নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাউর রহমান

একজন অলস মানুষ আমি

আতাউর রহমান তারেক

আতাউর রহমান

আতাউর রহমান তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি মানুষ হিসেবে লজ্জিত,দুঃখিত, অপমানিত বোধ করছি,পাশাপাশি ক্রুদ্ধ!!!!!!!!

২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

আমার আব্বুর কিছু মেডিকেল টেস্ট এর রিপোর্ট নিয়ে কিছুক্ষণ আগে কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ আসার জন্য রিক্সা খুঁজছিলাম। ২-৩ টা রিক্সাওয়ালার সাথে দরদাম করছি।ঠিক এই সময় পিছন থেকে এক রিক্সাওয়ালা বলল উনি যাবেন। তাকিয়ে দেখি খুব বয়স্ক একজন। ঠিক বুঝতে পারছিলাম না উঠব কি উঠব না।এরই মধ্যে উনি বললেন উ্ঠেন স্যার। ভাড়া দরকার হলে কম দিয়েন।অবাক হলাম এই কথা শুনে। আমি উঠলাম। রিক্সাতে উঠেই কেমন যেনো লাগছিলো। উনার গায়ে কোন জামা নেই। শরীরটা জীর্ণশীর্ণ। উনাকে জিজ্জাস করলাম,চাচা আপনার বয়স কত? বললেন,৭৭ এর মত। জিজ্জাস করলাম,চাচা আপনার বাড়ি কোথায়? বললেন, বরগুনা। জিজ্জাস করলাম,আপনার বাড়িতে কেউ নাই?এই বয়সে রিক্সা চালান কেন? বললেন, ১ ছেলে আছে। ও খারাপ হয়ে গেছে। মদ,জুয়া খেলে। আমার যে বাড়ি ছিলো সেটা থেকে আমারে বের করে দিছে। পরে,আরেকজনের কাছে বাড়ি বিক্রি করে দিছে। এরপর থেকে আমি ঢাকায়।জিজ্জাস করলাম,আর কেউ নাই? বললেন, না। জিজ্জাস করলাম,রিক্সা চালাতে কষ্ট হয় না? বললেন, ভাত তো খেতেই হবে।এইজন্য টাকার দরকার। আর,কেউ তো আমারে কোন কাজ ও দিবে না। তারপর বললেন, ২ ঘণ্টা পর আমার ভাড়াটা পেলেন। আমি বললাম,কেন? বললেন, আমারে বুড়া দেখে কেউ রিক্সায় উঠতে চায় না। তখন বুঝলাম,উনি কেন কম ভাড়াতে ও যেতে চাচ্ছিলেন। উনার সাথে কথা বলার পর আমার নিজের আব্বুর কথা মনে পড়ে গেলো। আমি আমার আব্বুকে সুস্থ করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।আর এই মানুষটা দু'বেলা খাবার এর জন্য আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছেন। মানুষ হিসেবে তখন খুব লজ্জিত,দুঃখিত, অপমানিত বোধ করছিলাম।কারণ, আমার মত বা আমার চেয়ে বড় তো উনার ও একটা ছেলে আছে। ওই ছেলে কি এই বুড়া মানুষটাকে দু'বেলা খাবার এর বেবস্থা করে দিতে পারে না?অথছ এই মানুষটাই ওই ছেলেকে না জানি কত যত্ন করে বড় করে তুলেছিলেন। ধিক্কার ওই ছেলের প্রতি। এইরকম ছেলে থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল।পাশাপাশি ক্রুদ্ধ এই জন্য যে, উনাকে বয়স্ক দেখে উনার রিক্সায় কেউ উঠেন না। কিন্তু কেন? এটা কি উনার প্রতি করুণা, অবহেলা নাকি সহমর্মিতা? এই ধরণের করুণা বা সহমর্মিতা না দেখানোই ভাল। কারণ, আমরা সবাই এই ধরণের করুণার চোখে উনাদের মত বয়স্ক রিক্সাওয়ালাদেরদেরকে দেখে উনাদের রিক্সায় না উঠলে উনাদের পেটে ভাত ঝুটবে না। উনারা তো আপনার কাছে ভিক্ষা চাচ্ছেন না। সবাইকে ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।



