিকা বড়ই স্পষ্ট। শুধুমাত্র আগে খবর পরিবেশনের জন্য নিশ্চিত না হয়েই ইনফরমেশন দেয়া বা মুন্নি সাহা টাইপের অবান্তর প্রশ্ন করা মোটেই যুক্তিযুক্ত না। তবে এ কয়দিনে মিডিয়ার একটা পজেটিভ ভুমিকাই আমরা দেখতে পেয়েছি। আরো পজেটিভ হতে পারতো, যদি এই দুর্দিনে মিডিয়া সকল মানুষ কে মূল ঘটনার সাথে আরো রিলেট করার লক্ষ্যে আগে পরের সকল ঘটনার উপর একটা পার্ফেক্ট ডকুমেন্টেশন করতে পারতো।



তবে একটা ব্যাপার, অনলাইন মিডিয়ার বিরাট ভুমিকাটার কথা কিন্ত মেইনস্ট্রিম মিডিয়া খুব একটা উচ্চারন করছে না।



তা আপনাদের মতামত কি সাভার ট্রাজেডিতে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার ভুমিকা নিয়ে ?

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:২১

মামুন রশিদ বলেছেন: সাভার ট্র্যাজেডিতে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার ভূমিকা আমার মতে পজিটিভ । আমি নিজে যতক্ষন পেরেছি সময় আর একাত্তর টিভিতে চোখ রেখেছি । মিডিয়ার কল্যানেই সারা দেশে এই ঘটনায় একটা শোকার্থ পরিবেশ তৈরি হয়, যা সাধারন মানুষের অনুভূতি, সমবেদনা আর মানবতাবোধ কে এক বিন্দুতে নিয়ে আসে ।

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমারো পজেটিভ মনে হয়েছে, তবে আরো ম্যাচুর ভিকা রাখতে পারতো। যে সকল ইনফরমেশন সাধারনত অনলাইন মিডিয়ায় পাওয়া যায় না, সেগুলো নিয়ে আরো কাজ করতে পারতো। লুপহোল গুলা পুরন করার চেষ্টা করতে পারতো।

২| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:২৬

মিয়াভাই বলেছেন: মিয়াভাই , আমরা যারা দর্শক অথবা শ্রোতা , আমরা কিন্তু একটা অবজেকটিভ রিপোর্টিং চাই , ফ্যাক্ট জানতে চাই ৷ অনেকের বারোয়ারী অপিনিয়ন অথবা তর্ক বেশ বিরক্তিকর লাগে ৷

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: রাইট

৩| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি টিভি দেখি নাই। বলতে পারো দেখতে পারি নাই। আপডেটের জন্যে অনলাইন মিডিয়ার ওপর নির্ভর করে ছিলাম পুরোপুরি। তবে তোমার পোস্টে যতগুলা মতামত দেখলাম সেইগুলা থেকে লং শটে কাভার করার ব্যাপারটা যৌক্তিক মনে হল। এইসব দুর্যোগের সময়ে সঠিক ইনফরমেশন এবং এমতাবস্থায় কী করণীয় সেটা দেখানই মূল মোটিভ হওয়া দরকার। কান্না বেচে টিআরপি রেটিং বাড়ানোর চেয়ে এটা ভালো।

০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:০০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হুম, একটা মিডিয়া সেল গঠন করে সেখান থেকেই ইনফো আপডেট করা যেতো। তাছাড়া এখন ক্রেন, জিমি জিব সহ অনেক অত্যাধুনিক ইকুইপমেন্ট আছে আমাদের চ্যানেল্গুলোর হাতে, যা দিয়ে উদ্ধারকার্যে বাধা সৃষ্টি না করেই লাইভ টেলিকাস্ট করা যায়।

৪| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:০০

রেজোওয়ানা বলেছেন: মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় সব সময়ে চোখ রাখছিলাম! প্রথম দিকে তাদের অবস্থান বেশ জোড়ালো আর পরিস্কার ছিল, যেমন কি কি প্রয়োজন সেখানে সেই বিষয় গুলো তারা সম্প্রচার করছিল.....সেটা বেশ কাজে দিয়েছে!

