নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রিয় সত্য

চৌধুরী হাফিজ আহমেদ

এক সময় লিখতাম। যা ভাবতাম, যা দেখতাম তাই বলতাম এবং জানাতে চেষ্টা করতাম। লেখক বলে নিজেকে কখনো ভাবিনি এবং এখনো ভাবি না। তবে সবসময় চাই সত্যকে জানতে এবং জানাতে। কারণ, সত্যের বিকল্প নেই, জানতে চান বা না চান সত্য তার নিজস্ব গতিতে প্রকাশ হয়েই যায়। পৃথিবীতে কোন সত্যেই গোপন নেই এবং সত্যকে শত চেষ্টা করে কিংবা ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখা যায় না। বিগত দিনে যা লিখেছিলাম তার-ই কিছু কিছু লেখা এখানে তুলে ধরব।

চৌধুরী হাফিজ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারেক রহমান ও হাসিনা বেজায় মিল

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

অপ্রিয় সত্য -
চৌধুরী হাফিজ আহমদ
তারেক রহমান ও হাসিনা বেজায় মিল
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হাসিনা এবং তারেক রহমান এক গুরুত্ত পূর্ণ ব্যক্তিত্য , উভয় ই ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দু তে জন্ম থেকেই বিচরণ করেছেন । রাজনীতি এবং ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছেন , উভয় সাবেক প্রেসিডেন্টদের সন্তান । উনাদের পিতাদের অবদান স্ব স্ব ক্ষেত্রে আজো বিদ্যমান , একজন বয়ষে বড় আরেক জন ছোট , অবস্তার পরিপ্রেক্ষিতে উভয়কে বিদেশে অবস্তান নিতে হয়েছে , তবে তারেক রহমান সাহেবের বেলায় বেশ ভিন্নতা রয়েছে । তাহাদের অবস্তা অবস্তান কর্ম কাণ্ড চিন্তা চেতনায় বিস্তর ব্যবধান থাকলে ও বেজায় মিল পাওয়া একটি ব্যাপারে । এখানে ই তাহাদের অভিন্ন তা চোখে পরে , পিতাকে অসম্মান করলে সন্তান হিসেবে সবাই প্রতিবাদ করবে - কোন সন্তান ই চাইবেনা তাহাদের পিতাকে কেউ কিছু বলুক কঠাক্ষ তো দূরের ব্যাপার । পিতা যদি নেতা হন তা হলে তো বিষয়টা আরও অনেক দূর গড়ায় । পিতা বাজে হলে ও সন্তানের কাছে পিতা সকল কিছু ছাড়িয়ে এক বিশাল সম্পদ । উনাদের পিতা সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম শেখ মুজিবুর রাহমান ,ও মরহুম জেনারেল জিয়াউর রহমান ব্যক্তি জিবনে যাই করেন না কেন জাতি কে নেতৃত্ব দিয়েছেন বেশ কিছু দিন । উনাদের সন্তান বলেই শেখ হাসিনা এবং তারেক রহমান রাজনীতির কেন্দ্র বিন্দুতে এমন কি ক্ষমতার শীর্ষে রয়েছেন । ব্যক্তি হাসিনা বা তারেক রহমান এর যোগ্যতা বা দক্ষতা অথবা কোন কারিশমা এখানে নেই , বাপের কারনেই উভয়ে রাজনীতি তে কিংবা ক্ষমতার স্বাদ নিয়েছেন । তারেক রহমান সাহেব আবার এই দিকে একটু এগিয়ে আছেন হাসিনা থেকে , হাসিনার মা কিন্তু প্রধান মন্ত্রি ছিলেন না বা রাজনীতির ময়দানে ও উপস্তিত হন নি , হয়ত কারনেই তিনি পারেন নি বা কোন পরিস্তিতি উনাকে বাধ্য করেনি । স্বভাবত বাংলাদেশে দেখিনি সহনশীল রাজনীতি , আমার অবস্তান কালিন সময়ে দেখেছি জ্জালাও পুরাও , তখন ছিল এরশাদ সাহেবের রাজত্ব । ইংলান্ডে আসার পরে ভালো দেখার অভ্যাস হয়ে গেছে এখন , অসভ্য তা কে মনেকরাও আরেক অসভ্যতা - তাই বাংলাদেশের অবস্তা সেখানকার জনগনের উপরে ই ছেড়ে দেয়া উত্তম । বিলেতে রাজনীতি ও ক্ষমতার ব্যবহার রীতিনীতি ভাষার শালীনতা সম্মনা ও মর্যাদা র প্রয়োগ দেখে নিজের জিবনে