বাসায় এসে আব্বুকে বললাম, ওই মানুষটার কথা। আব্বু আফসোস করল আর জিজ্জাস করল, উনাকে কিছু অতিরিক্ত টাকা দিয়েছি কিনা? বললাম, পকেটে ভাড়া বাদ দিয়ে ১৫০ টাকা ছিলো।তার পুরোটাই দিয়ে দিলাম। না, করুণা করে নয়। আমি ও তো একজনের ছেলে। ওই ছেলে হিসেবে ক্ষুদ্র একটা দায়িত্ববোধের পরিচয় দিলাম মাত্র। আর, এই লেখাটি লিখতে লিখতে ভাবতেছি, আমাদের সবাইকে বার্ধক্যের মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের প্রতি কতটুকু সদয় হবে?

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: :(

২| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

কালোপরী বলেছেন: :(

৩| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের সবাইকে বার্ধক্যের মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের প্রতি কতটুকু সদয় হবে? ???????

এই বোধ থাকলে, মিনিমাম চেতনা থাকলে আর নচিকেতার ঐ গান শুনতে হতো না- ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার.....!!!!

কর্পোরেটিজম, ভোগবাদ এই সবই শেখায়। সেখানে অর্থই সব। মূল্যবোধ, ইজ্জত, সম্মান, পরম্পরা, ঐতিহ্য, অর্থহীন। এই গুলাকে বিনিজ্যিকরণ করা গেলেই কেবল চোখে পড়ে....

আমরা কি ফেরার কোন চেষ্টা করছি???

সকলেই সেই ইদূর দৌড়ে.... গাড়ী, ফ্লাট, প্লট.....

লাইফের সবচে বড় ট্যাজিডি হচ্ছে- সব করার পর-ভোগের সময়ের আগেই হয়ে যায় স্থায়ী অবসর-মৃত্যু!!!

তবে কিসের পিছৈ ছুটলে?
ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী, আদর স্নেহ, বিশ্রাম, মায়া মমতা সব ভুলে....!!

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১৪

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: দারুণ ব্লছেন।সহমত।

৪| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

আকরাম বলেছেন: আমাদের সবাইকে বার্ধক্যের মুখোমুখি হতে হবে।
কুলাংগার সন্তানেরা, আপনারা যারা বাবা-মার প্রতি নির্দয় হবেন, তারাও তাদের সন্তান দ্বারা এরকমই ব্যবহার পাবেন।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১৫

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: ঠিক বলছেন। আমরা যাতে কুলাংগার না হই।

৫| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

জোনাক আলো বলেছেন: thank you very much dear...

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২১

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: আমার এই লেখার উদ্দেশ্য ছিলো সবাইকে একটু সচেতন করা। যদি একজন ও সচেতন হন, এতেই আমার এই লেখার স্বার্থকতা।

৬| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: সবাইকে বুড়ো হতে হবে আর সম্ভবত অবহেলার শিকার হতে হবে। সুতরাং ছেলেপুলের জন্য জান দিয়ে কি লাভ, এর চাইতে নিজের বৃদ্ধ বয়সে যাতে আরাম করতে পারেন সেই ব্যাবস্হা অব্শ্যই অবশ্যই করবেন। কাউকে বিশ্বাস নেই।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৩

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: আসলেই,কাউকে বিশ্বাস নেই। কিন্তু, কোন মা-বাবা এমন হতে পারেন না।

৭| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

বাংলার হাসান বলেছেন: আমাদের সবাইকে বার্ধক্যের মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের প্রতি কতটুকু সদয় হবে?