কিন্তু শেষের দিকে আমার কাছে মেইন স্ট্রিম মিডিয়াকে অস্বচ্ছ মনে হয়েছে, যেমন নিখোঁজ মানুষদের তালিকা নিয়ে তারা একেকজন একেক রকম সংবাদ দিচ্ছিল এবং শেষ পর্যন্ত নিখোঁজ কত জন সেই বিষয়ে নিশ্চুপ থেকেছে।

এছাড়া দূর্ঘটনা স্থলে গিয়ে চাপা পড়া মানুষের কাছে 'কেমন লাগছে' কিংবা স্বজন হারানো মানুষের সামনে মাইক্রোফোন নিয়ে অনুভূতি জানতে চাওয়ার বিষয়টা চরম অমানবিক! এই বিষয়ে লাইভ রিপোর্টিং এ কিছু নিতীমালা তৈরি করা উচিত বলে আমার মনে হয়েছে!

০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:০১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সহমত রেজুবু ।

৫| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:০৭

সায়েম মুন বলেছেন: আমার মতে লং শটেই কাভার করা উচিত। কাছ থেকে এত সব করুণ এবং বিভৎস দৃশ্য না দেখানোই উচিত।

০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:০২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ভাইয়া।

৬| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

বিডি আইডল বলেছেন: বাংলাদেশের টিভি মিডিয়া (এবং পত্রিকাও) এর সাংবাদিকরা রিপোর্টিং কিভাবে করতে হয় এই বিষয়ে ধারণা খুবই দুর্বল। সাংবাদিকতার এথিকস কি জিনিষ এবং রিপোর্টিং এ সেটা কিভাবে এপ্লাই করতে হয়, এই বিষয়ে তাদের জ্ঞাণ -১০০ এর কাছাকাছি।

০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:০৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমাদের দেশের জার্নালিজম ট্রেন্ডে এথিক্সের ব্যাপারটা পুরাই নড়বড়ে।

৭| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:০২

ভারসাম্য বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম ইন্ডিয়ান দূরদর্শন চ্যানেলের কথা।

যাই হোক, মিডিয়া তাদের লাইভ কাভারেজে অনেক কিছুই এড়িয়ে গেলেও যেতে পারত। তবে লাইভ কাভারেজ এ না হলেও তাদের রেকর্ডিং এ যদি সবকিছু সার্বক্ষণিক ভাবে ক্লোজলি ধারণের সুযোগ ও সহায়তা দেয়া হত তাহলে ভাল হত।

এমন হলে বর্তমানে নিঁখোজ ও জীবিত উদ্ধারকৃতদের তালিকা নিয়ে কোন গোঁজামিল হবার সুযোগ অনেক কমে যেত। সাধারণ মানুষের সতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের ব্যাপারটি ছাড়া পুরো উদ্ধার প্রক্রিয়াটিই হতাশাব্যাঞ্জক ও প্রশ্নবিদ্ধ।

মিডিয়া এবং বিরোধীদলের ভূমিকাও চরম নৈরাশ্যজনক। শুধু শুধু খবর প্রচার, টক-শো আর বিরোধীদলীয় নেত্রীর দশমিনিটের পরিদর্শনের নাটক না করে দ্বিতীয় দিন থেকেই GPR(লাইফ লোকেটর), হ্যান্ডি কংক্রীট কাটার ও ছোটখাট অন্যান্য সফষ্টিকেটেড টুলস্‌ দিয়ে মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে সব ধরণের উদ্ধার কাজ চালাতে মিডিয়ার মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা উচিৎ ছিল।

