| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাটির কথা
আমি সেই বাংলার জনগণের একজন, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, অধিকারের জন্য জান-মাল দিয়েছে , শুনুন ইন্টারনেট রেডিওঃ http://al-hikmah.net
চুপে চুপে বা জোরে আামিন বলা নিয়ে অনেক জায়গায়ই ফিতনা হয়।
হানাফী মাযহাবে এ নিয়ে কি ফয়সালা রয়েছে , আসুন তাই দেখি।
হানাফী মাযহাবের ইমাম, ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি হাদীছ শরীফের হাকিম ছিলেন । অর্থাৎ তিনি সমস্ত হাদীছ শরীফ সম্পর্কে ইলম রাখতেন । যার কারণে উনার প্রতিটি মাসয়ালার স্বপক্ষে হাদীছ শরীফ থেকে দলীল-আদিল্লাহ রয়েছে ।
অতএব, হানাফী মাযহাবে সূরা ফাতিহা শেষে ‘আমীন’ চুপে চুপে বলে সে বর্ণনা বা প্রমাণ অসংখ্য হাদীছ শরীফ দ্বারাই ছাবিত রয়েছে ।
যেমন হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
“হযরত ওয়ায়িল বিন হজর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা ফাতিহা পাঠ শেষ করে আমীন বলতেন এবং তা অনুচ্চ আওয়াজে তথা চুপে চুপে বলতেন ।” (তিরমিযী শরীফ)
হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,
“হযরত আবূ ওয়ায়িল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বিসমিল্লাহ্, আউযুবিল্লাহ্ ও আমীন চুপে পাঠ করতেন ।” (ত্বহাবী শরীফ)
হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,
“হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, ইমাম চারটি জিনিস চুপে পাঠ করবে । ১. আউযুবিল্লাহ্, ২. বিসমিল্লাহ্, ৩. আমীন, ৪. সুবহানাল্লাহ্ ।” (বায়হাক্বী, তবারানী)
হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,
“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, ইমাম তিনটি জিনিষ চুপে চুপে পাঠ করবে। ১. আউযুবিল্লাহ্, ২. বিসমিল্লাহ্, ৩. আমীন ।” (আমানিউল আহবার)
উপরোক্ত বর্ণনার মাধ্যমে ছাবিত বা প্রমাণিত হয়েছে যে, ইমাম, মুক্তাদী সকলের জন্যই সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর চুপে চুপে আমীন বলা খাছ সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
মাটির কথা বলেছেন: আমরা যে মাযহাব এর অনুসারী সেই ইমামের অনুসরণ টাই বেটার।
কিন্তু হানাফী মাযহারে অনুসারী দাবীদার কিছু লোক কোন মাসয়ালা জানেনা, অথচ জোরে আমিন বলার স্বপক্ষে বলে। তা যে অন্য মাযহাবের মাসয়ালা তা জানে না।
২|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: ঐছিক বিষয় নিয়ে কেন এত টানাটানির কি খুবই দরকার ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
মাটির কথা বলেছেন: টানাটানি বলছেন কেন?
জানার অবশ্যই দরকার রয়েছে। কারন কিছু অল্প জানা লোক মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়।
আবার কিছু লোক রয়েছে যারা মাযহাব মানতে চায়না। নাসেখ, মানসূখ হাদীছ শরীফ সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। নিজে নিজে হাদীছ শরীফ পড়ে ফতোয়া দেয় আর বিভ্রান্তি ছড়ায়।
৩|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
আহমেদ রশীদ বলেছেন: ভাই আমিতো জোরে আমিন বলি। তাহলে কি নামাজ হবে না? কাবা শরিফের আশেপাশে যত মসজিদ আছে সবাই তো আমিন বলে জোরে, তাহলে কি তাদের নামাজ হচ্ছে না? আল্লাহর রাসূলের দেশে তারা যে ভুলের মধ্যে আছে তা কিভাবে বিশ্বাস করব!!!!!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০২
মাটির কথা বলেছেন: আপনি হানাফী মাযহাব উনার অনুসারী হলে আপনি আস্তেই বলবেন।
ক্বাবা শরীফে বর্তমান যে ইমাম সে তো মাযহাব মানে না। মাযহাব মানা ফরয।
মুসলমানগণ উনাদের দলীল হলো কুরআন শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াস। কোন দেশ বা ব্যক্তি নয়।
৪|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০২
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: আমাকে বল্ক মেরেছেন না কি
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০২
মাটির কথা বলেছেন: ব্লক করবো কেন?
