![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৃহস্পতিবার সকালে বুড়িগঙ্গায় ভাসমান বস্তার ভেতর জীবিত যে যুবকটিকে পাওয়া গেলো নিঃসন্দেহে সে সৌভাগ্যবান...যারা তাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো তারাও এক বাক্যে স্বীকার করবে, এই যুবকের কৈ মাছের প্রাণ...আমরা সাধারণ মানুষরা সংবাদটি পড়ে খবরের কাগজটা ভাঁজ করতে করতে একটু জোরেশোরেই বলবো, ‘আসলেই রাখে আল্লাহ মারে কে?’...সবই ঠিক আছে তবে, এই চমকপ্রদ সংবাদটির মাঝে যে মানবিক আশা জাগানিয়া তথ্য লুকিয়ে আছে তা হয়তো আমাদের অনেকের চোখই এড়িয়ে যাবে...
একটা সত্যি কথা বলি, নদীতে ভাসমান বস্তায় জীবিত যুবকের সংবাদ আমাকে যতোটা বিস্মিত করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি অবাক লেগেছে সেই মানুষগুলোর কথা ভেবে, যারা ভেতরে লাশ আছে জেনেও বস্তাটিকে তীরে টেনে তুলেছে...অবাক হয়েছি দরিদ্র ট্রাক চালক সিদ্দিক হোসেনের মনুষ্যত্ব দেখে... যিনি কী না বস্তার ভেতরের যুবকটির শ্বাসপ্রশ্বাসের আভাস পেয়েই তাকে নিয়ে ছুটে গেছেন মিটফোর্ড হাসপাতালে...এই মানুষটি কিন্তু একবারো চিন্তা করেননি, এ ঘটনার কারণে কী নিদারুণ পুলিশি ঝামেলায় তাকে পড়তে হতে পারে...
আসলে কি জানেন, স্রষ্টার খেল কিন্তু যুবকটিকে জীবিত রাখায় নয়...কারন এই কাজটি তো তিনি আকছারই করে আসছেন...তার আসল খেলটা হচ্ছে আমাদের মতো অসংখ্য অমানুষদের ভিড়ে সিদ্দিক হোসেনদের মতো সত্যিকারের মানুষদের টিকিয়ে রেখেছেন...
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩১
তিক্তভাষী বলেছেন: "স্রষ্টার আসল খেলটা হচ্ছে আমাদের মতো অসংখ্য অমানুষদের ভিড়ে সিদ্দিক হোসেনদের মতো সত্যিকারের মানুষদের টিকিয়ে রেখেছেন..."
চমৎকার বলেছেন! আপনার পর্যবেক্ষণ এবং অনুভুতি মর্মস্পর্শী।
আসলে, এধরনের খুন-খারাবীর খবরে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে এখন আর বিস্তারিত পড়তে আগ্রহ বোধ করি না। এ খবরটির শিরোনাম দেখেছি কেবল। আর পড়লেও যে আপনার মতো করে ভাবতাম তাও মনে হয় না। সুতরাং অসংখ্য অমানুষদের ভিড়ে আমিও রয়েছি।