![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে ভালোবাসি, ভালোবাসি আমার কন্যা মনস্বিতা মেধাকে, ভালোবাসি কবিতা, গান, আর মানুষ, সকালের শিশির, সব চেয়ে বেশি ভালোবাসি আমার বাংলাদেশকে।
ৎঁৎঁৎঁ আমার লেখার একজন নিয়মিত এবং মনোযোগী পাঠক। তিনি নিরব পাঠক নন, তিনি অকপটে বস্ত নিস্ঠ মন্তব্য দিতে দ্বিধায় ভোগেন না। উনার মতো পাঠক একজন লেখকের কাছে সব সময়ই কাঙ্খিত। উনি উনার মন্তব্যের মাধমে লেখককে পরবর্তী লেখার আয়োজন করতে উদ্বু্দ্ধ করেন। আমার এই ব্লগটি তেমনই একটি ব্লগ।
ৎঁৎঁৎঁ আপনাকে ধন্যবাদ। তবু ভালো আপনি এসে একটা প্রতিক্রিয়াতো জানালেন। লক্ষ্য করেন, আমার এই লেখাটি সতেরবার পঠিত। লেখাটি কারো মনেই কোনো প্রতিক্রিয়া জাগাতে পারেনি। কারণ লেখাটির বিষয়বস্ত। আমরা আসলে সহ্য করতে করতে একটা নির্লিপ্ত আবরণে নিজেকে আবৃত্ত করে ফেলেছি। সকলের ভাবখানা এমন এই লেখাটির বিষয়বস্তু আমি অন্য কোনো দেশ অন্য কোনো সমাজ থেকে তুলে নিয়ে এসেছি। তাই এখান থেকে পাঠকের সাহিত্য রসদটুকু নেয়া ছাড়া আর কিছু নেয়ার বা বলার নেই। কিন্তু আসলেই কি তাই? না আমি লেখাটি লিখেছি আমার নিজস্ব সৎকারের আগুন থেকে উঠে এসে। যখন ঘৃণার দাউ দাউ আগুনে পুড়ছে আমার দেশ। প্রকাশ্যে যেখানে পোড়ানো হচ্ছে দলকে দল মানুষ। এই মানুষগুলো আমার কাছের কেউ নয়, আমার দেশের মানুষ। এর শিকার হয়েছে হয়তো আমার পাশের ফ্লাটের কেউ, অসম্ভব কিছু নয় যে কোনো সময় এই দলে জুড়ে যেতে পারে আমার আপনার একান্ত আপন কেউ।
আমার প্রশ্নটি এখানেই। তখনও কি আমি গায়ে আলোয়ান জড়িয়ে চৌরাশিয়ার বাঁশি শুনতে যাবো? জানি না আর কার কি মনে হয়, আমারতো মনে হয় এটা পরিকল্পিত আয়োজন। সীমাহীন রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারে যখন সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসার কথা, যে মুহূর্তে এই দেশে রাজনৈতিক সন্ত্রাস রেহাই দিচ্ছে না মায়ের পেটের ভেতরের শিশুটিকেও তখন এই আয়োজন সিডাটিভ দিয়ে দেশের মানুষকে ঘুম পাড়িয়ে রাখার আয়োজন না হয়েই যায় না। ঘোষিত না হলেও দেশে এখন বিরাজ করছে একটা জরুরি অবস্থা।
আমার লেখার কোথাও আমি বলিনি অন্যগুলোতে আমার আপত্তি নেই। আপনি যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলো আমার লেখায় তুলে এনে আপত্তি না জানাতে পারা আমার কবিতার ব্যর্থতার একটি দিক। এটা আপনি বলতে পারেন। কতদিন ঘরে অবরূদ্ধ হয়ে আছি এই মূহুর্তে বলতে পারছি না। বাচ্চার পরিক্ষা পেছাতে পেছাতে আদৌ হবে কিনা এমন একটা অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে। যে দেশের বাচ্চাদের শিক্ষা জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে গেছে সেই দেশে এমন একটি সঙ্গীতায়োজন খুব স্বাভাবিক আয়োজন নয়। যারা এই সঙ্গীতায়োজনের উদ্যোক্তা/শ্রোতাদর্শক তারাই