নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাওকে মন দিতে হলে মনের ফটোকপি দেওয়া উচিৎ। মূলকপি দিলে ফুলকপি ভেবে খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে।

চেতনার ফেরিওয়ালা

আসমান জমিন যার বিধানও চলবে তাঁর

চেতনার ফেরিওয়ালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিবনটা কি আসলেই এমন!!!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

___ অনলাইনে আসার পরেই যার
ম্যাসেজের রিপ্লাইটা সবার আগে
দেওয়া হতো।
___ এক ঘন্টা যার সাথে ম্যাসেজিং না
করলে মনের ভেতর চিনচিন ব্যাথা
করতো। ___ যার ম্যাসেজের রিপ্লাই পেতে এক
মিনিট দেরি হলে, চোখে জল টলমটল
করতো .
___ কোন এক কারণে, একটা সময় তার
সাথে ম্যাসেজিং বন্ধ হয়ে যায়। এক
ঘন্টা থেকে দশ ঘন্টা, দশ ঘন্টা থেকে
চব্বিশ ঘন্টা, তারপর এক দিন, এক সপ্তাহ,
একমাস, এভাবে ঐ আইডির ম্যাসেজ গুলা ধীরে ধীরে পিছনের দিকে চলে যায়
.
___ আচ্ছা ম্যাসেজিং পিছনে চলে
যাওয়ার পর ঐ মানুষটাও কী মন থেকে
পিছনের দিকে চলে যায়?
. ___ দুইজনের কোন একজন, প্রতি মিনিটে,
প্রতি ঘন্টায়, প্রতি সপ্তাহে, ওপাড়ে
থাকা মানুষকে ম্যাসেজ পাঠানোর জন্য
ইনবক্সে অনেক কথা লিখে, কিন্তু শেষ
পর্যন্ত কোন এক অজানা কারণে
ম্যাসেজ গুলা আর সেন্ড করা হয় না .
___ হঠাৎ কোন এক রাতে যখন বুকের বা
পাশে প্রচন্ড ব্যাথা হয়, তখন একটা
ম্যাসেজ দিয়ে খুব জানতে ইচ্ছা করে
ওপাড়ে থাকা মানুষটা কেমন আছে?
কিন্তু একটু পরেই মনে হয়, না থাক, ওতো আমাকে ছাড়া ভালই আছে। তাহলে আমি
পারব না কেন?

___ সময়ের পরিবর্তনে, সবকিছু অতীত হয়ে
যায়। মনের ডাইরির মলাটে ধূলা জমে
যায়। .
___ আচ্ছা সময়ের পরিবর্তনের সাথে
সাথে কী দুইজন দুজনকে ভুলে যায়? .
___ কোন এক রিমঝিম বৃষ্টির দুপুরে, অথবা
গোধূলীর বিকালে, অথবা কোন এক
জ্যোৎস্নাময় রাতে। দুইজনের কোন একজনের মনে পরে যায়,অতীতের ফেলা
আসা স্মৃতি, একা একাই খুলতে শুরু করে
ধূলা পরা মনের ডাইরির পৃষ্ঠা। মনের
অজান্তেই চোখের মাঝে অশ্রু জমা হয়,
টপটপ করতে চোখ দিতে অশ্রু ঝড়তে
থাকে। এই অশ্রু কখনো কেউ দেখতে পায় না, রিমঝিম বৃষ্টির মাঝে হারিয়ে যায়
অশ্রু গুলো, গোধূলীর বিকালের উড়তে
থাকা ধূলোয় বিলীন হয়ে যায় অশ্রু গুলো,
জ্যোৎস্নাময় রাতে শুয়ে থাকা
বালিশের একটা কোণা ভিজে যায়, চোখ
থেকে গড়িয়ে পরা ঐ অশ্রুতে। . ___ এপাড়ে থাকা মানুষটা যখন, ওপাড়ের
মানুষের জন্য চোখের অশ্রু বিসর্জন দেয়,
তখন ওপাড়ের থাকা মানুষটা। রিমঝিম
বৃষ্টিতে, বৃষ্টির ছড়া, গোধূলীর বিকালে,
রক্তিম সূর্যের বর্ণনা, জ্যোৎস্নাময়
রাতে, চাঁদের সৌন্দর্য খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করে তার নতুন কোন সঙ্গীকে
ম্যাসেজ দিতে ব্যস্ত থাকে। তার মনেই
থাকে না এপাড়ে থেকে অশ্রু বিসর্জন
দেওয়া মানুষটার কথা .
___ এইতো জীবন নামক একটা ডাইরির
বেদনাময় অধ্যায়। এভাবেই উল্টাতে
থাকবে জীবন ডাইরির প্রতিটা পাতা,
প্রতিটা অধ্যায়। সময়ের পরিবর্তনে শেষ
হয়ে যাবে ডাইরির পৃষ্ঠা,শেষ হয়ে যাবে ডাইরির সব অধ্যায়। শেষ হওয়া
ডাইরিতে আস্তে আস্তে ধূলা জমতে
থাকবে। হঠাৎ একদিন এই ডাইরির
অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে.

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


জীবন সব সময় জীবনই ছিল, এখনও আছে, আগে ম্যাসেজিং ও জিং জিং প্রধান ছিল না।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এইতো জীবন নামক একটা ডাইরির বেদনাময় অধ্যায়। এভাবেই উল্টাতে থাকবে জীবন ডাইরির প্রতিটা পাতা, প্রতিটা অধ্যায়। সময়ের পরিবর্তনে শেষ হয়ে যাবে ডাইরির পৃষ্ঠা,শেষ হয়ে যাবে ডাইরির সব অধ্যায়। শেষ হওয়া ডাইরিতে আস্তে আস্তে ধূলা জমতে
থাকবে। হঠাৎ একদিন এই ডাইরির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে!!


এটাই জীবন! আনন্দ হাসি কান্না সুখ মিলিয়েই তো জীবন।

লেখার লাইনগুলো ছোট ছোট কেন? :||

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.