![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষকে ভালোবেসে আকণ্ঠ
ডুবে রইলাম চোরাবালি\'তে,
অথচ এই আমাকে রাতের আঁধার
যখনই গ্রাস করে নিয়ে যায় কষ্টের ভুবনে
ফেলে দেবার তুমুল ইচ্ছেয়,
তাকিয়ে দেখি আমি-একটা হাতও
অবশিষ্ট নেই আমায় বাঁচাবে বলে;
নগ্ন ল্যাম্পপোস্ট এর নিচে কতক
নেড়ি...
সেই বিকেলটা মনে আছে তোর?
বসন্তের বিকেলে আলতো রোদ গায়ে মেখে
একগুচ্ছ ভাঁটফুল এনে খোঁপায় পরিয়েছিলি?
চিকচিক করছিল তোর চোখের দ্যুতি-
ঠোঁট ফুলিয়ে আমার সে-কি মিছে
কান্নার আহাজারি; কপট অভিমানে বললাম,
\'এগুলো কেউ খোঁপায়...
নিঃশব্দে চূর্ণ হয়ে যায় উপেক্ষিত হৃদয়,
পরতে পরতে গচ্ছিত ছিল বেনামী প্রেম,
চোখের কিনার উপচে পড়ে লবণের জল
শুষ্ক ঠোঁটে সদ্য ভূমিকম্পের ছাপ স্পষ্টতঃ
একাকীত্বের কামড়ে বিদগ্ধ একলা চিল
দিগ্বিদিক...
অরণ্য- অতন্দ্রীলা,
তোমাকে লিখছি অনেক দিন পর!
কাল রাতে হঠাৎ দমকা হাওয়া বইছিল,
সাথে তুমুল বৃষ্টি-
আমি জানালার ধারে বসে বৃষ্টি দেখছিলাম
আর তোমায় ভাবছিলাম,
আচমকা একটা দীর্ঘশ্বাস ছুটে এসে...
প্রথমে হাওয়া বইলো, তারপর বৃষ্টি,
তুমি কাল এমনভাবে ডাকলে, মনে হলো
রক্তের কোষে তুমুল ঝঙ্কার তুলছে জলজ নূপুর;
বহুদিন পর শাড়ি পরেছিলাম,
খোঁপায় বসন্তের লাল গোধূলির ফুল,
কপাল জুড়ে নিদ্রাহীন রাতের ক্ষত চিত্র,
চোখ দুটো প্রতীক্ষায়...
জ্বলতে জ্বলতে, পুড়তে পুড়তে কোনও
এক সময় চপল দ্রোহে ফেলে আসি নিদাঘ মঞ্চ,
শীতল স্রোতে জেগে উঠি আপন মহিমায়;
রাস্তায় নামলেই আমি এক অন্য মানুষ,
কালশিটে ডানায়, পলকা ফাগুন
এইতো আমি- অফুরন্ত অবসর আমার,
ঘরে...
\'অরণ্য,\'
তোমাকে ভাবতে গেলেই সমস্ত ক্লান্তি
একযোগে এসে আমায় অবসাদগ্রস্ত করে দেয়,
বোধের শরীর বিকল হতে হতে কোনও
এক সময় নিষ্প্রাণ হয়ে যায়;
তখনই আমি বাঁচার জন্য আশ্রয় খুঁজে চলি,
জরাজীর্ণ জীবনের আনাচেকানাচে,
আঁকড়ে ধরি অগণিত...
যে হৃদয় এতোদিন ভালোবাসার রঙে
রঞ্জিত ছিল, তা আজ হঠাৎ ফ্যাকাসে হয়ে গেল,
যে চিত্তে খেলা করতো এতো এতো আলোর
স্ফুলিঙ্গ,তা নিমিষেই স্তব্ধ হয়ে গেল,
যেন হুট করে বয়ে আসা কোনও ঈষৎ ঝড়ে,
নিভে...
ঝরে যাবার ব্রত নিয়ে যে পাতা জন্মায়,
প্রতিনিয়ত সুখদুঃখকে পাথেয় করেই সে
কাটিয়ে দেয় আমৃত্যুকাল,
তার স্মরণসভায় ফাগুনের আল্পনা থাকে না,
শুধু শিরা উপশিরায় গাঁথা থাকে বীভৎস ইন্দ্রজাল।
আমিও ঠিক ঝরা পাতার মতোই একেকটা
ব্রত...
ক্ষণিকের সুখে আচ্ছাদিত মন
হঠাৎ থমকে দাঁড়ায় ঝড়ের আগাম আবহে;
অসংখ্য মানুষের উল্লসিত আনাগোনায়,
আমি বড্ড বেমানান- বিবর্ণ প্রজাপতির ন্যায়।
ডানা ভেঙে পড়ে থাকা ধূসর অভিমান,
আমার প্রত্যাবর্তনের আভাস পেয়ে
প্রাণে বুদ্বুদ তোলে বলে,
বিশুদ্ধ প্রেমের...
কুয়াশায় ঢেকে ছিল একফালি হৃদয়,
পিচঢালা পথে ওম খোঁজে নিঃসঙ্গ শঙ্খচিল,
অতৃপ্ত এক আত্মা রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রহসন নিয়েও
তৃপ্তির মহাসাগরে ভেসে যাওয়ায় ব্যাকুল ছিল;
ক্ষণিকের আলতো স্পর্শের স্মৃতিতে আচ্ছন্ন মন,
প্রতিটা সন্ধ্যায় আমাকে বিবশ করে...
আদতে আমার কোনও প্রেমিক ছিল না,
অথবা শূন্যতায় গুমড়ে গুমড়ে কোনো একদিন
নিঃসঙ্গতার কষ্টে আমিই এঁকে দিয়েছিলাম,
নিষেধের মানচিত্র — মরাল গ্রীবার ভাঁজে;
কৈশোর পেরিয়েই একটু একটু করে ঝুঁকে পড়ছিলাম,
চিরচেনা দুর্বোধ্য নিষ্ক্রিয়তার...
নিকষ প্রলেপ সরিয়ে,
জরাজীর্ণ ভালোবাসা, ফাগুনের রোদ্দুর হয়ে
ফুটুক তোমার হৃদয়ের কার্নিশ জুড়ে,
কে তুমি নীলাম্বরী! নীল শাড়ি পরে
অবগুণ্ঠিত ঝিনুকের মাঝে মুক্তো ফলাও?
কার নরম ঠোঁটের প্রথম চুম্বন,
এখনও কপালের টিপে বয়ে বেড়াও?
শুভ্র পায়ে...
শেষ বার্তাটা এমনই ছিল,
\'রোদবতী- তুমি চলে যাবার পরই
এই শহরটা ভীষণ এলোমেলো হতে লাগলো,
অধরে নেমে এলো সান্ধ্য আঁধার- পাঁজর ফুঁড়ে
উঠতে লাগলো শূন্যতার নীল ধোঁয়া-
অনল স্ফুলিঙ্গে নিভে গেল সফেদ জ্যোৎস্না,
গ্রহণ...
পৌষের উত্তাপহীন রোদের নরম ওম
গোধূলি বেলায় পরিযায়ী পাখির কানেকানে
গোপনে বলেছিল,
আর ক\'টা দিন থেকে গেলেই পারতে,
এখানে সন্ধ্যে হলেই পুঁইয়ের মাচায়
শিশিরের মেলা বসে;
রাত দ্বিপ্রহরে নিশাচরের ধ্যান ভাঙে,
হিম হিম জ্যোৎস্নাকেলি\' তে।
তোমাদের পাথুরে...
©somewhere in net ltd.