বহুজাতিক শপিং মলের বাহারী পণ্যের ক্রেতা, মনে হয় যুদ্ধাবস্থাতেও তাদের এই প্রবণতা বন্ধ হবে না। আর সিনেমা হলগুলোতে আদৌ কেউ যাচ্ছে কিনা কিংবা গেলেও তারা কারা এটাও অনুসন্ধানের বিষয় হওয়া উচিত। আমাদের জাতীয় জীবনে বিষফোঁড়ার মতো আজ আমরা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি, যু্দ্ধাপরাধীদের বিচার তথা রাজাকার/আলবদর প্রসঙ্গটি, এর উৎপত্তিই হয়েছে আমার মনে হয় আমাদের সঠিক সময়ে দেশ জাতির সংকটকালে সঠিক পক্ষ নিতে না পারার জায়গা থেকে, একাত্তরে যারা সঠিক পক্ষ বেছে নিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের নিয়েই আজ হিমশিম খেতে হচ্ছে পুরো জাতিকে, আজো মনে হয় এই পক্ষ নেয়ার সময়টি উপস্থিত হয়েছে। এইবারও যদি কেউ কেউ বিষয়টি অনুধাবণ করতে ব্যর্থ হয় তবে এর মাশুল গুনতে হবে জাতিকে আরো কতো বেয়াল্লিশ বছর এ শুধু ভবিতব্যই বলতে পারবে।
এই পুরো বিষয়টি আমি আমার একটি কবিতায় তুলে আনতে না পারার ব্যর্থতা শিকার করছি।
আর সঙ্গম বিষয়টি যাদের কাছে অক্সিজেনের মতো, পানির মতো তিনবেলা খাবারের মতো জরুরি তাদেরকে আমি এটা বন্ধ রাখতে বলি কি করে? পতিতালয়ের পতিতাকে তার দোকানের সাটার নামিয়ে রাখতে বলাটাও সমিচীন মনে করছি না। তাদের ক্রেতাদেরকেও আমি সচেতন নাগরিকের পর্যায়ের মনে করছি না। যারা টেলিভিশনে বিনোদন জারি রেখেছে তারাই দেখেন গিয়ে চৌরাশিয়ার বাঁশির নেশায় ভোর রাত অবধি বুঁদ হয়ে থেকেছে, কারণ একজন অন্তস্বত্তা নারীর আর্তনাদকেও পারলে তারা বিনোদনের জায়গায় নিয়ে যাবে, কারণ এই দেশের মাটি এই সব কর্পোরেট কুলাঙ্গারদের নিজের গর্ভে ধারণ করেছে কারণ যখন তারা চৌরাশিয়ার বাঁশি নেশায় দেবত্ব লাভ করে অমরলোকে পৌঁছে যাচ্ছিলো তখন একজন অন্তসস্বত্তা নারীর আর্ত চীৎকার হয়তো সত্যিকারের দেবালোক কেঁপে উঠছিলো। ঐ অন্তস্বত্তার ব্যর্থতা, চীৎকারে সে দেবালোক কাঁপাতে পারে কিন্তু কুলাঙ্গার কর্পোরেট দুনিয়াকে ধ্বসিয়ে দিতে পারে না।
নীচের এই লেখাটি আমার একজন বন্ধু দুই ঘন্টা আগে তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছে।
শামীম আরা নীপা
[{( 'ভাই, ভাইরে আমি অন্তঃসত্ত্বা। আমার পেটে ছয় মাসের বাচ্চা আছে। আমাকে বাস থেকে নামতে দাও। আগুন দিলে পরে দিও'।
"ভাই আমি অসুস্থ, আমাকে একটু আগে নামতে দিন।"
শরীরে আগুন নিয়েও তিনি বলেন, "ভাই আমি অন্তঃসত্ত্বা। আমাকে বাঁচতে দিন।"
গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা জানান, শিরিনার পেটের সন্তানের অবস্থা খুব একটা ভালো না। তার খুব শ্বাস কষ্ট হচ্ছে।
বারবার চিকিত্সকের কাছে জিজ্ঞাসা করছেন ভাল আছে তো তার সন্তানটি। শত চেষ্টা সত্ত্বেও চিকিত্সকরা কোন আশার বাণী শোনাতে পারছেন না শিরিনাকে।)}]
আমি আমার চোখের পানি কে ধরে রাখতে পারিনি এবং তাদের কে ধরে রাখতে চাচ্ছি ও না ...
