![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কীসের রোমিও জুলিয়েট আর কীসের রাধাকৃষ্ণ...আমার তো মনে হয় পৃথিবীর সেরা প্রেমকাহিনী এটি...কেউ হয়তো নাক সিঁটকাতে পারেন, কেউ বা তুলতে পারেন রূচি আর ধর্মীয় আপত্তি...তবুও আমি বলবো সেরাদের তালিকায় এই প্রেমিককে রাখতেই হবে...
১৯৭২ সালের ২২ অগাস্ট জন ভোজতোভিজ ও তার অপর দুই সঙ্গী স্যালভাতর নাটুরালে এবং ববি ওয়েস্টেনবার্গ শটগান হাতে নিউইয়র্কের চেস ম্যানহাটন ব্যাংকের ব্রুকলিন শাখায় হানা দেন...উদ্দেশ্য ব্যাঙ্ক ডাকাতি...তবে ডাকাতির অর্থ ভোজতোভিজ ব্যয় করবেন তার পুরুষসঙ্গী আর্নেস্ট অ্যারনকে নারীর দেহকাঠামো দেয়ার জন্য...
কারন এই ঘটনার এক বছর আগেই ঘটা করে বিয়ে করেছিলেন তারা...অার বিয়ের পরপরই অ্যারন নারী দেহকাঠামো পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন...এমনকি একসময় সে আত্মহত্যার চেষ্টাও করে...সঙ্গীর একান্ত ইচ্ছে লিঙ্গ পরিবর্তনের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয় টাকা সংগ্রহের জন্যই ভোজতোভিজ ডাকাতির পরিকল্পনা করেন...কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়...ওয়েস্টেনবার্গ ডাকাতি ছেড়ে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান...কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ পুরো ব্যাংক ভবনটি ঘিরে ফেলে।
ভোজতোভিজরা ব্যাংকের আটকর্মীকে জিম্মি করে ভিতরে অবস্থান নেন। ব্যাংকের বিপরীত দিকের একটি বিউটি পার্লারে অবস্থান নিয়ে পুলিশ তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন।আশপাশে প্রায় দুই হাজার উত্তেজিত জনতা ঘটনা দেখার জন্য জড়ো হয়।
পরবর্তী ১৪ ঘন্টা ধরে এ জিম্মি নাটক চলার সময় ভোজতোভিজ দারুণ সব কাজ করেছেন। জিম্মিদের জন্য খাবার দাবি করেছেন। যে লোকটি পিৎজা দিয়ে গেছেন তাকে প্রচুর টাকা বখশিশ দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনা দেখার জন্য যারা জমায়েত হয়েছিল তাদের উদ্দেশেও ক্যাশ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন ভোজতোভিজ।
১৪ ঘন্টা পর তারা বিদেশে চলে যেতে রাজি হলে জিম্মি নাটকের অবসান হয়। এফবিআই’র এক এজেন্ট গাড়ি চালিয়ে তাদের বিমানবন্দরে নিয়ে যান। কিন্তু জেএফকে বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই নাটুরালেকে গুলি করে মেরে ফেলে পুলিশ, আর ভোজতোভিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এই গ্রেপ্তারও টলাতে পারেনি ভোজতোভিজকে তার দৃঢ় সংকল্প থেকে....
বিচারে ভোজতোভিজের ২০ বছরের সাজা হলেও ১৯৭৮ সালেই মুক্তি পান তিনি। তবে তার আগেই তার ঘটনা নিয়ে অনেকগুলো প্রামাণ্যচিত্র তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এসব প্রামাণ্য চিত্র থেকে পাওয়া টাকা অ্যারনকে অস্ত্রোপচারের জন্য দিয়ে দেন তিনি। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লিজ এডেন নামক নারী হয়ে ওঠেন অ্যারন...২০০৬ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ভোজতোভিজ।
ভোজতোভিজ কোন কামী ছিলেন সেটা বিষয় না...তবে কঠিন প্রেমিক ছিলেন এটা নিয়ে কোন বিতর্ক থাকতে পারে না...ভালোবাসাবাসির এই সপ্তাহে ভোজতোভিজের জন্য একটু বেশি ভালোবাসা বরাদ্দ করা হোক...
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৫
শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: হুম
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৮
দিশেহারা আমি বলেছেন: ভোজতোভিজ এর চেয়েও বড় প্রেমিক ছিল হংকং এর শতাব্দির সেরা অভিনেতা leslie cheung যে তার সমকামি প্রেমিকের বিয়ের দিন ২৪ তলা থেকে পরে আত্মহত্যা করেন ২০০৩ সালে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১০
তারিকুল ঐক্য বলেছেন: The movie 'Dog Day Afternoon' is based on this incident.