নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ইহা ক্ষুধা উদ্রেক করে!

হঠাৎ ধুমকেতু

আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!

হঠাৎ ধুমকেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

উজান গাং

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩২

প্রিয় স্যার,

শুভ অপরাহ্ণ। জন্ম সূত্রে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। সম্প্রতি সেকেন্ডারি স্কুল শেষ করেছি। আমার রেজাল্ট যে কতটা ভাল সেটা আপনি আমার সংযুক্ত জীবন বৃত্তান্ত দেখলেই বুঝতে পারবেন। ছোট বেলা থেকেই আমার আগ্রহ প্রকৃতির মৌলিক নিয়ম গুলো নিয়ে। কারন আমি মনে করি প্রকৃতির মৌলিক নিয়মগুলো সঠিক ভাবে উপলব্ধি করার উপরেই মানবজাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। কাজেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি পদার্থ বিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করব এবং আমি জেনেছি এই বিষয়ে পড়ার জন্য এখন বিশ্বের শ্রেষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় হল আপনাদের বিশ্ব বিদ্যালয়। আপনাদের দেশে পড়াশোনার প্রস্তুতি হিসেবে আমি এখানকারই একটা বিদেশি ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে বেশ ভাল বাংলা শিখে ফেলেছি এবং তার প্রমান হিসেবে এই ‘তড়িৎ চিঠি’ টা আপনাকে বাংলাতেই লিখছি। আমার ধারনা আমার জীবন বৃত্তান্ত দেখার পর আপনি আমাকে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শ্রেণীতে ভর্তি হবার জন্য আমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়ে দেবেন।



সন্মান সহ,

এডোয়ার্ড ক্যামলিন।

২০৪, অংসাট স্ট্রিট,

নর্থ ক্যারোলিনা। ইউ এস এ।



ডঃ সাইদ সালেহ এই ইমেইল টাও মনোযোগ দিয়ে পড়লেন।পৃথিবীর নানা দেশ থেকে এরকম অজস্র ই মেইল তিনি প্রতিদিন পাচ্ছেন। প্রেরকদের বেশির ভাগই সেকেন্ডারি স্কুল শেষ করা ছাত্রছাত্রী। বিভিন্ন সাবজেক্টে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য তারা বাংলাদেশে আসতে চায়। কিন্তু চাইলেই ত হবে না। বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য আসন সংখ্যা সীমিত। কাগজপত্র দেখে যাদের কে সবচেয়ে যোগ্য মনে হয় তাদের কেই শুধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। যাদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো সম্ভব হয়না তাদের প্রত্যেকের ইমেইলের জবাব ডঃ সাইদ সালেহ নিজের হাতে দেন। সেই ইমেইলের বক্তব্য মুটামুটি নিম্নরূপ হয়-



প্রিয় ক,

তুমি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্রহ দেখিয়েছ এতে সন্মানিত বোধ করছি। আজ থেকে চল্লিশ বছর আগেও বহির্বিশ্বের সেরা ছাত্রছাত্রীদের কেউ উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে এটা অকল্পনীয় ব্যাপার ছিল। বাংলাদেশের সত্যিকারের দেশপ্রেমিক এবং দূরদর্শী কিছু মানুষের একনিষ্ট সাধনার ফলে আজকে সেটা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না চেয়ে তুমি যে আমাদের এখানে পড়তে চেয়েছ সেটা বাংলাদেশের সেই সব মানুষের কাজের প্রতি একধরনের সময় নির্ধারিত স্বীকৃতি এবং এই স্বীকৃতি দেবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তোমার কাছে কৃতজ্ঞ। তোমাকে যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দিতে পারছি না সেটা আমাদের সীমাবদ্ধতা, তোমার নয় এবং আমরা জানি তুমি বিশ্বের যেখানেই পড়াশোনা করবে সেখানেই সফল হবে। যদি কখনো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সময় সুযোগ করে বেড়াতে আস তাইলে আমরা অত্যন্ত খুশি হব এবং সম্পুর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নূন্যতম সাত দিন থেকে তোমাকে এখানকার বিভিন্ন প্রকল্প দেখার এবং সভা সেমিনারে যোগ দেবার সুযোগ করে দেব।



সন্মান সহ,

সাইদ সালেহ।

উপাচার্য্য,

বাংলাদেশ বিকশিত বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ।



উনষাট বছর বয়েসী ডঃ সাইদ সালেহ এর আজ থেকে চল্লিশ বছর আগের কথা মনে পড়ে গেল। সময় টা তখন ২০১৪ সাল।পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাইদ। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা তখন চরম নাজুক। সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থা ‘কিছু দূর্নিতিবাজ লোকের ধুর্তামি এবং অগুনতি মূর্খ অভিভাবকের প্রবৃত্তিগত আনন্দের’ কাছে অসহায় এবং এর ফল হিসেবে পাবলিক পরীক্ষার ফাঁস প্রশ্নপত্র কেনার জন্য প্রশ্নপত্রের দোকানে মূর্খ অভিভাবক দের লাইন!



সাইদ তার সহজাত অনুভূতি দিয়ে বুঝতে পারল দেশের কি সর্বনাশ টা হতে যাচ্ছে। শিক্ষা জাতি’র মেরুদণ্ড। শিক্ষা ব্যবস্থা ধবংস হওয়া মানে দেশ ও জাতি ধবংস হয়ে যাওয়া। অতি বুদ্ধিমান যারা সবকিছু এড়িয়ে বিদেশ চলে যাবে তারা বংশ পরস্পরায় ক্রমশ বিদেশি তে পরিণত হবে এবং দেশ ধবংস করার জন্য সে নিজে ছাড়া বাকী দের কে বংশ পরস্পরায় ইংরেজিতে গালাগালি করবে!



কিন্তু এতটুকু মানুষ সাইদ কি করবে? টিউশনির টাকায় হলের ক্যান্টিনে চা খেতে খেতে আটচল্লিশ কেজি ওজনের সাইদ নিজেই নিজের সাথে যুদ্ধ করে। সাইদের অবচেতন মন যেন একদিন সাইদের কানে কানে বলে দেয়-সাইদ তুমি ত খুব গুছিয়ে চিন্তা করতে পার এবং গুছিয়ে লিখতে পার। তুমি বলতে গেলে একেবারে এদেশের কাদামাটি গায়ে মেখে বড় হয়েছ। তুমি তোমার ভাবনাগুলো অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় করা শুরু করতে পার। তুমি যে লড়াই লড়তে চাচ্ছ তার জন্য শক্তি দরকার। তুমি লিখতে শুরু কর সাইদ।



তখন লেখালেখির সবচেয়ে সহজ উপায় ফেসবুক। সাইদ রাত জেগে পড়াশোনা করে। চিন্তা করে। চিন্তাগুলোকে দেশের প্রেক্ষাপটে মিলায়। তারপর খুব গুছিয়ে ফেসবুকে লিখে। কিন্তু কেউ পড়ে না! সারারাত জেগে বিশাল যে রচনা টা লিখল পরদিন সন্ধ্যায় দেখা যায় শুধু ‘শরিফুদ্দিন লাইক দিস’। শরিফুদ্দিনের খুব মায়ার শরীর। সে সবার লেখায় অকাতরে লাইক দেয়!



সাইদের রুম মেট জুনায়েদ সাইদের করুন মুখের দিকে তাকিয়ে একদিন বলে- দোস্ত ফেসবুকের পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাইলে তোকে আগে পপুলার হইতে হবে। দশ ঘণ্টা বইসা প্রবন্ধ লেইখা তুই দুইটা লাইক পাস না। আর আমার অবস্থা দেখ! বলতে বলতে জুনায়েদ সাইদের চোখের সামনেই ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিল- ‘আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই একটা পাদ দিলাম! আমি সাধারণত নাস্তা করার পর ক্যান্টিনে বসে আরাম করে সবাইকে শুনিয়ে পাদ দেই। আজকে ব্যতিক্রম হল-:) ফিলিং ফার্টফুল!’



দশ মিনিটের মধ্যে সাইদের চোখ কপালে উঠার অবস্থা! দেখতে না দেখতে পঞ্চাশ টা লাইক, সতের টা কমেন্ট! তার পাশে দাঁড়িয়ে বিজয়ীর ভঙ্গিতে হাসছে জুনায়েদ।



সেদিন ই সাইদ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ফেসবুকের তথাকথিত জনপ্রিয়তার কোন অর্থ নাই এবং ফেসবুক সেলিব্রেটি জুনায়েদের স্ট্যাটাসে যারা হরদম লাইক কমেন্ট দিচ্ছে তারা দিনের শেষে জুনায়েদ কে মূল্যবান কিছু ভাবছে না। ‘পাদ মহাজন’ ই ভাবছে!



সাইদ লাইকের কথা ভুলে গিয়ে নিজের মনে লিখে যেতে লাগল। লিখতে লিখতে সাইদ একটা আশ্চর্য জিনিষ আবিষ্কার করল- লিখতে লিখতেই যেন অনেক বিষয়ে তার ধারনা আগের চেয়ে অনেক পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে!



দেখতে দেখতে দেড় বছর পার হয়ে গেল। ফেস বুক ছাড়াও সাইদ বিভিন্ন ব্লগেও লিখা শুরু করল। ফেসবুকে লিখলে এখন সাইদ আট দশ টা লাইক পায় ই পায়।তবে ব্লগের মডারেটর রা সাইদের লেখা কে কখনো নির্বাচিত পোস্টের তালিকায় উঠায় না। সাইদের বন্ধুরা সাইদ কে ‘ভিষিষ্ঠ ভ্লগাড়’ বলে খেপায়। সাইদ কিছুই বলেনা। টিউশনি করে এসে রাতের ভাত খাবার পর গণ্ডারের চামড়া পরে আবার লিখতে বসে!



একদিন একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটে। দেশের খুব বিশিষ্ট একজন ব্যক্তির কাছ থেকে সাইদ ইনবক্সে একটা মেসেজ পায় যা সংক্ষেপে এই রকম- আমি তোমার সব লেখা পড়েছি। যদিও কখনো কোন লেখায় লাইক কমেন্ট দিই নি। আমার মনে হয়েছে তোমার লেখাগুলো ফেস বুকের সীমিত গণ্ডিতে আটকে থাকা ঠিক না। তুমি যদি চাও তাইলে আমি তোমার পরবর্তী লেখাগুলো অমুক পত্রিকায় ছাপানোর ব্যবস্থা করতে পারি!-তোমাকে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা।



সেদিন রাতের বেলা শুয়ে শুয়ে অদ্ভুদ একটা স্বপ্ন দেখল সাইদ। সে বাংলাদেশের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য। এবং সে বিশ্ববিদ্যালয় হল সারা বিশ্বের সেরা ছাত্রছাত্রী দের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রথম পছন্দ!



ঘুম ভেঙ্গে সাইদ পরিষ্কার বুঝতে পারল- এটা স্বপ্ন নয়। এটা তার অবচেতন মনের নিখুঁত ক্যালকুলেশন করা বাস্তব এবং এই বাস্তবতা এবং তার মধ্যে শুধু সময়ের একটা পার্থক্য ছাড়া আর কোন পার্থক্য নাই।



পত্রিকায় সাইদের লেখা ছাপা হবার পর সেই বিশিষ্ট ব্যক্তি সহ আরো দূ’একজন তাদের লিখা কলামে সাইদের নাম উল্লেখ করলেন। দেখতে দেখতে সাইদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল। সাইদ বুকে বল পেল। কিন্তু তখন আবার অন্য বিপদ দেখা দিল!



সাইদ একবার পত্রিকায় একটা বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ লিখল। ধর্মান্ধ রা কেমনে কেমনে আবিষ্কার করল সেখানে ধর্ম কে অপমান করা হয়েছে। সাথে সাথে ওরা সাইদ কে নাস্তিক ঘোষণা করল এবং ওর কল্লা কাটার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল।এসব দেখে শুনে দেশের সিংহ ভাগ লোক চুপচাপ থাকল।



আরেকবার সাইদ তৎকালীন সরকারের কিছু শিক্ষানীতির সমালোচনা করল। সাথে সাথে উগ্র প্রতিক্রিয়াশীল রা সাইদ কে রাজাকার খেতাব দিয়ে দিল এবং সাইদের ফাঁসি দাবি করল। এসব দেখে শুনে দেশের সিংহ ভাগ লোক যথারীতি চুপচাপ থাকল!



সাইদ বুঝতে পারলে পৃথিবীতে অসম্পুর্ন বুদ্ধিমত্তার মানুষজন সব সময় থাকবে এবং এদের কথায় বিচলিত হলে বা এদের প্রতিক্রিয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সময় নষ্ট করলে দেশ এবং পৃথিবীর জন্য কিছু করা সম্ভব না।

সাইদ স্থির মস্তিষ্কে তার কাজ চালিয়ে যেতে লাগল।



পুরা প্রজেক্ট টা সফল করার জন্য সাইদ ‘আনন্দিয়-কল্পনীয়-অনুভবীয় পদ্ধতি’ নামে একটা শিক্ষা পদ্ধতি র সাথে সারা দেশের মানুষ কে পরিচিত করে তুলে এবং বুঝাতে সক্ষম হয় যে এর সুফল সারা দেশের সমস্ত শিক্ষার্থী একযোগে না পেলে এতে করে দেশের কোন লাভ হবে না। কারন সমাজের উঁচু অবস্থানের সীমিত সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী এই সুযোগ পেলে এতে করে বড় জোর সেই সীমিত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী এবং কিছু কোচিং সেন্টার লাভবান হবে। দেশের কোন লাভ হবে না।



