![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাংক মালিকরা
দ্বৈত ভূমিকা রাখছেন। ব্যবসায়ীদের
চেম্বার থেকে তারা সুদহার কমানোর
দাবি জানান। আবার তারাই ব্যাংকের
পরিচালনা পর্ষদের সভায় বসে উচ্চ
সুদহার ধার্য করেন। -ড. মোজাফফর আহমেদ, চেয়ার
প্রফেসর, বিআইবিএম
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক
চেয়ারম্যান
পুরোটা পড়ুন, অনেক কিছু জানা যাবে।
ব্যাংকের গ্রাহকনির্ভরতা
নিবন্ধিত কোম্পানি হিসেবে ব্যাংক
প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু অন্যান্য
নিবন্ধিত কোম্পানির সঙ্গে ব্যাংকের
প্রকৃতিগত পার্থক্য রয়েছে। অন্যান্য
কোম্পানি পরিচালিত হয় কোম্পানি
আইন অনুসারে। ব্যাংক পরিচালিত হয়
ব্যাংক কোম্পানি আইনের বিধান
অনুযায়ী। ব্যাংক কোম্পানি আইন
প্রণয়নের একটা পটভূমি রয়েছে।
শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে মূলধন
সংগ্রহ করে কোম্পানি আইনে
নিবন্ধিত কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা
করে। এসব কোম্পানিতে
শেয়ারহোল্ডাররাই স্টেকহোল্ডার।
লাভ-লোকসান তাদের। কোম্পানির
ক্ষতি হলে শেয়ারহোল্ডার ছাড়া আর
কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন না। কোম্পানি
দেউলিয়া হলে বা বন্ধ হয়ে গেলে
শেয়ারহোল্ডার ছাড়া অন্য কারো
তেমন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হয় না।
কোম্পানি পরিচালিত হয় মালিকদের
অর্থে। তাই দায়-দায়িত্বও তাদেরই।
মালিকনির্ভর চরিত্র থেকে ব্যাংক
কোম্পানিগুলো অনেকটাই ভিন্ন
প্রকৃতির। অন্যান্য কোম্পানির মতো
ব্যাংক কোম্পানিও
শেয়ারহোল্ডারদের পরিশোধিত মূলধন
দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু
পরিশোধিত মূলধন ব্যাংকের মোট
পরিচালনা-মূলধন বা ওয়ার্কিং
ক্যাপিটালের ক্ষুদ্র একটি অংশ।
পরিচালন মূলধনের বিরাট অংশ প্রদান
করে আমানতকারী জনগণ। উদাহরণ
হিসেবে বলা যায়, কোনো ব্যাংকের
পরিশোধিত মূলধন যদি এক হাজার
কোটি টাকা হয়, তাহলে ওই ব্যাংকের
ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হবে কমবেশি ৫০
হাজার কোটি টাকা অর্থাত্
পরিশোধিত মূলধনের ৫০ গুণ। এক্ষেত্রে
ব্যাংকের ব্যবসা পরিচালনায়
মালিকের অংশ শতকরা ৫০ ভাগের এক
ভাগ, বাকি অংশের মালিক
আমানতকারী জনগণ। ব্যাংক যে অর্থ
বিনিয়োগপূর্বক ব্যবসা পরিচালনা করে,
সেটিই ব্যাংকের ওয়ার্কিং
ক্যাপিটাল। ব্যাংকের বিনিয়োগ
ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমানতকারীর অর্থ
আটকে যায়। কাজেই ব্যাংক ব্যবসায় বড়
ঝুঁকি আমানতকারীদের। মালিকের
ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম। যদিও
আমানতকারীর ক্ষতি পূরণ করার
দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত মালিকদের ওপর
বর্তায়। ব্যাংক যদি দেউলিয়া হয়ে
যায়, তাহলে কিন্তু আমানতকারীরাই
অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। এ
বিশ্লেষণ থেকে বলা যায়, অন্যান্য
কোম্পানির পুরো ঝুঁকি মালিকের আর
ব্যাংক কোম্পানির ক্ষেত্রে ঝুঁকির বড়
