নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের ক্রূর হাসি .....

আমি নগণ্য এক মানুষ

চাঁদপুরের চাঁদ

আমি রাঘব বোয়াল নই, চুনোপুটি।

চাঁদপুরের চাঁদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩



আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। তার বয়স হয়েছিলো ৮৪ বছর।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে মারা যান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও তার নিজেরসহ রাজনৈতিক অঙ্গনের এই অভিভাবক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর খবর শোনার পর শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একথা জানান তার প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ।

এর আগে গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এর আগে গত ৯ মার্চ শ্বাসকষ্ট জনিত জটিলতার কারনে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে হন তিনি। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ১০ মার্চ রাতে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।

জিল্লুর রহমান ২০০৯ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। গত শনিবার (৯ মার্চ) ছিল তার ৮৪তম জন্মদিন।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জিল্লুর রহমান ১৯২৯ সালের এই দিনে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণ-আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন। তিনি ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ২০০৮ সালে ষষ্ঠবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।



জিল্লুর রহমান পারিবারিক জীবনে ছিলেন এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমান ছিলেন তাঁর স্ত্রী।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চাঁদপুরের চাঁদ বলেছেন: জিল্লুর রহমান (জন্ম: মার্চ ৯, ১৯২৯-মৃত্যু: মার্চ ২০,২০১৩) বাংলাদেশের ১৮-তম রাষ্ট্রপতি। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এ যাবৎ দেশের সবকয়টি আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এম এম রহুল আমিন তাঁকে বঙ্গভবনে শপথ বাক্য পাঠ করান।

১৯২৯ সালের ৯ মার্চ জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন। তার স্ত্রী আইভি রহমানও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় জিল্লুর রহমান তার সহধর্মিনী ও মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী আইভি রহমানকে হারান। পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যার জনক।

জিল্লুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতিহাসে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছাড়াও জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ বিভিন্ন সময় দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনসহ '৭৩, '৮৬, '৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর-ভৈরব আসন থেকে জিল্লুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। '৯৬ এর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তিনি এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালের ১১ জানুয়ারি ফখরুদ্দীন আহমদের তত্তাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে যখন শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন তার পর থেকেই জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেন।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। নবম জাতীয় সংসদে জিল্লুর রহমান সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ১৮-তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মো. জিল্লুর রহমান আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৭

চাঁদপুরের চাঁদ বলেছেন:
নেতা : জিল্লুর রহমান

২১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

চাঁদপুরের চাঁদ বলেছেন: আমি এখানে বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রপতিদের নাম, তাদের মেয়াদকাল এবং কোন দল থেকে সমর্থীত হয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তার একটা তালিকা তৈরি করেছি। আর হে, সেই সাথে সকল রাষ্ট্রপতিদের ছবিও জুড়ে দিচ্ছি।

১। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সময়কাল : ১১ই এপ্রিল ১৯৭১ইং হতে ১২ই জানুয়ারী ১৯৭২ ইং পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ।
২। সৈয়দ নজরুল ইসলাম। (অস্থায়ী)
সময়কাল: ১১ই এপ্রিল ১৯৭১ইং হতে ১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ ইং পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ।
৩। বিচারপতি : আবু সাইদ চৌধুরী।
সময়কাল: ১২ই জানুয়ারী ১৯৭২ইং হতে ২৪শে ডিসেম্বর ১৯৭৩ ইং পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ।
৪। মোহম্মদ মোহম্মদউল্লাহ।
সময়কাল: ২৪শে ডিসেম্বর ১৯৭৩ ইং হতে ২৫শে জানুয়ারী ১৯৭৫ইং পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ।
৫। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সময়কাল: ২৫শে জানুয়ারী ১৯৭৫ ইং হতে ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ইং পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ।
৬। খন্দকার মোশতাক আহাম্মেদ।
সময়কাল: ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ইং হতে ৬ই নভেম্বর ১৯৭৫ইং পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ।
৭। বিচারপতি : আবু সাদাত মোহম্মদ সায়েম।
সময়কাল: ৬ই নভেম্বর ১৯৭৫ইং হতে ২১শে এপ্রিল ১৯৭৭ইং পর্যন্ত।
নির্দলীয়
৮। মেজর জেনারেল : জিয়াউর রহমান।
সময়কাল: ২১শে এপ্রিল ১৯৭৭ইং হতে ৩০শে মে ১৯৮১ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
৯। বিচারপতি : আব্দুস সাত্তার। (অস্থায়ী)
সময়কাল: ৩০শে মে ১৯৮১ইং হতে ২৪শে মার্চ ১৯৮২ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
১০। হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ।
সময়কাল: ২৪শে মার্চ ১৯৮২ইং হতে ২৭শে মার্চ ১৯৮২ইং পর্যন্ত।
জাতীয় পার্টি
১১। বিচারপতি : এ.এফ.এম আহসান উদ্দিন চৌধুরী।
সময়কাল: ২৭শে মার্চ ১৯৮২ইং হতে ১১ই ডিসেম্বর ১৯৮৩ইং পর্যন্ত।
জাতীয় পার্টি
১২। হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ।
সময়কাল: ১১ই ডিসেম্বর ১৯৮৩ইং হতে ৬ই ডিসেম্বর ১৯৯০ইং পর্যন্ত।
জাতীয় পার্টি
১৩। বিচারপতি : শাহাবুদ্দিন আহম্মদ। (অন্থায়ী)
সময়কাল: ৬ই ডিসেম্বর ১৯৯০ইং হতে ১০ই অক্টোবর ১৯৯১ইং পর্যন্ত।
নির্দলীয়
১৪। বিচারপতি : আবদুর রহমান বিশ্বাস।
সময়কাল: ১০ই অক্টোবর ১৯৯১ইং হতে ৯ই অক্টোবর ১৯৯৬ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
১৫। বিচারপতি : শাহাবুদ্দিন আহম্মদ।
সময়কাল: ৯ই অক্টোবর ১৯৯৬ইং হতে ১৪ই নভেম্বর ২০০১ইং পর্যন্ত।
নির্দলীয়
১৬। অধ্যাপক : এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
সময়কাল: ১৪ই নভেম্বর ২০০১ইং হতে ২১শে জুন ২০০২ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
১৭। ব্যারিষ্টার : জমির উদ্দিন সরকার।
সময়কাল: ২১শে জুন ২০০২ইং হতে ৬ই সেপ্টেম্বর ২০০২ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
১৮। অধ্যাপক : ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ।
সময়কাল: ৬ই সেপ্টেম্বর ২০০২ইং হতে ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০০৯ইং পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP)
১৯। অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান।
সময়কাল: ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০০৯ইং হতে ২০ মার্চ ২০১৩।
আওয়ামী লীগ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.