![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ই*স্রাইলের শীর্ষ পত্রিকা The Breaking Is*rael News & Is*rael 365 News তাদের পত্রিকার শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে খবর ছাপিয়েছে যে, আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- **আসলেই কি দুনিয়াতে পরমাণু যুদ্ধ হবে? আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা কি পরমাণু যুদ্ধ সম্পর্কে কিছু বলেছে?**
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
''**এমন কোন জনপদ নেই, যা আমি কিয়ামতের পূর্বে ধ্বংস করব না অথবা যাকে কঠোর শাস্তি দেব না; এটা তো কিতাবে লিপিবদ্ধ করে দিয়েছি**।'' (সুরা বনী-ইস্রাইল: ৫৮)
কিয়ামতের পুর্বেই আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি শহর জনপদ মানে শহরগুল ধ্বংস করবেন। কারণ এই শহরগুলিতে অত্যাধিক পাপাচার, সুদের লেনদেন, মদের ব্যাবসা, নর্তকী ব্যাবসা, সমকামিতা- এক পুরুষ এক পুরুষে বিবাহ জায়েজ করে ফেলেছে। লুত (আঃ) সম্প্রদায় যে কারণে আযাব ভোগ করেছে সেই আযাব আসতেছে। এটা পারমাণনিক যুদ্ধের আযাব ভোগ করতে হবে কারণ
সুরা বাকারাতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
''**আল্লাহকে ভয় কর সুদ ছেড়ে দাও অন্যথায় আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধের ঘোষনা শুনে রাখ**।'' (আয়াত ২৭৮-২৭৯ )
হ্যাঁ, এই যুদ্ধ পারমাণবিক যুদ্ধ। পরমাণু অস্ত্রের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত ব্যাংকিং সুদের system লন্ডভন্ড করে দেবেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ''**ধোঁয়া নীচের দিকে ছেড়ে দেয়া হবে অতঃপর তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর মানুষদের গ্রাস করে ফেলবে এটা হবে মানুষের জন্য এক কঠিন শাস্তি**।''
(সুরা আল দুখান আয়াত-১০-১১)
উক্ত আয়াতে ধোঁয়া বলতে মিসাইল দিয়ে পারমাণবিক attack এর কথা বলা হয়েছে। যা মানুষের জন্য নেমে আসবে ভয়াবহ এক বিপর্যয় এবং কঠিন শাস্তি সরূপ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
''**ছেড়ে দেয়া হবে তোমাদের উপর ধুম্রকুঞ্জ
অতঃপর তোমরা কিছুই করতে পারবে না**।''
(সুরা আর-রহমান ৩৫)
উক্ত আয়াতে ধুম্রকুঞ্জ বলতে পারমাণবিক বোমা Nuclear attack এর মাসরুম ক্লাউড/ ছত্রাক আকৃতির ধোঁয়ার কথা বলা হয়েছে।
আল কুরআনের রেফারেন্স পাওয়া গেল।
এবার আমরা হাদিসের দিকে চোখ রাখি..
**রাসুল (সঃ) কি এই পরমাণু যুদ্ধের কথা কিছু বলেছেন?**
রাসুল (সঃ) বলেন,** **''**ধোঁয়া প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত ঘটবে না**।''
(আবু দাউদ ৪৩১১)
এখানে ধোঁয়া বলতে বুঝানো হয়েছে Nuclear attack এর ফলে Mashroom cloud ছত্রাক আকৃতির ধোঁয়ার কথা বলা হয়েছে।
রাসুল (সঃ) বলেছেন, ''**আসমান থেকে স্পষ্ট ধোঁয়া প্রকাশ পেলেই দা*জ্জাল বের হবে**।''
(আবু দাউদ ৪২৭৮)
উক্ত হাদিসে রাসুল (সঃ) ধোঁয়া বলতে মিসাইল দিয়ে পারমাণবিক attack এর ফলে উৎপন্ন ধোঁয়াকে বুঝিয়েছেন।
রাসুল (সঃ) বলেছেন, ''**জেরুজালেম বায়তুল মুকাদ্দিস প্রতিষ্ঠা পেলে মহাযুদ্ধ শুরু হবে এর মহাযুদ্ধের পরে তোমাদের মাঝে দা*জ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে**।''
-(আবু দাউদ ৪২৪৪-৪২৯৪; ইবনু মাজা ৪২৯৫-৪২৯৫)
.