অংশ আমানতকারী জনগণের এবং ক্ষুদ্র
অংশ শেয়ারহোল্ডার বা মালিকদের।
আমানতকারীরা ব্যাংকের সেবা
গ্রহণকারী। সেবা গ্রহণকারীদের ঝুঁকি
বিবেচনা করে ব্যাংকের দায়িত্ব শুধু
মালিকপক্ষের কাছে সমর্পণ করা হয়,
যেমনটা রয়েছে অন্যান্য কোম্পানির
ক্ষেত্রে। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে
আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের
জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আইন করে
দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে
ব্যাংকিং সেবা ভোক্তাদের স্বার্থ
সংরক্ষণের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ দায়িত্ব পালন
করে থাকে ব্যাংক কোম্পানি আইনের
বিধান অনুযায়ী।
গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যাংকের
পরিচালনা পর্ষদে ইন্ডিপেন্ডেন্ট
পরিচালক নিয়োগের বিধান রয়েছে।
যেহেতু তারা শেয়ারহোল্ডার নন এবং
শেয়ারহোল্ডারদের প্রতিনিধিত্ব
করেন না, সেহেতু তারা স্বাধীনভাবে
গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণের যোগ্যতা
রাখেন। তত্ত্বগতভাবে বিষয়টি সঠিক।
ভারতসহ বিভিন্ন দেশে
শেয়ারহোল্ডারদের পরিচালকদের
সঙ্গে আমানতকারীদের স্বার্থের
সংঘাত হলে, ইন্ডিপেন্ডেন্ট
পরিচালকরা আমানতকারীর স্বার্থ
সংরক্ষণে তত্পর থাকেন, এমন নজির
রয়েছে। বাংলাদেশে অনুরূপ কৃষ্টি
সৃজনে আরো অনেক দূর যেতে হবে।
প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে। গ্রাহক স্বার্থ
সংরক্ষণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে
ব্যাংকের নির্বাহীদের। কারণ তারা
ব্যাংকিং আইন এবং কেন্দ্রীয়
ব্যাংকের বিধি-বিধান অনুযায়ী কর্ম
সম্পাদন করেন। রাষ্ট্রের কর্মকর্তারা
যেমন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা, দলীয়
সরকারের নন; তেমনি ব্যাংকের
কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা,
পরিচালনা পর্ষদের নন। তারা আইনের
অধীনে কাজ করেন এবং আইন দ্বারা
পরিচালিত। এ কারণে
আমানতকারীদের আইনসঙ্গত স্বার্থ
সংরক্ষণে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব
রয়েছে। এ দায়িত্ব পালনে ব্যাংকের
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সুরক্ষা
দান করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং
অন্যান্য সব স্তরের কর্মকর্তাকে সুরক্ষা
প্রদানের দায়িত্ব বর্তায় প্রধান
নির্বাহীর ওপর। বিধান অনুযায়ী
ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর নিয়োগ ও
অপসারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের
অনুমোদন ছাড়া কার্যকর হবে না।
এমনকি প্রধান নির্বাহী পদত্যাগপত্র
পেশ করলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত
করে দেখবে যে, পর্ষদ বা কোনো
পক্ষের চাপে পদত্যাগ করতে হচ্ছে
কিনা। ২০১৩-১৪ সালে কয়েকটি
ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীকে পদত্যাগ
করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল
মর্মে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জোরালো পদক্ষেপ