কমেন্ট মডারেশন ছিলো।
৫|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭
শাহ আজিজ বলেছেন: হজ্জ পালনের সময় ঠিক কি ভাবে নামাজ এবং অন্যান্য বিষয়াদি পালিত হয় ওটাই আসল তরীকা । মাজহাব টেনে অযথা বিতর্ক বাড়ানো ঠিক নয় ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
মাটির কথা বলেছেন: কি আর বলবো ভাই?
আমাদের জনগণের চেয়ে মুফতী বেশী। সবাই ফতোয়া দেয়।
মাযহাব পালন করা ফরয। তা নিয়ে সামনে লিখবো।
হজ্জের সময় চার মাযহাবের লোক জনই থাকে। তাছাড়া অনেক বিদআতী, বদ আক্বীদার লোকজন ও থাকে। এভাবে তো অনুসরন করা যাবেনা।
অনুসরন করতে হবে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ ও ইজমা-ক্বিয়াসে কি রয়েছে সেভাবে।
মাযহাব মানা বিতর্ক নয়, বরং বিতর্কের সমাধানই হলো মাযহাব মানা।
সব মুসলমান মাযহাব মানলে এত দল বা ফিরকা বের হতো না। এত বিতর্কও হতো না।
চোখ রাখুন আমার ব্লগে। সুযোগ করে মাযহাব নিয়ে পোস্ট দেবো।
মন্তব্য করা জন্য ধন্যবাদ।
৬|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: হজ্জ পালনের সময় যে তরীকা পালন হয় তাই আসল বলে গণ্য হয় ।।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
মাটির কথা বলেছেন: ৫ নং মন্তব্যের উত্তর দ্রষ্টব্য।
৭|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
কিরিটি রায় বলেছেন:
নজরুল ইসলাম ১০০ বছর আগে যে দু:খ কইরা গেছে- আজ ডিজিটাল জামানায় সেই আবার বুদ্ধির ঝনঝনানী!!! সেই বিবি তালাকের ফতোয়া খুজার লোকে ভরপুর দেশ!!!!
আরে ভাই - ব্যাথ লাগলে চিক্কুর জোরে না আস্তে দিব- ব্যথা আর ব্যক্তির আবেগের উপর নির্ভর করে!!
ক্রিকেটে ছক্কা মারলে উল্লাস কোন বিধি মেনে হয় না!!
সূরা ফাতিহার সারমর্ম অনুভব কইরা দেখৈন কত্ত জোরে চিককুর আহে....
৮|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আমার মাযহাবটা নির্ধারণ করে দিন: আমার ২ পা, ২ হাত ও মাথা ১০টি।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
মাটির কথা বলেছেন: আপনি যদি মুসলিম পিতার সন্তান হন , তাহলে আপনার পিতা যে মাযহাবের অনুসারী আপনি ও সে মাযহাব অনুসরন করবেন।
আর যদি নওমুসলিম হন তাহলে যে একটি অনুসরন করতে পারবেন।
*** তিরস্কার মূলক মন্তব্য হওয়ার পরও উত্তর দিলাম।
আচ্ছা আপনার মাথা ১০ টা কিন্তু চোখ , কান, নাক , মুখ কয়টা না তাতো বললেন না।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
মাটির কথা বলেছেন: মাযহাব ফরয। এসম্পর্কে ধারাবাহিক ভাবে আমার পোস্টগুলো ফলো করুন।
৯|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: @লেখক,
এখানে তিরস্কারে কিছু নেই, ১০ মাথা মানুষের থাকে না; ১০ মাথা মানে আমি 'সবদিকে' (১০ দিক দেখতে পাই) খেয়াল রাখি!
