নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রিয় সত্য

চৌধুরী হাফিজ আহমেদ

এক সময় লিখতাম। যা ভাবতাম, যা দেখতাম তাই বলতাম এবং জানাতে চেষ্টা করতাম। লেখক বলে নিজেকে কখনো ভাবিনি এবং এখনো ভাবি না। তবে সবসময় চাই সত্যকে জানতে এবং জানাতে। কারণ, সত্যের বিকল্প নেই, জানতে চান বা না চান সত্য তার নিজস্ব গতিতে প্রকাশ হয়েই যায়। পৃথিবীতে কোন সত্যেই গোপন নেই এবং সত্যকে শত চেষ্টা করে কিংবা ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখা যায় না। বিগত দিনে যা লিখেছিলাম তার-ই কিছু কিছু লেখা এখানে তুলে ধরব।

চৌধুরী হাফিজ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে ব্রিটিশ গজব

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

বাংলাদেশে ব্রিটিশ গজব
চৌধুরী হাফিজ আহমদ
আমি সম্প্রতি বাংলাদেশে গিয়েছিলাম , গেলে নানাজনে নানান প্রশ্ন করে বিদেশ সম্পর্কে - জবাব দেই যা জানি যদি জানা না থাকে তা হলে অপারগতা প্রকাশ করি । এবারে গিয়েছিলাম চিকিৎসার জন্য , অল্প সময়ে রত ও দেখা কলা ও বেচা এই অবস্তা । তথাপি মেহেরবানের কৃপায় অনেক দেখা হল - যাহাকেই পেলাম তাহার থেকেই জিগ্যেস আচ্ছা বলুন ত ব্রিটিশ ভিসা কেন ঢাকা থেকে দিল্লি গেল ? আমি রাষ্ট্রদুত নয় বলে পাশ কাঠালাম আবার ভাবলাম ব্যাপার টি অনেকের জানা - পত্রিকায় খবরে জন কথায় অনেক বার শুনেছি যে কারন দর্শানো হয়েছে , মোটামটি সবার জানা থাকার ই কথা , কয়কজন বলেই ফেললেন আপনি হাইকমিশনার না হলেও আপনার জানা আছে ব্যাপারটি কারন আপনার চলাফেরা রয়েছে জানাশুনার অঙ্গনে । মানানসই জবাব দিলাম এবং বললাম দেখুন কূটনীতির ব্যাপার স্যাপার বিশাল । খবরের প্রকাশিত গুলা জানা থাকলেই হল , ভিতরের খবরের আবার কি দরকার । এবারে আসি একটু বিস্তারিত আলোচনায় - ভিসা অফিস বন্ধ হবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে বন্ধ করার মেলা দিন আগে , তখন কারনে বলা হয়েছে ব্যয় সাশ্রয়ে এই কাজ , তবে ভিসা আবেদনে সহজি করন করা হবে । মৃদু প্রতিবাদ করেছেন তাও কাগুজে মাত্র , তখন আশ্বাস দেয়া হয়েছে ব্যাপারটি বিবেচনাধীন । বাংলাদেশী রা জিমিয়ে ঘুমিয়েছেন , তাই মনে করা হয়েছিল যে ব্রিটিশ সরকার তা সরিয়ে নিবেনা । কিন্তু দেখা গেল কথা র সাথে কাজ যতা । ভিসার ব্যাপারটি চলে গেল দিল্লীতে , আবার হাউ মাউ করে গর্জে উঠলেন , কাগুজে বাঘের গর্জনে ব্রিটিশরা গর্জে উঠে বলল এই নীতির পরিবর্তন হবেনা তা আমাদের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার । ভিসার কর্ম কাণ্ড চলবে ইন্ডিয়া থেকে । বিশাল ব্যয় হ্রাসের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে - বার বার একই প্রশ্ন করে চলেছেন নানা জন । বাংলা খবরের কাগজে নাম যাচ্ছে কার মাধ্যমে কে কি ভাবে কাহাকে দিয়ে প্রশ্ন করানো হয়েছে । পরিবার জন্মসুত্রে বাংলাদেশী ৩ কন্যা এম পি তাহাদের ও কথা শুনা গেল চেষ্টা চলছে , এই সেই । কিন্তু জবাব ঐ একই এতে কোন হেরফের নেই , বিরুধী দল লেবার থেকে অনেকে বলেছেন তবু কাজ হয়নি , এবারে সরকারী দল থেকে ও চেষ্টা করে ব্যর্থ , হুকুম কে নড়ানো যায়নি বরং আর ও তেজী ভাব এসেছে মনোভাবে । আমি প্রায় ই বলি আমি এক পর্যবেক্ষক দেখি যা বলি তাই , সত্য মতামত তুলে ধরতে চেষ্টা করি , এই সমস্যা নিয়ে দেশ থেকে আসার পরে একটু তদন্ত করলাম নীজ থেকে । কি করতে হবে কি ভাবে করতে হবে এর সমাধান কি তাও জানার চেষ্টা করলাম । মুল সমস্যা নিয়ে ও আলাপ হল কয়েকজনের সাথে তখন ভাবলাম কিছু লেখা যায় । একটা স্বাধীন দেশে আরেকটা দেশ স্বাভাবিক ভাবে তার যোগাযোগের জন্য মাধ্যম হিসাবে এম্বেসী খোলতেই পারে । যাতায়েতের ব্যাপারে অনুমতি দেবার ক্ষেত্রে তাহারা তাহাদের হিসাব অনুযায়ী ব্যবস্তা ও নিবে এতে আপত্তি থাকার কথা নয় । কিন্তু কেউ যদি এক দেশে এম্বেসী খোলে বাকি কাজ কর্ম করে আর শুধু মাত্র একটি ব্যাপারে ব্যয় কমাবার কথা বলে অন্য দেশে ভায়া হয়ে কাজ সম্পন্ন করে এতে যে দেশে এম্বেসী আছে সে দেশ আপত্তি করতে পারে বা ব্যবস্তা নিতে পারে , কূটনীতির মাধ্যমে । এই পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার কি ব্যবস্তা নিয়েছে তা জানা যানা জায়নি । তবে অনুরুধ করেছেন বলে খবরে দেখেছি , ব্যাপারটা অনুরুধের নয় অনুসন্ধানের । এতে একটি দেশ জড়িত স্বাধীনতা জড়িত আবেগ অনুভুতি খরছ যাতায়াত সমস্যা রোগ শোক জড়িত । খরছ কমাবার খোঁড়া যুক্তি মেনে নেয়া যায়না , এম্বেসী থাকবে কিন্তু আরেক দেশে গেলে খরছ কমবে তা বর্তমান ডিজিটাল যুগে মানাতে বেশ কষ্ট হবে তা হয়ত ভাবেননি কেউ । বা ভেবেছেন বাঙ্গালী তো হেন তেন বুঝালেই চলবে , কয়দিন একটু হাউ কাউ করবে পরে শান্ত হয়ে বসে থাকবে । বাঙালীদের নিয়ে এই ধারনা অমুলক নয় , ঐ সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই স্বাধীনতার আন্দোলন করছে বাঙ্গালী , তাড়িয়েছে টিক কিন্তু মীরজাফর জন্ম নিয়েছে , পাকিস্তান করেছে এই বাঙ্গালী শ্লোগান দিয়েছে - হাত মে বিড়ি /মু মে পান / লড়কে লেয়েঙ্গে পাকিস্তান - হয়েছে পাকিস্তান কিন্তু হেরেছে বাঙ্গালী । আবার বাঙ্গালী জেগেছে করেছে জয় বাংলাকে হয়েছে বাংলাদেশ কিন্তু পরাধীন নীতি । ব্রিটিশদের ইতিহাস জ্ঞ্যান খুব চমৎকার , তাহাদের খাজানায় ইতিহাস বেশ আরামেই বাস করছে । তাহাদের কে আজো পরাজিত করা যায়নি । তাহাদের কাছে এখন দুনিয়া প্রায় ধরাশায়ী । একা ব্রিটিশ এখন ইউরুপে ও প্রতাপশালী , রাজ্য হেরেছে কিন্তু মুকুট তেজী ।
এই ব্রিটিশরা বুদ্ধি খরছ করে না তা ব্যবহার করে । তাহাদের বুদ্ধি ব্যবহার করা হয় বিশ্বের আনাচে কানাচে । এই বুদ্ধির টেকনোলজি তেই বাজার মাত করে চলেছে ব্রিটিশ জাতী , বুদ্ধির জোরেই তাহারা এই ভিসার প্রোসেসিং নিয়েছে দিল্লীতে এর কারন একদম স্পষ্ট । খরছ নয় কথা হল বর্তমানে বাংলাদেশ স্বাধীন কিন্তু নীতি পরাধীন । বাংলাদেশে নিরাপত্তা নেই সাধারন মানুষের বাংলাদেশে নেই কোন স্বাধীন স্বত্বা । বাংলাদেশেই চলছে এখন পরাধীনতা । ভবিষ্যৎ চিন্তায় দেখেছে বাংলাদেশ তো ইন্ডিয়ার কাছে জিম্মি ,ইন্ডিয়া করছে বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ , বাংলাদেশ মুলত ভারতের হাতের পুতুল , ভারতে আছে আরেক বাংলা সুতরাং আলাদা ভাবে এম্বেসী রেখে লাভ নেই । তাই খুব নিকট ভবিস্যতেই ঢাকা থেকে সম্পূর্ণ এম্বেসী ই ইন্ডিয়াতে স্তানান্তর করতে কষ্ট পোহাতে হবেনা । তাই আগে বাগেই ফালতু যুক্তি দিয়ে ভিসা প্রোসেসিং নিয়ে যাওয়া । এর মানে অবস্তা পর্যবেক্ষণ করা । আমার লেখনীর