আমরা কি আদৌ মানুষ ??? মানুষ এর সন্ধান মিলবে কোথায়???
চোখটা বন্ধ করে শুধু একবার নিজেকে শিরিন এর জায়গায় ভেবে নিলাম...
নিজেদের অসহায়ত্ব আর অপারগতা কে আর মেনে নিতে পারছি না ... নিজেকে প্রচন্ড রকম বন্দী লাগছে ...!!!!
শিরিন এর বাচ্চা এবং শিরিন এর এই অসহায় অনিশ্চিত জীবন এবং আমার এই বন্দী দশার জন্য আপনারা সবাই দায়ী ... সবাই দায়ী আপনারা ... কেউ মানুষ নন আপনারা ...!!!
মুল লেখাটির লিংক
Click This Link
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
অর্ধমানব ও অর্ধযন্র বলেছেন: চুলার আগুনে দগ্ধকে অবরোধের বলি বানানোর চেষ্টা...
Click This Link
কোনটা যে সত্য আর কোনটা যে মিথ্যা আল্লাহই ভাল জানেন।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
ইখতামিন বলেছেন: আমরা কি আদৌ মানুষ ??? মানুষ এর সন্ধান মিলবে কোথায়???
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০
সুমন কর বলেছেন: আসলে আমাদের তেমন কিছূ করার নেই। মনের কষ্টেই এইকথা বলছি। কারণ, এদেশে অন্যায়ের প্রতিবাদ করাটাই বড় অন্যায়। যে করবে তাকে মানুষ পাগল আর বোকা বলে! তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি, সুন্দর একটা দেশ হবে! বড় জোর কিছু পত্রিকায় রির্পোট বা প্রবন্ধ ছাপা হবে। কয়েকদিন গরম থাকবে। তারপর সেই আগের মতো চলবে।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আমরা ভিন্নমত পাশাপাশি প্রকাশ করতে পারি, এইটাই ব্লগের সবথেকে বড় সৌন্দর্য!
আসলে অনেক কথা বলতে হবে, দেখা যাক কতটুকু কী বলা যায়-
প্রথম কথা, আপনি যে শুধু বেঙ্গল এর প্রোগ্রাম নিয়ে লিখেছেন, সিনেমা, শপিং মল, অন্য সব নিয়ে লেখেন নি, এইটা কবিতার জন্য কোনো বিষয় না, এক কবিতাতে সবাই সব কিছু নিয়ে আসবে, এইটা বললো তো অইটা বলল না কেন, এইটা তো কোনো কথা না। আমি আপনার কবিতার উপস্থাপনা নিয়ে না, মুল বক্তব্য নিয়ে বলার চেষ্টা করেছি।
বাঁশি তুমি কেমন করে শিল্প হবে? মানবতার সুরটি যদি
তোমার বুকে নাই বা বাজে? ছি: চৌরশিয়ার বাঁশি ছি:! - শোনেন, এইখানে বাঁশী বা চোউরাশিয়া কে বলার তো কিছু দেখি না, আমাদের বলার আছে সেই সব নির্লিপ্ত জম্বি, সুবিধাবাদী ভন্ড মুখোশের দলকে, যারা প্রতি পাঁচ বছর পর 'কীভাবে ভোট হবে'- শুধুমাত্র এই ইস্যুতে মানুষ পুড়িয়ে তাদের ক্ষমতার আলু পুড়িয়ে খায়, এখন আমাদের ভন্ডামীর ঝাল আপনি বাশীওয়ালার উপরে দিচ্ছেন মনে হয়েছে,দেশে কোনো যুদ্ধ চলে না, পন্ডিত চৌরাশিয়া এসে কোনো যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশে জেনারেলদের বাঁশি বাজিয়ে শুনিয়ে বিনোদন দিতে আসেন নি, যে আপনি মন চাইলো আর তাকে একটা গাল