নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের ক্রূর হাসি .....

আমি নগণ্য এক মানুষ

চাঁদপুরের চাঁদ

আমি রাঘব বোয়াল নই, চুনোপুটি।

চাঁদপুরের চাঁদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার প্রাচীন লোকশিল্প

১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

হারিয়ে যাওয়া মসলিন কাপড়

বাংলার বস্ত্রশিল্পের ঐতিহ্য বেশ পুরনো। মোগল আমলে বাংলার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তরিত হওয়ার পর ঢাকায় বিশেষ এক ধরনের অতি সূক্ষ্ম কাপড় তৈরি করা হতো; যা মসলিন নামে খ্যাত ছিল। মসলিন নামটির উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, ইউরোপীয়দের মসুল থেকে আমদানিকৃত কাপড়ের নাম থেকেই মসলিন নামটির উৎপত্তি। ঢাকার কয়েকটি স্থান ছিল উৎকৃষ্টমানের মসলিন তৈরির জন্য প্রসিদ্ধ। তবে কিশোরগঞ্জের জঙ্গলবাড়িতে অত্যন্ত সূক্ষ্ম মসলিন কাপড় তৈরি করা হতো; কারণ এই এলাকাটি মসলিন তৈরির উপযোগী তুলা উৎপাদনকারী স্থানের কাছাকাছি ছিল। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে জন্মানো ফুটি নামের এক ধরনের তুলা থেকে যে সুতা পাওয়া যেত, তা দিয়েই বোনা হতো মসলিন কাপড়। মসলিন কাপড়ের বুনন অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও মিহি হওয়ার কারণে ১৮৫১ সালে লন্ডনের বস্ত্র প্রদর্শনীতে ঢাকাই মসলিন বিশেষ প্রাধান্য পায় এবং দর্শকদের মুগ্ধ করে। মসলিনের বিভিন্ন ধরন ছিল। আর সবচেয়ে সূক্ষ্ম মসলিন কাপড়ের নাম ছিল মলমল। মলমল ছিল সে সময় সবচেয়ে দামি বস্ত্র এবং এক প্রস্থ মলমল তৈরি করতে তাঁতিদের ছয় মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেত। মোগল সম্রাট ও অভিজাতদের পৃষ্ঠপোষকতাতেই সে সময় মসলিন শিল্পের প্রসার ঘটে। এক হিসাবে দেখা যায়, ১৭৪৭ সালে ঢাকা থেকে যে পরিমাণ মসলিন কাপড় রপ্তানি ও নবাবদের জন্য সংগ্রহ করা হতো তার মূল্য ছিল ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে মূল্যবান এই কাপড় বিপর্যয়ের মুখে পরে এবং ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের পরে দেশি বাদশাহ্, নবাব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায় ঐতিহ্যবাহী এই সূক্ষ্ম বস্ত্র।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.