নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ইহা ক্ষুধা উদ্রেক করে!

হঠাৎ ধুমকেতু

আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!

হঠাৎ ধুমকেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিয়েলিটা( অ্যালিটা দ্বিতীয় পর্ব)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

চাকরি মানুষ কে আর্থিক নিরাপত্তা দেয়। কিন্তু মানবিকবোধের চর্চার সুযোগ অনেকখানি নিয়ে নেয়। প্রায় তিনমাস আগে কামালের বাসায় গিয়ে প্রায় অসুস্থ কামালের সাথে অদ্ভুদ একটা রাত কাটিয়েছিলাম। এতদিনে ফোনেও একটা খবর পর্যন্ত নিই নাই।কামালের সাথে কাটানো অদ্ভুদ সেই রাতের গল্প কয়েকজন বন্ধু এবং বড় ভাইয়ের সাথে শেয়ার করেছিলাম।সেই সুবাদে এক বড় ভাই সেদিন আমার কাছে কামালের খবর জানতে চাইলেন। আমি বেশ লজ্জায় পড়ে গেলাম!বড় ভাইকে কেমনে বলি তিনমাস আগে মূমূর্ষূ দেখে আসা ছেলেটার এতদিনে একটা খবর পর্যন্ত নিই নাই!

কামাল মোবাইল ব্যবহার করেনা। কিন্তু যেদিন ওকে দেখতে গিয়েছিলাম সেদিন ওর মায়ের নাম্বার টা আমাকে দিয়েছিল। আমি সেই নাম্বারেই ফোন করলাম। ফোনে আমার পরিচয় পেয়েই ডুকরে কেঁদে উঠলেন কামালের মা। কাঁদতে কাঁদতে বললেন,আমার ছেলেটা খুব অসুস্থ। হাড্ডি চামড়া সব এক হয়ে হসপিটালের বিছানায় মড়ার মত পড়ে আছে। পরশুদিন যখন জ্ঞান ফিরল তখন আপনার নাম উচ্চারন করেছিল। আপনি কি আমার ছেলেটাকে একবার দেখতে আসবেন? ও মেট্রোপলিটন হসপিটালে ৩১৩ নম্বর কেবিনে আছে।

কামালের মায়ের গলায় এমন একটা অসহায়ত্ব, আমার মনটা বিষণ্ণতায় ছেয়ে গেল।পরের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় অফিস থেকে বের হয়ে সোজা মেট্রোপলিটন হসপিটালে চলে গেলাম।৩১৩ নম্বর কেবিনের দরজা নক করতে ভেতর থেকে দরজা খুলল। দরজার হাতলে হাত রেখে যে তরুণী দাঁড়িয়ে আছে তাকে দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম!বিশ একুশ বছর বয়েসি ছোটখাট গড়নের তরুণী’র চেহারা অসম্ভব সুন্দর। কিন্তু সেই চেহারা এত ফ্যাকাশে এবং সেখানে হতাশার ছাপ এত স্পষ্ট যে দেখলে নিজের অজান্তেই বুক চিরে দীর্ঘঃশ্বাস বেরিয়ে আসে। আমি কিছু বলার আগে তরুণী নিজে থেকেই বলল, আপনিই ত খালেদ ভাই,না? ফুফু বেরোবার সময় আপনার আসবার কথা বলে দিয়েছেন।



তরুণী দরজা ছেড়ে সরে দাঁড়াতে আমি ভেতরে ঢুকলাম।ডান পাশের রোগীর বিছানায় চিৎ হয়ে লম্বালম্বি যে শুয়ে আছে তাকে দেখে আমার মনে হল আমি হসপিটালের কেবিনে নয়, মিশরের পিরামিডের মধ্যে ঢুকেছি এবং আমার ডান পাশের বিছানায় শুয়ে থাকা ব্যক্তিটা একটা মমি ছাড়া আর কিছু নয়। ঘন দাড়ি গোঁফের আড়ালে ঢাকা পড়া মুখের চামড়া যতটুকু দেখা যাচ্ছে সেটা পুরাপুরি নির্জীব। চোখের অর্ধেক খোলা অংশটা ঘোলাটে হয়ে আছে।শুকিয়ে এতটুকু হয়ে যাওয়া বুকের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকার পরও সেখানে কোন উঠানামা টের পেলাম না । সেই মুহুর্তে আমার নিজেকেই খুব অসহায় মনে হল। শেষ আশা হিসাবে আমি বিছানার পাশের স্যালাইন স্ট্যান্ড থেকে ঝুলতে থাকা স্যালাইনের দিকে তাকালাম। মৃত দেহে স্যালাইন প্রবাহিত হয়না বলেই জানি। কিন্তু মনে হল অনেক কষ্টে স্যালাইনের একটা ফোঁটা যেন নিচে নামল।সম্ভবত আমার মনের ভাব বুঝতে পেরেই পাশ থেকে তরুণীও বলল, সে মারা গেছে এমন কথা ডাক্তার এখনো বলে নাই!