**বায়তুল মুকাদ্দিস কি আর এটা কি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে?**
হ্যাঁ, বায়তুল মুকাদ্দিস মানে বর্তমান ই*স্রাইলের জেরুজালেম শহরে অবস্থিত আল আকসা মসজিদের
এলাকা ই*হুদিদের Western wall, Temple Mount, আল আকসা মসজিদের সম্পুর্ন এলাকাটি হচ্ছে বায়তুল মাকদিস। দীর্ঘ ২০০০ বছর পর ই*হুদিরা আবার ই*স্রাইল নগরীতে ফিরে এসেছে এবং ১৯৪৮ সনে ই*স্রাইল কে একমাত্র ই*হুদিদের আবাসভুমি বানিয়েছে। বায়তুল মুকাদ্দিস Build up প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে কারণ ই*হুদিরা জেরুজালেম কে নিজেদের রাষ্ট্রের রাজধানী বানিয়েছে ২০১৭, ৬ ডিসেম্বের সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ই*স্রাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন, **পারমাণবিক যুদ্ধের সাথে কি দা*জ্জাল আগমনের কোন সম্পর্ক রয়েছে?**
উত্তর হচ্ছে- হ্যাঁ । কারণ এক হাদিসে রাসুল (সঃ) বলেছেন, **পারমানবিক মহাযুদ্ধের সপ্তম বছরে Anti-christ দা*জ্জাল বের হবে**।
(ইবনু মাজা ৪২৯৫-৪২৯৬; মিশকাত ৫০৭০)
**ফুরাত নদী ও পারমাণবিক যুদ্ধ প্রসজ্ঞেঃ**
নবী করীম (সাঃ) বলেছেন যে, “**কিয়ামত সংগঠিত হবার পূর্বে ফুরাত নদী শুকিয়া যাবে এবং ফুরাত নদী** (বর্তমান Euphrates river সিরিয়া থেকে ইরাক পর্যন্ত প্রবাহিত) **তার সোনার পাহাড় বের করে দিবে। সবাই সেই সোনা দখল নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। সেই যুদ্ধে প্রতি ১০০ জনে ৯৯ জন নিহত হবে**।''
হাদিসটি উল্লেখিত হয়েছে-
[বুখারী শরীফ ১বার উল্লেখ
মুসলিম শরীফ ৭০৬৮-৭০৬৯ সহ ৪বার উল্লেখ
সুনান আবু দাউদ ১বার উল্লেখিত]
(ফুরাত নদী প্রায় শুকিয়ে গেছে সেখান থেকে সিরিয়া ইরাকের Euphrates river থেকে অসংখ্য তৈল আর গ্যাসের খনি বের হয়েছে। স্কলার ইমরান হোসেন এর মতে, হাদিসটির রূপক অর্থে petrodoller the black gold-ই সেই সোনা। কারণ world Moneytary system অনুসারে সোনাকে তৈল এ Function করা যায়।)
আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, **যখন তোমরা কোন এক রমজান মাসে পুর্ব দিকে আগুনের কিছু প্রজ্বলিত শিখা দেখতে পাবে তখন সাধ্যমত খাবার সংগ্রহ করে রাখবে কেন না তার পরবর্তী বছর হবে দুর্ভিক্ষের বছর**।
কিতাব আল-ফিতান ৬৪৯
(এখানে রাসুল (সঃ) আগুনের প্রজ্বলিত শিখা বলতে Nuclear attack এর শিখার কথা বলেছেন।
ই*হুদিদের তৈরাত আর বাইবেল কিতাবেও মহাযুদ্ধের কথা বলা হয়েছে সমস্ত যুদ্ধের মহাযুদ্ধ Nuclear war কে পুর্ববর্তী কিতাবে Armegadon বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুল (সঃ) Nuclear war কে বলেছেন আল-মালহামা অর্থাৎ সমস্ত যুদ্ধের মহাযুদ্ধ। ই*হুদি খ্রিষ্টানরা বলে ''Armegadon According to the Analysis of INH''
-Sheikh Imran Nazar Hossain)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, **Nuclear war হলে ত সবকিছু ধ্বংস হবে তাহলে জায়*নিস্ট ই*হুদিরা কেন পরমাণু যুদ্ধ লাগাবে?**
এর উত্তর হচ্ছে, ই*হুদিরা আহলে কিতাব প্রাপ্ত বাইবেল এর ইজাকেল এর ৩৮ অধ্যায়ের ২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে ইয়াজুজ-মাজুজ যুদ্ধের পরে বহুপ্রতিক্ষিত মসিহ আত্মপ্রকাশ করবে। ই*হুদিদের মসিহ মানে দা*জ্জাল।
ই*হুদিরা জানে পরমানু যুদ্ধ শুরু না করলে দা*জ্জাল বের হবেনা আর দা*জ্জাল বের হয়ে ই*স্রাইলকে সেইভ করবে।
দা*জ্জাল বের হয়ে জেরুজালেম ই*স্রাইল থেকে ই*হুদিদের সাথে নিয়ে সমগ্র বিশ্বশাসন করবে।
সেকারণে পরমাণু যুদ্ধের জন্য ই*হুদিরা উঠেপরে লেগেছে।
পারমাণু যুদ্ধে ইউরোপ আমেরিকা সহ দুনিয়ার ৯৮% শহর ধ্বংস হলেও পবিত্রভুমি মক্কা-মদীনা, জেরুজালেম আর ই*স্রাইলেও কোন পরমাণু অস্ত্রের প্রভাব পরবে না। আর পরমাণু যুদ্ধের আগেভাগে ই*স্রাইল দুনিয়ার সমস্ত টেকনোলজি প্রিজার্ভ করা শুরু করেছে।
বিঃদ্রঃ Details News link কমেন্ট সেকশনে দেয়া রয়েছে
প্রত্যেকটা পোস্ট শেয়ার করে সবাইকে পড়ার জন্য সুযোগ করে দিন।
©somewhere in net ltd.