নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিপন ইমরান

রিপন ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধু সাবধান

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

আমার বিবেচনায় বাংলাদেশে তিন ধরণের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ আছেন। প্রথম দলের মানুষরা সত্যিকরা অর্থেই মুক্তিযুদ্ধেকে নিজের মাঝে ধারণ করেণ। ‘মুক্তিযুদ্ধ’ এই শব্দটি শুনলেই আবেগে তাদের গলা বন্ধ হয়ে আসে। এই দলে প্রবীন থেকে নবীন সব বয়েসী মানুষই আছেন। সংখ্যায়ও এরা নেহায়েত মন্দ না।

আরেকদল টিভি সেট আর সংবাদপত্রের পাতা পর্যন্তই মুক্তিযুদ্ধকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান। নিজের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে এরা মুক্তিযদ্ধের চেতনার কোন প্রতিফলন রাখেন না। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন আন্দোলন সংগ্রামের কথা শুনলেই তারা জরুরি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেমন যেনো সিঁটিয়ে যান। দিন দশেক আগেও এরাই ছিলেন সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। কিন্তু শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরের আন্দোলনের ডাক তাদের পাল্টে দিয়েছে। র্নিঝঞ্জাট জীবন কাটাতে অভ্যস্ত এই মানুষগুলো চার দেয়াল ছেড়ে নেমে এসেছন রাজপথে। গলার প্রতিটি শিরা ফুলিয়ে এখন শ্লোগান দিচ্ছেন যুদ্ধাপরাধাদের বিরুদ্ধে।

এবার আসি তৃতীয় দলের কথায়। এরা সাপের চেয়েও ভয়ঙ্কর। এরা কেউ সেই অর্থে ছাগু না। এরা সকলেই টিভিতে টকশোতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক। এরা কেউ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কেউবা তরুণদের আইকণ। আসলে এরা প্রত্যেকটা একেক একেকটা ইবলিশ শয়তান। কথার ফুলঝুরিতে এরা টিভি টকশো গরম করে ফেলেন। ফেইসবুকে এরা কিছু লিখলেই আমাদের বন্ধু সংখ্যার ১০ গুণ লাইক পড়ে। আর দেশে যে কোন আন্দোলনের হাওয়া লাগলেই তারা ফায়দা নেয়া শুরু করেন। এরা আসলে নব্য রাজাকার। এদের বয়েস সীমাও নবীণ থেকে প্রবীন। প্রকৃতপক্ষে এরা ধান্ধাবাজ গোষ্ঠী। একটু খোঁজ নিলেই দেখা যাবে এরা কেউ আগে ছাগু রিলেটেড কোন রাজনৈতিক দলের রাজনীতি বা সংগঠনে ছিলেন অথবা তাদের পরিবারের কেউ এখনো আছেন। প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন নিয়েও তারা বিভিন্ন টকশো গরম করতে শুরু করেছেন। আর ফেসবুকে মর্মস্পর্শী স্ট্যাটাস দেয়া শুরু করেছেন। ভয় হচ্ছে আবারো না এদরে কারণে মহৎ একটা আন্দোলন মাঝপথে মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই আগেই বলি ‘সাধু সাবধান।’

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.