নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের ক্রূর হাসি .....

আমি নগণ্য এক মানুষ

চাঁদপুরের চাঁদ

আমি রাঘব বোয়াল নই, চুনোপুটি।

চাঁদপুরের চাঁদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নয় লক্ষ তেঁতুল গাছে কয় লক্ষ পাতা?

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৫৬

একলোক গাছে চড়ে একটি ডাল কাটতেছিল। কিন্তু লোকটি এত বোকা, যে ডালে বসে ছিল সেই ডালটি কাটতে ছিল। তা দেখে একটি লোক বলল আরে বোকা তুমি তো পড়ে যাবে। কিন্তু লোকটি সেই লোকের কথায় কান না দিয়ে নিজের মনে ডাল কাটতে ছিল। একটু পরে সে সত্যি সত্যি ডাল ভেঙ্গে পড়ে গেল। যে বোকা লোক ডাল কাটতে ছিল সে কিন্তু আমাদের সবার চেনা পন্ডিত কালিদাস। ভাবছেন কিভাবে এত বোকা লোক পন্ডিত হয়?? তাহলে চলুন তাঁর সম্পর্কে একটু জেনে নেই।



কালিদাস প্রাচীন যুগের ভারতীয় কবি। তিনি সংস্কৃত ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিরূপে পরিচিত। যদিও তাঁর জীবনকাহিনি সম্পর্কে বিশেষ নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি প্রথম জীবনে মূর্খ ছিলেন এবং বিদূষী স্ত্রী কর্তৃক অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করতে গেলে দেবী সরস্বতীর বরপ্রাপ্ত হন।



তাঁর সময়কাল নিয়ে দুটি মত প্রচলিত। প্রথম মতে, তিনি খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকে বিদ্যমান ছিলেন। তাঁর মালবিকাগ্নিমিত্রম নাটকের নায়ক অগ্নিমিত্র ছিলেন শুঙ্গবংশীয় রাজা, যাঁর শাসনকাল ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ১৮৫-৪৮ অব্দ। অপর মতে, তাঁর সময়কাল খ্রিস্টীয় চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতকের মধ্যে। বিক্রমাদিত্য নামে পরিচিত গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সভাকবি হিসাবেই তাঁর খ্যাতি সমধিক। কালিদাসের বহু রচনায় দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজ্য, রাজধানী উজ্জয়িনী ও রাজসভার উল্লেখ পাওয়া যায়। সপ্তম শতাব্দীতে বাণভট্ট রচিত হর্ষচরিত গ্রন্থে কালিদাসের সপ্রশংস উল্লেখ আছে।



কালিদাস মেঘদূতম, কুমারসম্ভবম্‌, রঘুবংশম, ঋতুসংহার, শৃঙ্গাররসাষ্টক, শৃঙ্গারতিলক, পুষ্পবাণবিলাস নামক কাব্য, নলোদয় ও দ্বাদশ-পুত্তলিকা নামে দুটি আখ্যানকাব্য এবং অভিজ্ঞানশকুন্তলম্‌, বিক্রমোর্বশীয়ম, মালবিকাগ্নিমিত্রম নামে তিনটি নাটক রচনা করেন।



কালিদাস তাঁর হেঁয়ালি বা ধাঁধার জন্য আমাদের কাছে অধিক পরিচিত। কিন্তু তিনি ধাধাগুলো সংস্কৃত ভাষায় লিখে গিয়েছিলেন। কালিদাস পন্ডিতের লেখা না বুঝলেও তার রচিত (পরিবর্তিত হয়ে আসা হয়ত) ধাঁধাঁ সমূহ বাংলা ভাষার অলংকার হয়ে যুগযুগ ধরে মানুষের মনে আনন্দ বয়ে বেড়াবে বলে আমি মনে করি। আজ থেকে এক হাজার বছর পরেও কোন বাংলাভাষী পিতা তার সন্তানকে যখন ধাঁধাঁ ধরবে, তখন কবি কালিদাস তথা কালিদাস পন্ডিতের নাম মুখে আসবে। এটাই মনে হয় কবি কালিদাসের সাফল্য। বাংলায় কে অনুবাদ করেছেন তা সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না।

'শকুন্তলা' গল্পের কথা আশা করি সবার মনে আছে। সেই গল্পটি কালিদাস পন্ডিতের লেখা। বাংলায় এটি অনুবাদ করেছেন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর।

