নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাওকে মন দিতে হলে মনের ফটোকপি দেওয়া উচিৎ। মূলকপি দিলে ফুলকপি ভেবে খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে।

চেতনার ফেরিওয়ালা

আসমান জমিন যার বিধানও চলবে তাঁর

চেতনার ফেরিওয়ালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ই\'তিকাফ

২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

ই'তিকাফ

ই'তিকাফ আরবী শব্দ।
এর অর্থ কোন স্থানে অবস্থান করা।
কোন জিনিসের উপর নিজেকে শক্তভাবে আটকে রাখা বা কোন জিনিস বাধ্যতামূলক ভাবে ধরে রাখা।
আর শরীয়তের পরিভাষায় ইবাদতের নিয়তে মসজিদে কোন ব্যক্তি বিশেষ অবস্থানকে ই'তিকাফ বলে।

ই'তিকাফের ফযিলত

ই'তিকাফের ফযিলত অনেক। যেহেতু রমজান মাসের শেষ দশ দিন ই'তিকাফ করলে ২৭শে রমযান যদি শবে ক্বদর নাও হয়,
তবু এ দশদিনের মধ্যে নির্দিষ্ট শবে ক্বদরের ইবাদত এ ই'তিকাফের মধ্যে আদায় হয়ে যায় এবং
এর ফলে ক্বদরের রাতের ফযীলতও লাভ করা যায়।
.
এছাড়া রাসূলুল্লাহ্ (স.) বলেছেন, যারা অন্তত একদিন একরাত ই'তিকাফ করবে, তাদের ও জাহান্নামের মাঝখানে এরূপ তিনটি খান্তকের আড় হবে, যার প্রত্যেকটির প্রশস্ততা হবে পাঁচশ বছরের রাস্তা। (সুবহানআল্লহ্)।
.
ই'তিকাফ অবস্থায় মানুষ মহান আল্লাহর সম্মুখে এমনভাবে হাজির হয়ে থাকে যে, দুনিয়ার কোন কিছুর প্রতি তার খেয়াল থাকেনা।সে তখন মৃত ব্যক্তির মতই নিজেকে মহান আল্লহ্ তা'য়ালার মর্জির উপর সপে দেয়।

ই'তিকাফের শর্ত

১। নিয়্যাত করা।
২। রোযা রেখে ই'তিকাফ করা।
৩। আসরের নামাযের পর ই'তিকাফে বসা এবং আসরের নামাযের পর ই'তিকাফ ভঙ্গ করা।
৪। ই'তিকাফ করা ব্যক্তি আক্বেল বালেগ হওয়া।
৫। পাক-পবিত্র অবস্থায় ই'তিকাফে বসা।
৬। জামায়াতের সাথে নামায আদায় হয় এমন মসজিদে ই'তিকাফ করা।
৭। স্ত্রীলোকগন মসজিদে না বসে কোন পাক-পবিত্র নির্জন গৃহে ই'তিকাফ করবে।

ই'তিকাফে বসে যে যে কাজ করবে

১। জামায়াতের সাথে নামায আদায় করবে।(মহিলারা তাদের নিয়ম অনুযায়ী পড়বে)।
২। তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করবে।
৩। কুরআন তিলওয়াত করবে।
৪। দোয়া-দরূদ পাঠ ও যিকির-আযকার করবে, ধর্মীয় আলোচনা করবে।
৫। ওয়াজ-নসীহত করবে অথবা তা শ্রবন করবে।
৬। ধর্মীয় পুস্তকাদি পাঠ করবে।

ই'তিকাফরত অবস্থায় যা জায়েয

১। পেশাব-পায়খানার জন্য বাহিরে যাওয়া।
২। ওযু-গোসল উপলক্ষে বাহিরে যাওয়া।
৩। জুমুআর নামায উপলক্ষে বাইরে যাওয়া।
৪। মসজিদে বসে খাওয়ার অভাবে অন্যত্র খেতে যাওয়া।
৫। কোন বালক-বালিকা পানিতে ডুবে বা আগুনে পুড়ে মারা যাচ্ছে দেখে,তাদের উদ্ধার করতে গমন করা।অবশ্য সেজন্য ই'তিকাফের কাযা করতে হবে।
৬। ই'তিকাফ অবস্থায় নিদ্রা যাওয়া।
প্রকাশ থাকে যে, ই'তিকাফে বসে একেবারে চুপ করে থাকলে ই'তিকাফ ভঙ্গ হয় না; তবে তা মাকরূহ।

যে যে কারনে ই'তিকাফ নষ্ট হয়

১। ই'তিকাফ অবস্থায় ই'তিকাফকারী যদি বিনা প্রয়োজনে এক ঘন্টার জন্য ও মসজিদ থেকে বের হয়, তবে তার ই'তিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।উল্লেখ্য যে,এখানে বিনা প্রয়োজনে শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে হতে হবে।যেমন,পায়খান
া প্রস্রাব,ফরয গোসল, জুমুআর মসজিদ যদি অন্যত্র হয়,তাহলে জুমুআর নামায আদায় করার জন্য বের হওয়া যাবে,তবে অন্যত্র গিয়ে সময় নষ্ট করা যাবেনা।
২। ই'তিকাফ অবস্থায় বিভিন্ন ব্যবসা-বানিজ্যের হিসাব-নিকাশ ও পরিচালনার কাজ করলে।
৩। ই'তিকাফ অবস্থায় থাকাকালীন নানা রকম পার্থিব বিষয়ে আলোচনায় ব্যস্ত থাকলে।
৪। ই'তিকাফে থাকাকালীন কোন জিনিস ক্রয়-বিক্রয় করাও নিষিদ্ধ।

ই'তিকাফ অবস্থায় করণীয় কাজসমূহ

যখন কোন লোক ই'তিকাফের নিয়ত করবে,তখন থেকে শুধুমাত্র মহান আল্লাহর যিকিরে রত থাকবে।সর্বদা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করবে।কুরআন তিলওয়াত করবে।নফল নামায পড়বে।দ্বীনি কিতাবাদি পাঠ করবে, দ্বীনি ওয়াজ নছীহত করবে ও শ্রবন করবে,আর মাসয়ালা-মাসায়েল সম্পর্কে আলোচনা করবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.