![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের দিনটা এক্কেবারে পারফেক্ট...এমন দিনে গল্প উপন্যাসের মাঝবয়েসী নায়কেরা পাহাড়ে ঘুরতে যায়...পাহাড়ী রাস্তায় অনেকদূর হেঁটে ক্লান্ত হয়ে যখনই কোন ঝরণার ধারে একটু বসে ঠিক তখনই নায়িকার দেখা পায়...শীতের দুপুরে লেপ মুড়ি দিয়ে বই হাতে এরকম পাহাড়ী পথে আমি ঢের হেঁটেছি...আর নায়িকাদের দেখাও পেয়েছি অগনিত...
তবে ছোটবেলায় ডিসেম্বরের শেষ দিকটা কখনই সুখকর ছিলো না...ডিসেম্বরের শুরুটা যতোটা আনন্দের শেষটা ততোটাই বিষাদময়...স্কুল খুলে যাচ্ছে...ছুটি শেষ...ভরদুপুরে আবার সেই বিরক্তিকর ক্লাস...আর সারাক্ষন মায়ের ঘ্যান ঘ্যান...পড় পড় পড়...ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গেছে সেই ঘ্যান ঘ্যান...আর বরাবরের মতো রেজাল্ট খারাপ করার উপহার, সেই রাম প্যাঁদানির কথা না হয় নাই বা বললাম...
স্কুলে পড়ার সময় ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে পুরো পরিবার গ্রামের বাড়ি যেতাম বেড়াতে...ফিরতাম এক্কবারে ডিসেম্বরের শেষে...বাড়িতে যাওয়াটা যতোটা আনন্দের ফেরাটা ততোটাই কষ্টর...
তখন পর্যন্ত বেড়াতে যাওয়া মানে গ্রামের বাড়িকেই বুঝতাম...খুব ভোরে বাসে চড়তে হতো...অবাক বিস্ময়ে রাস্তার দুধার দেখতাম...ফাঁকা মাঠ...ফসলের ক্ষেত...ধীরগতির বাসটিকে মনে হতো পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত যান...ঝড়ের গতিতে চলছে মনে হতো...ক্ষেতের পাশের বিদ্যুতের তারে লাইন ধরে ফিঙের ঝাঁক বসে থাকতো...কাঁচপুর পেরোলেই এই চিত্র...
মেঘনা ফেরিঘাটে গেলেই কমলা লেবুর সুবাসে বাসের ভেতরটা মম করতো...
সবাই ডজনে ডজনে কমলা কিনছে বাড়ির জন্য...তখনো অজ্ঞান পার্টি বলে জিনিসটা উদয় হয়নি, মানুষের সৌজন্যতাবোধ ছিলো...কমলা কিনেই ক্ষান্ত হতো না...পাশের সহযাত্রীকেও জোর একটা খাইয়ে ছাড়তো...আর বালতির ঠাণ্ডা পানিতে ভেজানো কোক-পেপসি ব্রিক্রেতাদের বোতল দিয়ে টু টাং শব্দ এখনো কানে বাজে...
আহ্ কেনো বড়ো হয়ে গেলাম...কেনোই বা পাল্টে গেলো সময়...মেঘনা কেনো ব্রিজ হলো...আর বছর বছর ডিসেম্বরটাই বা এতো দ্রুত কেনো চলে যায়...ধরে না আমার মাথায় কিচ্ছু ধরে না...
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২০
আদম_ বলেছেন: মাই গডনেস!!!!
কি ভাবে আমাদের ভাবনা আর ফিলিংসগুলো মিলে যাচ্ছে। পুরো লেখাটার প্রতিটি বর্ণ যেন আমারই প্রতিচ্ছবি। আমিও ঠিক একই ভাবে গ্রামে বেড়াতে যেতাম........কমলা কিনতাম.........আর রেজাল্ট খারাপ করতাম
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
নীল-দর্পণ বলেছেন: ছোটবেলায় ডিসেম্বরের দিকে শীত, ঈদ সব হতো। শবেবরাতের আগেও আমরা চলে যেতাম গ্রামে ফিরতাম ঈদ শেষ করে জানুয়ারির দিকে। আহ কী যে দিন ছিলো!


গতবছর গ্রামে যেতে পারিনি শীতে, এই বছরও হবে না মনে হচ্ছে !
ডজন ডজন কমলা কিনছে....বালতিতে ভেজানো পেপসি...চোখের সামনে ভেসে উঠলো আমারই ছোটবেলার সময়গুলো
লঞ্চ বা ফেরীতে প্লেটের উপর উল্টে রাখা দইয়ের গ্লাস নিয়ে লোকরা ঘুরত। আমিও মজা করে খেতাম তা।
বিশাল কমেন্ট হয়ে গেল। আপনার লেখা পড়তে পড়তে চলে গিয়েছিলাম সেই সময়ে।