নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের ক্রূর হাসি .....

আমি নগণ্য এক মানুষ

চাঁদপুরের চাঁদ

আমি রাঘব বোয়াল নই, চুনোপুটি।

চাঁদপুরের চাঁদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহামূল্যবান মনি মুক্তা ও বিখ্যাত রত্নপাথর

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৫



বহু প্রাচীনকাল থেকেই চকচকে মনিমুক্তার প্রতি মানুষের এক ধরনের সহজাত আকর্ষণ রয়েছে। এর আবিষ্কার কবে তা এখন পর্যন্ত কেউ বের করতে পারেনি। হাজার হাজার বছর ধরে এমনকি এখনো মানুষ ভূত-প্রেত ও নানা রোগ ব্যধির হাত থেকে রক্ষা পেতে কবচরুপে এগুলো ব্যবহার করে।

সকল প্রকার রত্ন পাথরইকেই "মূল্যবান পাথর" বলা হলেও আসলে সত্যিকার মূল্যবান পাথর বলতে চার প্রকার পাথরকেই বোঝায়। নিম্নে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত লিখা হল -

১। হীরা (Diamond, দরিয়া-ই-নূর): সর্বাপেক্ষা মূল্যবান এ বর্নহীন এ রত্নগুলো একটি মাত্র বিশুদ্ধ উপাদান কার্বন থেকে সৃষ্ট। ভারত বর্ষে সর্বপ্রথম মূল্যবান হিসেবে খনি থেকে উত্তোলন ও ব্যবহার করা শুরু হয়। হীরা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে কমপক্ষে ৩০০০ - ৬০০০ বছর ধরে পরিচিত।

দরিয়া-ই-নূরই ছিল নবাবদের রত্নরাজির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও মূল্যবান অলংকার। ব্রিটিশ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হ্যামিল্টন অ্যান্ড কোম্পানি জানিয়েছে, প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ হীরকখণ্ডটি টেবিল আকৃতির, সমতল পৃষ্ঠ এবং মূল পাথরটি বর্ণহীন। মূল হীরাটির চারদিকে ছোট ছোট আরও ১০টি ডিম্বাকৃতির হীরকখণ্ডকে সোনার ফ্রেমের সাহায্যে মূল হীরার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। মানুষের জানা সকল প্রাকৃতিক পদার্থ থেকে হীরা অনেক বেশি শক্ত এবং এটি দ্বারা সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা পর্যন্ত কাজ করা যায়।



মাটির প্রায় ১৪০ থেকে ১৯০ কি.মি. নিচে পৃথিবীর কেন্দ্র ও পৃথিবীর আবরনে মাঝে প্রচন্ড তাপ ও চাপের কারনে হীরা গঠিত হতে প্রায় ১ থেকে ৩.৩ বিলিয়ন বছর সময় লাগে। সকল হীরাই পৃথিবীতে তৈরী হয়েছে এমন নয়, পৃথিবীতে এমন অনেক হীরা পাওয়া গেছে যেগুলো পৃথিবীর বাহিরে তৈরী। হীরাকে আদর্শ ধরে তৈরি করা Mohs Scale of mineral hardness অনুযায়ী হীরার কাঠিন্যতা ১০ এ ১০। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ২৬০০০ কে.জি. হীরা উত্তোলিত হয় যার মূল্য প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার।

২। চূনী (Ruby): যেসকল দামী পাথর হতে লাল রং বিচ্ছুরিত হয় তাদেরকে চূনী বলে। ক্রোমিয়ামের উপস্থিতির ফলেই এগুলো দেখতে লাল। এগুলো অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের একধরনের ক্রিস্টাল বলে এদেরকে কোরান্ডাম বলে। আসলে লাল রংয়ের কোরান্ডামকেই চূণী বলে।



হীরার পরে এটি সবচেয়ে মূল্যবান প্রাকৃতিক বস্তু। বলা হয় সবচেয়ে ভাল চূনী মায়ানমারে পাওয়া যায় যেগুলো নাকি কবুতরের রক্তের মত লাল। মায়ানমারের মোগক ভ্যালি পৃথিবীতে রুবির প্রধান উৎস। Mohs Scale of mineral hardness অনুযায়ী এর ১০ এ এর কাঠিন্যতা ৯।

৩। পান্না (Emerald):



সবুজ রংয়ের মূল্যবান পাথরগুলোকে বলে পান্না। পান্নাতে বিভিন্ন পদার্থের মিশ্রিন থাকে বলে এর কাঠিন্যতা কম। Mohs Scale of mineral hardness অনুযায়ী ১০ এ এর কাঠিন্যতা ৭.৫ থেকে ৮। শুধু গাড় সুবজ রংয়ের রত্নপাথরকেই পান্না বলে। রত্ন পথরের রং হালকা হলে তখন তাকে বেরোল (beryl) বলে। মিশর, অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানে পান্নার জন্য বেশি নামকরা।

৪। নীলকান্তমণি (Saphire):







এর নাম নীলকান্তমণি হলেও এর রং সবসময় নীল হয় না। প্রকৃত পক্ষে লাল ছাড়া সকল রংয়ের কোরান্ডাম ক্রিস্টালই নীলকান্তমণি। এটা হীরার মত বর্ণহীনও হতে পারে। Mohs Scale of mineral hardness এগুলোর কাঠিন্যতাও চূণীর মত ১০ এ ৯।



এছাড়াও আরো অনেক কম মূল্যবান পাথর রয়েছে যেমন - অপেল(Opals), নীলা(Amethysts), পোখরাজ(Topazes) ইত্যাদি। নিচের ছবিতে দেখুন







কয়েকটি বিখ্যাত রত্নপাথর :

১। কোহিনূর:



বৃটিশ রানীর মুকুটে স্থাপিত মাত্র ১০৫ ক্যারেটের "কোহিনূর" পৃথিবীর সবচেয়ে নামকরা ঐতিহাসিক রত্নপাথর। কূহিনুর অর্থ আলোর পাহাড়। কোহিনূর ১২৯৪ সালে মালোয়ার রাজার হাত থেকে আলা উদ্দীন কাজী, তারপর মুহম্মদ বিন তুগলক, তারপর দিল্লি সুলতানাত এভাবে মুগল সম্রাট বাবুর এবং সকল মুগল সম্রাটের হাত হয়ে শেষ দিকের মুগল সম্রাট সাহজাহানের হাতে এসে পড়ে, শাহজাহানের বিখ্যাত ময়ূর সিংহাসনে ময়ূরের এক চোখে লাগানো ছিল কোহিনূর অপর চোখে চিল আকবর সাহ রত্ন, এরপর কোহিনূর আবার শাহজাহান হতে নাদির সাহ, তারপর আহমেদ সাহ আবদালি, সিখ মহারাজ এবং সাহ সূজা এর হাত হয়ে এসে পড়ে রনজিত সিং এর কাছে যার কাছে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি এটি কেড়ে নেয় এবং ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়াকে ১৮৫১ সালে উপহার হিসেবে দেয়।

২ । Gem of Thanza :





নিম্নোক্ত সাইটে গেলে পৃথিবীর বর্তমান শ্রেষ্ঠ ১০ টি রত্নপাথর সম্পর্কে জানতে পারবেন।



Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.