![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাস্টারদা সূর্যসেন বলেছিলেন, ব্রিটিশরাজের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করার একটিই পথ হলো, ক্ষমতা দখল করা এবং প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করা। ত্রিমুখী লক্ষ্য নিতে হবে: প্রথমে দু’টি অস্ত্রাগার লুঠ করতে হবে তারপর উপড়ে দিতে হবে রেল লাইন, যাতে বাইরে থেকে খুব তাড়াতাড়ি সৈন্য আসতে না পারে। তৃতীয় কাজটি ছিলো, ইউরোপিয়ান ক্লাবকে উড়িয়ে দেওয়া, যেখানে ব্রিটিশ সৈন্য ও কর্মকর্তারা গান আর পান করে উল্লাস করে। সারা দেশ থেকে ব্রিটিশ সৈন্যরা জড়ো হবার পূর্বেই চট্টগ্রামকে স্বাধীন করতে হবে। নিজেদের জীবন দিয়ে স্বদেশীদের জন্য স্বাধীন করতে হবে দেশকে। হয় দেশের মুক্তি না হয় আত্মার মুক্তি। মাঝখানে কোন রাস্তা নেই। যুদ্ধ পরিকল্পনা উপস্থাপনার সময় কথাগুলো বলছিলেন বিনোদ বিহারীসহ প্রায় একশ’ তরুণের সামনে। মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে প্রধান সহযোদ্ধারা ছিলেন প্রীতিলতা ওয়ায়েদ্দার, কল্পনা দত্ত, কালিপদ চক্রবর্তী, আম্বিকা চক্রবর্তী, মাখন ঘোষাল, তারাকিশোর দস্তিদার প্রমূখ অনেকে। বিনোদ বিহারী ছিলেন সূর্যসেনের তরুন সহযোগী। মাত্র ১৯ বছরের তরুন বিনোদকে পড়াশুনার পড়ামর্শ দিয়ে সস্নেহে এড়িয়ে যান মাস্টারদা। কিন্তু বিনোদের চাপে এবং অন্য কোন দলে যোগদানের হুমকিতে হাসিমুখে বরণ করেন।
ছবিটি "Chittagong 2012" মুভি থেকে নেয়া
টাইমলাইন: বিনোদ বিহারী চৌধুরী
---------------------------------------------------------------
১৯১১: বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরীর জন্ম (১০ জানুয়ারি), চট্টগ্রাম
১৯২৭: আন্ডারগ্রাউন্ড বিপ্লবী দল ‘যুগান্তরে’ যোগদান
১৯২৯: কৃতীত্বের সাথে মাধ্যমিক পাশ (মেট্রিকুলেশন) করে বৃত্তি লাভ করেন
১৯৩৩: অস্ত্রাগ্রার লুণ্ঠন মামলায় গ্রেফতার ও কারাবরণ।
১৯৩৪: প্রথম শ্রেণীতে উচ্চমাধ্যমিক (আই.এ) পাশ করেন – ব্রিটিশ রাজের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকাবস্থায়
১৯৩৬: প্রথম শ্রেণীতে ডিসটিংশনসহ স্নাতক (বি.এ) পাশ করেন – ব্রিটিশ রাজের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকাবস্থায়
১৯৩০: চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে সূর্যসেনের অন্যতম সহযোগী। সহসম্পাদক – কংগ্রেসের চট্টগ্রাম জেলা কমিটি।
১৯৩৯: ইংরেজিতে এম.এ পাশ করেন এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবনের শুরু
১৯৪০: চট্টগ্রাম কোর্টের আইনজীবি হিসেবে অনুশীলন শুরু করলেও শিক্ষকতাই ছিলো তার পেশা।
১৯৪০-১৯৪৬: বঙ্গীয় প্রাদেশিক নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ১৯৪৬ সালে কংগ্রেসের চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক
১৯৪০: চট্টগ্রাম কোর্টের আইনজীবি কিরণ দাশের মেয়ে বিভা দাসকে বিয়ে করেন
১৯৫৪: পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের এমএলএ (১৯৫৪ পর্যন্ত)
২০১০: শততম জন্মদিনে তার জীবনীগ্রন্থ “অগ্নিঝড়া দিনগুলো” প্রকাশিত হয়।
২০১১: স্বাধীনতা পদক (সাল নিয়ে সন্দেহ আছে)
২০১৩: মৃত্যু (১০ এপ্রিল), কলকাতা ফর্টিস হাসপাতাল
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৩
চাঁদপুরের চাঁদ বলেছেন: “ইতিহাসের কিংবদন্তির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি”