![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু পুরনো দিনের গল্প করা যাক...যে সময়টার কথা বলছি তখনো ধানমণ্ডি মানেই শেখ মুজিবের বাড়ির ওখানটায়...ধানমণ্ডি লেকে তখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি...লেকের দুধারে নীচু পাড়...ঝুম বৃষ্টি হলেই দুই পাড় উপচে পড়ে পানি...সৌখিন মৎস্য শিকারীদের জন্য পাড় ঘেঁষে মাচা করা...টিকিট কেটে সেই মাচায় মাছ ধরা যায়...বিকেল বেলায় কেউ একজন মাছ বড়শি ফেলে মাছ ধরছে তার পেছনে তাকে ঘিরে কিছু উৎসুক জনতা, এটা বেশ পরিচিত দৃশ্য সেই সময়টায়...কারন হরহামেশাই বড় সাইজের তেলাপিয়া ধরা পড়তো বড়শিতে...লেকের দুপাড়েই নুড়ি পাখরের ব্লক ফেলে হাঁটা পথ....লেকের দুধার পানিতে ভেসে গেলে আমরা ছোটরা সেই পাথর বিছানো পথে লাফিয়ে লাফিয়ে চলি...পুরো ধানমণ্ডি জুড়ে ইয়া মোটা মোটা শিরীষ আর কৃষ্ণচূড়া গাছ...সেই কৃষ্ণচূড়া গাছে যখন ফুল ফোটে তখন দূর দেখে ধানমণ্ডিতে আগুন লেগেছে বলে ভুল হয়...
৩২ নম্বরে লেকের মাঝে যে দ্বীপটা ওখানে তখন মৎস্য অধিদপ্তরের একটা অফিস ছিলো...সেই অফিসে যেতো হতো একটা কাঠের ব্রিজ দিয়ে...আজো মনে আছে একবার ব্রিজটাকে নীল রঙ করা হয়েছিলো...তখন ঢাকার বাইরে থেকে কোন আত্মীয়-স্বজন এলেই পরদিন সকালে আমার কাজ ছিলো তাদের সঙ্গে একবার মুজিব সাহেবের বাড়িটা ঘুরে আসা...তখনো বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি জাদুঘর করা হয়নি...নিছক বাসভবন হিসেবেই স্মৃতিচিহ্নগুলো রাখা...বঙ্গবন্ধু সিঁড়ির যেখানটায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়েছিলেন ওই জায়গাটি দেখলেই সেই ছোট্ট আমার কেমন যেনো গা শিরশির করতো...পুরো বাড়িটায় ঘুরেঘুরে আমি কল্পনা করতাম কোথায় কি হতো...তখন ধানমণ্ডি প্রায় সব বাড়ির সামনের গেটে শিউলি অথবা বকুলের গাছ থাকা বোধহয় রেওয়াজ ছিলো...সকালে প্রতটি বাড়ির সামনেরটুকু শিউলি ফুলে ছেয়ে যেতো...অার সব বাড়ির সামনের লনেই তো চমৎকার সাজানো বাগান...আর গেটে লেখা সেই অমোঘ সর্তকবানী ‘কুকুর হইতে সাবধান’।
©somewhere in net ltd.