মিডিয়া যদি প্রথম থেকেই সেভাবে তৎপর হত এবং বিরোধীদল ও অন্যান্য টক-শো ওয়ালারা যদি সেভাবে বলতে পারতেন তাহলে ট্রাজেডির দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই মিডিয়া ও সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এর মাধ্যমে পুরো উদ্ধার প্রক্রিয়া দ্রুত, কার্যকরী ও স্বচ্ছ রাখা সম্ভব হত। যে ডিভাইস এবং টুলস এর কথা বলা হচ্ছে সেগুলো বিদেশ থেকে অনেকেই অতি জরুরী ভিত্তিতে প্রদাণ করার অফার দিলেও সরকার তা গ্রহণ করেনি আর মিডিয়াও সেদিকে তখন নজর দেয়নি।

আর আমার বিশ্বাস সেসব ডিভাইস এবং টুলস সমূহর জন্য বিদেশের মুখাপেক্ষিও হওয়া লাগতনা। বাংলাদেশের দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের অধীনে সেসবের অপ্রতুলতা থাকলেও সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এর অধীনে সেগুলোর অনেক কিছু হয়তো সাভার ক্যান্টনমেন্টেই পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যাভেইলেবল ছিল। আমি জানিনা তবে বিশ্বাস করি দেশেই সেসবের প্রায় সবকিছুই যথেষ্ট পরিমানে বিদ্যমান আছে।


সরকার, বিরোধীদল, টক-শো ওয়ালারা আর মিডিয়ার লোকগুলা সব ফাউল আর ঘোড়ার ডিম। আমি যদি সেইসব জায়গায় চান্স পাইতাম তাইলে আমিও মনে হয় ফাউলই থাকতাম। সব ফাউল।

০৩ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ভালো বলেছেন।

৮| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:০৩

একজন আরমান বলেছেন:
টি আর পি ফর্মুলা নিয়ে ব্যাখ্যা কি দিবে চ্যানেলগুলো?

০৩ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:২১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: টিআরপি নিয়ে আসলে চ্যানেলের কিছু বলার থাকেনা। এইটা জাস্ট একটা পার্সেন্টেজ যা নির্ভর করে পুরোপুরি দর্শকদের উপরে।

৯| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

চৌধুরী_সাহেব বলেছেন: মিডিয়াগুলো কিছু জায়গায় আরো ম্যাচিওরিটি দেখাতে পারতো। যেমন দুর্ঘটনাটা ঘটার পরপরই যে রক্ত ও অন্যান্য জরুরী সাহায্যগুলোর কথা সাধারন মানুষকে জানানোর প্রয়োজন ছিল, সেটা তারা করতে পারে নি, বরং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই বেশিরভাগ মানুষ জানতে পেরেছে সব খবরা-খবর এবং দ্রুতগতিতে এগিয়ে এসেছে। যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে সবাই বলাবলি শুরু করল, তারপর তারা স্ক্রলে আস্তে আস্তে দেখানো শুরু করুল সেসব।

আর একেবারেই ভালো লাগেনি যে বিষয়টা, সেটা হচ্ছে একেকজনকে বের করে আনার পর তাদের এ্যাম্বুলেন্সে তোলার পথে থামিয়ে আর অক্সিজেন ঢোকার জন্য করা একচিলতে ফুটোর মধ্যে দিয়ে মাইক্রোফোন ঢুকিয়ে দিয়ে আটকেপড়াদের আর্তচিৎকার উপেক্ষা করে তাদের অনুভুতি জানতে চাওয়াটা। টিআরপি বাড়ানোর জন্য করা এই কাজগুলো জঘণ্য মনে হয়েছে আমার কাছে।

এসবকিছুর পরও তাদের প্রতিমুহুর্তের প্রচেস্টাকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারবো না। তবে বেশকিছু বিষয়ে তাদের আরো বেশী যত্নবান হওয়া উচিত।