গ্রহণ করে। গ্রাহক স্বার্থরক্ষা তথা
আইনানুগভাবে কর্মপরিচালনায় ব্যাংক
কর্মকর্তারা সহায়ক শক্তি হিসেবে
স্বীকৃত। এক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের স্খলন
শুধু অনৈতিকই নয়, অসদাচরণও বটে।
ব্যাংকের গ্রাহক নির্ভরতা কত গভীর,
তা ‘ব্যাংকার’-এর আইনি সংজ্ঞাতেই
প্রতিভাত হয়েছে। নেগেশিয়েবল
ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ৩ ধারায়
সংজ্ঞায়িত হয়েছে যে, ব্যাংকার
হলো এমন একটি লিগ্যাল পার্সন
(কোম্পানি), যা জনগণের কাছ থেকে
আমানত সংগ্রহ করবে এবং বিনিয়োগ
করবে এই শর্তে যে, চাহিবামাত্র
আমানতকারীকে তার জমা অর্থ ফেরত
দিতে হবে।’ কোনো ব্যাংকের সব
আমানতকারী যদি একই সময়ে তাদের
জমাকৃত অর্থ ফেরত চায়, তাহলে আইন
অনুসারে ব্যাংক টাকা দিতে বাধ্য
থাকবে। ফলে ব্যাংকটি দেউলিয়া হয়ে
পড়বে। এমনটি ঘটে না ব্যাংক এবং
আমানতকারীদের পারস্পরিক আস্থা ও
সমঝোতার কারণে। বলা হয়ে থাকে,
ব্যাংকের ভিত্তি হলো আমানতকারীর
আস্থা। শেয়ারহোল্ডারদের
পরিশোধিত মূলধন ব্যাংককে বাঁচিয়ে
রাখতে পারে না, বরং আমানতকারীর
আস্থাই ব্যাংকের হূদযন্ত্র সচল রাখে।
ব্যাংকের গ্রাহক নির্ভরতাই গ্রাহকের
রক্ষাকবচ।
ব্যাংকের সেবাগুলো
বিগত এক শতাব্দীর কার্যক্রম
পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে,
ব্যাংকের সেবা স্থির বা স্থবির নয়।
যুগ পরিবর্তনে মানুষের চাহিদার
পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নতুন সেবা সৃষ্টি
হয়েছে আবার কোনো কোনো সেবা
পরিত্যক্তও হয়েছে। ব্যাংকারদের
সৃজনশীলতার ফলে একদিকে নতুন সেবা
উদ্ভাবিত ও সংযোজিত হয়েছে,
অন্যদিকে গ্রাহকদের সচেতন ও
অনুপ্রাণিত করে চাহিদা সৃষ্টি করা
হয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকিং সেবা
গতিশীল। প্রবহমান নদীর মতো। প্রবাহ
বন্ধ হলে বা সেবা স্থবির হয়ে পড়লে,
ব্যাংকের অপমৃত্যু ঘটে থাকে।
অর্থনীতিতে ব্যাংকিংয়ের সংজ্ঞা
হলো— ‘ফিন্যান্সিয়াল
ইন্টারমিডিয়েশন’ বা ‘আর্থিক
মধ্যস্থতা’। অর্থাত্ সঞ্চয়কারীর উদ্বৃত্ত
সঞ্চয় আহরণ করে বিনিয়োগকারীকে
ঋণ প্রদান করা। বিনিয়োগের ওপর
মুনাফা অর্জন করে, মুনাফার একটি
অংশ আমানতকারীকে প্রদান এবং
বাকি লভ্যাংশ দ্বারা ব্যাংকের
পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ করা।
আমানতকারী বিনা ঝুঁকিতে কিছু আয়
করেন। উদ্যোক্তা মূলধন সংগ্রহ করে
ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারেন। ব্যাংকের
এই মধ্যস্থতার কাজটি অত্যন্ত জটিল ও
টেকনিক্যাল। সঠিক বিনিয়োগ
সিদ্ধান্তে সব পক্ষের মঙ্গল। ভুল
সিদ্ধান্তে সর্বনাশ। এজন্য
ব্যাংকারকে হতে হয় সত্, জ্ঞানসম্পন্ন
ও দক্ষ। তাকে হতে হয় জনগণের আস্থা
অর্জনকারী।
আমানত বিভিন্ন রকম হতে পারে।
প্রধানত, আমানত তিন প্রকার— চলতি,
সঞ্চয়ী ও মেয়াদি। ব্যবসায়ী বা
নিয়মিত জমা-উত্তোলন করতে হয় এমন
সেবাগ্রহণকারীরা চলতি হিসাব খুলে
থাকেন। চলতি হিসাবে মুনাফা প্রদান
করা হয় না। ব্রিটিশ শাসনামলে চলতি
হিসাবে টাকা রাখার ‘নিরাপত্তা’ ব্যয়
