নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌরভ আহমেদ

সৌরভ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

upcoming attacks

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:২৩

সামনে যে দেশগুলোতে আক্রমণ আসতে যাচ্ছে...
প্রমিসেড ল্যান্ড বা প্রতিশ্রুতি ভূমি
পৃথিবীর এত ফাকা জায়গা থাকতেও কেন জায়োনিস্ট বা ইহুদিদের প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিনের ভূমিতেই থাকতে হবে? তাদের কন্ট্রোলে থাকা আমেরিকাতেও এত বিশাল ফাকা জায়গা আছে যে সমস্ত ইহুদিদের জায়গা করে দিলেও তেমন ক্ষতি হবে না। খুব সাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারবে। টাকা পয়সা, বাড়ির অভাব হবে না৷ কেননা নিজের ইচ্ছেমতো ডলার ছাপানো, পুরো পৃথিবীর ইকোনমি নিয়ন্ত্রণ করছে তারাই। কিন্তু তার পরেও কেন তাদের যুদ্ধ, হাঙ্গামা, খুন, নির্যাতন করে ফিলিস্তিনেই যেতে হবে, সেখানেই বসতি স্থাপন করতে হবে! এর কারণটা কি.........??
এর উত্তর লুকিয়ে আছে বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট এর প্রথম গ্রন্থ,
বুক অফ জেনেসিস, অধ্যায়-১৫, অনুচ্ছেদ-১৮
যেখানে ঈশ্বর আব্রামকে বলছে যে, " তোমার উত্তরসূরীদের রাজত্ব দেব মিশরের নীল নদ থেকে ফোরাতে নদী পর্যন্ত "
এটাকে বাইবেলের ভাষায় প্রমিসেড ল্যান্ড বা প্রতিশ্রুতি ভূমি বলা হয় যা পাওয়ার জন্য ইহুদীরা গত ২ হাজার বছর থেকে প্ল্যান করে যাচ্ছে।
এর আগেও তারা প্যালেস্টাইনে বসতি স্থাপন করেছিল কিন্তু নেবুচাদ নেজার তাদের বিতাড়িত করে ব্যবিলনে অনেক ইহুদিকে বন্দী করে নিয়ে যায়, আনুমানিক ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এর কিছু আগে। এরপর যখন তারা পুনরায় প্যালেস্টাইনে ফিরে আসে তখন রোমান সম্রাট টাইটাস তাদের বিতাড়িত করে। এটা আনুমানিক ৭০-৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ আগে।
এরপর তারা আর প্যালেস্টাইনে ফিরে আসতে পারেনি। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা বন্ধ হয়নি। ঈশ্বরের সেই প্রমিসেড ল্যান্ড পাওয়ার জন্য তারা গত ২০০০ বছর থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ১ম বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়ে বেলফোর্ড ডিক্লারেশনের মধ্য দিয়ে তারা সুকৌশলে প্যালেস্টাইনে ফিরে যায় এবং ২য় বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়ে নিরাপত্তার অজুহাতে তারা সেখানে গিয়ে বসতি স্থাপন করে এবং পরে আমেরিকার (পরোক্ষভাবে আমেরিকাকে নিয়ন্ত্রণকারী ইহুদিদের মাধ্যমে) তারা নিজেদের স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চেষ্টা করে এবং তা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। এর মধ্য দিয়ে তাদের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
পরবর্তীতে বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশ এবং তার সঙ্গীদের মধ্যে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়ে এই পরাশক্তি দেশগুলোকে শেষ করে তারা বিশ্বের নতুন পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে এবং তাদের লিডার হবে মাসিহ (দাজ্জাল)। বর্তমানে বিশ্বের দিকে তাকালে তাদের কাজ যে প্রায় শেষের দিকে তা সহজেই আন্দাজ করা যায়।
শুধু এখানেই শেষ নয়, দাজ্জাল যাতে সহজেই বিশ্ব শাসন করতে পারে তাই অধিক জনসংখ্যা কমিয়ে মাত্র ৫০-৬০ কোটি মানুষ রাখতে তারা বিভিন্ন ভাইরাস যেমন ; করোনা, আগামি দিনে জম্বি (আল্লাহ ভালো জানেন)। এছাড়াও জন্মনিয়ন্ত্রণ এর জন্য নানা সংস্থা এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য সহজলভ্য যাতে তা ব্যবহার করে জনসংখ্যা কমানো যায়।
এছাড়াও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিশ্বে সকল ব্যাংকে এককেন্দ্রিক করণ।
এছাড়াও নিজেদের শুদ্ধিকরণ, থার্ড টেম্পল নির্মাণ ইত্যাদি কাজ এখনো সম্পন্ন করতে বাকি আছে যা সামনের বছর গুলোতে সম্পন্ন করবে তারও পরিকল্পনার ছক আকা আছে।
শুধু একটা বিষয় ভেবে দেখুন, ঈশ্বরের সেই প্রমিসেড ল্যান্ড পাওয়ার জন্য তারা ২০০০ বছর থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অথচ আমরা মুসলিম হয়ে, এত বিপুল পরিমাণ সংখ্যা নিয়ে তাদের ফাদে পড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে যাচ্ছি......এরপরও যদি আমাদের অন্তর চক্ষুর জানালা খোলে.......!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.