![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাকিস্তান সফরে এসে ২১ দিনে ২১০০টি হউবারা বাস্টার্ড পাখি মেরেছেন সৌদি যুবরাজ ফাহাদ বিন সুলতান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ ও তার সঙ্গীরা! তার মানে প্রতিদিন গড়ে ১০০। যুবরাজ ফাহাদ একাই মেরেছেন ১৯৭৭টি পাখি, আর তার সঙ্গীরা মেরেছেন বাকি ১২৩টি পাখি। স্বাভাবিক রাজা-বাদশার পোলাপানের হাতের টিপ আর ফকিরন্নীর পুতদের হাতের নিশানা কি এক হয় কখনো?
অস্তিত্বের হুমকির মুখে থাকা পাখির এই প্রজাতিটি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী একটি সংরক্ষিত প্রজাতি। আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী পাকিস্তানেও এই পাখি শিকার করা নিষিদ্ধ। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের রাজকীয় অতিথির জন্য পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিশেষ অনুমতি ইস্যু করে পাখিগুলো মারার সুযোগ করে দেয়। এই বছরের ১১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিন বেলুচিস্তানের দালবাদিন এলাকায় ছিলেন সৌদি আরবের তাবুকের গভর্নর এই যুবরাজ। জানা যায়, এই নৃশংসতম পাখি শিকারে তাকে সহায়তা করেছেন খোদ বেলুচিস্তান বন ও বন্যপ্রাণী বিভাগের দালবাদিন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জাফর বালুচ। বন্যপ্রানী সংরক্ষকের এই যদি হয় অবস্থা তাহলে আমার জবান বন্ধ রাখাই ভালো।
এই ঘটনা থেকে যতোটুকু বুঝলাম, প্রথমত সৌদি রাজ পরিবারের সদস্যরা যে কোন কোমল বা নরম জিনিস মেরে বড়োই আনন্দ লাভ করেন...:-) (ছিঃ ছিঃ অামি কোমল ও নরম বলতে সেই জিনিসকে বুঝাইনি)...দ্বিতীয়ত পেয়ারে ফাকিস্তান বিদেশি নাগরিকদের জন্য একটি উন্মুক্ত রাষ্ট্র...এখানে ইচ্ছে হলেই বিদেশিরা দেদারসে মানুষ (যেমন আমেরিকানরা কোন কিছু হলেই ধোন থুক্কু ড্রোন হামলা করে) ও পাখি শিকার করতে পারেন...এই ব্যাপারে পাকিস্তান নামক দেশটির মেরুদণ্ডবিহীন সরকার যথেষ্ট সহায়তা করে...তৃতীয়ত আল্লাহ তোমার দরবারে লাখো শুকরিয়া ৪৩ বছর আগেই ফাকিস্তান থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করছিলা।
বি:দ্র: সৌদি যুবরাজ ও পাখি শিকারে অনুমতি দেয়া পাকি কর্তৃপক্ষের প্রতিটি সদস্য কানের ঠিক দুই ইঞ্চি নীচ বরাবর রাম গদ্দা দিতে বড়ই ইচ্ছে করছে...আহা যদি একটিবারের জন্য হলেও সুযোগটা পেতাম।
©somewhere in net ltd.