বাবদ আধা থেকে এক পার্সেন্ট খরচ
কাটা হতো। এখন তা হয় না, তবে
ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে হিসাবরক্ষণ ও
পরিচালনা ব্যয় হিসাবে সার্ভিস চার্জ
কর্তন করা হয়। এটি সব ব্যাংকে সমান
নয়। সাধারণভাবে বলা যায়,
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে সবচেয়ে কম,
দেশীয় প্রাইভেট ব্যাংকে একটু বেশি
এবং বিদেশী ব্যাংকে অনেক বেশী।
যারা উদ্বৃত্ত সঞ্চয় ব্যাংকে জমা
রাখতে চান এবং প্রয়োজনমতো মাঝে
মাঝে টাকা তুলতে চান, তাদের জন্য
রয়েছে ‘সঞ্চয়ী হিসাব’। এ হিসাব
প্রতিদিন বা প্রয়োজনমতো জমা করা
যাবে। তবে সাধারণত সপ্তাহে একবার
টাকা তোলা যাবে। অবশ্য বিশেষ
প্রয়োজনে সপ্তাহে একাধিকবার তুলতে
দেয়া হয় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের
নিরিখে। সঞ্চয়ী হিসাবের ওপর
নির্দিষ্ট হারে মুনাফা পাওয়া যায়।
সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন ধরনের
সঞ্চয়ী হিসাবের প্রচলন রয়েছে।
সন্তানদের শিক্ষার জন্য সঞ্চয়,
মেয়েদের বিয়েশাদির জন্য সঞ্চয়, হজ
করা নিয়তে ধীরে ধীরে সঞ্চয়, ব্যবসার
ক্ষুদ্র মূলধন গড়ে তোলার জন্য
সময়ভিত্তিক সঞ্চয়— এমনই অনেক
উদ্ভাবনী সঞ্চয় প্রকল্প বিভিন্ন
ব্যাংকে রয়েছে। এসব হিসাবে সঞ্চয়ের
সঙ্গে সঙ্গে মুনাফাও যোগ হয়ে থাকে।
যারা নির্দিষ্ট অঙ্কের সঞ্চয় নির্দিষ্ট
সময়ের জন্য অধিক মুনাফায় জমা
রাখতে চান, তাদের জন্য রয়েছে
‘মেয়াদি আমানত’ বা ফিক্সড
ডিপোজিট। তিন মাস, ছয় মাসে, এক
বছর, দুই বছর বা তিন বছরের মেয়াদে
জমা রাখা যায়। মেয়াদ যত বেশি,
মুনাফাও তত বেশি। মেয়াদান্তে
মুনাফাসহ আসল টাকা পাওয়া যায়।
জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তির আগে
টাকা তুলতে চাইলে জরিমানা দিয়ে
টাকা তোলা যায়। সাধারণত অর্জিত
মুনাফা থেকেই জরিমানা আদায় করা
হয়। সঞ্চয়ীর মতো মেয়াদে আমানতেও
লাভজনক প্রকল্প রয়েছে। যথা—
‘লাখপতি হিসাব’, ‘অর্থ দ্বিগুণ’, ‘পাঁচ
বছরে শিল্পের প্রকল্প’, ‘১০ বছরে
হজযাত্রা’ ইত্যাদি।
সাধারণ সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে
প্রাথমিক জমা ব্যাংকভেদে ৫০০ থেকে
১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আবার ন্যূনতম স্থিতি জমা রাখার
নিয়মও রয়েছে। ফলে অনেকের পক্ষে
ব্যাংক হিসাব খোলা সম্ভব হয় না।
সাম্প্রতিককালে অন্তর্ভুক্তিমূলক
ব্যাংকিং নীতিমালা গ্রহণের ফলে,
দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর জন্য মাত্র ১০
টাকা প্রাথমিক জমায় ব্যাংক হিসাব
খোলা হচ্ছে। এক কোটির বেশি মানুষ এ
সুযোগ গ্রহণ করেছেন। এসব হিসাবে
কোনো সার্ভিস চার্জ কাটা হবে না।
ন্যূনতম স্থিতির শর্তও নেই। ফলে
স্বল্পবিত্তের মানুষ ১০ টাকার হিসাব
খুলে দু-চার টাকা করে জমিয়ে ধীরে
ধীরে ক্ষুদ্র বিনিয়োগযোগ্য পুঁজি গড়ে
তুলতে পারবেন। নিদেনপক্ষে
আপত্কালীন সময়ের জন্য কিছু সঞ্চয়
জমা করতে পারবেন।
সঞ্চয় সেবার পরই আসে বিনিয়োগ
সেবা। বিনিয়োগ সেবার আওতায়
রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ঋণ। শিল্প,