দিয়ে বললেন যে - ছি, চোউরাশিয়া, ছি, -উনি খোলা আকাশে মানুষের সাম্নেই বাজিয়েছেন, উনি যেইটা বাজান, সেইটা মানুষ বুকে তুলে নিলে ক্ষতি নাই, বরং লাভ প্রচুর, যে বাঁশী বাজায়, কক্টেল ফুটাইতে যাওয়ার টাইম নাই। বাড়িতে ডাকাত পড়লে ছাদে গিয়ে জ্যোৎস্না উৎসব করলে সেইটা চাঁদের দোষ না, দোষ হইতেসে যে ছাদে গিয়ে চাঁদ নিয়ে আহা উহু করে। আর সমাজে একেক জনের একেক্টা রোল আছে, কেউ লেখে, কেউ গোনে, কেউ গায়, কেউ খেলে,- সঙ্গীত শুধু খুব আনন্দ উদযাপনের বিষয় না, এইটা উপাসনার বিষয়। আমার যেদিন মা মারা যাবেন, সেইদিন রাতেও আমাকে বাঁশী বাজাতে হবে, বাইরে থেকে শুনে আপনি আমাকে খুব গাল দিবেন, বলবেন, এই ছেলের মধ্যে কোনো মানবতা নেই, মা মারা যাওয়ার পরেও বাঁশী বাজায়। কিন্তু বাঁশি আমার কোনো বিনোদন না, এইটা আমার নিঃশ্বাস, আমার প্রার্থনা, আমার চিৎকার, আমার বিলাপ, আমার প্রতিবাদ,আমার জেগে ওঠা, আমার মরে যাওয়া! কিছু মানুষ জানোয়ার হয়ে জ্বালাও পোড়াও করলে কী সমাজের সব রোল প্লেয়াররা কাজ বন্ধ করে দেবে? যার বাঁশি বাজানো কাজ সে বাঁশী বাজাবে, যার কাজ শিক্ষকতা,- সে ছাত্র পড়াবে, এরকম এরকম। তার মানে কী প্রতিবাদ হবে না? ওই মানুষ্টা প্রতিবাদে নেমে আসবে না? অবশ্যই আসবে, আসতে হবে, না হলে গালি, মাফ নাই। এখন আসেন যারা সামনে থেকে শুনলো! একটা বড় অংশ আছে যারা কোনোকিছুতেই কিছু যায় আসে না, পেটের দায়ে রাস্তায় নামতে হয় না, ঠান্ডা ঘরের ভন্ড সুখী- এদের জন্য বাঁশী হোক আর ডিস্কো ড্যান্স হোক, কোনটাই কিছু না। কিন্তু আমার প্রজন্মে যাদের কে চিনি, যারা এক বছর ধরে এই অনুষ্ঠান এর জন্য অপেক্ষা করেছে, ঠিক যারা রাত জেগে চৌরাশিয়ার বাঁশী শুনেছে, এরাই আবার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেতে পড়বে, ফেটে পড়ে, আজ শাহবাগের প্রতিবাদ সমাবেশে ওরাই গিটার কবিতা নিয়ে হাজির হবে, সুর দেবে প্রতিবাদী গানে, চৌরাশিয়ার বাঁশী ওদের ঘুম পাড়িয়ে নয়, জাগিয়েই রাখে। প্রমান চাইল আজকে শাহবাগ আইসেন, আমি থাকবনা, কিন্তু আর্মি স্টেডিয়ামে রাত জাগা আমার অনেক বন্ধু ওখানে থাকবে। এইটা আমি নিশ্চিত, যে বাঁশীর ডাকে সাড় দিতে জানে, সে মানুষের ডাক শুনবে, এইটা আমরা আশা করতে পারি।
আমি কিন্তু সর্বাঙ্গে এই অনুষ্ঠানের পক্ষে না, এর নানা কিছু নিয়ে আমার বলার আছে অনেক কিছু, কিন্তু আপনি যে সুত্র ধরে অনুষ্ঠানের সমালোচনা করলেন, সেইটা নিয়ে আমার দ্বিমত আছে। কর্পোরেট হাইজরা যখন শিল্প- সস্কৃতির ইজারা নেয়, তখন সেইটার মধ্যে মানবতা আশা করাটা কঠিন। দেশের এই পরিস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান এর স্বরূপটা য্বেরকম হতে পারতো, সেটা অনুপস্থিত ছিল ওই কারনেই। ইন্ডিয়ান শিল্পীদের দাদাগিরি দাপটের পাশে দেশীয় শিল্পীদের অনাদর- এইটা নিয়েও অনেক কিছু বলা যাবে।