১৯৬৬ সালে তামিল ভাষায় কালিদাশের জীবনির উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয় চলচিত্র 'মহাকবি কালিদাস'।

কিন্তু দুঃখের বিষয় এই মহা পন্ডিত সিংহলের এক গনিকার হাতে নিহত হন।



কালিদাস পণ্ডিতের বেশ কিছু ধাঁধাঁ :



১।

কালিদাস পণ্ডিতে কয় বাল্যকালের কথা,

নয় হাজার তেঁতুল গাছে কয় হাজার পাতা।

২।

শুইতে গেলে দিতে হয়, না দিলে ক্ষতি হয়,

কালিদাস পন্ডিত কয় যাহা বুঝেছ তাহা নয়।

৩।

চক থেকে এল সাহেব কোর্ট প্যান্ট পরে,

কোর্ট প্যান্ট খোলার পরে চোখ জ্বালা করে।

৪।

পোলা কালে বস্ত্রধারী যৌবনে উলঙ্গ,

বৃদ্বকালে জটাধারী মাঝখানে সুড়ঙ্গ।

৫।

বাঘের মত লাফ দেয়, কুকুর হয়ে বসে,

পানির মধ্যে ছেড়ে দিলে সোলা হয়ে ভাসে।

৬।

হাসিতে হাসিতে যায় নারী পর পুরুষের কাছে,

যাইবার সময় কান্নাকাটি ভিতরে গেলে হাসে।

৭।

আমি তুমি একজন দেখিতে এক রুপ,

আমি কত কথা কই তুমি কেন থাক চুপ।

৮।

কালিদাস পন্ডিতের ফাঁকি,

আড়াইশ থেকে পাঁচ পঞ্চাশ গেলে

আর কত থাকে বাকী।

৯।

শোন ভাই কালিদাসের হেয়ালীর ছন্দ,

দরজা আছে হাজারটা তবু কেন বন্ধ।

১০।

শুভ্রবাসান দেহ তার,

করে মানুষের অপকার।

চিতায় তারে পুড়িয়া মারে,

তবু সে উহ আহ না করে।



ধাধা'র উত্তর দেখুন -

১।

কালিদাস পণ্ডিতে কয় বাল্যকালের কথা,

নয় হাজার তেঁতুল গাছে কয় হাজার পাতা।

উত্তরঃ আঠার হাজার পাতা

২।

শুইতে গেলে দিতে হয়, না দিলে ক্ষতি হয়,

কালিদাস পন্ডিত কয় যাহা বুঝেছ তাহা নয়।

উত্তরঃ দরজার খিল

৩।

চক থেকে এল সাহেব কোর্ট প্যান্ট পরে,

কোর্ট প্যান্ট খোলার পরে চোখ জ্বালা করে।

উত্তরঃ পেঁয়াজ

৪।

পোলা কালে বস্ত্রধারী যৌবনে উলঙ্গ,

বৃদ্বকালে জটাধারী মাঝখানে সুড়ঙ্গ।

উত্তরঃ বাঁশ

৫।

বাঘের মত লাফ দেয়, কুকুর হয়ে বসে,

পানির মধ্যে ছেড়ে দিলে সোলা হয়ে ভাসে।

উত্তরঃ ব্যাঙ

৬।

হাসিতে হাসিতে যায় নারী পর পুরুষের কাছে,

যাইবার সময় কান্নাকাটি ভিতরে গেলে হাসে।

উত্তরঃ মেয়েদের হাতের ছুঁড়ী

৭।

আমি তুমি একজন দেখিতে এক রুপ,

আমি কত কথা কই তুমি কেন থাক চুপ।

উত্তরঃ নিজের ছবি

৮।

কালিদাস পন্ডিতের ফাঁকি,

আড়াইশ থেকে পাঁচ পঞ্চাশ গেলে

আর কত থাকে বাকী।

উত্তরঃ কিছুই না, শূন্য

৯।

শোন ভাই কালিদাসের হেয়ালীর ছন্দ,

দরজা আছে হাজারটা তবু কেন বন্ধ।

উত্তরঃ মশারী

১০।

শুভ্রবাসান দেহ তার,

করে মানুষের অপকার।

চিতায় তারে পুড়িয়া মারে,

তবু সে উহ আহ না করে।

উত্তরঃ সিগারেট

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.