০৩ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

আশফাক সুমন বলেছেন: সায়েম মুন বলেছেন: আমার মতে লং শটেই কাভার করা উচিত। কাছ থেকে এত সব করুণ এবং বিভৎস দৃশ্য না দেখানোই উচিত। ----- হ ম ম। যুক্তি যুক্ত মন্তব্য ।

এছাড়া দূর্ঘটনা স্থলে গিয়ে চাপা পড়া মানুষের কাছে 'কেমন লাগছে' কিংবা স্বজন হারানো মানুষের সামনে মাইক্রোফোন নিয়ে অনুভূতি জানতে চাওয়ার বিষয়টা চরম অমানবিক! এই বিষয়ে লাইভ রিপোর্টিং এ কিছু নিতীমালা তৈরি করা উচিত বলে আমার মনে হয়েছে! -- একথা রেজোওয়ানা বলেছেন আর আমি ওনার সাথে একমত

০৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১:২৮

রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: আপনার অনুভূতী কি?????????????????????? (সাভার নিয়ে মিডিয়ার ভূমিকা এই এক বাক্যেই প্রকাশ করা সম্বব)

১২| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১:৩০

রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: এই যে আর একটা ভূমিকাঃ

১৩| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ২:০১

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: @রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার , এহসান জুয়েল এই ঘটনার জন্য লজ্জিত এবং তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। তাই ছবিটি (উপরের কমেন্ট) মুছে দিতে পোষ্টদাতার প্রতি অনুরোধ করছি।

১৪| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ২:০৭

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: মিডিয়ার একটা ব্যাপার খারাপ লেগেছে, একেক চ্যানেলে একেক রকম ইনফো দেখাচ্ছিল, লাশ ও নিখোজের সংখ্যা একেক চ্যানেলে একেক রকম দেখিয়েছে।

লাশের ও বীভৎস ছবি দেখানো উচিৎ না।

চাপাপড়া শ্রমিকদের অনুভূতি জানতে চাওয়া আর নিখোজের স্বজনদের আহাজারি দেখানো দেখলে খুবই খারাপ লাগে। সাংবাদিকতার চেয়ে মানবিকতা বড়। এটা সাংবাদিকদের বোঝা উচিৎ।

আসলে সাভারের ঘটনায় একটা পরোক্ষ কম্পিটিশন তৈরী হয়েছে মিডিয়ার ভেতর। টিআরপি বাড়ানোর জন্য নানা চেষ্টা চরিত্র করেছে চ্যানেলগুলো। X(

আমাদের রাজনীতিবিদরা সাভারের লাশ নিয়ে রাজনীতি করেন, আর মিডিয়া করে ব্যবসা X((

১৫| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ২:১৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সাভার ট্র্যাজেডিতে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার ভূমিকা আমার মতে পজিটিভ । তবে মিডিয়া কর্মীদের ইথিক্স নিয়ে কিছু প্রশ্ন আছে। সমগ্র ব্যাপারটি এক ধরনের প্রতিযোগিতা তো বটেই, তবে অনেকক্ষেত্রে না মানবিকতাকে ক্ষুন্ন করেছে। যেমন একটি চ্যানেলে দেখাল, একজন আটকে পড়া শ্রমিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তার অনুভূতি কি?

আমি মনে করি, এই ধরনের কাজ উন্নত বিশ্বে কোথাও হলে এতক্ষনে ঐ চ্যানেলটির বিরুদ্ধে বা ঐ রিপোর্টারের বিরুদ্ধে মামলা হত।

এছাড়া, বিভিন্ন সময়ে, মিডিয়া যেমন সঠিক সংবাদ দিয়েছে, তেমনি তারা বিভ্রান্তিমূলক সংবাদও দিয়েছে।

তবে দিনের শেষে কিছু ব্যক্তিক্রম ছাড়া, তাদের কর্মকান্ড পজেটিভ বলা যেতে পারে। সাধারন মানুষের এত অংশগ্রহন, মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর চেষ্টা মিডিয়া না হলে হত না।

