![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“হাজার টাকা ঠকিয়া
সেট কিনেছি নোকিয়া,
লাইন নিয়েছি জিপি
ফোন করি না টিপি।
সালটা খুব সম্ভবত ৯৯...ভোরের কাগজের বাংলামোটর অফিসের ৪ তলায় বসে আছি...হন্তদন্ত হয়ে ডুকলেন আমাদের ও.গো. চন্দন (ওবায়েদুল গণি চন্দন)...চন্দন দা আমার সামনে এসেই বললেন, ‘এই যে, রিপন একটা মোবাইল কিনছি...কথা সেখানে না, মোবাইল কিনতে গিয়ে যে পরিমান হাওলাত করছি তা শোধ করতে ঠিক করছি মোবাইল নিয়ে সব পত্রিকায় একটা করে ছড়া লিখবো...যা বিল পাবো তা দিয়েই...মোবাইল দেইখেন পরে আগে বলেন ছড়াটা কেমন হইছে?’...বলা বাহুল্য তখন মোবাইলের দাম ছিলো আকাশ ছোঁয়া (অন্তত আমাদের মতো ছাপোষা সাংবােদিকদের কাছে)...আর কলরেট ছিলো মোবাইল টু মোবাইল প্রতি মিনিট ৭ টাকা...এ কারণে মোবাইলের মালিকরা এক অন্যকে কলের চেয়ে মিস কলই দিতন বেশি...বাস্তব অবস্থা যে মাত্র চার লাইনের ছড়ায় এতো চমৎকার করে প্রকাশ করা যায় সেদিনের আগে তা আমার ধারণাতেও ছিলো না...সে সময় ভোরের কাগজের ফান পাতা রঙ্গব্যাঙ্কের সম্পাদক ছিলেন তাপস দা...চন্দন দার মুখে ছড়াটি শুনে আমি তাপস দাকে খুঁজছিলাম তক্ষুনি ছড়াটি তার হাতে দেয়ার জন্য...
রাত ১টার মতো বাজে...উত্তরার রাজলক্ষী এলাকা..রিকশায় উঠে সবে সিগারেট ধরিয়েছি...হঠাৎ পাশ থেকে কেউ চেঁচিয়ে বললো, ‘এ্যাই রিপন দাঁড়ান। আমাকে নিয়ে যান’...ঘাড় ফেরাতেই দেখি ওগো চন্দন....ততোদিনে অনেক সময় গড়িয়েছে চন্দন দা ছড়াকার থেকে বনে গেছেন পরিপূর্ণ সাংবাদিক...শুধু স্বভাবটাই বদলায়নি...উত্তরায় একই সেক্টরে থাকার সুবাদে বাড়ি ফেরার সময় প্রায়ই দেখা হতো চন্দন দার সঙ্গে...তবে এখন থেকে আর হবে না...গতকাল তিনি আমাদের ছেড়ে বেশ আগেভাগেই চলে গেছেন অদেখা ভুবনে...চলে যাওয়াটাই স্বভাবিক নিয়ম...তবুও কিছু কিছু মানুষ চলে গেলে বারবারই মনে হয়, আর কিছুদিন পরে গেলে কি খুব বেশি ক্ষতি হতো???
©somewhere in net ltd.