![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ সকালে ধানমণ্ডি লেক থেকে সুদীপ্ত দত্ত অর্জুন (১৭) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ...মৃত সুদীপ্ত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহম্মদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল...
হাসপাতালের মর্গে সুদীপ্তর বাবা অসীম কুমার সাংবাদিকদের বলেন, লেখাপড়া নিয়ে সুদীপ্তকে তার মা বকাঝকা করলে রাগ করে সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়..সুদীপ্ত বাড়ি থেকে যখন বের হয়, তখন সে বলেছিল, ‘আমি আর এ বাড়িতে থাকব না’।।
সংবাদ শিরােনামে লিখেছে তাকে কিশোর তবে আন্তর্জাতিক বয়েসের সীমারেখায় সে এখনো শিশু...
কিশোরের চোখ জুড়ে স্বপ্ন...আর কতো কতো পরিকল্পনা...এখানে কোন লোভ নেই শুধু ভালোবাসা...স্বচ্ছ জলের মতো টলটলে পরিষ্কার...কিশোর মানেই মনের ভেতর উথাল-পাথাল আবেগ...ঠোঁট চেপে কান্না...দারুণ অপমানের জ্বালা...তাই অপমানের ধাক্কাটুকুও সামলানো কঠিন...তীব্র দহনে নিজেকেই শেষ করে দেয়ার পরিকল্পনা...
বোঝে না মাথামোটা বাবা-মাগুলো এগুলোর কোনটাই বোঝে না...তারা চেনেন জিপিএ ফাইভ...মেডিকেল বুয়েট...
ধানমন্ডি লেকের সবুজ শ্যাওলা ধরা ঠাণ্ডা জলে ডুবতে থাকা ওই কিশোরের ফুসফুস যখন ফেটে যাচ্ছিল একমুঠো বাতাসের জন্য তখন সেই বালক অস্ফুট স্বরে একবারের জন্যে হলেও বলেছিল মা...মা আমি বাড়ি ফিরে যেতে চাই...
ইস্ মা যদি সুদীপ্তকে একবার জড়িয়ে ধরে বলতো...যাসনে বাবা। তোকে নিয়েই তো স্বপ্ন দেখি আমি...তাহলে হয়তো আজকের শিরোনামটা অন্যভাবে লেখা হতো... জানে না এ কথাগুলো কেউ জানে না...
সুদীপ্ত তুমি তোমার কথা রেখেছো...বাড়ি ফিরে যাওনি...লেকের শান্ত জলে মাছেদের সঙ্গে সাঁতার কেটে কাটবে তোমার সময় এখন...
কিন্তু আমরা কথা রাখতে পারিনি...আমরা তোমাদের বোঝার জন্য এক টুকরো মন তৈরি করতে আজও পারিনি...
বি:দ্র: আত্মহত্যা মোটেই ভাল কাজ নয়। ভীষণ মাত্রার সাহসী বোকা মানুষরাই কাজটা করে। বােকাদের জন্য পৃথিবী কখনোই ভালবাসা দেখায় না। তবুও এই ফ্যাকাশে সময়ের আকাশ সংষ্কৃতির যুগে এক কিশোরের প্রাণ দেয়ার খবর শুনে মন ভিজে গেলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায় না।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪০
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ছেলেটা মানসিক নির্যাতনের স্বীকার।
সন্তানকে মা বাবার সব কিছুতে উৎসাহ দেওয়া দরকার। কিন্তু তা না করে আমরা তাদের আরো প্রেসার দিতে থাকি।