সময়ের সাথে সাইদ সমমনা এবং সমসাহসী কিছু বন্ধু কে সাথে পায় এবং দেশের আনাচে কানাচে র বিদ্যালয় গুলোতে কিছু অদ্ভুদ দৃশ্য দেখা যায়। কে কবে শুনেছে যে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের ভাঙ্গা বেড়ার বিদ্যালয়ের বার তের বছর বয়েসী ছেলেমেয়েরা সুচালো কাঠির ডগায় রশি বেঁধে সেই রশির আরেক মাথা গর্তে পুঁতা খুঁটিতে বেঁধে মাঠের মধ্যে বৃত্ত এঁকে পাই এর মান বের করার চেষ্টা করছে আর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের তুমুল উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে তরুণ মাস্টার মশাই, সংসার চালানোর জন্য যাকে কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিতে হয় না!!



লক্ষ্যগাড়ির কাঠামো ঠিক ঠাক থাকলে এবং সেটা একবার চলতে শুরু করলে সেটাকে বুঝি থামানোই কঠিন এবং একটা সময়ের অসম্ভব স্বপ্ন বাস্তব হবার পরে পেছন ফিরে তাকালে তখন আগের সময়ের ‘বাস্তব’ চিন্তা গুলোকেই উল্টা উদ্ভট মনে হয়!





‘স্যার, আপনার সাথে একজন লোক দেখা করতে এসেছেন’- রিসেপশনিষ্ট মেয়েটা ডঃ সাইদের হাতে একটা ভিসিটিং কার্ড ধরিয়ে দিল। কার্ডে লিখা- মোহাম্মদ শরিফুদ্দিন,ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সামার গ্রুপ অভ ইন্ডাস্ট্রিজ।

নামটা দেখেই চমকে উঠলেন ডঃ সাইদ। যোগাযোগ নাই অনেক দিন। কিন্তু সাইদের মত প্রখর স্মৃতি শক্তির মানুষ দের জন্য সেটা কোন বিষয় নয়।



বন্ধু শরিফ কে ছত্রিশ বছর পর বুকে জড়িয়ে ধরে সাইদ এর চোখ হঠাৎ করেই জলে ভরে উঠে। আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে কেউ যখন সাইদের লেখায় চোখ ও বুলাত না তখন শরিফ সাইদের লেখায় অকাতরে লাইক দিত এবং সাইদের সাথে দেখা হলেই চোখ বড় বড় করে বলত- দোস্ত হেভভি লিখেছিস!



আজকের প্রবীণ প্রাজ্ঞ সাইদ জানে- বন্ধু শরীফের সেদিনের উদার উৎসাহ ছিল সমুদ্রগামী উজান গাং এ ভাসিয়ে দেয়া ডিঙ্গি নৌকায় প্রথম ছোট্ট ধাক্কা!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪২

পয়গম্বর বলেছেন: চমৎকার!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩২

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

পার্থ তালুকদার বলেছেন: বন্ধু শরীফের সেদিনের উদার উৎসাহ ছিল সমুদ্রগামী উজান গাং এ ভাসিয়ে দেয়া ডিঙ্গি নৌকায় প্রথম ছোট্ট ধাক্কা! ----- অসাধারন ।

গল্পের প্রতিটি প্যরার মাঝে আরেকটা স্পেস দিলে সুন্দর দেখাবে, তাই না ?
ভাল থাকবেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। প্যারার ব্যাপার টা মাথায় থাকল। পরের লেখায় এই বিষয়ে সচেতন থাকব।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:





এককথায় দুর্দান্ত +++
লেখায় ধাঁর ছিলো। এক নিমিষেই পড়ে ফেললাম।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমিনুর রহমান।

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অসাধারণ একটি গল্প পড়লাম। ফেসবুকে শেয়ার দেয়ায় আমিনুর ভাইকে ধন্যবাদ, নইলে এমন একটি গল্প আমার চোখের আড়ালেই থেকে যোতো হয়তো।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ফেসবুকের লিঙ্ক টা কি আমাকে দেবেন?

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: শিওর, এই নিন

View this link

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

জেরিফ বলেছেন: সাধারণ এর ভেতর অসাধরণ কিছু লেখার প্রত্যয় ।

চমৎকার লিখেছেন ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে জেরিফ।

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পড়ে অদ্ভুত এক অনুভূতি হল ।
খুব ভাল লাগা নিয়ে গেলাম ।
ভাল থাকবেন ভাই ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৭

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন মাহমুদ। আন্তরিক ভাবে এটাই চাই। আল্লাহ আমাদের সবাই কে ভাল রাখুন।

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: উদ্দিপ্ত করার মতো গল্প। দারুণ।

দ্বিতীয় প্লাস।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রোফেসর শঙ্কু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.