আপনি দাবী করেছেন এই অনুষ্ঠান পূর্ব পরিকল্পিত, এবং জনগনের মনোযোগ ঘুরাইতে এইটা করা হইসে। আপনার প্রথম অংশটা ঠিক, এই অনুষ্টানের পরিকল্পনা এক বছরের, গত বছর যারা ছিল, তারা এই একবছর অপেক্ষা করেছে। তবে পরিস্থিতি এই সময় এই রকম হবে, শুধুমাত্র ভোটের ইস্যুতে আমরা কুকুর হয়ে যাব, এইটা কে জানতো! এখন এই পরিস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান কোনো বিশেষ পক্ষের জন্য লাভজনক হইতে পারে, কিন্তু সেইটা পরিস্থিতি।
সঙ্গীতের কোনো জাত নাই, সঙ্গীতের কোনো ধর্ম নাই, ১৯৪৭ সালে যখন রাম রহিম দুই ভাই দুই ধর্ম আর দুই দেশ নিয়ে যখন একে অপরের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল, তখন সবথেকে কম প্রভাব ছিল কোন ক্ষেত্রে জানেন? এই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মহলে, এরা এত ভাবে নি কে রাম কে রহিম, সবার হাতেই বাঁশী একই সুরে বাজে। রবি শঙ্করের কথা মনে আছে তো? কন্সার্ট ফর বাংলাদেশ? যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের জন্য যে নাচ গানের আয়োজন করেছিল? এই চৌরাশিয়া রবি শঙ্করের প্রথম স্ত্রী- অন্নপূর্না দেবী- যিনি বাবা আলাউদ্দিন খাঁর কন্যা, তার শিষ্য ছিলেন, সঙ্গীতের সাধনায় মানুষ পশু হয় না, বরং তার মানবতাকে জাগাতেই সাহায্য করে। এখন রোম পোড়ার সময় যারা নিরোকে না গালি দিয়ে বাশীকে দেয় তাদের কে আমার বলার কিছু নেই।
এইবার নিজেদের ভন্ডামি নিয়ে আসেন কিছু কথা বলি, আমরা মোটামুটি জানি এই পরিস্থিতি রাজনৈতিক ব্যর্থতার জন্য, সহজ কথায় রাজনীতিবিদ রা দায়ী। এখন এরা কারা? ভিন গ্রহ থেকে আসছে? এরা ত আমাদেরই কারো ভাই, কারো স্বামী, কারো স্ত্রী, কারো বাবা , কারো মা, কারো ফুফা, কারো মামা, কারো চাচা ইত্যাদি। তো আসেন আমরা তাদের কে বর্জন করি, বলি তোমরা ভালো না হলে আমরা তোমাদের সাথে নাই। আপনার কোনো বান্ধবীর স্বামী রাজনীতি করলে তারে বলতে পারবেন, আপ্নেরা পচা, আমার বাড়ি আসবেন না? আপনার বন্ধু তার স্বামীকে বলতে পারবেন তোমারে আমি চা বানায়ে দিবো না, তোমার বিছানায় আমি ঊঠবোনা(খুব সম্ভবত লাইবেরিয়ার নারীরা দেশের গৃহযুদ্ধে বিরক্ত হয়ে তাদের স্বামীদের শয্যা পরিত্যাগ শুরু করে, তাতে খুব কাজ হয়েছিল) , যে মামা মন্ত্রী তাদের ছেলে মেয়েদের আমরা বলতে পারবো তর বাবাকে ভালো হইতে বল, নাইলে তর সাথে আমরা খেলুম না, পারবেন আপনি? পারবো আমি? পারবে আমার চারপাশের মানুষ? গালি দেওয়া অনেক সহজ, কিন্তু নিজে একটা পাথর নাড়ানো অনেক কঠিন!
