নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের ক্রূর হাসি .....

আমি নগণ্য এক মানুষ

চাঁদপুরের চাঁদ

আমি রাঘব বোয়াল নই, চুনোপুটি।

চাঁদপুরের চাঁদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীতকালে নাক কান ও গলায় সমস্যা

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

শীতকালে নাক কান ও গলায় সমস্যা(পরিমার্জিত)

--------------------------------------

আমাদের দেশে এখন শীতকালের আমেজ দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন পর পুরোদমে শীত পড়বে। যখন অতিরিক্ত শীত পড়ে ও শীতকে অবহেলা করা হয়, তখন বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রয়োজনীয় গরম কাপড় পরিধান করা উচিত। শীতকালে নাক, কান ও গলায় যেসব সমস্যা হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

টনসিলের প্রদাহ বা গলাব্যথা :

----------------------

শীতকালে গলাব্যথা হয়ে টনসিলে তীব্র প্রদাহ হতে পারে। এর জন্য গলাব্যথা, জ্বর এবং ঢোঁক গিলতে অসুবিধা হয়। যদি ভাইরাসজনিত হয়, তাহলে লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করলে এবং প্যারাসিটামল খেলে ভালো হয়ে যায়। ব্যাকটেরিয়াজনিত টনসিল প্রদাহ হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণমতো সঠিক সময় ও সঠিক মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করতে হবে। অনেক সময় ঠান্ডা লেগে কণ্ঠনালিতে ইনফেকশন বা গলার স্বর পরিবর্তন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিহিস্টামিন ও মেন'লের ভাপ নেয়া যেতে পারে। অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগলে শিশুদের শ্বাসনালিতে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে, এমনকি নিউমোনিয়াও হতে পারে। তাই শিশুদের অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নেয়া উচিত।

এডিনয়েড :

----------

শিশুদের নাকের পেছনে এক ধরনের টনসিল থাকে, যাকে এডিনয়েড বলা হয়। এডিনয়েড বড় হয়ে গেলে নাক বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নিঃশ্বাস নিতে পারে না। তাই রাতে শিশুরা মুখ হাঁ করে নিঃশ্বাস নেয়। এডিনয়েড অতিরিক্ত বড় হয়ে গেলে শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং রাতে ঘুমের সময় নাক ডাকে। এতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। এডিনয়েডের কারণে শিশুদের মধ্যকর্ণে পানি জমে যেতে পারে। তখন শিশুরা কম শুনতে পায়। ফলে দেখা যায়, শিশুরা পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে এবং রেডিও-টেলিভিশনের ভলিউম বাড়িয়ে দেয়। এ ধরনের সমস্যা হলে নাক, কান ও গলাবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।

অ্যালার্জিজনিত নাকের সর্দি ও পলিপ :

---------------------------

কোনো রকমের অ্যালার্জেন, যেমন ধুলাবালি, গাড়ির ধোঁয়া নাকে ঢুকে যায়, তাহলে নাকে অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ হতে পারে। এতে নাকে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ ইত্যাদি উপসর্গ হতে পারে। বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে এবং যে কারণে নাকে সর্দি ও অ্যালার্জি হয় তা থেকে দূরে থাকলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

সাধারণত দীর্ঘদিন নাকে অ্যালার্জি থাকলে পলিপ হতে পারে। পলিপ দেখতে আঙুর ফলের মতো দেখায়। নাকের পলিপে নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং সঙ্গে সাইনাসের ইনফেকশন হয়ে মাথাব্যথা হতে পারে। এ সমস্যার চিকিৎসা হলো অপারেশন। প্রচলিত নিয়মে অপারেশনে আবার পলিপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন' আধুনিক এন্ডোস্কপিক সাইনাস সার্জারির মাধ্যমে সফলভাবে অপারেশন করা যায়। বর্তমানে আমাদের দেশে বড় বড় হাসপাতালে এন্ডোস্কপিক সাইনাস সার্জারি নিয়মিত হয়েছে।

শীতকালে প্রচুর পুষ্টিকর শাকসবজি, ফলমূল পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। নিয়মিত শাকসবজি ও ফলমূল খেলে রোগব্যাধিও কম হবে।



লেখকঃ

অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী

বিভাগীয় প্রধান, নাক, কান, গলা বিভাগ

মেডিকেল কলেজ ফর ওমেন অ্যান্ড হসপিটাল

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.