নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের ক্রূর হাসি .....

আমি নগণ্য এক মানুষ

চাঁদপুরের চাঁদ

আমি রাঘব বোয়াল নই, চুনোপুটি।

চাঁদপুরের চাঁদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

*** দেশের মুদ্রণ শিল্পের বিকাশ করুন ***

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

মাধ্যমিক স্তরের সব বই কাগজসহ দরপত্রে মুদ্রণের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১২ শিক্ষাবর্ষের আলোকেই ২০১৪ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই মুদ্রণের কার্যক্রম শুরু করেছে এনসিটিবি। অর্থাৎ প্রাথমিকের সব বই আন্তর্জাতিক দরপত্রেই মুদ্রণ হবে। আর মাধ্যমিক স্তরের কিছু বই কাগজসহ দরপত্র আহ্বান করে মুদ্রণ করা হবে। মাধ্যমিক স্তরের যেসব বই ছাপতে সরকার কাগজ কিনে দিবে মুদ্রাকরদের সরবরাহ করবে, সেগুলোতে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ খরচ বেশি হবে।



এদিকে মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম শাহ আলম সংবাদ'কে বলেছেন, 'আমরা চেয়েছিলাম মাধ্যমিক স্তরের সব বই ছাপতে এনসিটিবি কাগজ কিনে দিবে, যাতে দেশের মুদ্রণ শিল্পের বিকাশ হয়। কিন্তু সংস্থাটি তা না করে ইতোমধ্যে ৪৯টি প্যাকেজে মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপতে কাগজসহ দরপত্র আহ্বান করেছে। এতে এসব বই ছাপার কাজ পুরোপুরিই বিদেশে চলে যাবে'।



জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক স্তরের (২০১৪ শিক্ষাবর্ষের) ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণীর ১৬টি বই মুদ্রণের জন্য কাগজসহ দরপত্র আহ্বান করেছে এনসিটিবি। বইগুলো হলো- ইংলিশ গ্রামার, বাংলা ব্যাকরণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং দ্রূত পঠন বই। আগামী শিক্ষাবর্ষে এসব বই মুদ্রণ হবে তিন কোটি ৯৪ লাখ কপি। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণীর আইসিটি বইটি এবারই প্রথম ছাপা হবে।



জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা জানান, কাগজসহ (কার্যাদেশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানই কাগজ কিনে) আহ্বান করলে সরকারের খরচ অনেক সাশ্রয় হয়। কারণ বর্তমানে দেশে এক টন কাগজের মূল্য প্রায় ৯০ হাজার টাকা। অথচ সাধারণ ঠিকাদাররা ভারত থেকে এক টন কাগজ আমদানি করে মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। দেশের কাগজ মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এতে স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা চড়া দামে কাগজ কিনতে বাধ্য হয়। তবে বড় ব্যবসায়ীরা মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে ভারত থেকে কাগজ আমদানি করে থাকে। কিন্তু ভারত থেকে কাগজ আমদানির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে সব সময় তৎপর থাকে দেশের অতিমুনাফালোভী কাগজ উৎপাদনকারী চক্র।



এনসিটিবি জানায়, ২০১২ সালে (২০১৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য) আন্তর্জাতিক দরপত্রে চাররঙের বিনামূল্যের প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপতে প্রতিটি বইয়ের জন্য গড়ে ব্যয় হয় ৩১ টাকা ৬ পয়সা। এরমধ্যে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ছাপা বইপ্রতি খরচ হয় ৩২ টাকা ১৫ পয়সা। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ছাপা বইপ্রতি খরচ হয় মাত্র ২৮ টাকা ৬০ পয়সা। অতীতে কোন সরকারের আমলেই এত স্বল্প খরচে উন্নতমানের পাঠ্যবই ছাপানো সম্ভব হয়নি বলে এনসিটিবি জানিয়েছে।



জানা যায়, কাগজসহ দরপত্র আহ্বান করে ২০১২ সালে ইবতেদায়ি, দাখিল ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের প্রতিটি বই ছাপতে খরচ হয় সবচেয়ে কম মাত্র ১৮ টাকা ৩১ পয়সা। অথচ কাগজ কিনে দিয়ে দরপত্র আহ্বান করে মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি বই ছাপতে গড়ে খরচ পড়ে ২৫ টাকা ৫ পয়সা।



অর্থাৎ আন্তর্জাতিক দরপত্র ও কাগজসহ দরপত্র আহ্বান করে পাঠ্যবই ছাপতে সরকারের খরচ অনেক সাশ্রয় হয়। এরপরও দেশীয় কাগজ উৎপাদনকারী মাফিয়া সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের স্বার্থ রক্ষায় সাশ্রয়ী এই প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে সাধারণ দরপত্রের মাধ্যমে চড়াদামে বিনামূল্যের পাঠ্যবই মুদ্রণের তৎপরতা চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এই চক্রটি ইতোমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনসিটিবির কর্মকর্তাদের ওপর অনৈতিক পন্থায় চাপ প্রয়োগ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তারা আন্তর্জাতিক দরপত্র বাতিলের আবদারও তুলেছে বিভিন্ন সময়ে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলে তদবিরও করছে। কারণ স্থানীয় দরপত্রে সব পাঠ্যবই ছাপার প্রক্রিয়া ফের চালু করতে পারলে সিন্ডিকেট করে একচেটিয়া মুনাফা লাভের সুযোগ পাবে মাফিয়া সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীরা।



এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তফা কামালউদ্দিন সংবাদকে বলেন, 'দেশের মুদ্রণ শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থেই মাধ্যমিক স্তরের সব বই ছাপতে কাগজসহ দরপত্র আহ্বান করা হয়নি'।



এনসিটিবি জানায়, ২০১৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রে প্রাথমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) স্তরের মোট বই ছাপা হয়েছে দশ কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার ৭১৪ কপি। চার রঙ, টেক্সট ৮০ জিএসএম হিট লেমিনেশনে কভার ও ২৩০ জিএসএম এসব বই ছাপতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩৩৫ কোটি ছয় লাখ টাকা। এর মধ্যে দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পায় সাত কোটি ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার ৬২৪ কপি বইয়ের দরপত্র এবং বিদেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পায় তিন কোটি ৩০ লাখ ৮৫ হাজার ৯০ কপি বই ছাপার কার্যাদেশ। দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিটি বই ছাপতে খরচ হয়েছে ৩২ টাকা ১৫ পয়সা এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিটি বই ছাপতে খরচ হয়েছে ২৮ টাকা ৬০ পয়সা।



মুদ্রণ শিল্প মালিকরা জানান, দেশের সব ছাত্রছাত্রীর প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই ছাপার সক্ষমতা আছে দেশের মুদ্রাকরদের। কিন্তু আন্তর্জাতিক দরপত্রের প্রক্রিয়া বাতিল করলে পাঠবই ছাপার পুরো প্রক্রিয়াটিই চলে যাবে অসাধু ও অতিমুনাফালোভী মুদ্রাকরদের কবলে। এদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ঠিকতে পারবে না সাধারণ মুদ্রণ শিল্প মালিকরা। ফলে পাঠ্যবইয়ের ব্যয় অনেকাংশেই বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরকার।



এনসিটিবি জানায়, ২০১২ শিক্ষাবর্ষে কাগজসহ দরপত্র আহ্বান করে ইবতেদায়ি ও দাখিল স্তরের তিন কোটি ৬১ লাখ ৯৪ হাজার ৯২০ কপি পাঠ্যবই মুদ্রণ করাতে প্রায় ২২ কোটি টাকা সাশ্রয় হয় সরকারের। এ ক্ষেত্রে দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে কাগজ কিনে বই মুদ্রণ করে সরবরাহ করেছে। এতে এনসিটিবির মোট ব্যয়ের প্রায় ২৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় হয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:১৭

চাঁদপুরের চাঁদ বলেছেন: আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়েছে, ভালো কথা; কিন্তু শুধু লাভটাই দেখলেন, মান দেখেননি । অনেক পেজ মিসিং, প্রথমদিকে ভালো, মাঝে মাঝে নিম্নমানের প্রিন্টিং। আর এতে দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটবে। কতগুলো প্রতিষ্ঠান এর সাথে জড়িয়ে আছে, জানেন।
১। পেপার মিলস
২।প্রিন্টিং প্রেস
৩। বাধাঁই
ভারত থেকে বই ছাপিয়ে আনলে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.