অনেক অনেক কথা বইলা ফেললাম, দেশের এই নাজুক পরিস্থিতির কোনো ছাপ হয়তো এই অনুষ্ঠানে ছিল না, থাকা উচিত ছিল, কিন্তু মানুষ তো ার এর আয়োজক না, এর আয়োজক কর্পোরেট হাউজ, রাজনীতিবিদ দের মত মানুষ হইতে ওদেরও অনেক বাকি। কিন্তু আমি এইটার বিপক্ষে না, খুবই পক্ষে, এর যাবতীয় নেতিবাচক দিক থাকা সত্তেও, কারন আমার কাছে এর ভালোর পাল্লাটা এখনও বেশী, যে মনে করবে এর খারাপের পাল্লা বেশী, তার সিদ্ধান্তেও আমার পূর্ন সম্মান, কিন্তু এই অনুষ্ঠানে বাজিয়েছে বলে আমি কোনো শিল্পীকে নিন্দা করার যৌক্তিক অধিকার রাখি কী না, সেইটা নিয়েই আমার উপরের এত কথা। এখানেও যে যার অভিমত, সেটাই মানবে,কারণ নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সবাইকেই একটা আলাদা মাথা দেওয়া হয়েছে!
শুভকামনা!
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১০
চৈতী আহমেদ বলেছেন: ’মেঘনাদবধ কাব্যের প্রথম সর্গের নাম ‘অভিষেক’। এই সর্গের সূচনায় কবি বাগ্দেবী সরস্বতী ও দেবী কল্পনার[১] আবাহন করেছেন। লঙ্কার রাজসভায় রাজা রাবণ বসে আছেন। ভগ্নদূত মকরাক্ষ এসে যুদ্ধে রাজপুত্র বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ দিলেন। পুত্রের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে রাবণ শোকে অভিভূত হলেন। মন্ত্রী সারণ তাঁকে সান্ত্বনা দিলেন। দূতের মুখে পুত্রের বীরত্বের কাহিনী শুনে যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা দেখতে রাবণ স্বয়ং প্রাসাদশিখরে আরোহণ করলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি নিহত পুত্রের জন্য বিলাপ করতে লাগলেন। সেতুবন্ধনে রামকে সাহায্য করার জন্য সমুদ্রদেবতা বরুণকেও ধিক্কার দিলেন।’
এই কবিতায় আমার দশাও কতকটা মেঘনাবদ কাব্যের পুত্রশোকাতুর পিতা রাবণের মতো। রাবণ সমুদ্রে সেতু বন্ধনে রামকে সাহায্য করায় আক্রমণকারী রামকে নয় সমুদ্রদেবতা বরূণকে ধিক্কার দিয়েছেন, রাবণ ভেবেছেন, রাম তার শত্রু কিন্তু তিনি সমুদ্র পরিবেষ্টিত লংকাধিপতি, সমুদ্র তার আপন, সমুদ্র কেনো রামের সহায়ক হবে, আমিও প্রথমে বলে নিয়েছি বাঁশি আমার কতো আপন, চৌরাশিয়া আমার কতো প্রিয়-
প্রথম জৈবনিকবোধ উন্মেষের দিনে তোমায় কতো ভালোবেসেছি
হৃদফাগুনে তোমার সুরের ঘোরে ঘোরে মাতাল হয়েছি!
