![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!
আমরা যে খাবার খাই সেটাকে দেহ কোষের অভ্যন্তরে দহন করে শক্তিতে রূপান্তরিত করে অক্সিজেন এবং বৃক্ষ থেকে আমরা অক্সিজেন পাই। মানুষ কে যদি গাড়ির সাথে তুলনা করা হয় তাইলে মানুষের জন্য বৃক্ষেরা ‘চব্বিশ ঘন্টা খোলা দাতব্য সিএন জি স্টেশন’ এর মত। অথচ এই বৃক্ষের সাথে আমরা কি দুর্ব্যবহার ই না করি!
অকাতরে খুন ত করি ই। এমনকি তাকে আমরা নূন্যতম সন্মান ও দিই না। আমাদের প্রযুক্তিক আগ্রাসনের পথে বাঁধা মনে হলে তার ডালপালা আমরা ইচ্ছেমত কেটেকুটে ফেলি। তাকে ধুলি ধুসরিত করে পারলে তার পত্ররন্ধ্র ইত্যাদি বন্ধই করে দেই! তাকে তিল তিল করে মরার অসন্মান জনক মৃত্যুদণ্ড দিতে আমাদের বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোধ হয়না। আমরা ধরেই নিয়েছি বৃক্ষ নিরীহ প্রাণ! মুখ বুজে সব সহ্য করে নেবে।
বৃক্ষ না হয় মুখ বুজে সহ্য করল। প্রকৃতি কি সহ্য করবে? সঠিক জবাব হচ্ছে, এই সহ্য করার সিস্টেম টা প্রকৃতির মূল ডিজাইনেই নাই। আমরা অনেক সময় যেটাকে প্রকৃতি সহ্য করে নিল বলে মনে করি সেটা হচ্ছে প্রকৃতি’র টলারেন্স লিমিট এবং আমরা মুটামুটি ধরেই নিয়েছি প্রকৃতির মুল ডিজাইনের টলারেন্স লিমিট অসীম! কিন্তু বাস্তবতা কি সেকথা বলছে?
কালকে একটা ডাব খেতে গিয়ে মনে হল কেউ যেন ডাবের ভেতর কুসুম গরম পানি ভরে রেখেছিল! তরমুজ যেটা কিনি সেটাই পানসা! আমি ডাব অথবা তরমুজ বিশেষজ্ঞ নই। কিন্তু অনুমান করতে পারি এগুলো প্রকৃতির প্রতিশোধের নমুনা। এবং এই প্রতিশোধ নেবার ব্যাপার টা প্রকৃতির প্রোগ্রাম অনুযায়ী ই ঘটছে।
কি ভাবে ঘটছে?
ধরা যাক একটা ডাব। প্রকৃতি’র প্রোগ্রাম অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে।জিনেটিক প্রোগ্রাম অনুযায়ী চারপাশ থেকে নির্দিষ্ট পরিমান উপাদান সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, চাপ এবং উচ্চতায় ডাবের পানি, শাঁস, শক্ত খোল, খোসা ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে। প্রোগ্রাম তাদের মধ্যে এমন আনুপাতিক সমন্বয় করে দিচ্ছে যাতে ভেতরকার পানির একটা গ্রহন যোগ্য স্বাদ তৈরি হয় এবং পানির তাপমাত্রা যাতে একটা নির্দিষ্ট ফারেনহাইটের উপরে না উঠে। অর্থাৎ প্রকৃতির প্রোগ্রাম কিরকম একটা ডাব তৈরি করবে সেটা তার চারপাশের পরিবেশের উপর ও নির্ভর করছে। তার মানে হল, চারপাশের পরিবেশ কে যদি আমরা ক্রমাগত বিপর্যস্ত করতে থাকি তাইলে প্রকৃতি একটা সুস্বাদু, সুশীতল ডাব তৈরি করতে পারবে না।
এখন ডাবের জায়গায় একে একে, কলা, বেগুন, ইলিশ মাছ, ধান, মরিচ, টমেটো ইত্যাদি ইত্যাদি সবকিছু কেই কল্পনা করতে পারেন। ফলাফল একই!
এখন আসেন স্বাদ বিস্বাদের ব্যাপার টাতে। জ্বর আসলে অতি সুস্বাদু খাবারও বিস্বাদ লাগে। কারন কি? কারন হচ্ছে স্বাদ জিনিষ টা হচ্ছে মস্তিষ্কে একধরনের অনুরণন। আপনি এবং খাবার দুটাই ঠিক থাকলে এই অনুরণন সম্ভব। জ্বর আসলে আপনি যেহেতু বেঠিক সেহেতু খাবার ঠিক থাকলেও অনুরণন ঘটবে না অর্থাৎ আপনি খাবারের স্বাদ পাবেন না।
তাইলে আপনি সুস্থ থেকেও যখন একটা খাবারের স্বাদ পাবেন না তখন ধরে নিতে হবে খাবার টাই বেঠিক! তাইলে এখনো পর্যন্ত একটা সাধারন সুস্থতা যদি অনুমান করে নিলেও বলতে হবে আমরা এই সুস্থ শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য অসুস্থ খাবার প্রতি মুহুর্তে খেয়ে যাচ্ছি।
এর পরিণাম?
ধরুন আপনি রবীন্দ্র সঙ্গীত পছন্দ করেন। ভাগ্যের ফেরে আপনি এমন একটা জগতে আটকা পড়লেন যেখানে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধ। সেখানে গান মানে ‘সুর তাল মাত্রা হীন এক অসুরীয় চেঁচামেচি’। আপনি গ্রহন না করলেও আপনার জেনারেশন কিন্তু ওটাই গ্রহন করবে! আরো এক জেনারেশন পরে কেউ ‘তারকা অসুর’ও হয়ে যেতে পারে। তার মানে, প্রকৃতি অসুস্থ পরিবেশে তার সন্তান কে টিকিয়ে রাখার জন্য তার রুচি টাকেও খানিকটা অসুস্থ করে দেবে! অর্থাৎ অসুস্থ পরিবেশে টিকে থাকবে কিছু অসুস্থ মানুষ!
কিন্তু সেই টিকে থাকার পরিনতি কি?
সেটা ব্যাখা করার জন্য একটা থট এক্সপেরিমেন্ট করা যাক।
ধরেন এক শিল্পী মঞ্চে গান গাইতে উঠছে। সে সুর,তাল, লয় কিছুই বুঝেনা। মঞ্চে বাজনদার যারা আছে তাদের অবস্থাও তথৈবচ! তারাও উল্টা পাল্টা বাজায়!
শিল্পী মঞ্চে উঠেই ঘোষনা দিলেন, আমি ত উল্টা পাল্টা গাইব। কিন্তু তাতে অসুবিধা কি! আপনারাও উল্টা পাল্টা বাজাবেন। উল্টা পাল্টা উল্টা পাল্টায় চমৎকার মিল হয়ে যাবে!
এই ব্যান্ড শোর পরিনতি এবং ভবিষ্যৎ পৃথিবীর পরিনতি’র মধ্যে কোন পার্থক্য দেখিনা।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২২
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ আজমান আন্দালিব আপনাকে।
২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ভাল বলেছেন!
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৩০
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ঠিক।