নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসলে খুব সাধারন একটা মানুষ আমি। নিজের ভিতর কিছু কথা জমেছিল, যা সবার সাথে মত বিনিময়ের মত করতে চাই, আমার নিজের খুব একটা ভালো বৈশিষ্ট আমার নেই। একটু কেমন যেন আমি, অনেক সময় নিজেকেই চিনিনা। মুখশের ভীড়ে হারায় ফেলি নিজের অস্তিত্ত। এই তো আমি।

সব কিছুই জটিল

অতি মাত্রায় সাধারন আর আমি এতেই অনেক বেশি ই খুশি

সব কিছুই জটিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক ভোরের গল্প ও আজকের প্রজন্ম

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৩৩

খুব চমৎকার একটা দিনের শুরু বলা যেতে পারে।আহামরি তেমন কিছু দিয়ে তো দিনের শুরু করিনি, তাহলে কেন চমৎকার দিন বলতে হবে??
হা, বলা যেতেই পারে। কেননা সারা রাত তো না ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিলাম, ভোর এর আযান শুনে ওযু করে বেরিয়ে গেলাম নামাজ পরার জন্য। রাত এর আধার কাটতে তখনও অনেক দেরি। যদিও বা মসজিদে পৌছাতে কিছুটা সময় বেশি ই লাগে, তবুও নামাজ তা পেলাম।

নামাজ শেষে ছুটলাম হাটার জন্য। পথি মধ্যে এক কাপ চা যদিও খেলাম সাথে .........
যাই হউক, কানে হেড ফোনে গান শুনতে শুনতে শুরু করলাম দৌড়, হাটা, সামান্য কিছু ব্যায়াম।
ভাল তো লাগছিলো অবশ্যই , ১ ঘন্টা জগিং এ যত মুরুব্বি বা মানুষ পেলাম সবাই কে সালাম দিতে লাগলাম। একটু অবাক হবার মতন যে কিছু কিছু মানুষ ( মুরুব্বি ) অবাক হচ্ছিলো আমার সালাম দেবার কারনে, আমি ভাবলাম এটা কেমন কথা , মুসল্মান হিসেবে সালাম দিলে এভাবে অবাক কেন হতে হবে? যাই হউক এর কারন ও আছে,

কারনটা খুব ই সহজ যে, আমাদের এই সমাজে বর্তমানে মুরুব্বিদের সালাম দেওয়ার রেওয়াজ প্রায় উঠেই গেছে, অলিতে – গলিতে পুচকা পুচকা পোলাপান দাড়ায় দাড়ায় বিড়ি ফুকতে থাকে,
একেক জনের ভাব দেখলে মনে হয় , “মুই কি হনু রে?” নাক টিপলে দুধের গন্ধ বের হবে, এক চড় মারলে আরেক চড় মারার নাই জায়গা, কেবল মাত্র স্কুল পাস করে কলেজে ভর্তি হবে, “ও মা, ছেলেটি তো দুর্দান্ত সাহসী, পাড়ার মেয়েদের দেখলে শিষ বাজায়, আজ কাল ৭০% গালি হিন্দি তে আর ৩০% গালি ইংলিশ এ দেয়। বাহ ! বাহ! ছেলে আসলেই জাতের।

বাপে অফিসে যায় বাসের হেন্ডেল ধরে ঝুলে আর ছেলে পথে দাড়িয়ে মজা লুটে। বাপ অফিসে দুপুরের খাবার নেয় না, কলা আর পাউরুটি খেয়ে থাকে, ওদিকে ছেলে কিনা বাবার পকেট মেরে, বা মায়ের কাছে মিথ্যা বলে টাকা নেয় অথবা ভর্তি ফরম কেনার নাম করে বাবার কাছ থেকে হাতিয়ে নিবে কিছু টাকা। বেপার নাহ, অল্প কিছু টাকাই তো। ওই টাকা দিয়ে বন্ধুদের সাথে চলবে আজ দুপুরে জমপেশ খানা, অথবা গার্ল ফ্রেন্ড কে নিয়ে যাবে বসুন্ধরায় সিনেমা দেখতে, ফুদ কোর্টে খাবার খেতে।
হায় রে অভাগা......যাও একদিন ছেলের এসব কুকর্মের বিচার আসে, কিন্তু বাবা কিছুই বলতে পারেন না, কেননা হতভাগি মা যে জন্ম দিছে, চোখের সামনে কেমনে মার খেতে দেখবে সে? ?


একটু বেশি লিখে ফেলছি, কিন্তু আমি আরও লিখব, এই সমাগ নিয়ে, এই দেশ নিয়ে, আমাদের নিয়ে।

সুপ্রভাত
এইচ এম ফাহিম তুহিন

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৩৭

সব কিছুই জটিল বলেছেন: ভাই , আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পাই গালি, খারাপ লাগ্লে বলবেন, মুছে ফেলব। কিন্তু বকবেন না দয়া করে।
ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.