নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রিয় সত্য

চৌধুরী হাফিজ আহমেদ

এক সময় লিখতাম। যা ভাবতাম, যা দেখতাম তাই বলতাম এবং জানাতে চেষ্টা করতাম। লেখক বলে নিজেকে কখনো ভাবিনি এবং এখনো ভাবি না। তবে সবসময় চাই সত্যকে জানতে এবং জানাতে। কারণ, সত্যের বিকল্প নেই, জানতে চান বা না চান সত্য তার নিজস্ব গতিতে প্রকাশ হয়েই যায়। পৃথিবীতে কোন সত্যেই গোপন নেই এবং সত্যকে শত চেষ্টা করে কিংবা ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখা যায় না। বিগত দিনে যা লিখেছিলাম তার-ই কিছু কিছু লেখা এখানে তুলে ধরব।

চৌধুরী হাফিজ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি যাতনা বিষে -

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

কি যাতনা বিষে -
চৌধুরী হাফিজ আহমদ
বাংলাদেশে অনেক অনেক শিক্ষিত সচেতন রয়েছেন , আর রয়েছেন ধর্ম প্রান সজাগ মানুষ , যাহারা দাবি করেন অনেক কিছু । এমন কি অনেকেই বলেন এমন সুন্দর মনের মানুষ বা দেশ কোথা ও নেই বা পাওয়া যাবেনা । আমি ও বাংলাদেশী এবং জন্ম আমার বাংলাদেশেই তবে বিদেশে আছি ৩৫ বছর থেকে । আমার বেড়ে উঠা পড়া লেখা সব কিছুই বিদেশে , আবেগে আমি ও বলি বাংলাদেশ ই সেরা - কিন্তু বাস্তবে কি আসলেই তাই !! মনের টানে তাই যাই দেশে কিন্তু যতবার ই গিয়েছি হোঁচট খেয়েছি অনেক ক্ষেত্রেই । আবার স্নেহ পেয়েছি অনেক গুরু জনদের থেকে , সম্মান পেয়েছি আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সহ পারিবারিক বলয়ের অনেকের থেকে । সব কিছু ভুলে গেলেও ভুলা যায়না হোঁচট খাওয়ার কথা , এই গুলা থাক তা হয়তো আমার ব্যক্তিগত কথা । কিন্তু আলাপের কথা হল সবার মত আমার ও ধারনা বাংলাদেশ একটি দেশ , প্রায় সব কিছু ই রয়েছে সে দেশে এবং মানবিক চাহিদা পূরণের সব উপকরণ তথায় মজুদ । এবং কাজে লাগালে হতে পারে উন্নত দেশের মত একটি , কিন্তু কাজে লাগানো যাচ্ছেনা নানান অসুবিদা থাকায় । রাজনীতির ক্যাচালে যত সমস্যা তাই প্রকট , তবে জাতি হিসাবে আমাদের রয়েছে অনেক কিছু করার , যা এখনো করা হয়নি - তাহাতেই আমি হোঁচট খাই , এর মধ্যে অন্যতম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা । ভেজাল বিরুধী অভিযানে বেড়িয়ে আসে আমাদের রুচির পরিচয় , কি ভাবে নোংরা উপকরন ও পরিবেশ থাকে খাদ্য দ্রব্য বানাবার বেলায় । রেস্তোরা ফ্যাক্টরি তে কি বিচ্চিরি অবস্তা বিদ্যমান তা ক্যেমেরায় ধরা পরে , গা ঘিন ঘিন করে - দেশের খাবার জাতীয় কিছু বিদেশে কিনতে গেলেও সন্দেহ থেকেই যায় । তা নিয়ে কিন্তু মাথা ব্যাথা কম অনেকের , আরেকটা ব্যাপার লক্ষণীয় তা হল বাংলাদেশের পেশাব পায়খানার দিকে তাকালে সভ্যতার ধারে কাছে ও আসবেনা মনে হয় । আদিম যুগে এর চাইতে ভাল ব্যবস্তা ছিল , দেশের বিশ্ববিদ্যালয় , কলেজ , বিদ্যালয় , মাসজিদ মক্তব মাদ্রাসার পেশাব পায়খানার বেহাল অবস্তা দেখলে অবাক হই । শুধু দুর্গন্ধ ই নয় বা অপরিষ্কার নয় , দেয়ালে যে রকম লেখনী সভ্যতা মানবতা কে হার মানায় , মেয়েদের নাম ধরে ওদের ফোন নাম্বার সহ যাবতীয় অশ্লীল বাক্য লিখে দরজা থেকে দেয়াল পর্যন্ত যে শিক্ষার বাহাদুরি দেখানো হয় এতে যা মনে আসে তা হল এমন অসভ্য ইতর জাতি মনে হয় দ্বিতীয় আর নেই । বিশেষ করে মাছজিদ মাদ্রাসায় যে বিদঘুটে অবস্তা তা দেখে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে - ইছলাম আজ কোথায় !! ধর্মের দিকে তাকালে ইছলাম ই হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার এক আদর্শ , পরিশকার পরিচ্ছন্নতাকে ঈমানের অংশ বলে বলা হয়েছে , তাহারাত বলে আলাদা বিষয় পর্যন্ত রয়েছে যার ব্যখা অনেক বিশাল । দাড়িয়ে পেশাব যেখানে অনুমোদিত নয় সেখানে যে পরিমান লোক যত্র তত্র দাড়িয়ে পেশাব করে তা দেখলে চিন্তা করতে হয় কত জন মুছলিম আছেন ধর্ম বুঝেন বা মানেন । আলেম উলামা থেকে প্রফেসর অধ্যাপক শিক্ষক অফিসার কর্মজীবী পেশাজীবী রাজনৈতিক , অর্থনীতিবিদ , সেবক , পীর বুজুর্গ , সবাই প্রায় বিদেশ আসেন - নিশ্চয় দেখে যান উন্নত বিশ্বে কি করে পেশাব পায়খানা কে পরিশকার পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয় , এবং পেশাব পায়খানার স্তাপনা গুলা কত সুন্দর ব্যবস্তাপনায় পর্যবেক্ষণের সহিত রাখা হয় । ইংল্যান্ডে Pay as you Go , ব্যবস্তা করে রাখা হয়েছে অনেক আগে থেকেই ।মধ্য প্রাচ্যে ও এখন অনেক ভাল ব্যবস্তা রয়েছে , যা দেখে মুগ্ধ হতে হয় । আমি বাংলাদেশে অনেকের সাথে আলাপ করেছি যা বুঝলাম তা হল আমি ই মহৎ । কিন্তু কাজের বেলায় পিছিয়ে , কাজ করতে গেলেই নাকি নানান রকম ঝামেলা পোহাতে হয় তাই কেউ তা উঁচু গলায় বলেনা । কিন্তু শুধু যদি একটা অংশের উদ্যোগ থাকে তা হলে ব্যপারটা সামাল দিতে কষ্ট হবেনা , তা হল - সমাজের শিক্ষক রা - মাছজিদ মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বিদ্যালয় মন্দির মিশন এর শিক্ষক রা এগিয়ে আসলে সহজেই এর সমাধান আসবে । তাহাদের মাধ্যমে সমাজে ব্যাপারটা ছড়িয়ে দিলে এক বৎসরেই সুফল পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি । আলেম উলামারা এবং মাছজিদের ঈমাম সাহেব । মন্দিরের পূজারী মিশনের পাদ্রীরা তাহাদের ওয়য়াজে বয়ানে নিয়মিত ভাবে যদি বলেন পেশাব পায়খানা কে কি ভাবে ব্যবহার করতে হবে , পরিশকার পরিচ্ছন্ন করে রাখলে সাস্থের জন্য কত টুকুন উপকার বয়ে আনবে , সমাজে এর কি সুফল বহে আনবে , তা হলে পরিশ্রম কিংবা বল প্রয়োগের দরকার ই পরবেনা । এই পেশাব পায়খানার ব্যাপারটা লজ্জার নয় । এটা মানুষের ই একটা বিরাট দিক , মানবীয় ব্যাপার এতে লজ্জার কিছুই নেই । বরং এতে লজ্জা করাটাই হবে দোষের , পেশাব পায়খানার যায়গায় অশ্লীল বাক্য না লিখে মেয়েদের নাম এবং নাম্বার না লিখে দোয়া পরুন , দোয়া টির অর্থ বুঝতে চেষ্টা করুন তখনি দেখবেন ব্যাপারটা সম্পূর্ণ পাল্টেই গেছে । লেখাটি শেষ করার আগে একটি হাদিস উল্লেখ করছি এই কারনেই পেশাব পায়খানা কত মারাত্মক হতে পারে মানব জিবনে তা বুঝাতে । আমাদের মহানবী সঃ বলেছেন কবরে বেশীর ভাগ নারী পুরুষের আজাব হবে এই পেশাব এর কারনেই । কি যাতনা বিষে সুতরাং এবারে বুঝুন এই পেশাব পায়খানার ব্যাপারটি পবিত্রতার জন্য কতটুকুন গুরুতব রাখে । বাংলাদেশ সেরা মানুষ সেরা এই কথাটি প্রমানে পেশাব পায়খানার ব্যাপারে সচেতন হলে মর্যাদা বাড়বে বৈ কমবেনা , এবং অন্যদেশের মানুষ বুঝবে অন্তত বাংলাদেশ শিক্ষা দিক্ষার সাথে সাথে পবিত্রতার দিকে ও সেরা । অনুরুধ করব যে যেখানেই আছেন কবি সাহিত্যিক কলামিস্ট সমাজ সেবক ছড়া কার সংবাদ কর্মী সাংবাদিক নেতা সবাইকে অনুগ্রহ করে বাংলাদেশে পেশাব পায়খানা ও পবিত্রতার ব্যাপারে সচেতনতায় অংশ নিন । বারমিঙ্গহাম , ইংল্যান্ড

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.