ব্যবসা, আমদানি-রফতানি, কৃষি ক্ষুদ্র
ব্যবসা, গৃহনির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে
ঋণ দেয়া হয়। ঋণের ধরনও অনেক রকম।
প্রকল্প ঋণ, চলতি মূলধন ঋণ, ওয়ার্ক
অর্ডার ঋণ, ঋণপত্র প্রভৃতি বিভিন্ন
নামে পরিচিত। প্রকারভেদে ঋণের
আকার বা অঙ্কও বিভিন্ন রকম। একটি
বড় প্রকল্প ঋণ যেমন কয়েক হাজার
কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে, তেমনি
একটি ক্ষুদ্র উদ্যোগের জন্য কয়েক
হাজার, এমনকি কয়েকশ টাকার ঋণও
বিবেচিত হতে পারে। ছোট অঙ্কের ঋণ
মাইক্রো ক্রেডিট নামে পরিচিত।
‘স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ’
সংক্ষেপে এসএমই নামে এক ধরনের ছোট
ও মাঝারি ঋণ এখন বেশ প্রচলিত।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ ব্যাংক
কর্তৃক অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং বা
ওহপষঁংরাব ইধহশরহম-এর ওপর গুরুত্বারোপ
করার ফলে সর্বপ্রকার ক্ষুদ্র-মাঝারি
ঋণ, কৃষিঋণ তথা গ্রামীণ এলাকায়
ঋণদান কার্যক্রম গতিশীল হয়েছে।
ব্যাংকের ঋণ কর্মসূচির সংখ্যা এত
বেশি যে, প্রতিটির নাম উল্লেখ করা
কষ্টসাধ্য। তবে সাধারণভাবে বলা যায়,
বৈধ যেকোনো প্রকার উত্পাদনশীল
এবং লাভজনক কর্মকাণ্ডে ঋণ দেয়া হয়।
বেশ কিছু সেবা খাতেও ঋণ দেয়া হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকসহ কয়েকটি
ব্যাংক প্রবাসীদের বিদেশ গমনের
জন্য ঋণ দিয়ে থাকে।
আমানত ও ঋণসেবা মূল সেবা হিসেবে
চিহ্নিত। এর বাইরে অহপরষষধত্ু
ঝবত্ারপব বা সহায়ক সেবা হিসেবে
ব্যাংক অনেক ধরনের সেবা দিয়ে
থাকে। এর পরিপূর্ণ তালিকা দেয়া
কঠিন। বহুল ব্যবহূত সেবাগুলো উল্লেখ
করা যেতে পারে। আমদানি ও
রফতানিকারকের পক্ষে ব্যাংক
বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণপত্র খুলে
থাকে। ঋণপত্র এক ধরনের নিশ্চয়তাপত্র,
যার মাধ্যমে পণ্য প্রেরণকারী
মূল্যপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা পায়।
মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্যাংক
কমিশন গ্রহণ করে থাকে। একইভাবে
গ্রাহকের পক্ষ থেকে অন্য পক্ষকে
অর্থপ্রাপ্তির আরেক ধরনের সেবার
নাম ব্যাংক-গ্যারান্টি। গ্যারান্টির
পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহককে নগদ অর্থ
দিতে হয় না। এক্ষেত্রে ব্যাংক কমিশন
পেয়ে থাকে। মূল্যবান দ্রব্যাদি
নিরাপদ রক্ষণের জন্য ব্যাংক ‘সেফ-
কাস্টডি’ ও লকার-ভাড়া’ উভয় সেবা
দেয়। সাম্প্রতিককালে কম্পিউটার
ইন্টারনেট টেকনোলজি ব্যবহারের ফলে
ব্যাংকিং সেবার সহজীকরণ এবং
ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। এটিএম বুথের
মাধ্যমে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা টাকা
তোলা যায়। ব্যাংকের এক শাখার
টাকা অন্য যেকোনো শাখা থেকে
তোলা যায়। প্রবাসীরা বিদেশ থেকে
দিনে দিনেই অর্থ পাঠাতে পারেন।
দেশের মধ্যেও এক স্থান থেকে অন্য
স্থানে অর্থ পাঠানো সহজ হয়েছে।
বিদ্যুত্ বিল, টেলিফোন বিল, ওয়াসার
বিল, পৌরকর প্রভৃতি ব্যাংকের মাধ্যমে
সহজেই পরিশোধ করা যায়। ক্রেডিট
