নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমৃত্যুর দু:খের তপস্যা এ জীবন-

চৈতী আহমেদ

নিজেকে ভালোবাসি, ভালোবাসি আমার কন্যা মনস্বিতা মেধাকে, ভালোবাসি কবিতা, গান, আর মানুষ, সকালের শিশির, সব চেয়ে বেশি ভালোবাসি আমার বাংলাদেশকে।

চৈতী আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুধীন্দ্রনাথ দত্ত

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২১

যখন ভালোবাসতো যখন আমাকে দুঃখ দেবার কথা তার ভাবনাতেও আসতো না তখন ছেড়াফেড়া মলাটের একটা সুধীন্দ্রনাথের কবিতার বই আমাকে গিফট করেছিলো, দেবার সময় সেকি কষ্ট তার, মনে হচ্ছে যক্ষের ধন হস্তান্তর হচ্ছে।
-আমারতো ঠিক ঠিকানা নেই, জানি তোমার কাছে যত্নে থাকবে তাই তোমাকেই দিলাম। আমি আলতো করে ধরে যেভাবে লোকে এন্টিকের গা থেকে ধুলো ঝাড়ে সেভাবে আঁচল দিয়ে মুছে দিলাম সময়ের শিলালিপি, ঝন ঝন ঝনাৎ করে বেজে উঠলো অনাবিস্কৃত নহলী সেতার, ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি।

চলে যাচ্ছে সে, এর মধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছে ষোল আনা দুঃখ যার পুরোটা আমার প্রাপ্য ছিলো না। তারপর সে বুকশেলফ থেকে ছো মেরে তুলে নিলো সেই ছেড়াফেড়া মলাটের যক্ষপ্রিয়াকে। আমি ঝাঁপিয়ে পড়লাম না না না না আর যা খুশি নাও ওটি না...............

কতদিন তার বাহুতে শুয়ে শুয়ে শুনেছি -

“কিন্তু সে আজ আর কারে ভালোবাসে।
স্মৃতিপিপীলিকা তাই পুঞ্জিত করে
আমার রন্ধ্রে মৃত মাধুরীর কণা :
সে ভুলে ভুলুক, কোটি মন্বন্তরে
আমি ভুলিব না, আমি কভু ভুলিব না।”

পিতলের ফুলদানী তুলে সে আমার মাথায় ঠুকে দিলো
যক্ষ বেরিয়ে গেলো তার প্রিয়াকে নিয়ে।

আমার ঘরহীন ঘরে গম গম করছে তার কণ্ঠ সাথে সঙ্গত করছে স্মৃতির নহলী সেতার -

“কিন্তু সে আজ আর কারে ভালোবাসে।
স্মৃতিপিপীলিকা তাই পুঞ্জিত করে
আমার রন্ধ্রে মৃত মাধুরীর কণা :
সে ভুলে ভুলুক, কোটি মন্বন্তরে
আমি ভুলিব না, আমি কভু ভুলিব না।”

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমার দৃষ্টিতে সুধীন দত্ত সম্ভবত সেই কবি যে কোথাও কোথাও রবীন্দ্রনাথের মতো শীর্ষ কবিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আমার প্রিয় কবি জীবনান্দ দাস সুধীনের কথা ঈষৎ তাচ্ছিল্যের সাথে বলেছেন আধুনিক বাংলা কাব্যে সবচেয়ে বেশী নিরাশাকরজ্জল কবি। আমি মেনে নিতে পারিনি। কবিদের সবার ভেতরে হিংসা ঘাপটি মেরে থাকে , এটা স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। সুধীনের শ্রেষ্ঠ কটি লাইনঃ

একদা এমনই বাদল শেষের রাতে-
মনে হয় যেন শত জনমের আগে-
সে এসে সহসা হাত রেখেছিল হাতে,
চেয়েছিল মুখে সহজিয়া অনুরাগে।
সেদিনও এমনই ফসলবিলাসী হাওয়া
মেতেছিল তার চিকুরের পাকা ধানে;
অনাদি যুগের যত চাওয়া,যত পাওয়া
খুজেছিল তার আনত দিঠির মানে।
একটি কথা দ্বিধাথরথর চুড়ে
ভর করেছিলো সাতটি অমরাবতী ;
একটি নিমেষ দাঁড়ালো সরনি জুড়ে,
থামিল কালের চিরচঞ্চল গতি;
একটি পনের অমিত প্রগলভতা
মর্তে আনিল ধ্রুবতারকারে ধরে;
একটি স্মৃতির মানুষী দুর্বলতা
প্রলয়ের পথ ছেড়ে দিল অকাতরে।।

শাশ্বতী ১৯৩১


এগুলো আমায় খুব আচ্ছন্ন করে, করে মাদসাক্ত , চিরতরুন----

ধন্যবাদ আলাপের জন্য।

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাহ! দারুন তো!!

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৪

মাহামুদ জয় বলেছেন: বেশ লাগলো

৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬

দৃষ্টির সীমানায় বলেছেন: অপসারণ

৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

দৃষ্টির সীমানায় বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর হইছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.