![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ সকালে অফিসে আসছি...একটু বেশি সকালে ঘুম থেকে উঠেছি তাই হালকা ঝিমুচ্ছি....ঠিক ৠাডিসন হোটেলের একটু আগে ক্যান্টমেন্ট স্টেশনের ঢোকার মুখের কাছটায় ছোট্ট গাড়ির জটলা...ড্রাইভার ব্রেকে পা ছোঁয়াতেই ঝিমুনি ভাবটা কেটে গেলো...বিরক্ত চোখে গাড়ির জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি...
গাড়ি ফুটপাত ঘেঁষে একটু সামনে এগুতেই রাস্তার পাশের একটা মাঝারি সাইজের সাইনবোর্ডের দিকে চোখ পড়তেই ঘুম ঘুম ভাবটাও পুরোপুরি ছুটে গেলো...রাস্তার পাশের সবুজ ঘাসের বেডে ফুটখানেক উঁচু স্টিলের সাইনবোর্ডটা দেখে আমি পুরাই তব্দা...
সাইনবোর্ডে লেখা ‘ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা - ঢাকা (উত্তর) সিটি করপোরেশন’....সাইনবোর্ডের গায়ে আবার দক্ষ শিল্পীর হাতে অাঁকা এক বৃদ্ধা ভিক্ষুক নারীর ছবি অাঁকা...
সারাজীবন দেখে এসেছি ‘গাড়ি আস্তে চালান’, ‘সর্বোচ্চ গতিসীমা ৪৫’- এই টাইপের রোডমার্কার এর বাইরে এ ধরনের কোন রোডমার্কার বা সাইনবোর্ড যে হতে পারে তা আমার কল্পণাতীত...
এই রাস্তা দিয়ে এতোদিন ধরে চলছি এই সরকারি রসিকতা আগে চোখে পড়েনি কেনো বুঝলাম না...আর তার চেয়েওে বড়ো কথা কয়েকটি বিশেষ সময়ে গাড়ির জটলা ছাড়া ঢাকার এই অংশটিকে বিরাণভূমি বললেও বাড়াবাড়ি হবে না...
জনবসতি নেই এমন স্থানকে ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা ঘোষণার মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের কী ধরণের সাফল্যগাথা নিহিত তা মাবুদই ভালো জানেন...আর সাইনবোর্ডটি কাদের উদ্দেশ্য করে সেটাও নিয়েও সন্দেহ আছে...
তবে অামার ছোটবেলায় দেখা সবচেয়ে বড়ো সরকারি জোকসের বিলবোর্ডটা টানানো ছিলো সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে...তাতে লেখা ছিলো...‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আপনার বন্ধু। যে কোন প্রয়োেজনে ডায়াল করুন....’
©somewhere in net ltd.