কার্ড, ডেবিট কার্ড প্রভৃতির ব্যবহারে
নগদ টাকা বহন করার ঝুঁকি কমে এসেছে।
কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাও নগদ
বহন করার প্রয়োজন হয় না। সবকিছু
মিলিয়ে বলা যায়, ব্যাংকিং সেবা
আধুনিক জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে
উঠেছে। এ কারণে ব্যাংক এবং গ্রাহক
উভয়ই পরস্পর পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল
এবং এই নির্ভরশীলতার ভিত্তি হচ্ছে
পারস্পরিক আস্থা ও সন্তুষ্টি।
গ্রাহকদের কিছু প্রশ্ন, দ্বিধা ও সমস্যা
অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং নীতি-
কৌশলের কারণে বাংলাদেশে
ব্যাংক-গ্রাহকদের সংখ্যা
সাম্প্রতিককালে অনেক বেড়েছে। তা
সত্ত্বেও এখনো জনসংখ্যার বিরাট
অংশ ব্যাংকিং সেবার আওতার
বাইরে। দারিদ্র্য ও অশিক্ষা এর বড়
কারণ হলেও অনেক ক্ষেত্রে
আস্থাহীনতা ও সহজলভ্যতার অভাব
বিদ্যমান। সেবার উচ্চমূল্যের অভিযোগও
রয়েছে।
গ্রাহক সন্তুষ্টি
ব্যাংক সেবায় গ্রাহক সন্তুষ্টি নিয়ে
মাঝেমধ্যেই গবেষণাকর্ম সম্পাদিত
হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের
ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্ট থেকেও
ধারণা পাওয়া যায়। গ্রাহক সন্তুষ্টির
বহুমাত্রিক দিক রয়েছে। পেশাগত
দিকে রয়েছে স্বল্পসময়ে দক্ষতার সঙ্গে
সঠিক প্রক্রিয়ায় সেবা দেয়া।
মনস্তাত্ত্বিক সন্তুষ্টি নির্ভর করে
গ্রাহক মন-মানসের ওপর এবং তার
ব্যক্তিস্বীকৃতির ওপর। এটি অবশ্যই
একটি জটিল প্রক্রিয়া। ‘টাইম অ্যান্ড
মোশন’ স্টাডি থেকে প্রতীয়মান হয় যে,
(ক) ছোট শাখায় লেনদেন মোটামুটি
স্বল্পসময়ে সম্পন্ন হয়, (খ) বড় শাখায়
অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্বের অভিযোগ
রয়েছে, (গ) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন
ব্যাংকের তুলনায়
ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকে
লেনদেন দ্রুততর হয়ে থাকে, (ঘ) বড়
শহরের তুলনায় ছোট শহরে ও পল্লী
এলাকার শাখায় লেনদেন সম্পন্ন করতে
কম সময় লাগে, (ঙ) বিদ্যুত্ বিল ও গ্যাস-
পানির বিল পরিশোধ করতে লম্বা
লাইনে দাঁড়াতে হয় এবং গ্রাহককে
অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। চেক
ক্লিয়ারিংয়ের বিষয়ে বিলম্বের
অভিযোগ নেই বললেই চলে। তবে
দূরবর্তী শাখা থেকে চেক কালেকশনের
বিষয়ে বিলম্বের অভিযোগ কখনো
শোনা যায়। তাছাড়া চেক হারিয়ে
যাওয়ার কিছু অভিযোগও মাঝেমধ্যে
শোনা যায়।
সার্ভিস চার্জ
গ্রাহকদের একটি বড় অভিযোগ বড়
অঙ্কের সার্ভিস চার্জ আদায় করা
নিয়ে। ব্যাংকারদের যুক্তি হলো,
কার্যপরিচালনা এবং সেবা প্রদানের
খরচ তারা সার্ভিস চার্জ হিসেবে
আদায় করে থাকেন। কিন্তু গ্রাহকদের
অভিযোগ চার্জের পরিমাণ নিয়ে।
তারা চার্জ দিতে রাজি। কিন্তু
চার্জের নামে বড় অঙ্ক অ্যাকাউন্ট
থেকে কেটে নেয়াকে তারা পকেট
কাটার সঙ্গে তুলনা করেন। সমীক্ষা
থেকে সার্ভিস চার্জের ট্রেন্ড বা
গতি-প্রকৃতি অনুধাবন করা যায়।
সার্ভিস চার্জ সর্বনিম্ন রাষ্ট্রায়ত্ত
ব্যাংকগুলোয়। প্রাইভেট ব্যাংকের