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৪

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: আমি ও সন্দিহান।

৮| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

গোবর গণেশ বলেছেন: প্রথমেই আপনার কোমল অনুভূতির প্রশংসা করছি। আমার মনেহয় শেষ জীবনটা যাতে কারো উপর নির্ভরশীল হতে না হয় সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া দরকার।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৬

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।কিন্তু, কোন মা-বাবা এমন হতে পারেন না।

৯| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

আ্যাগোনেক্সট বলেছেন: কত কষ্ট একটা মানুষের!
উনার ছেলেটা যদি কিছুটা উনার মত হত তাহলে উনাকে হয়ত এমন দিন দেখতে হত না । :|

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৭

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: কিন্ত, উনার ছেলে তো একটা কুলাঙ্গার

১০| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫১

বাংলার এয়ানা বলেছেন: ভাই আমি সব সময়ে এই পিড়িতদের জন্যে কিছু করার চেষ্টা করি, যদি ওনার কোন যোগাযোগের ঠিকানা জানা যায় তা হলে অবশ্যই একটু জানাবেন।আমার একটা লিখার লিংক দিলাম,

http://somewhereinblog.net/blog/ayena/29493319

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩১

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: অবশ্যই জানাবো। আপনার লেখাটি ও দারুণ লেগেছে। আমি ও সুযোগ পেলে আপনার মত কিছু করার চেষ্টা করি।

১১| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০৭

বাংগাল গাজী বলেছেন: এই কুলাঙ্গার ছেলের কথা শুনে আমার একটা গল্প মনে পড়ে গেছে।

"একটা ছোট শিশুর বাবা তাঁর দাদাকে একটা টুকরীর মধ্যে করে নিয়ে দুরের একটা গর্তে ফেলে দিয়ে আসতে গেল। সাথে শিশুটিকে নিয়ে গেল অন্য কাঁধে করে। যখন শিশুর পিতা তাঁর দাদাকে গর্তে ফেলে দিল টুকরি সহ তখন ছোট্ট শিশুটি বাবার কাধ থেকে নেমে টুকরি টি কুড়িয়ে নিয়ে বাবাকে বলল চল বাবা বাড়ি ফিরে যাই। শিশুর পিতা শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলো টুকরি দিয়ে কি করবা??? শিশু উত্তর দিয়ে বলল বাবা তুমিও তো এক দিন দাদার মত বুড়ো হবে, সেই দিন এটা কাজে লাগবে। কথা শুনে শিশুর পিতা শিশুর দাদাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেল।"

এই বৃদ্ধের ছেলে যদি বুঝতো তাঁর কপালে কি কষ্ট লিখা হয়েছে তাহলে সে আজই পিতা মাতাকে কাঁধে করে রাখতো।

দয়া করে স্ত্রীর চেয়ে বাবা- মাকে বেশী গুরুত্ব দেয়া শিখুন সবাই।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: সহমত।

১২| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২০

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার মানবিক মূল্যবোধের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।আমার এই লেখার উদ্দেশ্য ছিলো সবাইকে একটু সচেতন করা। যদি একজন ও সচেতন হন, এতেই আমার এই লেখার স্বার্থকতা।

১৩| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: আপনার জন্য শুভেচ্ছা

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।আমার এই লেখার উদ্দেশ্য ছিলো সবাইকে একটু সচেতন করা। যদি একজন ও সচেতন হন, এতেই আমার এই লেখার স্বার্থকতা।

১৪| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫১

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনাদের কমেন্টগুলো পড়ে। আপনাদের বাবা-মা অনেক ভাগ্যবান। আপনাদের মত সচেতন ছেলে-মেয়ে পেয়েছে। ওই ছেলের মত কুলাঙ্গার হন নাই আপনারা।

১৫| ২৬ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

এস এইচ খান বলেছেন: কি কারনে এ সব অনাচারে জর্জরিত হয়ে পরছি আমরা তার মূল কারন খতিয়ে দেখার ফুসরত কারো নেই :( :(

যাহোক, খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার মানবিক মূল্যবোধের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

আতাউর রহমান তারেক বলেছেন: সহমত।আপনাকে ও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.