১০|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: আপনি কি হানাফী মাযহাব এর অনুসারী ? উত্তর হ্যাঁ হলে ঐছিক বিষয় নিয়ে কেন এত টানাটানি ।
আমিন চুপিচুপি না উচ্চস্বরে এ নিয়ে চার ঈমাম চার রকম অভিমত দিয়েছেন ।
সহিহ আল বুখারি তে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর উচ্চস্বরে আমীন বলার ব্যাপারেই এসেছে ,সহিহ আল বুখারি পড়ে দেখুন।
সুতরাৎ আমরা যে মাযহাব এর অনুসারী সেই ইমামের অনুসরণ টাই বেটার নয় কি ? ঐছিক বিষয় নিয়ে কেন এত টানাটানির কি খুবই দরকার ।
১১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
শাফা সিদ্দিকী বলেছেন: 'মাযহাব পালন করা ফরয।'
'ক্বাবা শরীফে বর্তমান যে ইমাম সে তো মাযহাব মানে না। মাযহাব মানা ফরয।'
তাহলে কি কাবা শরীফের ইমাম ফরজ পালন হতে বিরত থাকছেন ,আর যদি বিরতই থাকেন তার পিছে নামাজ আদায় করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
মাটির কথা বলেছেন: বর্তমানে যারা সৌদি শাসক তারা হলো ওহাবী মতাবলম্বী। যা বিভ্রান্ত আক্বীদা। তারা ইয়েমেন থেকে এসেছে। তারা মক্কা শরীফ মদীনা শরীফ উনাদের প্রকৃত বাসিন্দা নয়।
তাদেরকে বৃটিশরা ক্ষমতায় বসিয়েছে। আর আব্দুল নজদী কর্তৃক বাতিল আক্বিদা তৈরী করে মুসলমানদের মধ্যে ছড়িয়েছে। বর্তমানে সৌদিসহ অনেক দেশে এই ওহাবী বাতিল ফিরক্বা ফিতনা ছড়াচ্ছে।
তারা মাযহাব মানে না। শুধু মনগড়া আমল করে।
সৌদি শাসকরা তাদের আজ্ঞাবহ ও বাতিল ওহাবী মতের অনুসারীদেরকে মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়েছে।
ফলে মুসলমানগণ উনাদের পক্ষে হক্ব বিষয়টা পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
১২|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
আমি শুধুই পাঠক বলেছেন: মাযহাব মানা ফরয।
ভাই, আপ্নে কি পাগল না পেট খারাপ???
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
মাটির কথা বলেছেন: মাযহাব নিয়ে আমার ধারাবাহিক পোস্ট টি পড়তে থাকুন।
তাহলে বুঝবেন মাযহাব মানা কি?
১৩|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
জোৎস্নার কান্না বলেছেন: সুন্দর ও তথ্যবহুল পোস্ট ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মাটির কথা বলেছেন: শুকরিয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫০
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: আপনি কি হানাফী মাযহাব এর অনুসারী ? উত্তর হ্যাঁ হলে ঐছিক বিষয় নিয়ে কেন এত টানাটানি ।
আমিন চুপিচুপি না উচ্চস্বরে এ নিয়ে চার ঈমাম চার রকম অভিমত দিয়েছেন ।
সহিহ আল বুখারি তে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর উচ্চস্বরে আমীন বলার ব্যাপারেই এসেছে ,সহিহ আল বুখারি পড়ে দেখুন।
সুতরাৎ আমরা যে মাযহাব এর অনুসারী সেই ইমামের অনুসরণ টাই বেটার নয় কি ? ঐছিক বিষয় নিয়ে কেন এত টানাটানির কি খুবই দরকার ।