আমার দেশের রাখালিয়ার বাঁশির সুরে তোমায় বুঝেছি!
আজ বদ্বীপ জুড়ে জ্বলছে যখন ঘৃণার আগুন, শিল্পমনা
মানুষগুলোর কোমল ত্বকে আর্তনাদের কাতর নদী, এমন সময়
কেমন করে তুমি বাজলে বাঁশি? বাংলাদেশের নিদানকালে
কার কপালে আঁকলে তিলক? শিল্প তুমি কাদের দাসী? কারা তারা?
পেট্রোল বোমায় শ’য়ে শ’য়ে মানুষ মেরে মুমূর্ষকে পথে ফেলে,
হুজুগ নামের শিল্পবোধে মাথা দোলায় তোমার সুরে? কারা তারা?
শুধু কবিতার অনুযোগটুকুর জবাব দিলাম বাকীগুলো তো আসলে চর্বিত চর্বন তাই আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: @চৈতী আহমেদ বলেছেন, জানি না আর কার কি মনে হয়, আমারতো মনে হয় এটা পরিকল্পিত আয়োজন। আপনার সাথে সহমত ।আজকে আমাদের ভাবার সময় হয়েছে কে আমাদের আপন,কে পর। কে আমাদের শুভাকাঙ্খী , কে নয়। কে বন্ধু, কে বন্ধু বেশে শত্রু।আমরা সকলেই জানি যে,
আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক দলের কোন নেতাই দেশ বা জনগনের জন্য রাজনীতি করে না, আদর্শে জন্য করে না ।সবাই নিজের জন্যেই রাজনীতি করে । বড়জোর নিজ পরিবারের জন্য ,দলের জন্য করে । সে বর্তমান প্রধানমণ্ত্রীই হোক আর বিরোধীদলীয় নেত্রীই হোক,এরশাদ সাহেবই হোক আর সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরূদ্দোজা চৌধূরীই হোক। সে ৭১'রণান্গনে বীর যোদ্বা আবদুল কাদের সিদ্দীকিই হোক আর দেলোয়ার হোসেন সাইদীই (দেইল্ল্যা রাজাকার) হোক। সাকাচৌই হোক আর তেতুঁল হুজুর(যদিও এদের নামের সাথে হুজুর শব্দটি লেখা ঠিক নয )শফি সাহেবই হোক। এদের মধ্যে কেউ একত্তরের চেতনা ফেরী করে বন্ধু বেশে শত্রু প্রতিবেশী দাদাদের আশির্বাদের(!) জন্য দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়,কেউ বা জাতীয়তাবাদী চেতনা ফেরী করে বন্ধুবেশি শত্রু , বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের আস্থা অর্জনের জন্য সবকিছু করার অন্গীকার করে,কেউ ইসলাম রক্ষার দোহাই দিয়ে জণগনের জানমালের ক্ষতি করে বেড়ায় ইত্যাদি ইত্যাদি ।এরা সকলেই এক ও অভিন্ন আদর্শে (?) বিশ্বাসী। সেটা হলো দেশ ও জাতীর জন্য সর্ব্বোচ্চৌ ত্যগের কিছু গৎবাধাঁ বুলি আওড়াও , জণগন নামক একদল গাধাঁর সামনে একগাদা মিথ্যা আশ্বাসের মুলা ঝুলিয়ে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় যাও । তারই ফল আজকের এই জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি ।সুতারাং এখন সময় এসেছে আমাদের সাবধান হওয়ার। নয়তো আরো কঠিন পরিণতি আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে। Click This Link Click This Link