ও অনেক পরিবর্তন এসেছে । অবশ্য এখানে যে সিস্টেম গাফলা নেই তা বলা যাবেনা আছে সবই তবে তার প্রয়োগ হয় কায়দা কানুনের ভিতরেই । ইউকে তে আসার পরে যে অবস্তা এখানে ছিল তা ছিল চরম পর্যায়ের , মারগারেট থ্যাচার ছিলেন ক্ষমতায় ,যাহাকে বলা হত আয়রন লেডী । কথা বার্তায় চাবুক চলত তৎকালীন সময়ে ছিলেন বিলেতের নিয়মিত অতিথি হাসিনা ও তাহার পরিবার । তিনি খুব ভাল করেই রপ্ত করেছেন প্রয়াত মিসেস থ্যাচারের কর্ম কৌশল । কেন বললাম চরম অবস্তা তা হল তখন ছিল ময়দানে আই -আর-এ । এই আই আর এ কে মিসেস থ্যাচার চ্যলেঞ্জ করেছিলেন । অনেক অনেক চুম্বক ও বুলি আউরিয়ে মিসেস থ্যচার বলতেন দম্ভ ভরে অনেক কথা , এখন যেমন বলেন নেত্রি ও প্রধানমন্ত্রী হাসিনা । থ্যাচারিজিম তখন এমন পর্যায়ে পৌঁছিয়েছিল যার ফলে মিসেস থ্যাচার একাকী কান্না করে বের হয়েছিলেন হাউমাউ করে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ১০ উয়েস্টমিনিশ্তার থেকে । এই মহিলার কারনে ব্রিটেন বিপর্যস্ত হয়েছিল যা অবশ্য জন মেজর এসে কিছুটা সামাল দিয়েছিলেন , অথচ জন মেজর সাহেব ছিলেন মাত্র পঞ্ছম পাশ এক বাস কন্ট্রাক্টর এর পরে ও তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী । কথা গুলা এই কারনেই বললাম যে শুধু কাউকে দেখে অনুসরন করলেই চলেনা তা বুঝাবার জন্য । আমি লেখা শুরু করেছিলাম আজকে হাসিনা তারেক বেজায় মিল তা তুলে ধরতে । অথচ একে অপরে বিপরীত চিন্তায় চেতনায় শিক্ষায় দিক্ষায় বয়সে চলায় ফেরায় । একজন নারী আরেকজন পুরুষ । রাজনিতীর বেলায় ও তাহারা পরস্পর বিরুধী । বর্তমানে একজন দেশে আরেকজন বিদেশে , একজন ক্ষমতায় আরেকজন ফেরারী ।তবে মিল হল দুনু জনের এক জায়গায় আর তা হল উভয়ে ই সমালোচনা সইতে পারেন না , কেউ তাহাদের সমালোচনা করুক তা পছন্দ ও করেন না , । হাসিনা যেমন তাহার সমালোচনা কারী দের ছাড় দেন না তেমনি তারেক সাহেব ও ছাড় দিতে রাজি নয় । যদিও তারেক সাহেব এখনো ক্ষমতার শীর্ষে যান নাই তথাপি তিনি তাহার সমালোচনা কারীদের হেস্ত নেস্ত করেই ছাড়েন । তারেকে সাহেবের বিলেতে দীর্ঘ দিন অবস্তানের কারনে ও সেই দিক থেকে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়না । তাহার বক্তব্য সমাবেশে তাহার দম্ভ ই প্রকাশ পায় । উনি দেশের ভাল চিন্তা করেন তাও ভাল কথা । তাহার উপস্তিতে ব্যনার লেখা হয় দেশ নায়ক ইত্যাদি - যেখানে তিনি উপস্তিত সেখানে কয়কশ নেতা কর্মী শুরু করে দেয় হাতা হাতি তাড়া হুরা , তাই তিনি এত দিনে সামাল দিতে পারেন নি সেখানে তাহার ভাল চিন্তার বাস্তবায়ন ১৫ কুঠি মানুষের দেশে কেমনে করবেন !! ওপর দিকে হাসিনা নিজেই নিজের ঘর সামাল দিতে পারেন নাই সেখানে দেশকে কেমনে সামাল দেবেন তার ও প্রশ্ন থেকে যায় । তাহারা যেমন একে অপরে ও সমালোচনা সহ্য করেন না তেমনি কেহ করলে ও সইতে পারেন না । তবে মিল হল তারেক হাসিনার এক ই ব্যাপারে সেখানে অমিল হলে ভাবা যেত ভিন্নতা ।
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:

চরম; তবে তুলনায় ভুল আছে।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪০

চলন বিল বলেছেন: একজনের ফুটো আছে, অপরজনের নেই B-))

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.