![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগে থেকে কানাঘুষা চলছিল কিন্তু হঠাৎ করেই জানা গেল এবারই শেষ...৯৬ সাল থেকে নতুন নিয়ম....নো টাস্কফোর্স...মানে ৫০০ নৈব্যত্তিক প্রশ্নের যে বাঁধাধরা নিয়ম তা আর থাকছে না...এস.এস.সি পরীক্ষায় এবার থেকে (মানে সেই ১৯৯৬ সালের কথা বলছি) বিষয়ভিত্তিক অবজেকটিভ টাইপ প্রশ্ন, শিক্ষক তার খেয়ালখুশিমতো বইয়ের যে কোন চিপাচাপা থেকে করতে পারবেন...
এখানেই শেষ না...গোদের ওপর বিষফোঁড়া থাকবে না এ কেমনে হয়...এখন থেকে পৃথকভাবে পাশ করতে হবে...অর্থ্যাৎ একটি বিষয়ে পাশ করতে হলে নৈর্ব্যত্তিক এবং লিখিত দুই অংশেই আলাদা করে পাশ মার্ক তুলতে হবে...বোঝ ঠ্যালা...
এ খবর চাউর হওয়া মাত্রই একদল অভিভাবক উঠেপড়ে লেগে গেলেন সন্তানকে ৯৬ সালের আগেই ৯৫ সালে এসএসসি পরীক্ষার টেবিলে বসানোর জন্য...কারন এই শেষ সুযোগ যাচ্ছে সন্তানের এসএসসির ফলাফলে তারা মার্কা (মানে স্টার মার্ক) যোগ করার...
আপনারা যারা জিপিএ যুগের তাদের জন্য বলি আমাদের সময় স্ট্যান্ড, স্টার, ফার্স্ট ডিভিশন, সেকেন্ড ডিভিশন ও থার্ড ডিভিশন নামক এক ধরণের বিচিত্র গ্রেডিং সিস্টেম ছিলো!!!
যা বলছিলাম...ফলে সমসাময়িক অনেকেই ৯৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে দিল...শোনা যায় সেবার গ্রামের দিকের সবগুলো স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিল...আরো শোনা যায় ৯৭-৯৮ সালের অনেকেও নাকি এই সুযোগে
আমাদের মানে ৯৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দুর্ভাগ্যের শুরুটা তখন থেকেই...আজ থেকে ২০ বছর আগে ঠিক এইদিনে এস.এস.সি পরীক্ষার টেবিলে বসতে হয়েছিল আমাদের...গতরাতে আমাদের গ্রুপের এক বন্ধু বিষয়টা মনে করিয়ে দিলো তাই একটু স্মৃতিকাতর হয়ে লিখলাম আরকি...
১৯৯৬ সালে মেট্রিক পাশ করেছে এমন বন্ধুদের নিয়ে গড়া আমাদের ওই ফেবু গ্রুপটার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২ হাজার ৮০০ তবে টাস্কফোর্সের ধারা চালু রাখলে আমাদের সদস্যসংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে যেতো নিশ্চিত...
আমাদের সময় পর্যন্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় করণীয় বিষয়ের প্রচলন ছিল...যে কাজগুলো না করা মানে আপনি কোন পরীক্ষার্থীর পর্যায়েই পড়েন না)...
প্রথমত পরীক্ষার আগের দিন সিট দেখতে যাওয়া...মানে যে কেন্দ্রে সিট পড়েছে সে জায়গাটা একপাঁক ঘুরে আসা... এতে নাকি পরীক্ষার্থীর মনে ভীতি কেটে সাহস সঞ্চার হয় (কচুটা হয়। আমার নিজ অভিজ্ঞতা থেকে)
দ্বিতীয়ত পরীক্ষার দিন সকালে বাসার তো বটেই, আশপাশের সকল মুরব্বি বা মুরব্বিগোছের সকলকে পা ছুঁয়ে সালামের মাধ্যমে দোয়া নেয়া...এইসব দোয়ায় কোন লাভ হয় কী না জানিনা তবে পকেটের কিছু লাভ হতো এই সালাম বাণিজ্যে...অনেক মুরুব্বি দয়াপরবেশ হয়ে ৫০-১০০ টাকা গুঁজে দিতেন...বিনিময়ে অবশ্য শোনা লাগতো কিছু বকর বকর...এই যেমন মাথা ঠাণ্ডা করে পরীক্ষা দিবা...যে প্রশ্নগুলো আগে পার সেগুলোর উত্তর দিবা (ভাবখানা এমন সব পরীক্ষাই অংক পরীক্ষা)...ব্যা ব্যা ব্যা...
আজ থেকে ২০ বছর আগে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিছি...তার মানে কী পরিমান বুইড়া হইছি...ভাবতেই মন খারাপ লাগছে...আর সেই মন খারাপ থেইক্যা মাথা খারাপ...আর সেই মাথা খারাপের ফল হইলো এই মহাস্ট্যাটাস...বয়স হইলে কতো কিছুই না করে মাইনষে...
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নারিকেল-জিন্জিরা বলেছেন: আমি ৯৭ তে ম্যাট্রিক দিয়েছি। পোষ্ট পড়ে খুব মজা পেলাম। বিশেষ করে 'পরীক্ষার আগের দিন সিট দেখতে যাওয়া' আর 'আশপাশের সকল মুরব্বি বা মুরব্বিগোছের সকলকে পা ছুঁয়ে সালামের মাধ্যমে দোয়া নেয়া' এই রেওয়াজগুলা আমাদের সময়েও ছিল। ৯৭ সালে আরেকটা বিচিত্র ঘটনা ছিল সব বোর্ডের এক প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া। ফলাফল ইংরেজি ১ম বা ২য় ঠিক মনে নাই ফাস হল। দেয়া পরীক্ষা আমাদের আবার দিতে হল। কি যে বিরক্ত লেগেছিল। এত বছর পর ম্যাট্রিকের কথা মনে পড়ে গেল। পোষ্টে +++।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২
দিশেহারা আমি বলেছেন: আমিও ৯৬ তে মেট্রিক তে দিয়েছি।

২০ বছর হয়ে গেছে ?