মাঝে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন অনেকেই কিন্তু ভেবে দেখুন যৌক্তিকতা । এরি মধ্যে দেখুন আরেকটি খবর যা একদম চমকে উঠার মত , বাংলাদেশ থেকে বিলেতে কার্গো সরাসরি বন্ধ করে দিয়েছে , এখানে ও যুক্তি নিরাপত্তা । আজকের সকালে লেখার মধ্যে ই খবরে প্রকাশ যাত্রি পরিবহনের ও সরাসরি ফ্লাইট অর্থাৎ সরাসরি বিমান যোগাযোগ বন্ধ করার কথা ও ভাবা হচ্ছে এবং ঘোষণা ও দিয়েছে একটা টাইম লিমিট বেঁধে দিয়ে । এবার কি করা হবে তাই ভাবার বিষয় । জানিনা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কি করা হবে বা না হবে - তবে বর্তমান সরকার প্রধান থেকে নিয়ে প্রায় সবাই ব্রিটিশ সেবায় অভ্যস্ত , তাহাদের কে আমার পক্ষ থেকে জ্ঞ্যান দেয়া বোকামি বৈ কিছু নয় । তাহাদের অভিজ্ঞ্যতার ঝুলিতে সাফল্য ছাড়া ব্যর্থতা নেই বললেই চলে । তাহাদের আকাশ চুম্বি জনপ্রিয়তা এমন যার তুলনাই হয়না । কিন্তু তাহাদের শাসনামলে এমন ঘটনা বেমানান ই নয় একদম অনাখাঙ্কিত , যা মেনে নেয়াই যায়না । তবে আমার চলার পথের অভিজ্ঞ্যতার কথা বললে আশা করি মতামত বুঝতে সুবিদা হবে । ব্রিটিশ রা যে সব নিরাপত্তার কথা বলে বা যে সব চাহিদার কথা বলে এর কোনটা আছে ইন্ডীয়াতে ? একমাত্র দিল্লী এবং মুম্বে ছাড়া আর কয়টা এয়ারপোর্ট আছে বলার মতো বা দেখার মতো কিংবা ব্যবহার উপযোগী !! দমদমে বলুন বা আহমদাবাদে বলুন কোথায় রয়েছে ব্রিটিশ ষ্ট্যাণ্ডার্ড ? পচা গন্ধে বের হলেই মাথা ধরে বমি আসে । এমন ও এয়ারপোর্ট আছে ইন্ডিয়াতে যেখানে এখন ও কাটের বেষ্টনী ,টয়লেট এর অবস্তা এত বিশ্রী বর্ণনা করা ও যাবেনা । পুলিশরা দেদারসে রিসওয়াত নিচ্ছে যা ইচ্ছে মাল আনতেছে । ইন্ডিয়া থেকে বিস্টা পর্যন্ত কার্গো করা হয় , এমন কি পেশাব পর্যন্ত নিয়ে আসে বোতলে । এমন কোন বস্তু নেই প্রান হানিকর সাস্ত্য হানিকর জীবন হানিকর যা বিলতে আসেনা ইন্ডিয়া থেকে । সেথায় খালি বাংলাদেশে কেন ব্রিটিশের গজব একের পর এক নাজিল হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা দরকার । এর পিছনে ইন্ডিয়ার সরকারের লবির কথা নাই বললাম , দেখবেন সঠিক তদন্তে টিক ই বেড়িয়ে আসবে কাহারা এর পিছনে ।একটা স্বাধীন দেশে থাকবে নীতি স্বাধীন সেখানে জাতী ব্যবহৃত হবে পরাধীনতার সাথে তা মানতে পারেনা । অবস্তা এমন যে কচি বয়সে শুনতাম বলতো দাদা নানা রা ফ্লাইট যেত করাচী হয়ে লন্ডন ।এবারে দেখব ফ্লাইট যাচ্ছে ঢাকা দিল্লি লন্ডন , শুধু তাই নয় ওয়ার্ক পারমিট বন্ধ এমনিতেই । ভিজিট ভিসা ও সীমিত , পরিবার আনতে গেলে ও কঠিন নিয়ম এর খড়গ । বলতে গেলে বাংলাদেশে চলছে ব্রিটিশ দের আজব খেলা , এর থেকে পরিত্রান পাওয়া দরকার । নতুবা আগামীতে কথা বলতে হলে ও বলতে হবে ভায়া দিল্লী ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৩

saamok বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ডলার নিয়ে গেছে কারন ব্যাংকের সার্ভারে ফায়ারওয়াল ছিল না। এই নিউজ আজ প্রায় সকল টিভি চ্যানেলে দেখিয়েছে। বাস্তবতা হল ফায়ারওয়াল শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকথেকেই গায়েব হয়নি -- সম্পুর্ণ বাংলাদেশ থেকেই গায়েব হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.