![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে ভালোবাসি, ভালোবাসি আমার কন্যা মনস্বিতা মেধাকে, ভালোবাসি কবিতা, গান, আর মানুষ, সকালের শিশির, সব চেয়ে বেশি ভালোবাসি আমার বাংলাদেশকে।
একটু পরেই শুরু হবে বাচ্চার পরীক্ষা, তারপরও জানি না কোন অমোঘ তাগিদে গিয়ে পড়লাম রায়ের বাজারের বধ্যভূমিতে, সাথে পতাকা নেয়ার কথা ছিলো, সংগ্রহ করতে পারিনি, সঙ্গে নেই ক্যামেরাটাও, একটা উশখুশ মনের ভেতর তার উপর বাচ্চাটার মাথার ভেতর বিসিএস ভাইবার ৪২ বছরের প্রশ্ন পত্র, -কেন আমরা শাহবাগে না গিয়ে এখানে এসে রাজাকারের ফাঁসি চাইছি? -বাংলাদেশতো রাজাকারেরও দেশ, তাহলে তারা কেন নিজের দেশকে চায় না? কেন ওরা নিজের দেশকে ভালোবাসতে পারে না? শাহবাগের মুক্তিযুদ্ধের মঞ্চ রাজাকাররা কি পুড়িয়ে দিয়েছে? পুলিশেরতো হাতে বন্দুক আছে তবুও কেন ওরা রাজাকারদের সাথে যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে? -কেন পুলিশগুলো দুষ্টুদেরকে মিছামিছি গুলি করছে? কেন সত্যিকারের গুলি করে মারছে না? - আমরা কি এখন এখানে এসে রাজাকারের ফাঁসি চাই বলবো? শাহবাগে একবার শপথ করেছি আবার এখানে এসেও শপথ করছি কেন? বাচ্চার এমনি সব প্রশ্নে নাযেহাল হতে হতে বারবার ঘড়ি দেখছি, শপথ নেওয়া শেষ, পেছন থেকে কে যেন ঘাড়ে হাত রাখলো, আমি ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই হাত আমাকে তার দিকে ঘুরিয়ে নিলো, আমার এক সময়ের প্রতিবেশিনী, তার বাচ্চা পড়ে আমার বাচ্চার সাথে, উনার সাথে উনার মা, এখানে আরেকটা বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করছি উনারা ধর্ম বিশ্বাসে হিন্দু, ওদের দেখে জানি না খুব খুশি হয়ে উঠলো মনটা, বললাম -ভাবি এসেছেন? খুব ভালো করেছেন, সবারই আসা উচিত, দেশের প্রশ্নে... আমি শেষ করতে পারলাম না আমার বক্তব্য, সেই মোটাসোটা ভাবি হাতের চাপে মনে হয় আমার গলার কাছে বিউটিবোন ভেঙ্গে ফেলবেন, আমার কানের কাছে মুখ এনে চাপা গলায় বললেন -উচিত বলেতো আসিনি, এসেছি বাধ্য হয়ে। আমি তাড়াতাড়ি বললাম ঠিক বলেছেন ভাবি, ওদের কত বড় সাহস দেশের পতাকা ছিড়ে ফেলে... উনি এবারও আমার কথা শেষ করতে দিলেন না বললেন - এই যে দেখেন শাহবাগে গিয়া গিয়া আপনাদের মাথা একবারেই গেছে, সকলের এখানে আসা উচিত হতো যদি এই আন্দোলনটা নিরেপেক্ষ হইতো, কিন্ত এইটাতো দখল হয়ে গেছে, আমি বললাম কি বলছেন ভাবি, আমিতো কোনো দল করি না তবু প্রায় প্রতিদিনই শাহবাগে না গিয়ে পারি না, উনি বললেন আপনি যান আপনার খুশিতে কিন্তু আমাদেরকে এখানে জোর করে আনা হয়েছে, আমি কিছু বুঝতে না পেরে হতবিহ্বল হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে থাকলাম তারপর কোনো রকমে বলতে পারলাম -জোর করে কে? উনি বললো - আপনার ভাইকে একটা ক্লিনিকে অসুস্থ একা রেখে আসছি, উনার কাছে এখনো দুপুরের খাবার পৌঁছাইতে পারিনি, এই সময় আমাদেরকে এইখানে আসতে বাধ্য করা হলো, আপনারাতো দিনরাত এইখানে পড়ে আছেন নিজের খুশিতে, আমাদেরতো ভাই এই রকম করলে জীবন অচল হইয়া যাবে, আওয়ামী লীগের এই সব উৎপাতের জন্যই দেশটা গেলো, মানুষ ওদেরকে আর বিশ্বাস করে না! -আওয়ামী লীগ? ভাবি এর মধ্যে আবার আওয়ামী লীগ আসলো কেন? উনি আমাকে টেনে এক ভীড় থেকে আরেক ভীড়ের মধ্যে নিয়ে বললেন -আওয়ামী লীগের ইন্ধনে যদি শাহবাগের আন্দোলন না হয়ে থাকে তাহলে নানকের আর তার লুকজনের কেন এতো ঠেকা আমাদেরকে এইখানে আসতে বাধ্য করার? -নানক কোন নানক? ভাবি আপনার মনে হয় কোথাও ভুল হচ্ছে, এতোদিনতো শুনিনি এখানে আসতে কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে, সবাই আসছে যার যার দেশাত্মবোধের তাগিদে! উনি একরকম ধাক্কা দিয়ে আমার ঘাড় ছেড়ে দিলেন, -আপনার মাথাটা ভাবি আসলেই গাধার মাথা, আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির নানকের লোকজন বাস ভর্তি করে করে লোক নিয়ে আসছে রায়ের বাজারে, যে আসতে চায় সে তো আসছেই আর আমার মতো যে আসতে অপারগ তারেও বাধ্য করছে আসতে। ওদিকে আপনার ভাই দুপুরের খাওয়া না খাইয়া ঔষধও খাইতে পারবে না, জানি না কি অবস্থা, আমি উনার শেষের কথা গুলো আর শুনতে পাই না, মাথার ভেতর তখন নির্বোধ কিছু প্রশ্ন খাবি খাচ্ছে -জনতার এই স্বতস্ফুর্ত আন্দোলনটাকে কি কুলষিত না করলেই আওয়ামী লীগের চলছিলো না? মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীর বিচার, এইসব বিষয়েতো আমরা তাদেরই দারস্থ ছিলাম, এখন পর্যন্ত আছি, আমি এখন কার কাছে গিয়া জিগামু , রাজনৈতিক দলগুলা এমন করে ক্যান? কার কাছে গিয়া জিগামু তারা সহজ সরল মানুষগুলারে এমন কইরা দুঃখ দেয় ক্যান?
বিএনপি? এই নামে কি আজও কোনো দল আছে বাংলাদেশে? জামায়াতে ইসলাম নামে এক বিশাল দেহী অজগর না তারে গিল্যা খাইছে, এখন অজগরের পেটের ভিতর থেকেই তারা জামায়াতের ডাকা হরতালে নৈতিক সমর্থন দেয়। আমি কার কাছে গিয়া জিগামু্ ঐ বিএনপির মধ্যে থাকা মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের সন্তানেরা কেমন করে সহ্য করছে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা পোড়া গন্ধ? কার কাছে গিয়া জিগামু ?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫১
চৈতী আহমেদ বলেছেন: এই লিস্ট কি আর নাস্তিক দেখে করা হয়েছে? করা হয়েছেতো শাহবাগে দেখে, আর নাস্তিকদের আমি কখনো সহিংস হতে দেখিনি, ওদের আমি বরাবর নিরীহ বলেই জানি।
প্রিতমের নাম না দিলে অন্যকারো নাম দিতো, তাতে কি ঊনিশ বিশ হতো বুঝলাম না, যুদ্ধাপরাধীর বিচার চায় এমন প্রতিটি মানুষই আমাদের সহযোদ্ধা, নাস্তিক আস্তিক বুঝি না, আমরা এদের কাউকেই হিংস্র সাপের ছোবলে হারাতে চাই না। এদেশের প্রতিটি মানুষের মনে এই হিংস্র শ্বাপদ কুলের বিরূদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠুক।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
আহলান বলেছেন: কোথায় যে কার লেজ আল্লাহই জানেন ... হয়তো নানকের বাসায় বসে গোলামাজম চা খাইতাছে .... (যদিও হ্যায় জেলে)
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫২
চৈতী আহমেদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন, কোথায় যে কার লেজ......
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন:
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩
চৈতী আহমেদ বলেছেন: হাপুস নয়নে কাঁদতে বসবার দিন নয় আজ, এখন সময় হলো প্রতিরোধের
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
লাবনী আক্তার বলেছেন: রাজনৈতিক দলগুলা এমন করে ক্যান? কার কাছে গিয়া জিগামু তারা সহজ সরল মানুষগুলারে এমন কইরা দুঃখ দেয় ক্যান
আপা খুব সুন্দর করে লিখছেন।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৪
চৈতী আহমেদ বলেছেন: হুম, লেখাতে রক্ত ঝরাতে পারছি কই?
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১০
শার্লক বলেছেন: কি বলেন এসব! সত্যি না কি? তাই তো বলি এতো লোকজন কই থেকে আসে তারমানে যা রটছে তাই সত্যি। হুম।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫
চৈতী আহমেদ বলেছেন: অনাকাঙ্খিত সত্য
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: সুন্দর লেখা !
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫
চৈতী আহমেদ বলেছেন: হুম, লেখাতে আর রক্ত ঝরাতে পারছি কই?
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ১৭ জন নাস্তিক ব্লগারের যেই লিস্ট এসেছে তাদের মধ্যে কয় জন ব্লগিং করে ?
শিল্পী প্রীতম আহমেদের নাম কেন দেওয়া হলো নাস্তিকের তালিকায় , সে তো খুবই নিরীহ লোক , বিশ্বজিৎ হত্যা নিয়েও একটা অসাধারণ গান করেছে