নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিপন ইমরান

রিপন ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজয় দিবসের বোরিং সকালে...

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আমার বাসার ঠিক উল্টোদিকেই একটা স্কুল...উঁহু ভুল বললাম...আমার বাসার চারপাশে ঘিরেই স্কুল...নানা কিছিমের স্কুল....ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, বাংলা মাধ্যম স্কুল, ইংলিশ ভার্সন স্কুল...তায় আবার স্কুলেও শ্রেণীবৈষম্য আছে...এক কিছিমের স্কুলে শুধু বড়লোকের পোলাপানের পড়ে...আরেক কিছিমের স্কুলে মধ্যবিত্তের পোলাপান পড়ে...আরেক কিছিম আছে ছোটলোক আর মধ্যব্ত্তি পোলাপান মিলঝিল দিয়া পড়ে...যাউকগা স্কুল নিয়া গবেষনা বাদ...যা বলছিলাম তা নিয়া প্যাঁচাল মারি...

সকালে ঘুম ভাঙল বাসার ঠিক সামনের স্কুলের মাইকের আওয়‍াজে...বিজয় দিবসের সকাল স্বাভাবিকভ‍াবেই দেশাত্মবোধক গান বাজতাছে (যদিও গত বছর শ্রীমঙ্গলে বিজয় দিবসের সকালে ঘুম ভাঙছিল মাইকে হানি সিংয়ের ‘ইয়ে পানি পানি’ গান শুইনা। ওইটাও খারাপ লাগে নাই। বিজয়ের সকালতো খুশিতে যার যা মন চাইতাছে তাই বাজাইতেছে।)...আইজকা দুইটা গানের পরই শুরু হইল আলোচনা অনুষ্ঠান...

আমি বাসায় বইসা শুনতাছি...এক মুরুব্বি কিছিমের চাচা মিয়া টাইপ লোক ঝাড়া দেড় ঘন্টা মুক্তিযুদ্ধ ও প্রেক্ষাপট নিয়া বললেন...মোটিই ইনফরমেটিভ বক্তব্য না...এলোমেলোভাবে যা মন চাইলো তাই কইলো...তার ওপর তার বলার ভঙ্গিও খুবই বোরিং...আমি যেই স্কুলটার কথা বলছি তাতে পড়ে নার্সারি থেকে ক্লাস ফাইভের বাচ্চারা...তাইলে বুঝেন অবস্থা...

বিজয় দিবসের সুন্দর শুভ্র সকালটা এই শিশুদের কাছে চরম বিভীষিকাময় বিদঘুটে নিরানন্দময় একটি সকাল হিসেবে ধরা দিয়েছে...আমার গৌরব ইতিহাস, আমার বীরত্বের ইতিহাস, আমার জন্মের ইতিহাস, আমার আত্মত্যাগের ইতিহাস আগামী প্রজন্মর কাছে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে একটা প্যানপ্যানে বোরিং বিষয় হিসেবে...একটা সময় তার কাছে বিষয়টি করল্লার মতো তিতকুটে খাবারের মতো মনে হবে...যা বড়রা আগ্রহ নিয়ে খায় আর ছোটদের জোর করে খাওয়ানো হয়...অথচ বিষয়টাতো এমন হওয়ার কথা না...

বাচ্চাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পৌঁছুতে হবে তাদের আগ্রহের মাধ্যম ধরেই...শুধু এখনকার না সর্বকালের সব শিশুদের কাছেই কার্টুন অত্যন্ত প্রিয় একটি বিষয়...আমাদের সংষ্কৃতি মন্ত্রণালয় আর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে শিশুদের উপযোগী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিছু অ্যানিমেশন শর্টফিল্ম বানানো কী অসম্ভব ব্যাপার??? মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক গেমস বানানো কি তার চেয়েও অসম্ভব??? শুধু আলোচনা সভা আর মতবিনিময় সভা না করে বিজয়ের মাসে বিভিন্ন জেলা অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা কি অত্যন্ত ব্যয়বহুল দুঃসাধ্য ব্যাপার???

আমাদের জাতীয় দিবসগুলোতে বিভিন্ন স্কুলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক শিশুতোষ চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি অ্যানিমেটেড মুভি বা গল্প বলার আসরের আয়োজন করাটা বোধহয় নির্বুিদ্ধিতার পরিচয়...তা না হলে তো অনেক আগেই এ উদ্যোগ নেয়া হতো...

অনেকেই বলতে পারেন ঢাকার বাইরের স্কুলগুলোতে তো এই সুবিধা পাওয়া যাবে না...আমি বলি সেই উপায়ও আছে...এমনসব দিনে স্কুলে আলোচনাসভা চলতেই পারে তবে তার দৈর্ঘ্য ১৫ মিনিটের বেশি হবে না...যা আলোচনায় কেউ মন দেয় না সেই আলোচনার কোন মূল্যও নেই...

আমি শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসে আগ্রহী করার একটা উপায় বললাম...এরকম হাজারটা আইডিয়া আছে আমি বা আমাদের কাছে...আমাদের দেশে তো স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী না বললে কিছুই হয় না তাই আমার বন্ধু তালিকায় প্রধানমন্ত্রী দপ্তর সংশ্লিষ্ট যদি কেউ থেকে থাকেন তাহলে ভাইডি আপনার কাছে অনুরোধ সম্ভব হলে আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আগ্রহী করে তোলার কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একটু অ‍নুরোধ জানান...সময় কিন্তু বেশি নাই...

বি:দ্র: ইহা একটি পোলাপাইন্না টাইপ লম্বা আকামা স্ট্যাটাস।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: ঐটা নিয়া এত প‌্যানপানানী দুনিয়াতে এক আমরাই করি! জয় বাংলা।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার বাসার পাশে বঙ্গবন্ধু পরিষদে মাইকে ভাষণ বাজিয়ে তারা তালা দিয়ে চলে গেছে । ভাষণ শেষে মাইক টি সারা রাত ''কুউউউউউউউউউউউউউউউউ'' করে আশেপাশের কাউকে ঘুমাতে দেয়নি ।

আপনার ভাগ্য ভাল ! আপনি মাইকে তবু কিছু মুক্তি যুদ্ধের আলোচনা শুনেছেন ।
আমি অন্তত ১৫ জায়গায় মাইকে শুধু ''এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম --'' বাজতে শুনেছি ।

৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: শুধু ভাষনেই নয় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশির ভাগ বই বোরিং ।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

আদম_ বলেছেন: আমার আত্মত্যাগের ইতিহাস আগামী প্রজন্মর কাছে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে একটা প্যানপ্যানে বোরিং বিষয় হিসেবে...একটা সময় তার কাছে বিষয়টি করল্লার মতো তিতকুটে খাবারের মতো মনে হবে...যা বড়রা আগ্রহ নিয়ে খায় আর ছোটদের জোর করে খাওয়ানো হয়...অথচ বিষয়টাতো এমন হওয়ার কথা না..

কথা ঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.