নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিপন ইমরান

রিপন ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সের অন্তর্ধান রহস্য ও বাংলাদেশ বিমান

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৩

উমম্ এত্তোগুলো মানুষ সমেত মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সের আস্ত একখান বিমান মাঝ আকাশে হাপিস হওয়ার মানে হচ্ছে, আকাশে বাংলাদেশ বিমানও যা মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সও তা...আল্লাহর অশেষ রহমত আজ অবধি বাংলাদেশ বিমানের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে এ ধরণের কোন হৃদয়বিদারক ঘটনা যুক্ত হয়নি...খুব সম্ভবত বাংলাদেশ বিমানের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছিলো আশির দশকে...

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসার পথে দুর্যোগপূর্ণ আবাহাওয়ার কারণে বিমানবন্দরের রানওয়ের কিছুটা আগেই জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি...ভুল না হলে সেই বিমানের ক্যাপ্টেন ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট রোখসানা...বিমানের সকল যাত্রী ও ক্রু দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন...সেই সঙ্গে বিমানটির উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া তৎকালীন টঙ্গী থানার ওসিও ঘটনাস্থলে পৌঁছে আকস্মিক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন...

আমার এসব মনে আছে কারন তখন অনেক ছোট ছিলাম..ছোট বলেই প্লেন নিয়ে আমার বাড়াবাড়ি রকম আগ্রহ ছিলো...আর তখন আমরা ধানমণ্ডির দিকটায় থাকলেও আমাদের নিজেদের একটা বাড়ি ছিলো উত্তরা এলাকায়...তাই খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ইত্তেফাকের পাতায় বিমান দুর্ঘটনার প্রকাশিত সংবাদ পড়তাম...আর বিকেলে আব্বা অফিস থেকে বাসায় ফিরলে তার কাছে জানতে চাইতাম বিমানটি আমাদের বাড়ি থেকে কতোদূরে ক্রাশ করেছে...কি হালহকিকত...আমাকে একবার সেখানে নিয়ে যাওয়া যায় কী না...আমার ধারণা ছিলো বিমান যেহেতু ক্রাশ করেছে সেখানে অবশ্যই কোন চুম্বকখণ্ড পাওয়া যাবে।

( বি:দ্র: ছোটবেলায় কেনো যেনো ধারণা ছিলো যান্ত্রিক সবকিছুর ভেতরেই বিশাল আকারের চুম্বক থাকে। শুধু আমি না, আমার বয়সী আমার পরিচিত অন্যান্য শিশুরাও তাই বিশ্বাস করতো। এ কারণেই কোন খেলনা গাড়ি পেলেই আছাড় মেরে ভেঙে ফেলতাম ভেতরের চুম্বকটির আশায়)।

আমার আজো মনে আছে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হু মো এরশাদও সেই উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি সহ বেশ কয়েকজন বিমানের খণ্ডিত অংশ জলাভূমি থেকে তোলার জন্য দড়ি ধরে টানছেন এমন ছবিও ছাপা হয়েছিলো ইত্তেফাকের প্রথম পাতায়। যতোটুকু শুনেছি মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেদিন রানওয়ে পানিতে ডুবে গিয়েছিলো...তখনও আধুনিক রানওয়ে নির্মিত হয়নি। এ কারণে নাকি পাইলট ভুল করে রানওয়ের বর্ধিত জলাভূমিতে প্লেন নিয়ে নেমে পড়েছিলেন (যদিও বিষয়টি আমার কাছে এখন বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না)।

যাই হোক এরপর থেকে আজ অবধি কোন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায় পতিত হয়নি আমাদের জাতীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমান...যদিও বাংলাদেশে বিমানের মান ও সেবা দুটোই নামতে নামতে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে...আল্লাহ না করুক যদি মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সের জায়গায় এ ধরণের ঘটনা বাংলাদেশে বিমানের ক্ষেত্রে ঘটতো তাহলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রতিটি আনাচে কানাচে মিডিয়া বাংলাদেশ বিমান ও বাংলাদেশকে তুলোধুনো করে ছাড়তো...

কয়েকশ ভিডিও শেয়ার হয়ে যেতো ইউটিউবে বাংলাদেশে বিমানের সীমাহীন দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও নানা বিষয় নিয়ে...বাংলাদেশের বিমান মন্ত্রী যদি বেফাঁসে তখন বলে বসতেন যান্ত্রিক জিনিস দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে তাহলে তাকেও পদত্যাগ ও চুনকালি মাখানোর দায়িত্ব নিতাম আমরা মানে সাংবাদিকরা...দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার এইসব কাজই করতাম আমরা বাঙালিরা খুব সুনিপুনভাবে...কিন্তু ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও যখন মালয়শিয়ান কর্তৃপক্ষ বিমানটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন না উল্টো ইহাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে চালিয়ে দেয়ার সুর তোলেন তখন আমার মনে হয় পৃথিবীতে আমরাই একমাত্র জাতি যারা নিজের দেশের ভাবমূর্তিকে কিভাবে উচ্চে তুলতে হয় তা প্রায় জানি না বললেই চলে....

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিমানটিতে দুজন আত্নঘাতি সন্ত্রাসি ছিল, পাসাপাসি সিরিয়াল সিটনাম্বার!
এসব ভুলেগেলে চলবে না।

মানুষের শয়তানি শয়তান বা এলিয়েনের চেয়ে এককাঠি উপরে!

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: বাংলাদেশ বিমান ভাগ্যের গুনে আকাশে উড়ছে, বলতে গেলে আমাদের দক্ষ পাইলটদের অবদান এখানে সবচেয়ে বেশি।
ভাগ্যের জুড়ে আর কত দিন চলবে আল্লাহ ভাল জানেন।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

ভিটামিন সি বলেছেন: যারা বাংলাদেশ বিমানের সাবেক ডিসি ১০ এয়ার বাসে চড়েছেন, তারা জানেন বিমানের কি অবস্থা। বর্তমান গুলোতে আমার চড়া হয়নি। আর আমাদের আফামনিরা খাটাসের খাটাশ। প্যাসেঞ্জারদের সাথে যেভাবে কথা-বার্তা বলেন মনে হয় মুচির কাছে জুতা সেলাই করতে দিয়েছেন। বিমানে আর যাই না। সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের উপরে আর কোন সার্ভিস এখনো পাইনি। আফামনিরা কত্ত কত্ত ভালো ব্যবহার করেন।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.