![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১০ এবং ৫০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড এখন থেকে আর চালু থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার...সংবাদটি পড়েই চোখের সামনে ভেসে উঠলো হাফ পিছ কলা, এক মুঠো চানাচুর, একটা মিষ্টি আর খুব সরু এক পিছ কেক দিয়ে সাজানো একটা প্লেটের ছবি...
আমাদের বয়েসী অথবা আমাদের সিনিয়ররা খুব সহজেই বলে দিতে পারবেন এই মেন্যুটা কীসের প্রতীক...আমাদের সময় মধ্যবিত্তের জন্মদিন অনুষ্ঠান মানেই এই মেন্যু...তখনো পেস্ট্রি শব্দটার সঙ্গে পরিচয় হয়নি...তাই জন্মদিনের কেক মানেই হচ্ছে ক্রিম কেক..যার চারকোনায় ময়দার সঙ্গে রং মিলিয়ে লাল গোলাপ বানানো থাকে...আর আমরা ছোটরা সেই ময়দার তৈরি অতি জঘন্য ( যদিও তখন অমৃত মনে হতো) গোলাপ খাবার জন্য কায়মনে স্রষ্টার কাছে প্রার্থণা করতাম...‘ হে আল্লাহ আমার কেক পিছটায় যেনো এক টুকরো গোলাপ থাকে’...
আর সেইসব জন্মদিনে আমাদের কমন গিফট ছিলো পানির ফ্লাস্ক, টিফিন বক্স, ফাউন্টেন পেন (উইলস কিং, ফেদার), রং পেন্সিল, পেনসিল বক্স, সেবা প্রকাশনীর বই ... উল্লেখ্য এগুলোর কোনটারই মূল্যমান ২০ থেকে ২৫ টাকার বেশি ছিলো না...তবে যারা পুরো পরিবার নিয়ে জন্মদিনের দাওয়াত খেতে যেতেন তারা হাতে করে নিয়ে যেতেন পাতলা সাদা খাম...
খামের উপরে লেখা থাকতো ‘অমুকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা’....আর ভেতরে থাকতো গুটিকেয়েক ১০ টাকার প্রাইজবন্ড....অবশ্য একদম কাছের অবস্থাপন্ন আত্মীয়রা দিতেন ৫০ টাকার দুটি প্রাইজবন্ড...প্রাইজবণ্ডের মতন আরেকটি জিনিস ছিলো...সম্ভবত অগ্রণী ব্যাংকের ‘উপহার চেক’...তবে এটা একদমই জনপ্রিয় ছিলো না...
জন্মদিনের ক্রিম কেক এখন পেস্ট্রি হয়েছে...মধ্যবিত্তের জন্মদিনের অনুষ্ঠানগুলো বাসাবাড়ির গণ্ডি ছেড়ে এখন ফাস্টফুড শপে জায়গা করে নিয়েছে...আর এ কারণেই বোধহয় প্রাইবন্ডেরও বিদায় নেয়ার সময় হয়েছে...
সবে তো ১০ আর ৫০ বিদায় নিলো...খুব বেশিদিন বাকি নেই স্ট্যাটাসের খোরাক হিসেবে ১০০ ও ৫০০-র সিরিয়াল লাগতে...
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫
মনিরুল হাসান বলেছেন: ঘরে বিপদ, টাকা পয়সার অভাব। দেখা যেতো ঘরের মা-বোনেরা আলমারি থেকে শাড়ি বের করে এনে শাড়ির ভাঁজ খুলে প্রাইজ বন্ড বের করে ব্যাংক থেকে ভাঙিয়ে আনতে বলতো।
প্রাইজ বন্ড কী দোষ করলো?