হাতের বাঁ পাশের ছোট্ট সোফাটার উপর বসলাম। গভীর একটা দীর্ঘশ্বাস আড়াল করার ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে কামালের বিছানার ওপাশে রোগীর এটেন্ডেন্টের ছোট্ট খাটের উপর তরুণী বসল। আমি গভীর দৃষ্টিতে তরুণীর দিকে আরেকবার তাকালাম।

বোঝাই যাচ্ছে কামালের এই মৃৎপ্রায় অবস্থা তরুণীর মন কে হতাশার চরম সীমায় পৌঁছে দিয়েছে ।কামালের মা তরুণীর ফুফু হয়। অর্থাৎ তরুণী কামালের মামাত বোন। কামালের আপন কোন ভাই বোন নেই। এই সুন্দরী তরুণী অসুস্থ অবস্থায় কামালের মায়ের সাথে কামালের পাশে আছে।

আমার মনে হতে লাগল, কামাল কে বাঁচানোর যে প্রক্রিয়ার কথা আমি ভাবছি সেই প্রক্রিয়ায় এই তরুণী গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু তার আগে তরুণীর সাথে কামালের ‘সম্পর্ক’ সম্পর্কে আমার পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া দরকার!

সরাসরি প্রশ্নের একটা সাঙ্ঘাতিক ইমপ্যাক্ট আছে। সেই ইমপ্যাক্ট হয় প্রশ্নের সঠিক জবাব টা মুহুর্তেই বের করে আনে। অথবা জবাব পাবার সম্ভাবনাকে চিরতরে ধামাচাপা দিয়ে দেয়। আমি ঝুঁকি নিলাম। তরুণী’র চোখে চোখ রেখে সরাসরি জিজ্ঞেস করলাম,

তুমি কি কামাল কে ভালবাস?



তরুণী কেঁপে উঠল। তার অসম্ভব ফ্যাকাসে চেহারায় মুহুর্তের জন্য একটা অপার্থিব আলো ফুটে উঠে সেটা মুহুর্তেই মিলিয়ে গেল। আমার প্রশ্নের জবাব আমি পেয়ে গেলাম! কাজেই আমি বেশ সহজ ভাবে তরুনী’কে বললাম,

তোমার ভালোবাসা যে একশভাগ খাঁটি এই ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নাই। কামাল কে বাঁচানোর ব্যাপারে আমি তোমাকে সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু তার আগে কামালের ব্যাপারে আমার অবজারভেশন টা আমি তোমাকে পরিষ্কার জানাতে চাই।



তরুণী বেশ সপ্রতিভ ভাবে বলল, জানান। আমি খেয়াল করলাম ‘কামাল কে বাঁচানো’ এই কথাটা তরুনী’কে এক নিমেষে যেন উজ্জ্বল করে তুলেছে। নিভে যেতে থাকা আশার দীপটা যেন হঠাৎ করেই আবার জ্বলে উঠেছে!



আমি বললাম, কামাল একজন সৃষ্টিশীল মানুষ এবং সৃষ্টিশীল মানুষরা সবচেয়ে বেশি ভালবাসে তার নিজের সৃষ্টিকে। একজন কবি একটা কবিতা লিখে নিজেই মুগ্ধ হয়ে বারবার পড়েন। পৃথিবীর আর সব সত্যের চেয়ে নিজের লেখা কবিতাটাকে তার কাছে অনেক বেশি সত্য মনে হয়। কামাল সেখানে আস্ত একটা জগত ই নির্মান করে বসে আছে!প্রচণ্ড মমতা নিয়ে সে বারবার সেই জগতেই বিচরণ করেছে। তার প্রায় সব ইন্দ্রিয় দিয়ে সেই জগতটাকেই সে অনুভব করেছে দিনের পর দিন। তার বাস্তব জগত টা আস্তে আস্তে তার কাছে ফিকে হতে শুরু করেছে। এই বাস্তব জগতের নিয়মগুলোকে সে অস্বীকার করা শুরু করেছে। সেটাই তাকে মৃত্যুর এত কাছাকাছি নিয়ে এসেছে!



