![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকেই আফসোস করে বলেন যে, ভ্যা-ক নিয়ে ভুল করেছি। এখন এই সমস্যা, ওই সমস্যা।। একজন গবেষক হিসেবে আমিও জানি.....?!
আগেও বলেছি এগুলো বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
এখন আসল কথায় আসি, এখন আমি আপনাদেরকে সমাধান গুলো বলছি, সবগুলোই আপনার শরীরকে জীবাণুমুক্ত/ টক্সিনমুক্ত বা শয়তানি চক্রান্ত মুক্ত করবে...
আমি যেভাবে বলছি সেভাবেই পালন করবেন এবং আপনার অর্জিত দূরদর্শিতা ধরে রাখার জন্য কিছু বিষয় আছে সেগুলোও মেনে চলবেন। লেখা অনেক বড় হয়ে যায় তাই খুবই সংক্ষেপে আলোচনা করছি...
✓✓✓চার মাসের ডিটক্স প্রোগ্রাম!!
১. হিজামা থেরাপি!
আপনার শরীরে চার মাসের মধ্যে তিনটা হিজামা সেশন নিবেন। হিজামার ৯/১১ টি সুন্নাহ পয়েন্ট গুলো সহ ডিটক্সের কিছু পয়েন্ট কাভার করে ১৫ থেকে ২০ টা পয়েন্টে থেরাপি নিবেন।
হিজামার পয়েন্ট গুলো হল...
১,৫৫,২০,২১,৩২,৪৩,৪৪,১১,১২,১৩, ১০৪,১০৫,১২৯(২), ৫৩,৫৪ সহ ১৫-২০ টা পয়েন্ট, ৩৬ নং পয়েন্টে হিজামা নিবেন না।
আসলে সব থেরাপিস্ট এটা ভালোভাবে বোঝে না, এজন্য আপনি একজন অভিজ্ঞ ধার্মিক চিকিৎসকের কাছ থেকে থেরাপি নিবেন।
প্রতি চার মাসে আমাদের শরীরের সকল রক্ত পরিবর্তন হয়ে যায়। সুতরাং চার মাসের মধ্যে আপনি তিনটা থেরাপি নিলে আশা করছি আপনার রক্ত বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।
✓নবীজি সা. বলেছেন, "হিজামাকারী কতইনা উত্তম লোক, সে দূষিত রক্ত বের করে দিয়ে মেরুদন্ড শক্ত করে এবং দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে "।
[সুনানে তিরমিজিঃ হাদিস নং 2053 ]
২.আজওয়া খেজুর ।
প্রতিদিন সাতটি করে আজওয়া খেজুর একটানা সাত দিন খাবেন। তারপরে মাঝে মাঝে খাবেন, এভাবে প্রায় ৪ মাস খাবেন। কমপক্ষে ৭ দিন খাবেন, বেশি দিন হলে আরো ভালো।
আজওয়া সম্পর্কে জানেন, এই খেজুর খেলে মৃত্যু ব্যতীত সকল প্রকার বিশ শরীর থেকে দূর হয়ে যাবে।
অবশ্যই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাবেন। আর শিশুদের সাতটি ভিন্ন খেজুর থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে খাওয়াবেন। মনে রাখবেন, প্রথম সাতদিন ৭ টা করে খেজুর খাওয়াটা খুব জরুরী, তা না হলে রেজাল্টের বিষয়ে আমার নিশ্চয়তা নেই। এক্ষেত্রে কার্পণ্য করা চলবে না, ইনভেস্ট করতেই হবে।
আজওয়া খেজুর খাওয়া অবশ্যই হিজামার এক সেশন নেয়ার পর থেকে শুরু করবেন।
✓নবীজি সা. বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকালবেলা সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে সেদিন কোনো বিশ ও জাদু তার কোনো ক্ষতি করবে না।
[সহীহ বুখারী, হাদিস-৫৪৪৫]
৩. মধু ও কালোজিরা।
বড়দের জন্য প্রতিদিন এক চামচ মধু, হাফ চামচ কালোজিরা তেল অথবা এক চামচ কালোজিরা
প্রতিদিন খাবেন। এটাও সকালে খালি পেটে অথবা রাত্রে ঘুমানোর আগে খেতে পারেন।
মধু কালোজিরা শীতের দিন হলে দুইবার খাবেন, গরমের দিনে একবার খেলেই হবে। তবে রাত্রে খাওয়াই ভালো হয়, যেহেতু সকালে আজওয়া খাবেন।
✓আল্লাহ তাআলা বলেন...
“তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।”
(সূরা আন-নাহল, আয়াতঃ ৬৯)
আল কুরআনের ১৬তম সূরার নাম সূরা আন-নাহল। নাহল শব্দটির অর্থ মৌমাছি।
✓আবু হুরায়রাহ (রা.), থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ "কালোজিরায় মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের নিরাময় আছে"। ‘আস-সাম’ অর্থ মৃত্যু, হাব্বাতুস সাওদা অর্থ কালিজিরা। (ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৪৪৮)
৪. প্রতিদিন ব্যায়াম করা।
ন্যাচারালি বডিকে ডিটক্স করার জন্য ব্যায়াম সবচেয়ে উত্তম। শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস ও সুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতেই হবে। সকাল ভোরে অথবা বিকেল বেলা এবং কমপক্ষে ৩০ মিনিট।
শুরুতে ১০-১৫ মিনিট দিয়ে শুরু করুন, ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন। অবশ্যই এই সময়টাকে সময় নষ্ট মনে করবেন না। সুস্থ না থাকলে আপনি কোনো কাজই করতে পারবেন না। সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ব্যায়াম হচ্ছে সাঁতার কাটা। এছাড়াও আছে হালকা জগিং এবং শরীরের কন্ডিশন অনুযায়ী ব্যায়াম। যাদের পেট বড় হয়ে গেছে তাদের পেটের ব্যায়াম। অনেক ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন। অবশ্যই ঘাম ঝরানো ব্যায়াম করতে হবে।
✓হাদিসে আছে, সবল মুমিন দুর্বল মুমিন অপেক্ষা উত্তম।
৫. সাইয়েদুল ইস্তেগফার ও দোয়া।
এই কার্যক্রমের শুরুতে অবশ্যই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে নিবেন। এরপর কান্নাকাটি করে আল্লাহতালার কাছে দোয়া করবেন যে, আমরা তো অসহায় ছিলাম, আমরা চক্রান্তের শিকার, ভ্যাকসহ অন্যান্য বিষয়গুলো আগে বুঝতে পারি নাই। আল্লাহতায়ালা যেন আমাদের ক্ষমা করেন এবং এই আমলগুলো কবুল করে আমাদের দুরদর্শিতা দান করেন।
শুরুতে অবশ্যই এ কাজটি করবেন এবং সম্ভব হলে প্রতিদিন দু চার রাকাত নফল নামাজ পড়বেন। আর এই চিকিৎসার আগে অবশ্যই নিয়ত করে নিবেন, মনে রাখবেন নিয়ত অনেক পাওয়ারফুল একটি আমল।
সাথে এই নিয়েতে কিছু সদগাও করবেন, সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় কোনো প্রাণী সদকা করা। সদগা কিভাবে করলে, কোথায় দান করলে ভালো হয় সেটা বিজ্ঞ আলমের কাছ থেকে জেনে নিবেন।
✓✓কতিপয় খাবার যেমন- রসুন, মাশরুম, কিসমিস, খেজুর, সিরকা, জয়তুন, শতমূলী, সাজনা পাতা, সোনা পাতা (কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে বা জাদুর সমস্যা থাকলে) সহ কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন। নিয়মিত মেসওয়াক করুন।
সমস্যা বেশি হলে অথবা বয়স্ক হলে ডিটক্স ফুটপ্যাডও কিছুদিন ব্যবহার করতে পারেন (জরুরী নয়)। এটা অবশ্য চার মাসের কোর্সের শেষের দিকে করবেন।
✓আপনার শরীর বিষমুক্ত করার পর এগুলো ধরে রাখা জরুরি। এজন্য খাঁটি সরিষার তেল খাবেন, হাইব্রিড ফুড, ফাস্ট ফুড, সাদা চিনি এগুলো খাবেন না। অতি ঝালও খাবেন না। সন্দেহজনক
©somewhere in net ltd.