চার্জ তার চেয়ে বেশি। বিদেশী
ব্যাংকগুলোর সার্ভিস চার্জ
রীতিমতো আকাশছোঁয়া। গ্রাহকদের
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে
বাংলাদেশ ব্যাংক সার্ভিস চার্জ
যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার এবং
চার্জ তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে
অবগতির জন্য পাঠানোর নির্দেশ
দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্নভাবে
অতিরিক্ত চার্জ আদায়ের প্রক্রিয়া
অব্যাহত রয়েছে বলে জানা যায়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পত্র বা বার্তা
পাঠানোর জন্য প্রকৃত ব্যয়ের চার-পাঁচ
গুণ পর্যন্ত আদায় করা হয়। ব্যাংকের
মুনাফার অঙ্ক স্ফীত করার জন্যই এ
কৌশল।
মুনাফার হার
আরেকটি বড় অভিযোগ ব্যাংকের
মুনাফা বা সুদের হার সম্পর্কিত।
ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, এত উচ্চসুদ
হারে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা
সুকঠিন। বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণের
সুদহার বর্তমানে মোটামুটিভাবে ১২
থেকে ১৪ শতাংশ। এর চেয়ে বেশি হার
ধার্য করার অভিযোগও রয়েছে।
বহির্বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করলে এ হার
অনেক বেশি। ইউরোপে ঋণের ওপর সুদের
হার ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে।
মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে এ হার ৫
থেকে ৭ শতাংশ। পার্শ্ববর্তী দেশ
ভারতে ঋণের সুদের হার একক সংখ্যা
অর্থাত্ ৯-এ নেমে এসেছে। উল্লিখিত
হার ওঠানামা করে। কিন্তু বেশি না।
বাংলাদেশে বেশি সুদহারের মূল কারণ
দুটি— ১. দুনীতি ও অদক্ষতার জন্য বড়
অঙ্কের শ্রেণী-বিন্যাসিত ঋণের
বিপরীতে প্রভিশন রক্ষণ এবং ২.
ব্যাংক মালিকদের অধিক মুনাফা
অর্জনের লোভ। ব্যাংক মালিকরা
প্রতিষ্ঠিত ধনী ব্যক্তি। তারা লোভ
সংবরণ না করলে পুঁজিপ্রত্যাশী নতুন ও
ছোট ব্যবসায়ীদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত
হতে থাকবে। জাতীয় অর্থনীতির
বিকাশ পূর্ণতা পাবে না। দুর্নীতি
অব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা
গ্রহণ করে মন্দ ঋণ কমিয়ে আনতে হবে
এবং ব্যাংক মালিকদের গণদাবির
চাপে ফেলতে হবে, যাতে তারা
লভ্যাংশ কমিয়ে সুদহার, হ্রাস করতে
বাধ্য হন। উল্লেখ্য, ব্যাংক মালিকরা
দ্বৈত ভূমিকা রাখছেন। ব্যবসায়ীদের
চেম্বার থেকে তারা সুদহার কমানোর
দাবি জানান। আবার তারাই ব্যাংকের
পরিচালনা পর্ষদের সভায় বসে উচ্চ
সুদহার ধার্য করেন। স্মরণ করা যেতে
পারে, মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রচলনের
পর থেকে সুদহার নির্ধারণের দায়িত্ব
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ওপর
রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ
নেই। তবু কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার
কমানোর অনুরোধ করে এবং উত্সাহ
দেয়। কিন্তু ব্যাংক মালিকরা এসব
অনুরোধে কর্ণপাত করেন না। মুনাফা
বা লাভ এখন লোভে পরিণত হয়েছে।
কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব
বাংলাদেশসহ (ক্যাব) ভোক্তা
সংগঠনগুলোকে এ বিষয়ে সোচ্চার হতে
হবে।
ভোক্তাবৈষম্য
স্বাধীনতার পর ব্যাংক সেবায় ঘাটতি
থাকলে ও গ্রাহক বা ভোক্তাবৈষম্য
ছিল না। ছোট-বড় সবাই ব্যাংক সেবায়
সমান অধিকার পেতেন। ব্যক্তি খাতে
ব্যাংক সম্প্রসারণের পর থেকে সেবার
উন্নতি হয়েছে, কিন্তু ভোক্তাবৈষম্য
বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি ব্যাংকে
অ্যাকাউন্ট খুলতে অল্প টাকা লাগে, গড়
স্থিতির বিষয়েও কড়াকড়ি নেই।
অর্থাত্ স্বল্পবিত্তের মানুষ সরকারি
ব্যাংকের গ্রাহক হতে পারেন। কিন্তু
অধিকাংশ প্রাইভেট ব্যাংকে
তুলনামূলক বেশি টাকা দিয়ে হিসাব
খুলতে হয়। বিদেশী ব্যাংকে ধনী না
হলে অ্যাকাউন্ট খোলাই যায় না।
তথাকথিত মুক্তবাজার অর্থনীতির
কারণে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয়
ব্যাংকের করণীয় কিছু নেই। তবে
বৈষম্যের বিষয়ে সোচ্চার হয়ে নৈতিক
চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব।
আমানতের নিরাপত্তা
আমানতকারীর মৌলিক অধিকার তার
আমানতের নিরাপত্তা। কিন্তু হল-
মার্ক, বেসিক ব্যাংক, বিসমিল্লাহ
গ্রুপসহ বড় বড় দুর্নীতি ও ঋণ
কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে
গ্রাহকদের মৌলিক নিরাপত্তা হুমকির
মুখে পড়ছে। ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের জন্য
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপোজিট
ইন্স্যুরেন্স স্কিম রয়েছে। তাছাড়া
সরকারি ব্যাংকের দুর্নীতি ও ঋণ
কেলেঙ্কারির ফলে উদ্ভূত ঘাটতি
নিরসনের জন্য সরকার অনৈতিকভাবে
হলেও ওইসব ব্যাংকগুলোকে বাজেট
থেকে ঘাটতি মূলধন পূরণের ব্যবস্থা
করছে। কিন্তু সে অর্থও তো জনগণের
টাকা। এ বিষয় নিয়ে জাতীয় সচেতনতা
গড়ে তোলার জন্য ভোক্তাদের সোচ্চার
হতে হবে।
জনগণের সক্রিয় ভূমিকা না থাকলে
যেমন গণতন্ত্র থাকে না, মানুষ বঞ্চিত
হয়, তেমনি ভোক্তাদের সক্রিয়
সচেতনতা না থাকলে তারা ঠকতেই
থাকবেন। এজন্য ভোক্তাদের
সাংগঠনিক মঞ্চকে সক্রিয় থাকতে
হবে। কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব
বাংলাদেশের (ক্যাব) ভূমিকা
এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় পর্যায়ের
এ সংগঠনের সঙ্গে সংহতি রেখে
খাতভিত্তিক ভোক্তা সংগঠন গড়ে
তোলা প্রয়োজন। ব্যাংক গ্রাহকদের
একটি খাতভিত্তিক ভোক্তা সংগঠন
এখন সময়ের দাবি। ব্যাংকের দুর্নীতি
ও আর্থিক অব্যবস্থার বিরুদ্ধে তারা
ওয়াচ ডগের ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাজার অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এ
ধরনের খাতভিত্তিক ভোক্তা সংগঠন
গড়ে তুলতে পারলে ক্যাবের
কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ঝুহবত্মু সৃষ্টি হবে
এবং সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতার
মধ্যে সমন্বয় হবে। ক্যাব এ প্রক্রিয়াকে
অগ্রসর করে নিতে সক্রিয় সহযোগিতা
দিতে পারে।
(বিআইবিএমের সেমিনারে
উপস্থাপিত)
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ব্যাংক চোর! মহাচোর। সুদখোর।