খালেদ ভাই, সে ত কিছুই খাচ্ছে না আজ অনেক দিন। শরীর স্যালাইনও আর নিতে পারছে না বলে মনে হচ্ছে। ডাক্তার বলেছে, রুগী অচেতন থাকলেও অনেক সময় তার খুব ভেতরের একটা বাঁচার ইচ্ছা অনেক সময় তাকে জীবনের দিকে ফিরিয়ে আনে। তার ক্ষেত্রে নাকি সেরকম কিছুও কাজ করছেনা। সবচেয়ে কঠিন কথা ডাক্তার যেটা বলেছে সেটাই আমার সব আশা কে পুরোপুরি চুরমার করে দিয়েছে!



কি বলেছে ডাক্তার?



ডাক্তার বলেছে, অচেতন রুগী যখন মৃত্যুর দিকে যেতে থাকে তখন 'তার দেহ তন্ত্রগুলোর একে একে অকার্যকর হয়ে যাওয়াটা' তার মস্তিষ্কে একটা কষ্টের অনুরণন তুলে। সেটার ছাপ মুখে না পড়লেও সেটা যন্ত্র দিয়ে পরিমাপ করার উপায় আছে। কামালের দেহ তন্ত্র গুলো ক্রমশ অকার্যকর হয়ে পড়ছে। কিন্তু তার মস্তিষ্কে কষ্টের কোন অনুরণন নাই! যেন মস্তিষ্ক এই মৃত্যুকে মেনে নিয়েছে!



বলতে বলতে তরুণী ফুঁপিয়ে উঠল। বুঝতে পারলাম প্রবল আত্নসন্মানবোধ সম্পন্ন তরুণী এতক্ষণ যে মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে নিজেকে সংযত করে রেখেছিল সেটাতে ফাটল ধরেছে। আমার বুকটা হা হা করে উঠল। সেই মুহুর্তে অ্যালিটা’র প্রতি একটা অত্যন্ত ছেলেমানুষি রাগ আমার সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়ল! আমি তরুনী’কে বললাম,

তুমি আমার কথা শোন। আমি কামাল কে যেকোন মূল্যে অ্যালিটার হাত থেকে বাঁচাবই!



খালেদ ভাই, যখন কোন মানুষের মস্তিষ্ক মৃত্যুকে একসেপ্ট করে নেয় তখন কি আর তাকে বাঁচানো যায়? বলতে বলতে তরুণী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল।

কান্নারত তরুনী’র দিকে আমি তাকাতে পারছি না। ‘নিজের আবেগকে কিছুতেই অন্যের সামনে প্রকাশ করতে চায় না এরকম মানুষে’র সত্য আবেগের সামনে দাঁড়ানো খুব কঠিন।



কিন্তু তরুণী নিজেকে সামলে নিল। আঁচল দিয়ে চোখ মুছে বলল, খালেদ ভাই ফুফু চলে আসার সময় হয়েছে। আপনার সাথে কামাল ভাইয়ের চেহারার অনেক মিল! ফুফু মনে হয় আপনাকে দেখলে আবেগ সামলাতে পারবেনা। ফুফু এমনিতেই শকের উপর আছে। আপনাকে দেখে আরেকটা ইমোশনাল স্ট্রোক হোক, আমি চাইনা।



আমি বললাম, ঠিক আছে। আমি চলে যাচ্ছি। কিন্তু তোমার সাথে আমার কাজ আছে। সেই কাজ শুরু করার আগে তোমার কাছে দুটো জিনিষ চাইব। নাম্বার ওয়ান, তোমার কাছে কামালের ভালোবাসার কোন স্মারক চিহ্ন থাকলে আমাকে দেবে। নাম্বার টু , তোমার নাম!



কথা বলতে বলতে আমি উঠে দাঁড়িয়েছি। তরুণীও উঠে দাড়াতে দাড়াতে আমার দিকে তাকিয়ে মুখ নিচু করল। নিষ্পাপ লজ্জার ও প্রাণ আছে। সে প্রান পৃথিবী’র সমস্ত নিষ্ঠুরতা কে অনেক সময় লজ্জা দেয়!