১৬| ০৩ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

মেলবোর্ন বলেছেন: মেইনস্ট্রিম একখান মিডিয়া দেখান যারা সাহাজ্য করেছে বা মানুষের সহায়তা করছে এই সামু থেকেই ৬ হাজার ডলার ফেইসবুকে বিভিন্ন গ্রপে এবং প্রবাসি ও গনজাগরন মন্চ সহ সাধারন মানুষ সহায়তা করেছে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া ভালো করতে চেস্টা করেছিল তবে এত কাছে থেকে করাটা বা মানুষ মারা যাচ্ছএ আর আপনি তাকে অনুভুতি জিগ্গেস করছেন এইটা ঐ অসহায় মানুষ কে নিয়ে মশকরা বা সেনসেটিভ বিষয়কে নিয়ে তারা টিআরপি বাড়াতেই ব্যস্ত ছিল যেমন ধংসের ভিডিও নিতে এস এম করুন এই সব দিয়ে। তবে যেহেতু আমাদের দেশে বেসরকারী মিডিয়াকে এখনি তরুন বলা চলে তাই ভুল ত্রুটি হবেই সামনে ভালো করুক আর ইথিক্স ব্যপারটা কে নিয়ে আরো গুরুত্ব দেয়ার সময় এসেছে।

১৭| ০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

এরিস বলেছেন: বাংলাদেশের সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব আর পারদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন সবসময়েই আছে, অন্তত আমি সেটা মনে করি।

১৮| ০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

মশিকুর বলেছেন:
এককথায় দারুন পোস্ট।

সাধারণ মানুষের অংশনেয়া একটু যদি অন্যভাবে দেখেন, এই ধরনের দুর্যোগ হতে উদ্ধাররে জন্য সরকারের কি পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত লোকবল আছে??? এব্যাপারে প্রকৃত দোষী আসলে সরকার। মাত্র একটাইতো বিল্ডিং ছিল। আমরা না হয় রক্ত দিলাম, কিন্তু অক্সিজেন?? খাবার?? আল্লাহ্‌র অসীম রহমত যে, অনভিজ্ঞ সাধারন মানুষের উদ্ধারের সময় নতুন কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। বড় কোন ভুমিকম্প হলে কি হবে তা একমাত্র আল্লাহই জানে।

তবে আমি প্রচণ্ড ভাবে বিশ্বাস করি যে, সরকারের প্রশিক্ষিত লোকবল থাকলেও বাংলাদেশের মানুষ একইভাবে ঝাপিয়ে পরত, এইটা রক্তে থাকতে হয়, সব জাতী পারেনা।

১৯| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৫

কালীদাস বলেছেন: বাংলা টিভিগুলা দেখিনা তেমন একটা। মিডিয়া সম্পর্কে আমার গত তিনমাসের এক্সপেরিয়েন্স হল, ফিল্ডের রিপোর্টারদের ট্রেনিং যারা দেয়, তারা রামছাগল।

২০| ৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

সোহাগ সকাল বলেছেন: ঐ কয়েকটা দিন তো টিভির সামনেই যেতে পারিনি।

২১| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

ইনকগনিটো বলেছেন: টিভির সামনে ইচ্ছা করেই বসা হয়নাই। খারাপ লাগতেসিলো খুব। তারপর দৌড়াদৌড়ি, তবে অনলাইন থেকে যে পরিমান রেসপন্স আসছে, ওইটা কল্পনাতীত।

২২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪৮

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বিডি আইডল বলেছেন, বাংলাদেশের টিভি মিডিয়া (এবং পত্রিকাও) এর সাংবাদিকরা রিপোর্টিং কিভাবে করতে হয় এই বিষয়ে ধারণা খুবই দুর্বল। সাংবাদিকতার এথিকস কি জিনিষ এবং রিপোর্টিং এ সেটা কিভাবে এপ্লাই করতে হয়, এই বিষয়ে তাদের জ্ঞাণ -১০০ এর কাছাকাছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.