গণ্ডদেশে ফুটে উঠা সেই নিষ্পাপ লজ্জা ঢাকার প্রাণপণ চেষ্টা করতে করতে তরুণী ড্রয়ার হাতড়ে বের করল একটা ছোট পেন ড্রাইভ। আমার হাতে দিতে দিতে বলল,

কামালের লিখা এবং এবং আবৃত্তি করা কবিতা। তিনবছর আগে আমার জন্মদিনে উপহার দিয়েছিল।



আর তোমার নাম? তোমার নাম ত বললেন না?



কল্পনায় যে আছে তার নাম অ্যালিটা। আমি রিয়েল ওয়ার্ল্ডে আছি। আমার নাম ধরে নেন রিয়েলিটা!!



এত হতাশার সাথে তরুণী কথা গুলো উচ্চারণ করল আমার মনে হল অ্যালিটা কামালের জগতে যতটুকু সত্য, কামাল কে পাগলের মত ভালবাসা এই তরুনী’র জগতে তার চেয়ে কিছু কম সত্য নয়!



বাইরে হিল পরা পায়ের ছোট ছোট আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। খুব অদ্ভুদ মুহুর্তের মুখোমুখি হলে মানুষের ইন্দ্রিয় পরিষ্কার হয়ে যায়। আমি না দেখেও পরিষ্কার বুঝতে পারছি কামালের মা আসছে। আমার খুব ইচ্ছে ছিল বের হবার আগে আরেকবার কামালের পাশে যাব। শিশুর মত সরল অন্তরের ছেলেটার নিষ্পাপ চেহারাটা আরেকবার একটু দেখব। কিন্তু এই মুহুর্তে আমার বেরিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই।



কামালের মা কে খামাকাই একটা ইমোশনাল স্ট্রোক দেবার কোন মানে হয় না। আমি অদ্ভুদ বিষণ্ণ একটা দৃশ্যকে চোখের সামনে ঝুলিয়ে রেখে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ভাবে কেবিন থেকে বেরিয়ে আসলাম। তারপর একহাতে মুখ ঢেকে মুখে শিষ বাজাতে বাজাতে সিঁড়ির উল্টো দিকে হাঁটা ধরলাম।



(প্রিয় পাঠক, কামালের কবিতাটা শুনে আমি পুরোপুরি’ই বিভ্রান্ত হয়েছি। আমার মনে হয়েছে এই কবিতার সত্য কে ধারণ করা আমার ক্ষমতার বাইরে। নিজে হজম করতে পারিনি বলে কবিতাটা এখানে দিয়ে দিলাম)



‘’পৃথিবীটা বেশির ভাগ সময় ই কাল,

দুর্যোগের কাল মেঘ আকাশ পেয়ালা’কে সব সময়ই ঢেকে রাখে কানায় কানায়।



মানুষের হাতে সবসময় রক্তমাখা তলোয়ার!

ফুল ফোটানোর জন্য সারাজীবন যুদ্ধ করে ফুল ফোটানোর আগেই মরে যাওয়া-

এই হল মানুষের নিয়তি;

প্রকৃতির দেয়া এই সমীকরণ আমরা পাল্টাতে পারি না কিছুতেই।



তবুও আমার নিঃসঙ্গ একাকী জানালায়

দুপুরের মিথ্যে রোদ যখন ঝলমল করে,

মিথ্যে দুটো চড়ুইপাখি যখন জানালার শিকে বসে একটা আরেকটাকে দেয় অভিমানের ঠোকর,

আমার মনে হয়

তোমাকে নিয়ে মেঘের ওপারের কোন দেশে চলে যাই!



তোমার জন্য আমার এ মিথ্যে ভালোবাসাকে

পৃথিবী’র সমস্ত নির্মম সত্যের চেয়েও বেশি সত্য ভাবতে আমার ভাল লাগে!’’

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০১

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: পরে কি হল? কামাল কি সম্পূর্ন সুস্থ হতে পেরেছিল? আর আপনি আরো আগে কেন এ ট্রিটমেন্টটা করলেন না?

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৮

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: আরো আগে ট্রিটমেন্ট টা করলেও খুব একটা কাজ হত বলে মনে হয়না। কারন আমার এবং রিয়েলিটার মিলিত চেষ্টাগুলো একে একে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা দুজন ই হতাশ। কামাল কে শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারব বলে মনে হচ্ছে না। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনারা সবাই কামালের জন্য দোয়া করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.